তবে কি বন্ধ হবে শান্তর পায়ে পায়ে বিশ্বভ্রমণ

ফিচার ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭: ৩৮

সাইফুল ইসলাম শান্ত। কুমিল্লার দেবিদ্বারের এই যুবক হেঁটে হেঁটে ঘুরে বেড়ান দেশ থেকে দেশান্তরে। ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে তিনি হাঁটতে শুরু করেছিলেন ভারতের দার্জিলিংয়ের উদ্দেশে। সে পথ ছিল প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ। তিনি শেষ করেছিলেন। তারও আগে শান্ত হেঁটে ঘুরেছেন দেশের ৬৪ জেলা। আর এ বছরের ২২ মার্চ থেকে শুরু করেছেন ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অন ফুট, পায়ে পায়ে বিশ্বভ্রমণ। 

শান্তর এবারের স্লোগান, ‘বৃক্ষ বাঁচাও, বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাও’। হেঁটে বিশ্বের ১৯৩টি দেশ ভ্রমণের ইচ্ছা তাঁর। গত ২২ মার্চ থেকে তিনি বাংলাদেশ ছাড়াও হেঁটেছেন ভারত, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান ও নেপালের ২ হাজার ১ দশমিক ৫১ কিলোমিটার পথ। এ হাঁটার হিসাব জমা আছে স্ট্রাভা অ্যাপে।

ঢাকা থেকে ভারতের ঝাড়খন্ড, সেখান থেকে উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দ। সেখান থেকে তিনি হেঁটে গেছেন তাজিকিস্তানের রাজধানী দুসানবে পর্যন্ত। দুসানবে থেকে নেপালের কাঠমান্ডু, সেখান থেকে অন্নপূর্ণা বেজক্যাম্প হয়ে পোখারা পর্যন্ত। সেখান থেকে তিনি আবার এসেছেন ভারতে। প্রকল্পটিতে শান্তর কোনো স্পনসর নেই। ব্যক্তিগত ব্যয়ে তিনি এটি চালিয়ে যাচ্ছেন। 

এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু জুলাই-আগস্টে দেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান হলে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বেশ বদল আসে। এতে দেশের প্রশাসনিক কাঠামোর মতো বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতেও রদবদল শুরু হয়। এ জন্য বেশ বিপদের মুখে পড়েছেন শান্ত। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলো থেকে বিশেষ করে বিভিন্ন দেশের ভিসা-সংক্রান্ত কাজে সহায়তা পেতেন শান্ত। কিন্তু রাজনৈতিক পালাবদলের কারণে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোর কাজ এখনো ঠিকমতো শুরু হয়নি। এ জন্য তাঁকে হোঁচট খেতে হচ্ছে বিশ্বভ্রমণের ক্ষেত্রে। এই মুহূর্তে শান্ত আছেন দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে। সেখান থেকে চেষ্টা চালাচ্ছেন পরবর্তী দেশে যাওয়ার জন্য।

শান্ত জানিয়েছেন, এখন ভ্রমণে তাঁর মূল সমস্যা ভিসা পাওয়া। বিভিন্ন দেশ সহজে ভিসা দিচ্ছে না। অনেক দেশ স্থলপথে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না যথাযথ কর্তৃপক্ষ বা বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া। দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে তিনি বিভিন্ন দেশের দূতাবাস কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাচ্ছেন না। ভারত থেকে শান্ত জানিয়েছেন, এ অনুমতি ছাড়া হেঁটে বিশ্বভ্রমণ সম্ভব নয়।

ভিসার জটিলতা ছাড়াও আছে স্পনসর-সংক্রান্ত সমস্যা। এ পর্যন্ত শান্ত প্রায় পুরোটা নিজের ব্যয়ে ভ্রমণ করেছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁকে সহায়তা করেছে আরিজ ফাউন্ডেশন, আলট্রা ক্যাম্প রানার, বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন, আবৃত্তি বিশ্ববিজ্ঞানালয়, ডায়নামিক রানার্স ইন্টারবিডি, বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং হাঁটাহাঁটি দ্য ওয়াক। কিন্তু বাকি পথ হাঁটতে যে ব্যয়, সেটা চালানো শান্তর জন্য বেশ কঠিন। 

ভারতের তামিলনাড়ুতে অবস্থানরত শান্তর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয়। পথচলার ক্লান্তির সঙ্গে তাঁর ওপর এখন ভর করছে হতাশা। এ হতাশা কাটিয়ে তিনি কি হেঁটে বিশ্বভ্রমণের পরিকল্পনায় সফল হবেন?

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত