
ভ্রমণ করতে অনেকেই পছন্দ করেন। আর ঘোরাঘুরিতে সবারই পছন্দের গন্তব্য থাকে। তবে পৃথিবীর সব দেশ ভ্রমণ করা মানুষের সংখ্যা মোটেই বেশি নয়। ধারণা করা হয় সংখ্যাটি ৪০০-র আশপাশে। তবে যতই দিন গড়াচ্ছে এই চেষ্টা করা এবং সফল হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
২০২৩ সালে জাতিসংঘ স্বীকৃত ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলের সবগুলিতে ভ্রমণ করা পর্যটকের তালিকায় যোগ হয়েছে নতুন ৫০ নাম। এটি এক বছরে সবচেয়ে বেশি মানুষের বিশ্বের সব দেশ ভ্রমণের রেকর্ড। বিশ্বব্যাপী পর্যটক ও অভিযাত্রীদের ভ্রমণে সাহায্য করা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নোমাডম্যানিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্ব ভ্রমণে মানুষের আগ্রহ বহু আগে থেকেই। এ নিয়ে আছে দুনিয়া কাঁপানো উপন্যাসও। বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞান ও অ্যাডভেঞ্চার লেখক জুলভার্নের উপন্যাস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ প্রকাশ পায় সেই ১৮৭২ সালে। যেখানে ফিলিয়াস ফগ নামের এক ব্যক্তি আশি দিনে বিশ্বভ্রমণের চ্যালেঞ্জ জেতেন।
কিন্তু মানুষকে কোন বিষয় প্রতিটি দেশ ভ্রমণে অনুপ্রাণিত করে? আর এই লক্ষ্যে পৌঁছানো আসলে কতটা কঠিন?
ফিনল্যান্ডের লেখক এবং সাংবাদিক রাউলি ভিরতানেন বেড়ে ওঠেন এক অজপাড়া গাঁয়ে। ধারণা করা হয় বিশ্বের সব দেশ ভ্রমণ করা প্রথম ব্যক্তি তিনি।
১৯৮৮ সালে যখন ভিরতানেন এই লক্ষ্য অর্জন করেছিলেন তখন জাতিসংঘ-স্বীকৃত দেশের সংখ্যা ছিল ১৭০। অবশ্য তিনি জানান পরে নতুন যুক্ত হতে থাকা জায়গাগুলোতেও ভ্রমণ করেন।
প্রতিটি দেশ ভ্রমণের পেছনে তাঁর অনুপ্রেরণা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে এর কারণ হিসেবে, ‘চরম কৌতূহল এবং সংগ্রাহকের মানসিকতা’র কথা উল্লেখ করেন।
‘আশির দশকের মাঝামাঝি আবিষ্কার করলাম আমার ১৫০টি দেশ ভ্রমণ হয়ে গেছে। কাজেই মনে হলো মারা যাওয়ার আগে বাকি দেশগুলি ঘুরে আসা উচিত।’ সিএনএন ট্র্যাভেলকে ইমেইলে জানান ভিরতানেন।
এক শ কিংবা এর বেশি দেশ ভ্রমণ করা মানুষদের সংগঠন দ্য ট্রাভেলারস সেঞ্চুরি ক্লাব (টিসিসি) ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখনো তারা চমৎকার কাজ করে যাচ্ছে। তারপর আরও নতুন নতুন সংগঠন গড়ে উঠেছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মোস্ট ট্রাভেলারস পিপল (এমটিপি) ও নোমাড ম্যানিয়া।
যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান ইউনিভার্সিটির টুরিজম অ্যান্ড ইভেন্ট বিষয়ের প্রভাষক মাইকেল ওরিগান বলেন, ‘আমি মনে ঘোরাঘুরি করার পেছনে একটি অন্তর্নিহিত প্রেরণা জরুরি। তবে ঐতিহাসিকভাবেই ভ্রমণ আর্থিকভাবে সচ্ছল, চাকরির সহজ শর্ত এবং ভালো স্বাস্থ্যের ব্যক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।’
‘আপনার একটি শক্তিশালী পাসপোর্ট, ট্যুর গাইড এবং পরিবহন এবং হোটেল সম্পর্কে ভালো জ্ঞানের মতো বিষয়গুলি ছিল খুব জরুরি।’ বলেন ওরিগান।
অবশ্যই, আজকে অনেক ভ্রমণকারীর ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। কম খরচের ফ্লাইট, অন অ্যারাইভাল ভিসা এবং অনলাইন বুকিং এ জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিক গিলিল্যান্ড আবার তাঁদের কাতারে পড়েন যারা জীবনের পরের দিকের বছরগুলি ভ্রমণের পেছনে বেশি সময় ব্যয় করেছেন।
করোনা মহামারির কারণে লক্ষ্যে পৌঁছাতে দেরি হয় তাঁর। কারণ অনেক দেশই তখন দীর্ঘদিনের জন্য সেখানে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে। শেষ পর্যন্ত ২০২৩ সালে স্বপ্ন পূরণ হয় তাঁর।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বছরের অন্তত ৪৮ সপ্তাহই ভ্রমণের মধ্যে থাকা গিলিল্যান্ড বলেন সব দেশে যাওয়াটাই সহজ নয়। এ ক্ষেত্রে ‘ভাগ্য এবং সঠিক সময়ের’ একটা ভূমিকা থাকে।
‘আমি উত্তর কোরিয়া গিয়েছি ২০ বছর আগে। যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল, ’ বলেন তিনি, ‘ইরানের ভিসা পাওয়ার জন্য কয়েক বার চেষ্টা করতে হয়। নাউরু এত কম মানুষ যায় যে ভিসা পাওয়াটা কঠিন।’
যখন শেষ দেশ লিবিয়ায় পৌঁছান তখন শুরুতে দেশটিতে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় বিমানবন্দরে। উল্লেখ্য তখন দেশটি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
অনেক সময় ভ্রমণের হঠাৎ বাঁক বদলও হয়। যেমন স্লোভাকিয়ার ভ্রমণবিষয়ক ব্লগার মার্টিনা সেবোভা ১০০টি দেশ ঘোরার পর ভ্রমণে অস্ট্রেলিয়ার র্যাচেল ডেভির সঙ্গে বিশ্ব ভ্রমণের বাকি অংশটি এক সঙ্গে সম্পন্ন করা স্থির করেন। র্যাচেলেরও তত দিনে ১০০ দেশ ভ্রমণ হয়ে গেছে।
সন্দেহ নেই যে মানুষের সব দেশ ঘোরার প্রতি তীব্র আগ্রহ তৈরিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বড় ভূমিকা রেখেছে।
এদিকে বিগত বছরগুলিতে তাঁর সব দেশ ভ্রমণের বিষয়ে একটা মিশ্র অনুভূতির জন্ম হয়েছে বলে জানান ভিরতানেন।
‘আমি খুব সৌভাগ্যবান, ’ স্বীকার করেন তিনি। কারণ হিসেবে বলেন কাজের সূত্রেই ৯৫ শতাংশ দেশে ভ্রমণ করতে পারেন তিনি।
‘আমি সেই অল্প মানুষদের একজন, যারা ধনী দেশে জন্ম নিয়েছে ও পড়ালেখা করেছে। এ ধরনের মানুষদের পক্ষে পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় ভ্রমণ করা সহজ। এ বিষয়ে আমার মনে একটা অপরাধবোধ আছে। তাই দরিদ্র দেশের নাগরিকদের আমার বিশ্বভ্রমণের গল্প কখনো বলি না।’ বলেন ভিরতানেন।

এদিকে জ্যামাইকায় জন্ম নেওয়া রোমেইন ওয়েল্ডসের ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাবার আগে বিশ্ব ঘুরে দেখার সুযোগ কমই ছিল। মজার ঘটনা এর আগে কখনো জ্যামাইকার বাইরেই যাননি তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে একটি এয়ারলাইনে চাকরি পেয়ে যাওয়াই সবকিছু বদলে দেয় তাঁর।
‘আমার পরিবার ছিল খুব দরিদ্র। বাবা ছাড়া পরিবারের কেউই দেশের বাইরে যায়নি। বেশ কয়েক বছর পর পর জ্যামাইকা থেকে ইংল্যান্ডে যাওয়া-আসা করতেন তিনি।’ ইমেইলে সিএনএন ট্রাভেলকে জানান ওয়েল্ডস।
চাকরির সূত্রে বিনা পয়সায় ও কম খরচে ভ্রমণের সুযোগ পাওয়ায় পছন্দের গন্তব্যগুলোতে যেতে শুরু করেন। এভাবে ১০০টি দেশ ঘুরে ফেলেন। তখনই প্রথম জ্যামাইকান ও ক্যারিবিয়ান হিসেবে বিশ্বের সব দেশ ভ্রমণের আগ্রহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ২০২২ সালে অ্যান্টিগুয়া ভ্রমণের মাধ্যমে লক্ষ্যে পৌঁছান তিনি।
প্রতিটি দেশ ভ্রমণের চেষ্টায় সফল হতে একেক জনের একেক সময় লাগে। ওয়েল্ডসের যেখানে লেগেছে ১৫ বছর গিলিল্যান্ডের লেগেছে চার দশকের কাছাকাছি।
কেউ কেউ আবার রেকর্ড সময়ে এটা করতে উৎসাহী। আর সবচেয়ে কম সময়ে সব দেশ ঘোরার রেকর্ডের মালিক কানাডার টেইলর ডেমনব্রিউনের। তাঁর সময় লাগে ১ বছর ১৮৯ দিন।
কেউ কেউ বইও লিখেছেন তাঁদের বিশ্বভ্রমণের গল্প নিয়ে। এদের মধ্যে আছেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে ২০১৯ সালে সব দেশ ভ্রমণ করা উগান্ডার বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক জেসিকা নেবঙ্গো এবং একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে সব দেশে দুবার পা রাখা গানার গারফরস।

মাইকেল ওরিগান স্বীকার করেন যে কিছু ভ্রমণকারী প্রতিটি দেশে ভ্রমণ করার জন্য ‘একটি অনিয়ন্ত্রিত তাগিদ দ্বারা চালিত হন’। তিনি মনে করেন এমন ভ্রমণ দেশগুলির সংস্কৃতিকে বোঝার চেষ্টা না করে ভ্রমণে উৎসাহ দিতে পারে।
তিনি মনে করেন প্রতিটি পর্যটকের নিজস্ব লক্ষ্য থাকলেও ধীরে-সুস্থে প্রতিটি দেশের বৈচিত্র্যময় পরিবেশ উপভোগ করাটা জরুরি।
একটি সত্যিকারের ‘ভ্রমণে’র মানদণ্ড কী কী থাকা উচিত তা নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অনেক আলোচনা হচ্ছে। এটা নিয়ে মতপার্থক্যও আছে।
নোমাডম্যানিয়া ২০২২ এবং ২০২৩ সালে ব্যবহারকারীদের ভোট দেওয়ার পরে এই বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশিকা তৈরি করে গত বছর।
‘আমরা যে দেশটিতে যাই সে সম্পর্কে যতটা সম্ভব জানা গুরুত্বপূর্ণ।’ বলেন গিলিল্যান্ড। ব্যাখ্যা করেন, যে চ্যালেঞ্জটি শেষ করার সময় তিনি কখনো কখনো একটি দেশে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত কাটিয়েছেন। আবার মাত্র অর্ধেক দিন কাটিয়েছেন মোনাকো এবং লুক্সেমবার্গের মতো ছোট দেশে।
উড়োজাহাজে না চেপেই প্রতিটি দেশ ভ্রমণ সম্ভব। যাদের সময়, অর্থ এবং অন্তত উদ্যম আছে তারা যে এটা করতে পারেন তা প্রমাণ করেন তোরবিয়েন থর পেদাসিন। ডেনমার্কের এই নাগরিক ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত গত বছরের মেতে মালদ্বীপ ভ্রমণের মাধ্যমর সব দেশ ভ্রমণ সম্পন্ন করেন।
ভিরতানেন মনে করেন, প্রতিটি দেশে ভ্রমণের ইচ্ছা যাদের তাঁদের ভ্রমণের সামর্থ্য নেই এমন মানুষদের জীবন উন্নত করার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করা উচিত।

ভ্রমণ করতে অনেকেই পছন্দ করেন। আর ঘোরাঘুরিতে সবারই পছন্দের গন্তব্য থাকে। তবে পৃথিবীর সব দেশ ভ্রমণ করা মানুষের সংখ্যা মোটেই বেশি নয়। ধারণা করা হয় সংখ্যাটি ৪০০-র আশপাশে। তবে যতই দিন গড়াচ্ছে এই চেষ্টা করা এবং সফল হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
২০২৩ সালে জাতিসংঘ স্বীকৃত ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলের সবগুলিতে ভ্রমণ করা পর্যটকের তালিকায় যোগ হয়েছে নতুন ৫০ নাম। এটি এক বছরে সবচেয়ে বেশি মানুষের বিশ্বের সব দেশ ভ্রমণের রেকর্ড। বিশ্বব্যাপী পর্যটক ও অভিযাত্রীদের ভ্রমণে সাহায্য করা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নোমাডম্যানিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্ব ভ্রমণে মানুষের আগ্রহ বহু আগে থেকেই। এ নিয়ে আছে দুনিয়া কাঁপানো উপন্যাসও। বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞান ও অ্যাডভেঞ্চার লেখক জুলভার্নের উপন্যাস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ প্রকাশ পায় সেই ১৮৭২ সালে। যেখানে ফিলিয়াস ফগ নামের এক ব্যক্তি আশি দিনে বিশ্বভ্রমণের চ্যালেঞ্জ জেতেন।
কিন্তু মানুষকে কোন বিষয় প্রতিটি দেশ ভ্রমণে অনুপ্রাণিত করে? আর এই লক্ষ্যে পৌঁছানো আসলে কতটা কঠিন?
ফিনল্যান্ডের লেখক এবং সাংবাদিক রাউলি ভিরতানেন বেড়ে ওঠেন এক অজপাড়া গাঁয়ে। ধারণা করা হয় বিশ্বের সব দেশ ভ্রমণ করা প্রথম ব্যক্তি তিনি।
১৯৮৮ সালে যখন ভিরতানেন এই লক্ষ্য অর্জন করেছিলেন তখন জাতিসংঘ-স্বীকৃত দেশের সংখ্যা ছিল ১৭০। অবশ্য তিনি জানান পরে নতুন যুক্ত হতে থাকা জায়গাগুলোতেও ভ্রমণ করেন।
প্রতিটি দেশ ভ্রমণের পেছনে তাঁর অনুপ্রেরণা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে এর কারণ হিসেবে, ‘চরম কৌতূহল এবং সংগ্রাহকের মানসিকতা’র কথা উল্লেখ করেন।
‘আশির দশকের মাঝামাঝি আবিষ্কার করলাম আমার ১৫০টি দেশ ভ্রমণ হয়ে গেছে। কাজেই মনে হলো মারা যাওয়ার আগে বাকি দেশগুলি ঘুরে আসা উচিত।’ সিএনএন ট্র্যাভেলকে ইমেইলে জানান ভিরতানেন।
এক শ কিংবা এর বেশি দেশ ভ্রমণ করা মানুষদের সংগঠন দ্য ট্রাভেলারস সেঞ্চুরি ক্লাব (টিসিসি) ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখনো তারা চমৎকার কাজ করে যাচ্ছে। তারপর আরও নতুন নতুন সংগঠন গড়ে উঠেছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মোস্ট ট্রাভেলারস পিপল (এমটিপি) ও নোমাড ম্যানিয়া।
যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান ইউনিভার্সিটির টুরিজম অ্যান্ড ইভেন্ট বিষয়ের প্রভাষক মাইকেল ওরিগান বলেন, ‘আমি মনে ঘোরাঘুরি করার পেছনে একটি অন্তর্নিহিত প্রেরণা জরুরি। তবে ঐতিহাসিকভাবেই ভ্রমণ আর্থিকভাবে সচ্ছল, চাকরির সহজ শর্ত এবং ভালো স্বাস্থ্যের ব্যক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।’
‘আপনার একটি শক্তিশালী পাসপোর্ট, ট্যুর গাইড এবং পরিবহন এবং হোটেল সম্পর্কে ভালো জ্ঞানের মতো বিষয়গুলি ছিল খুব জরুরি।’ বলেন ওরিগান।
অবশ্যই, আজকে অনেক ভ্রমণকারীর ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। কম খরচের ফ্লাইট, অন অ্যারাইভাল ভিসা এবং অনলাইন বুকিং এ জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিক গিলিল্যান্ড আবার তাঁদের কাতারে পড়েন যারা জীবনের পরের দিকের বছরগুলি ভ্রমণের পেছনে বেশি সময় ব্যয় করেছেন।
করোনা মহামারির কারণে লক্ষ্যে পৌঁছাতে দেরি হয় তাঁর। কারণ অনেক দেশই তখন দীর্ঘদিনের জন্য সেখানে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে। শেষ পর্যন্ত ২০২৩ সালে স্বপ্ন পূরণ হয় তাঁর।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বছরের অন্তত ৪৮ সপ্তাহই ভ্রমণের মধ্যে থাকা গিলিল্যান্ড বলেন সব দেশে যাওয়াটাই সহজ নয়। এ ক্ষেত্রে ‘ভাগ্য এবং সঠিক সময়ের’ একটা ভূমিকা থাকে।
‘আমি উত্তর কোরিয়া গিয়েছি ২০ বছর আগে। যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল, ’ বলেন তিনি, ‘ইরানের ভিসা পাওয়ার জন্য কয়েক বার চেষ্টা করতে হয়। নাউরু এত কম মানুষ যায় যে ভিসা পাওয়াটা কঠিন।’
যখন শেষ দেশ লিবিয়ায় পৌঁছান তখন শুরুতে দেশটিতে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় বিমানবন্দরে। উল্লেখ্য তখন দেশটি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
অনেক সময় ভ্রমণের হঠাৎ বাঁক বদলও হয়। যেমন স্লোভাকিয়ার ভ্রমণবিষয়ক ব্লগার মার্টিনা সেবোভা ১০০টি দেশ ঘোরার পর ভ্রমণে অস্ট্রেলিয়ার র্যাচেল ডেভির সঙ্গে বিশ্ব ভ্রমণের বাকি অংশটি এক সঙ্গে সম্পন্ন করা স্থির করেন। র্যাচেলেরও তত দিনে ১০০ দেশ ভ্রমণ হয়ে গেছে।
সন্দেহ নেই যে মানুষের সব দেশ ঘোরার প্রতি তীব্র আগ্রহ তৈরিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বড় ভূমিকা রেখেছে।
এদিকে বিগত বছরগুলিতে তাঁর সব দেশ ভ্রমণের বিষয়ে একটা মিশ্র অনুভূতির জন্ম হয়েছে বলে জানান ভিরতানেন।
‘আমি খুব সৌভাগ্যবান, ’ স্বীকার করেন তিনি। কারণ হিসেবে বলেন কাজের সূত্রেই ৯৫ শতাংশ দেশে ভ্রমণ করতে পারেন তিনি।
‘আমি সেই অল্প মানুষদের একজন, যারা ধনী দেশে জন্ম নিয়েছে ও পড়ালেখা করেছে। এ ধরনের মানুষদের পক্ষে পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় ভ্রমণ করা সহজ। এ বিষয়ে আমার মনে একটা অপরাধবোধ আছে। তাই দরিদ্র দেশের নাগরিকদের আমার বিশ্বভ্রমণের গল্প কখনো বলি না।’ বলেন ভিরতানেন।

এদিকে জ্যামাইকায় জন্ম নেওয়া রোমেইন ওয়েল্ডসের ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাবার আগে বিশ্ব ঘুরে দেখার সুযোগ কমই ছিল। মজার ঘটনা এর আগে কখনো জ্যামাইকার বাইরেই যাননি তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে একটি এয়ারলাইনে চাকরি পেয়ে যাওয়াই সবকিছু বদলে দেয় তাঁর।
‘আমার পরিবার ছিল খুব দরিদ্র। বাবা ছাড়া পরিবারের কেউই দেশের বাইরে যায়নি। বেশ কয়েক বছর পর পর জ্যামাইকা থেকে ইংল্যান্ডে যাওয়া-আসা করতেন তিনি।’ ইমেইলে সিএনএন ট্রাভেলকে জানান ওয়েল্ডস।
চাকরির সূত্রে বিনা পয়সায় ও কম খরচে ভ্রমণের সুযোগ পাওয়ায় পছন্দের গন্তব্যগুলোতে যেতে শুরু করেন। এভাবে ১০০টি দেশ ঘুরে ফেলেন। তখনই প্রথম জ্যামাইকান ও ক্যারিবিয়ান হিসেবে বিশ্বের সব দেশ ভ্রমণের আগ্রহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ২০২২ সালে অ্যান্টিগুয়া ভ্রমণের মাধ্যমে লক্ষ্যে পৌঁছান তিনি।
প্রতিটি দেশ ভ্রমণের চেষ্টায় সফল হতে একেক জনের একেক সময় লাগে। ওয়েল্ডসের যেখানে লেগেছে ১৫ বছর গিলিল্যান্ডের লেগেছে চার দশকের কাছাকাছি।
কেউ কেউ আবার রেকর্ড সময়ে এটা করতে উৎসাহী। আর সবচেয়ে কম সময়ে সব দেশ ঘোরার রেকর্ডের মালিক কানাডার টেইলর ডেমনব্রিউনের। তাঁর সময় লাগে ১ বছর ১৮৯ দিন।
কেউ কেউ বইও লিখেছেন তাঁদের বিশ্বভ্রমণের গল্প নিয়ে। এদের মধ্যে আছেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে ২০১৯ সালে সব দেশ ভ্রমণ করা উগান্ডার বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক জেসিকা নেবঙ্গো এবং একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে সব দেশে দুবার পা রাখা গানার গারফরস।

মাইকেল ওরিগান স্বীকার করেন যে কিছু ভ্রমণকারী প্রতিটি দেশে ভ্রমণ করার জন্য ‘একটি অনিয়ন্ত্রিত তাগিদ দ্বারা চালিত হন’। তিনি মনে করেন এমন ভ্রমণ দেশগুলির সংস্কৃতিকে বোঝার চেষ্টা না করে ভ্রমণে উৎসাহ দিতে পারে।
তিনি মনে করেন প্রতিটি পর্যটকের নিজস্ব লক্ষ্য থাকলেও ধীরে-সুস্থে প্রতিটি দেশের বৈচিত্র্যময় পরিবেশ উপভোগ করাটা জরুরি।
একটি সত্যিকারের ‘ভ্রমণে’র মানদণ্ড কী কী থাকা উচিত তা নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অনেক আলোচনা হচ্ছে। এটা নিয়ে মতপার্থক্যও আছে।
নোমাডম্যানিয়া ২০২২ এবং ২০২৩ সালে ব্যবহারকারীদের ভোট দেওয়ার পরে এই বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশিকা তৈরি করে গত বছর।
‘আমরা যে দেশটিতে যাই সে সম্পর্কে যতটা সম্ভব জানা গুরুত্বপূর্ণ।’ বলেন গিলিল্যান্ড। ব্যাখ্যা করেন, যে চ্যালেঞ্জটি শেষ করার সময় তিনি কখনো কখনো একটি দেশে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত কাটিয়েছেন। আবার মাত্র অর্ধেক দিন কাটিয়েছেন মোনাকো এবং লুক্সেমবার্গের মতো ছোট দেশে।
উড়োজাহাজে না চেপেই প্রতিটি দেশ ভ্রমণ সম্ভব। যাদের সময়, অর্থ এবং অন্তত উদ্যম আছে তারা যে এটা করতে পারেন তা প্রমাণ করেন তোরবিয়েন থর পেদাসিন। ডেনমার্কের এই নাগরিক ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত গত বছরের মেতে মালদ্বীপ ভ্রমণের মাধ্যমর সব দেশ ভ্রমণ সম্পন্ন করেন।
ভিরতানেন মনে করেন, প্রতিটি দেশে ভ্রমণের ইচ্ছা যাদের তাঁদের ভ্রমণের সামর্থ্য নেই এমন মানুষদের জীবন উন্নত করার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করা উচিত।

ভ্রমণ করতে অনেকেই পছন্দ করেন। আর ঘোরাঘুরিতে সবারই পছন্দের গন্তব্য থাকে। তবে পৃথিবীর সব দেশ ভ্রমণ করা মানুষের সংখ্যা মোটেই বেশি নয়। ধারণা করা হয় সংখ্যাটি ৪০০-র আশপাশে। তবে যতই দিন গড়াচ্ছে এই চেষ্টা করা এবং সফল হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
২০২৩ সালে জাতিসংঘ স্বীকৃত ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলের সবগুলিতে ভ্রমণ করা পর্যটকের তালিকায় যোগ হয়েছে নতুন ৫০ নাম। এটি এক বছরে সবচেয়ে বেশি মানুষের বিশ্বের সব দেশ ভ্রমণের রেকর্ড। বিশ্বব্যাপী পর্যটক ও অভিযাত্রীদের ভ্রমণে সাহায্য করা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নোমাডম্যানিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্ব ভ্রমণে মানুষের আগ্রহ বহু আগে থেকেই। এ নিয়ে আছে দুনিয়া কাঁপানো উপন্যাসও। বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞান ও অ্যাডভেঞ্চার লেখক জুলভার্নের উপন্যাস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ প্রকাশ পায় সেই ১৮৭২ সালে। যেখানে ফিলিয়াস ফগ নামের এক ব্যক্তি আশি দিনে বিশ্বভ্রমণের চ্যালেঞ্জ জেতেন।
কিন্তু মানুষকে কোন বিষয় প্রতিটি দেশ ভ্রমণে অনুপ্রাণিত করে? আর এই লক্ষ্যে পৌঁছানো আসলে কতটা কঠিন?
ফিনল্যান্ডের লেখক এবং সাংবাদিক রাউলি ভিরতানেন বেড়ে ওঠেন এক অজপাড়া গাঁয়ে। ধারণা করা হয় বিশ্বের সব দেশ ভ্রমণ করা প্রথম ব্যক্তি তিনি।
১৯৮৮ সালে যখন ভিরতানেন এই লক্ষ্য অর্জন করেছিলেন তখন জাতিসংঘ-স্বীকৃত দেশের সংখ্যা ছিল ১৭০। অবশ্য তিনি জানান পরে নতুন যুক্ত হতে থাকা জায়গাগুলোতেও ভ্রমণ করেন।
প্রতিটি দেশ ভ্রমণের পেছনে তাঁর অনুপ্রেরণা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে এর কারণ হিসেবে, ‘চরম কৌতূহল এবং সংগ্রাহকের মানসিকতা’র কথা উল্লেখ করেন।
‘আশির দশকের মাঝামাঝি আবিষ্কার করলাম আমার ১৫০টি দেশ ভ্রমণ হয়ে গেছে। কাজেই মনে হলো মারা যাওয়ার আগে বাকি দেশগুলি ঘুরে আসা উচিত।’ সিএনএন ট্র্যাভেলকে ইমেইলে জানান ভিরতানেন।
এক শ কিংবা এর বেশি দেশ ভ্রমণ করা মানুষদের সংগঠন দ্য ট্রাভেলারস সেঞ্চুরি ক্লাব (টিসিসি) ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখনো তারা চমৎকার কাজ করে যাচ্ছে। তারপর আরও নতুন নতুন সংগঠন গড়ে উঠেছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মোস্ট ট্রাভেলারস পিপল (এমটিপি) ও নোমাড ম্যানিয়া।
যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান ইউনিভার্সিটির টুরিজম অ্যান্ড ইভেন্ট বিষয়ের প্রভাষক মাইকেল ওরিগান বলেন, ‘আমি মনে ঘোরাঘুরি করার পেছনে একটি অন্তর্নিহিত প্রেরণা জরুরি। তবে ঐতিহাসিকভাবেই ভ্রমণ আর্থিকভাবে সচ্ছল, চাকরির সহজ শর্ত এবং ভালো স্বাস্থ্যের ব্যক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।’
‘আপনার একটি শক্তিশালী পাসপোর্ট, ট্যুর গাইড এবং পরিবহন এবং হোটেল সম্পর্কে ভালো জ্ঞানের মতো বিষয়গুলি ছিল খুব জরুরি।’ বলেন ওরিগান।
অবশ্যই, আজকে অনেক ভ্রমণকারীর ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। কম খরচের ফ্লাইট, অন অ্যারাইভাল ভিসা এবং অনলাইন বুকিং এ জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিক গিলিল্যান্ড আবার তাঁদের কাতারে পড়েন যারা জীবনের পরের দিকের বছরগুলি ভ্রমণের পেছনে বেশি সময় ব্যয় করেছেন।
করোনা মহামারির কারণে লক্ষ্যে পৌঁছাতে দেরি হয় তাঁর। কারণ অনেক দেশই তখন দীর্ঘদিনের জন্য সেখানে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে। শেষ পর্যন্ত ২০২৩ সালে স্বপ্ন পূরণ হয় তাঁর।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বছরের অন্তত ৪৮ সপ্তাহই ভ্রমণের মধ্যে থাকা গিলিল্যান্ড বলেন সব দেশে যাওয়াটাই সহজ নয়। এ ক্ষেত্রে ‘ভাগ্য এবং সঠিক সময়ের’ একটা ভূমিকা থাকে।
‘আমি উত্তর কোরিয়া গিয়েছি ২০ বছর আগে। যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল, ’ বলেন তিনি, ‘ইরানের ভিসা পাওয়ার জন্য কয়েক বার চেষ্টা করতে হয়। নাউরু এত কম মানুষ যায় যে ভিসা পাওয়াটা কঠিন।’
যখন শেষ দেশ লিবিয়ায় পৌঁছান তখন শুরুতে দেশটিতে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় বিমানবন্দরে। উল্লেখ্য তখন দেশটি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
অনেক সময় ভ্রমণের হঠাৎ বাঁক বদলও হয়। যেমন স্লোভাকিয়ার ভ্রমণবিষয়ক ব্লগার মার্টিনা সেবোভা ১০০টি দেশ ঘোরার পর ভ্রমণে অস্ট্রেলিয়ার র্যাচেল ডেভির সঙ্গে বিশ্ব ভ্রমণের বাকি অংশটি এক সঙ্গে সম্পন্ন করা স্থির করেন। র্যাচেলেরও তত দিনে ১০০ দেশ ভ্রমণ হয়ে গেছে।
সন্দেহ নেই যে মানুষের সব দেশ ঘোরার প্রতি তীব্র আগ্রহ তৈরিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বড় ভূমিকা রেখেছে।
এদিকে বিগত বছরগুলিতে তাঁর সব দেশ ভ্রমণের বিষয়ে একটা মিশ্র অনুভূতির জন্ম হয়েছে বলে জানান ভিরতানেন।
‘আমি খুব সৌভাগ্যবান, ’ স্বীকার করেন তিনি। কারণ হিসেবে বলেন কাজের সূত্রেই ৯৫ শতাংশ দেশে ভ্রমণ করতে পারেন তিনি।
‘আমি সেই অল্প মানুষদের একজন, যারা ধনী দেশে জন্ম নিয়েছে ও পড়ালেখা করেছে। এ ধরনের মানুষদের পক্ষে পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় ভ্রমণ করা সহজ। এ বিষয়ে আমার মনে একটা অপরাধবোধ আছে। তাই দরিদ্র দেশের নাগরিকদের আমার বিশ্বভ্রমণের গল্প কখনো বলি না।’ বলেন ভিরতানেন।

এদিকে জ্যামাইকায় জন্ম নেওয়া রোমেইন ওয়েল্ডসের ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাবার আগে বিশ্ব ঘুরে দেখার সুযোগ কমই ছিল। মজার ঘটনা এর আগে কখনো জ্যামাইকার বাইরেই যাননি তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে একটি এয়ারলাইনে চাকরি পেয়ে যাওয়াই সবকিছু বদলে দেয় তাঁর।
‘আমার পরিবার ছিল খুব দরিদ্র। বাবা ছাড়া পরিবারের কেউই দেশের বাইরে যায়নি। বেশ কয়েক বছর পর পর জ্যামাইকা থেকে ইংল্যান্ডে যাওয়া-আসা করতেন তিনি।’ ইমেইলে সিএনএন ট্রাভেলকে জানান ওয়েল্ডস।
চাকরির সূত্রে বিনা পয়সায় ও কম খরচে ভ্রমণের সুযোগ পাওয়ায় পছন্দের গন্তব্যগুলোতে যেতে শুরু করেন। এভাবে ১০০টি দেশ ঘুরে ফেলেন। তখনই প্রথম জ্যামাইকান ও ক্যারিবিয়ান হিসেবে বিশ্বের সব দেশ ভ্রমণের আগ্রহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ২০২২ সালে অ্যান্টিগুয়া ভ্রমণের মাধ্যমে লক্ষ্যে পৌঁছান তিনি।
প্রতিটি দেশ ভ্রমণের চেষ্টায় সফল হতে একেক জনের একেক সময় লাগে। ওয়েল্ডসের যেখানে লেগেছে ১৫ বছর গিলিল্যান্ডের লেগেছে চার দশকের কাছাকাছি।
কেউ কেউ আবার রেকর্ড সময়ে এটা করতে উৎসাহী। আর সবচেয়ে কম সময়ে সব দেশ ঘোরার রেকর্ডের মালিক কানাডার টেইলর ডেমনব্রিউনের। তাঁর সময় লাগে ১ বছর ১৮৯ দিন।
কেউ কেউ বইও লিখেছেন তাঁদের বিশ্বভ্রমণের গল্প নিয়ে। এদের মধ্যে আছেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে ২০১৯ সালে সব দেশ ভ্রমণ করা উগান্ডার বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক জেসিকা নেবঙ্গো এবং একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে সব দেশে দুবার পা রাখা গানার গারফরস।

মাইকেল ওরিগান স্বীকার করেন যে কিছু ভ্রমণকারী প্রতিটি দেশে ভ্রমণ করার জন্য ‘একটি অনিয়ন্ত্রিত তাগিদ দ্বারা চালিত হন’। তিনি মনে করেন এমন ভ্রমণ দেশগুলির সংস্কৃতিকে বোঝার চেষ্টা না করে ভ্রমণে উৎসাহ দিতে পারে।
তিনি মনে করেন প্রতিটি পর্যটকের নিজস্ব লক্ষ্য থাকলেও ধীরে-সুস্থে প্রতিটি দেশের বৈচিত্র্যময় পরিবেশ উপভোগ করাটা জরুরি।
একটি সত্যিকারের ‘ভ্রমণে’র মানদণ্ড কী কী থাকা উচিত তা নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অনেক আলোচনা হচ্ছে। এটা নিয়ে মতপার্থক্যও আছে।
নোমাডম্যানিয়া ২০২২ এবং ২০২৩ সালে ব্যবহারকারীদের ভোট দেওয়ার পরে এই বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশিকা তৈরি করে গত বছর।
‘আমরা যে দেশটিতে যাই সে সম্পর্কে যতটা সম্ভব জানা গুরুত্বপূর্ণ।’ বলেন গিলিল্যান্ড। ব্যাখ্যা করেন, যে চ্যালেঞ্জটি শেষ করার সময় তিনি কখনো কখনো একটি দেশে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত কাটিয়েছেন। আবার মাত্র অর্ধেক দিন কাটিয়েছেন মোনাকো এবং লুক্সেমবার্গের মতো ছোট দেশে।
উড়োজাহাজে না চেপেই প্রতিটি দেশ ভ্রমণ সম্ভব। যাদের সময়, অর্থ এবং অন্তত উদ্যম আছে তারা যে এটা করতে পারেন তা প্রমাণ করেন তোরবিয়েন থর পেদাসিন। ডেনমার্কের এই নাগরিক ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত গত বছরের মেতে মালদ্বীপ ভ্রমণের মাধ্যমর সব দেশ ভ্রমণ সম্পন্ন করেন।
ভিরতানেন মনে করেন, প্রতিটি দেশে ভ্রমণের ইচ্ছা যাদের তাঁদের ভ্রমণের সামর্থ্য নেই এমন মানুষদের জীবন উন্নত করার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করা উচিত।

ভ্রমণ করতে অনেকেই পছন্দ করেন। আর ঘোরাঘুরিতে সবারই পছন্দের গন্তব্য থাকে। তবে পৃথিবীর সব দেশ ভ্রমণ করা মানুষের সংখ্যা মোটেই বেশি নয়। ধারণা করা হয় সংখ্যাটি ৪০০-র আশপাশে। তবে যতই দিন গড়াচ্ছে এই চেষ্টা করা এবং সফল হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
২০২৩ সালে জাতিসংঘ স্বীকৃত ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলের সবগুলিতে ভ্রমণ করা পর্যটকের তালিকায় যোগ হয়েছে নতুন ৫০ নাম। এটি এক বছরে সবচেয়ে বেশি মানুষের বিশ্বের সব দেশ ভ্রমণের রেকর্ড। বিশ্বব্যাপী পর্যটক ও অভিযাত্রীদের ভ্রমণে সাহায্য করা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নোমাডম্যানিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্ব ভ্রমণে মানুষের আগ্রহ বহু আগে থেকেই। এ নিয়ে আছে দুনিয়া কাঁপানো উপন্যাসও। বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞান ও অ্যাডভেঞ্চার লেখক জুলভার্নের উপন্যাস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ প্রকাশ পায় সেই ১৮৭২ সালে। যেখানে ফিলিয়াস ফগ নামের এক ব্যক্তি আশি দিনে বিশ্বভ্রমণের চ্যালেঞ্জ জেতেন।
কিন্তু মানুষকে কোন বিষয় প্রতিটি দেশ ভ্রমণে অনুপ্রাণিত করে? আর এই লক্ষ্যে পৌঁছানো আসলে কতটা কঠিন?
ফিনল্যান্ডের লেখক এবং সাংবাদিক রাউলি ভিরতানেন বেড়ে ওঠেন এক অজপাড়া গাঁয়ে। ধারণা করা হয় বিশ্বের সব দেশ ভ্রমণ করা প্রথম ব্যক্তি তিনি।
১৯৮৮ সালে যখন ভিরতানেন এই লক্ষ্য অর্জন করেছিলেন তখন জাতিসংঘ-স্বীকৃত দেশের সংখ্যা ছিল ১৭০। অবশ্য তিনি জানান পরে নতুন যুক্ত হতে থাকা জায়গাগুলোতেও ভ্রমণ করেন।
প্রতিটি দেশ ভ্রমণের পেছনে তাঁর অনুপ্রেরণা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে এর কারণ হিসেবে, ‘চরম কৌতূহল এবং সংগ্রাহকের মানসিকতা’র কথা উল্লেখ করেন।
‘আশির দশকের মাঝামাঝি আবিষ্কার করলাম আমার ১৫০টি দেশ ভ্রমণ হয়ে গেছে। কাজেই মনে হলো মারা যাওয়ার আগে বাকি দেশগুলি ঘুরে আসা উচিত।’ সিএনএন ট্র্যাভেলকে ইমেইলে জানান ভিরতানেন।
এক শ কিংবা এর বেশি দেশ ভ্রমণ করা মানুষদের সংগঠন দ্য ট্রাভেলারস সেঞ্চুরি ক্লাব (টিসিসি) ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখনো তারা চমৎকার কাজ করে যাচ্ছে। তারপর আরও নতুন নতুন সংগঠন গড়ে উঠেছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মোস্ট ট্রাভেলারস পিপল (এমটিপি) ও নোমাড ম্যানিয়া।
যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান ইউনিভার্সিটির টুরিজম অ্যান্ড ইভেন্ট বিষয়ের প্রভাষক মাইকেল ওরিগান বলেন, ‘আমি মনে ঘোরাঘুরি করার পেছনে একটি অন্তর্নিহিত প্রেরণা জরুরি। তবে ঐতিহাসিকভাবেই ভ্রমণ আর্থিকভাবে সচ্ছল, চাকরির সহজ শর্ত এবং ভালো স্বাস্থ্যের ব্যক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।’
‘আপনার একটি শক্তিশালী পাসপোর্ট, ট্যুর গাইড এবং পরিবহন এবং হোটেল সম্পর্কে ভালো জ্ঞানের মতো বিষয়গুলি ছিল খুব জরুরি।’ বলেন ওরিগান।
অবশ্যই, আজকে অনেক ভ্রমণকারীর ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। কম খরচের ফ্লাইট, অন অ্যারাইভাল ভিসা এবং অনলাইন বুকিং এ জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিক গিলিল্যান্ড আবার তাঁদের কাতারে পড়েন যারা জীবনের পরের দিকের বছরগুলি ভ্রমণের পেছনে বেশি সময় ব্যয় করেছেন।
করোনা মহামারির কারণে লক্ষ্যে পৌঁছাতে দেরি হয় তাঁর। কারণ অনেক দেশই তখন দীর্ঘদিনের জন্য সেখানে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে। শেষ পর্যন্ত ২০২৩ সালে স্বপ্ন পূরণ হয় তাঁর।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বছরের অন্তত ৪৮ সপ্তাহই ভ্রমণের মধ্যে থাকা গিলিল্যান্ড বলেন সব দেশে যাওয়াটাই সহজ নয়। এ ক্ষেত্রে ‘ভাগ্য এবং সঠিক সময়ের’ একটা ভূমিকা থাকে।
‘আমি উত্তর কোরিয়া গিয়েছি ২০ বছর আগে। যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল, ’ বলেন তিনি, ‘ইরানের ভিসা পাওয়ার জন্য কয়েক বার চেষ্টা করতে হয়। নাউরু এত কম মানুষ যায় যে ভিসা পাওয়াটা কঠিন।’
যখন শেষ দেশ লিবিয়ায় পৌঁছান তখন শুরুতে দেশটিতে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় বিমানবন্দরে। উল্লেখ্য তখন দেশটি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
অনেক সময় ভ্রমণের হঠাৎ বাঁক বদলও হয়। যেমন স্লোভাকিয়ার ভ্রমণবিষয়ক ব্লগার মার্টিনা সেবোভা ১০০টি দেশ ঘোরার পর ভ্রমণে অস্ট্রেলিয়ার র্যাচেল ডেভির সঙ্গে বিশ্ব ভ্রমণের বাকি অংশটি এক সঙ্গে সম্পন্ন করা স্থির করেন। র্যাচেলেরও তত দিনে ১০০ দেশ ভ্রমণ হয়ে গেছে।
সন্দেহ নেই যে মানুষের সব দেশ ঘোরার প্রতি তীব্র আগ্রহ তৈরিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বড় ভূমিকা রেখেছে।
এদিকে বিগত বছরগুলিতে তাঁর সব দেশ ভ্রমণের বিষয়ে একটা মিশ্র অনুভূতির জন্ম হয়েছে বলে জানান ভিরতানেন।
‘আমি খুব সৌভাগ্যবান, ’ স্বীকার করেন তিনি। কারণ হিসেবে বলেন কাজের সূত্রেই ৯৫ শতাংশ দেশে ভ্রমণ করতে পারেন তিনি।
‘আমি সেই অল্প মানুষদের একজন, যারা ধনী দেশে জন্ম নিয়েছে ও পড়ালেখা করেছে। এ ধরনের মানুষদের পক্ষে পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় ভ্রমণ করা সহজ। এ বিষয়ে আমার মনে একটা অপরাধবোধ আছে। তাই দরিদ্র দেশের নাগরিকদের আমার বিশ্বভ্রমণের গল্প কখনো বলি না।’ বলেন ভিরতানেন।

এদিকে জ্যামাইকায় জন্ম নেওয়া রোমেইন ওয়েল্ডসের ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাবার আগে বিশ্ব ঘুরে দেখার সুযোগ কমই ছিল। মজার ঘটনা এর আগে কখনো জ্যামাইকার বাইরেই যাননি তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে একটি এয়ারলাইনে চাকরি পেয়ে যাওয়াই সবকিছু বদলে দেয় তাঁর।
‘আমার পরিবার ছিল খুব দরিদ্র। বাবা ছাড়া পরিবারের কেউই দেশের বাইরে যায়নি। বেশ কয়েক বছর পর পর জ্যামাইকা থেকে ইংল্যান্ডে যাওয়া-আসা করতেন তিনি।’ ইমেইলে সিএনএন ট্রাভেলকে জানান ওয়েল্ডস।
চাকরির সূত্রে বিনা পয়সায় ও কম খরচে ভ্রমণের সুযোগ পাওয়ায় পছন্দের গন্তব্যগুলোতে যেতে শুরু করেন। এভাবে ১০০টি দেশ ঘুরে ফেলেন। তখনই প্রথম জ্যামাইকান ও ক্যারিবিয়ান হিসেবে বিশ্বের সব দেশ ভ্রমণের আগ্রহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ২০২২ সালে অ্যান্টিগুয়া ভ্রমণের মাধ্যমে লক্ষ্যে পৌঁছান তিনি।
প্রতিটি দেশ ভ্রমণের চেষ্টায় সফল হতে একেক জনের একেক সময় লাগে। ওয়েল্ডসের যেখানে লেগেছে ১৫ বছর গিলিল্যান্ডের লেগেছে চার দশকের কাছাকাছি।
কেউ কেউ আবার রেকর্ড সময়ে এটা করতে উৎসাহী। আর সবচেয়ে কম সময়ে সব দেশ ঘোরার রেকর্ডের মালিক কানাডার টেইলর ডেমনব্রিউনের। তাঁর সময় লাগে ১ বছর ১৮৯ দিন।
কেউ কেউ বইও লিখেছেন তাঁদের বিশ্বভ্রমণের গল্প নিয়ে। এদের মধ্যে আছেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে ২০১৯ সালে সব দেশ ভ্রমণ করা উগান্ডার বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক জেসিকা নেবঙ্গো এবং একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে সব দেশে দুবার পা রাখা গানার গারফরস।

মাইকেল ওরিগান স্বীকার করেন যে কিছু ভ্রমণকারী প্রতিটি দেশে ভ্রমণ করার জন্য ‘একটি অনিয়ন্ত্রিত তাগিদ দ্বারা চালিত হন’। তিনি মনে করেন এমন ভ্রমণ দেশগুলির সংস্কৃতিকে বোঝার চেষ্টা না করে ভ্রমণে উৎসাহ দিতে পারে।
তিনি মনে করেন প্রতিটি পর্যটকের নিজস্ব লক্ষ্য থাকলেও ধীরে-সুস্থে প্রতিটি দেশের বৈচিত্র্যময় পরিবেশ উপভোগ করাটা জরুরি।
একটি সত্যিকারের ‘ভ্রমণে’র মানদণ্ড কী কী থাকা উচিত তা নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অনেক আলোচনা হচ্ছে। এটা নিয়ে মতপার্থক্যও আছে।
নোমাডম্যানিয়া ২০২২ এবং ২০২৩ সালে ব্যবহারকারীদের ভোট দেওয়ার পরে এই বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশিকা তৈরি করে গত বছর।
‘আমরা যে দেশটিতে যাই সে সম্পর্কে যতটা সম্ভব জানা গুরুত্বপূর্ণ।’ বলেন গিলিল্যান্ড। ব্যাখ্যা করেন, যে চ্যালেঞ্জটি শেষ করার সময় তিনি কখনো কখনো একটি দেশে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত কাটিয়েছেন। আবার মাত্র অর্ধেক দিন কাটিয়েছেন মোনাকো এবং লুক্সেমবার্গের মতো ছোট দেশে।
উড়োজাহাজে না চেপেই প্রতিটি দেশ ভ্রমণ সম্ভব। যাদের সময়, অর্থ এবং অন্তত উদ্যম আছে তারা যে এটা করতে পারেন তা প্রমাণ করেন তোরবিয়েন থর পেদাসিন। ডেনমার্কের এই নাগরিক ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত গত বছরের মেতে মালদ্বীপ ভ্রমণের মাধ্যমর সব দেশ ভ্রমণ সম্পন্ন করেন।
ভিরতানেন মনে করেন, প্রতিটি দেশে ভ্রমণের ইচ্ছা যাদের তাঁদের ভ্রমণের সামর্থ্য নেই এমন মানুষদের জীবন উন্নত করার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করা উচিত।

চিকেন ফ্রাই এখন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় খাবার। শহরগুলোতে গলির মোড়ে মোড়ে চিকেন ফ্রাইয়ের দোকান হয়ে গেছে। অর্থাৎ হাত বাড়ালেই এখন সুস্বাদু আর ক্রিস্পি মুরগি ভাজা পাওয়া যায়। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে বাড়িতেই রেস্তোরাঁর মতো চিকেন ফ্রাই করে নিতে পারেন। মনে রাখতে হবে, রেস্তোরাঁর মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই...
৯ ঘণ্টা আগে
শীতের দিনে ত্বকের সাধারণ সমস্যার একটি হলো ফাটা গোড়ালি। সাধারণত যাঁদের বয়স ত্রিশ বা তার বেশি, তাঁরা ত্বকের অতিরিক্ত মরা কোষ ও ফাটা গোড়ালির সমস্যায় বেশি ভোগেন। ফলে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগেই হয়তো পারলার থেকে পেডিকিউর করে এসেছেন, কিন্তু সপ্তাহ পার হতে না হতেই আবার পায়ের গোড়ালির ত্বক পুরু হয়ে শক্ত হয়ে...
১৬ ঘণ্টা আগে
রোজ শ্যাম্পু করার পর বোতলজাত যে কন্ডিশনার আমরা ব্যবহার করি; সেগুলোর ব্যবহার করলেই যে চুল কোমল, সুন্দর ও মসৃণ থাকবে, এ কথা ভাবাটা বোকামি। চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করেও চুলে ব্যবহার করতে হবে। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। দেখে নিন...
১৮ ঘণ্টা আগে
সঞ্চয় করার দক্ষতা নিয়ে আজ লোকে আপনার প্রশংসা করবে। তবে সাবধান! কিপটেমি আর সঞ্চয়ের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। বন্ধুদের ট্রিট দেওয়ার সময় হুট করে ‘মানিব্যাগ ভুলে রেখে এসেছি’ বা ‘আমার নেট কাজ করছে না’ বলার পুরোনো কৌশলটি আজ বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যেতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতকালে ভাজাপোড়া খেতে মন চায়। কেন এ ধরনের খাবারের প্রবণতা বাড়ে, তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে। সেসব থাক। আমরা বরং দেখে নিই, এই শীতের সকালে কিংবা সন্ধ্যার নাশতায় রেস্তোরাঁয় না গিয়ে কীভাবে বাড়িতেই তাদের মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই তৈরি করা যায়।
চিকেন ফ্রাই এখন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় খাবার। শহরগুলোতে গলির মোড়ে মোড়ে চিকেন ফ্রাইয়ের দোকান হয়ে গেছে। অর্থাৎ হাত বাড়ালেই এখন সুস্বাদু আর ক্রিস্পি মুরগি ভাজা পাওয়া যায়। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে বাড়িতেই রেস্তোরাঁর মতো চিকেন ফ্রাই করে নিতে পারেন।
মনে রাখতে হবে, রেস্তোরাঁর মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই বানাতে হলে মাংস ম্যারিনেট করা, ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, বিস্কুটের গুঁড়া বা কর্নফ্লেক্সের মিশ্রণ সঠিক কোটিং এবং ডুবো তেলে ভাজার কৌশল জানা গুরুত্বপূর্ণ। এতে আদা-রসুনবাটা, সয়া সস, গোলমরিচ এবং ডিম ও ময়দার মিশ্রণ ব্যবহার করে ম্যারিনেট ও কোটিং করলে ভেতরে জুসি আর বাইরে মুচমুচে চিকেন ফ্রাই তৈরি হয়।
উপকরণ
মুরগি ছোট টুকরো করে কাটা ৫০০ গ্রাম, ম্যারিনেটের জন্য আদা ও রসুনবাটা, লবণ, গোলমরিচের গুঁড়া, সয়া সস, অল্প মরিচ গুঁড়া, সামান্য ভিনেগার বা লেবুর রস, দই, কোটিংয়ের জন্য ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, বিস্কুটের গুঁড়া বা ব্রেডক্রাম্বস, ডিম, সামান্য বেকিং পাউডার এবং ভাজার জন্য তেল।
উপকরণের এই বিষয়গুলো মোটামুটি আমরা সবাই জানি। এবার এগুলো ঠিকভাবে মেরিনেট করে নিন। এখানে কিছু বিষয় খেয়াল করার আছে। এগুলোর মধ্যে আছে মাংস রেস্টে রাখা। প্রতিটি ধাপে মাংস কিছুক্ষণ করে রেস্টে রাখলে ফল ভালো হবে।

ম্যারিনেশন প্রণালি
মুরগির টুকরোগুলো আদা-রসুনবাটা, লবণ, গোলমরিচ, সয়া সস, মরিচ গুঁড়া, ভিনেগার বা লেবুর রস ও দই দিয়ে ভালো করে মেখে কমপক্ষে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। সম্ভব হলে ফ্রিজে রাখুন। এখানে একটি বিষয় বলে রাখা ভালো। অনেকে মনে করেন, মাংস ভালো করে মেখে এক রাত ফ্রিজে বা ঠান্ডা জায়গায় রাখলে ভাজার পর ফল ভালো পাওয়া যায়। সেটা মেনেও চেষ্টা করে দেখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সন্ধ্যায় মেরিনেট করে রাতভর রেখে দিন।
টিপস
ব্যাটার তৈরি
ভাজার আগে ব্যাটার তৈরি করে নিন। এ জন্য একটি বাটিতে ডিম ফেটিয়ে নিন। আরেকটি বাটিতে ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার এবং সামান্য লবণ ও গোলমরিচ মিশিয়ে রাখুন। চাইলে এতে অল্প বিস্কুটের গুঁড়া বা কর্নফ্লেক্স গুঁড়াও যোগ করতে পারেন। আরও ক্রিস্পি চাইলে চালের গুঁড়া যোগ করতে পারেন।

কোটিং
ম্যারিনেট করা মুরগির টুকরোগুলো প্রথমে ময়দার মিশ্রণে গড়িয়ে নিয়ে অতিরিক্ত ময়দা ঝেড়ে ফেলুন। এরপর ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে নিন। সবশেষে বিস্কুটের গুঁড়া বা ব্রেডক্রাম্বসের মিশ্রণে ভালো করে কোট করুন।
টিপস
ভেজা মিশ্রণ: আলাদা বাটিতে শুকনা মিশ্রণের অর্ধেক নিয়ে বরফ ঠান্ডা পানি দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন।
ডবল ডিপিং পদ্ধতি: প্রথমে মুরগি শুকনা মিশ্রণে, তারপর ভেজা পেস্টে, আবার শুকনা মিশ্রণে কোট করুন।
ভাজা
যেকোনো ধরনের ভাজার মতো চিকেন ফ্রাই করতে তাপমাত্রার পরিমাপটা বোঝা জরুরি। একটি কড়াইতে ডুবো তেল মাঝারি আঁচে তেল গরম করুন। তেলের তাপমাত্রা ৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে ভালো হয়।
তেল গরম হলে কোটিং করে রাখা মুরগির মাংসের টুকরোগুলো সাবধানে তেলে ছাড়ুন এবং সোনালি-বাদামি ও মুচমুচে হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এখানে কয়েকটি টিপস জেনে নিন।
পরিবেশন

শীতকালে ভাজাপোড়া খেতে মন চায়। কেন এ ধরনের খাবারের প্রবণতা বাড়ে, তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে। সেসব থাক। আমরা বরং দেখে নিই, এই শীতের সকালে কিংবা সন্ধ্যার নাশতায় রেস্তোরাঁয় না গিয়ে কীভাবে বাড়িতেই তাদের মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই তৈরি করা যায়।
চিকেন ফ্রাই এখন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় খাবার। শহরগুলোতে গলির মোড়ে মোড়ে চিকেন ফ্রাইয়ের দোকান হয়ে গেছে। অর্থাৎ হাত বাড়ালেই এখন সুস্বাদু আর ক্রিস্পি মুরগি ভাজা পাওয়া যায়। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে বাড়িতেই রেস্তোরাঁর মতো চিকেন ফ্রাই করে নিতে পারেন।
মনে রাখতে হবে, রেস্তোরাঁর মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই বানাতে হলে মাংস ম্যারিনেট করা, ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, বিস্কুটের গুঁড়া বা কর্নফ্লেক্সের মিশ্রণ সঠিক কোটিং এবং ডুবো তেলে ভাজার কৌশল জানা গুরুত্বপূর্ণ। এতে আদা-রসুনবাটা, সয়া সস, গোলমরিচ এবং ডিম ও ময়দার মিশ্রণ ব্যবহার করে ম্যারিনেট ও কোটিং করলে ভেতরে জুসি আর বাইরে মুচমুচে চিকেন ফ্রাই তৈরি হয়।
উপকরণ
মুরগি ছোট টুকরো করে কাটা ৫০০ গ্রাম, ম্যারিনেটের জন্য আদা ও রসুনবাটা, লবণ, গোলমরিচের গুঁড়া, সয়া সস, অল্প মরিচ গুঁড়া, সামান্য ভিনেগার বা লেবুর রস, দই, কোটিংয়ের জন্য ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, বিস্কুটের গুঁড়া বা ব্রেডক্রাম্বস, ডিম, সামান্য বেকিং পাউডার এবং ভাজার জন্য তেল।
উপকরণের এই বিষয়গুলো মোটামুটি আমরা সবাই জানি। এবার এগুলো ঠিকভাবে মেরিনেট করে নিন। এখানে কিছু বিষয় খেয়াল করার আছে। এগুলোর মধ্যে আছে মাংস রেস্টে রাখা। প্রতিটি ধাপে মাংস কিছুক্ষণ করে রেস্টে রাখলে ফল ভালো হবে।

ম্যারিনেশন প্রণালি
মুরগির টুকরোগুলো আদা-রসুনবাটা, লবণ, গোলমরিচ, সয়া সস, মরিচ গুঁড়া, ভিনেগার বা লেবুর রস ও দই দিয়ে ভালো করে মেখে কমপক্ষে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। সম্ভব হলে ফ্রিজে রাখুন। এখানে একটি বিষয় বলে রাখা ভালো। অনেকে মনে করেন, মাংস ভালো করে মেখে এক রাত ফ্রিজে বা ঠান্ডা জায়গায় রাখলে ভাজার পর ফল ভালো পাওয়া যায়। সেটা মেনেও চেষ্টা করে দেখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সন্ধ্যায় মেরিনেট করে রাতভর রেখে দিন।
টিপস
ব্যাটার তৈরি
ভাজার আগে ব্যাটার তৈরি করে নিন। এ জন্য একটি বাটিতে ডিম ফেটিয়ে নিন। আরেকটি বাটিতে ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার এবং সামান্য লবণ ও গোলমরিচ মিশিয়ে রাখুন। চাইলে এতে অল্প বিস্কুটের গুঁড়া বা কর্নফ্লেক্স গুঁড়াও যোগ করতে পারেন। আরও ক্রিস্পি চাইলে চালের গুঁড়া যোগ করতে পারেন।

কোটিং
ম্যারিনেট করা মুরগির টুকরোগুলো প্রথমে ময়দার মিশ্রণে গড়িয়ে নিয়ে অতিরিক্ত ময়দা ঝেড়ে ফেলুন। এরপর ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে নিন। সবশেষে বিস্কুটের গুঁড়া বা ব্রেডক্রাম্বসের মিশ্রণে ভালো করে কোট করুন।
টিপস
ভেজা মিশ্রণ: আলাদা বাটিতে শুকনা মিশ্রণের অর্ধেক নিয়ে বরফ ঠান্ডা পানি দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন।
ডবল ডিপিং পদ্ধতি: প্রথমে মুরগি শুকনা মিশ্রণে, তারপর ভেজা পেস্টে, আবার শুকনা মিশ্রণে কোট করুন।
ভাজা
যেকোনো ধরনের ভাজার মতো চিকেন ফ্রাই করতে তাপমাত্রার পরিমাপটা বোঝা জরুরি। একটি কড়াইতে ডুবো তেল মাঝারি আঁচে তেল গরম করুন। তেলের তাপমাত্রা ৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে ভালো হয়।
তেল গরম হলে কোটিং করে রাখা মুরগির মাংসের টুকরোগুলো সাবধানে তেলে ছাড়ুন এবং সোনালি-বাদামি ও মুচমুচে হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এখানে কয়েকটি টিপস জেনে নিন।
পরিবেশন

ভ্রমণ করতে অনেকেই পছন্দ করেন। আর ঘোরাঘুরিতে সবারই পছন্দের গন্তব্য থাকে। তবে পৃথিবীর সব দেশ ভ্রমণ করা মানুষের সংখ্যা মোটেই বেশি নয়। ধারণা করা হয় সংখ্যাটি ৪০০-র আশপাশে। তবে যতই দিন গড়াচ্ছে এই চেষ্টা করা এবং সফল হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
শীতের দিনে ত্বকের সাধারণ সমস্যার একটি হলো ফাটা গোড়ালি। সাধারণত যাঁদের বয়স ত্রিশ বা তার বেশি, তাঁরা ত্বকের অতিরিক্ত মরা কোষ ও ফাটা গোড়ালির সমস্যায় বেশি ভোগেন। ফলে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগেই হয়তো পারলার থেকে পেডিকিউর করে এসেছেন, কিন্তু সপ্তাহ পার হতে না হতেই আবার পায়ের গোড়ালির ত্বক পুরু হয়ে শক্ত হয়ে...
১৬ ঘণ্টা আগে
রোজ শ্যাম্পু করার পর বোতলজাত যে কন্ডিশনার আমরা ব্যবহার করি; সেগুলোর ব্যবহার করলেই যে চুল কোমল, সুন্দর ও মসৃণ থাকবে, এ কথা ভাবাটা বোকামি। চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করেও চুলে ব্যবহার করতে হবে। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। দেখে নিন...
১৮ ঘণ্টা আগে
সঞ্চয় করার দক্ষতা নিয়ে আজ লোকে আপনার প্রশংসা করবে। তবে সাবধান! কিপটেমি আর সঞ্চয়ের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। বন্ধুদের ট্রিট দেওয়ার সময় হুট করে ‘মানিব্যাগ ভুলে রেখে এসেছি’ বা ‘আমার নেট কাজ করছে না’ বলার পুরোনো কৌশলটি আজ বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যেতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতের দিনে ত্বকের সাধারণ সমস্যার একটি হলো ফাটা গোড়ালি। সাধারণত যাঁদের বয়স ত্রিশ বা তার বেশি, তাঁরা ত্বকের অতিরিক্ত মরা কোষ ও ফাটা গোড়ালির সমস্যায় বেশি ভোগেন। ফলে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগেই হয়তো পারলার থেকে পেডিকিউর করে এসেছেন, কিন্তু সপ্তাহ পার হতে না হতেই আবার পায়ের গোড়ালির ত্বক পুরু হয়ে শক্ত হয়ে গেছে, খানিকটা ফেটেও যেতে পারে। তাই সাবধান হতে হবে আগে থেকে। এই শীতে ফাটা গোড়ালির সমস্যা এড়াতে হলে নিয়মিত যত্নের বাইরে কোনো দাওয়াই নেই। ফাটা গোড়ালি সারানোর জন্য বিশেষ লোশন বা ক্রিমের খোঁজ না করে ভরসা রাখতে পারেন কিছু ঘরোয়া টোটকায়। এসব উপাদান নিয়মিত ব্যবহারে সুফল মিলবে।
ময়শ্চারাইজেশন আসল চিকিৎসা

ত্বক ও গোড়ালি ফাটার মূল কারণ শুষ্কতা। শীতের হাওয়া লেগে আমাদের ত্বক আর্দ্রতা হারায় দ্রুত। তাই ত্বকের হাইড্রেশনে জোর দিলে ফাটা গোড়ালি থেকে মুক্তি মিলবে সহজে। এর জন্য গোড়ালি শুষ্ক হয়ে এলেই ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। সম্ভব হলে কয়েক লেয়ারে ময়শ্চারাইজার মেখে তারপর সুতির মোজা পরুন। এই যেমন প্রথমে গ্লিসারিন, তারপর অলিভ অয়েল এবং সবশেষে পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে ১০ মিনিট অপেক্ষার পর সুতি মোজা পরুন। তাতে পায়ের ত্বক কোমল থাকবে আর গোড়ালি ফাটাও রোধ করা যাবে। এই কাজে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ হিল বামে ভরসা রাখতে পারেন।
ফুট স্ক্রাব জরুরি
ফাটা গোড়ালির ত্বক অপেক্ষাকৃত বেশি শুষ্ক ও পুরু হয়। ফলে হাঁটার সময় বেশি চাপ পড়লে গোড়ালি আরও ফাটে। তাই নিয়মিত ফুট স্ক্রাব করতে হবে। তাহলে গোড়ালি ফাটার সমস্যা ধীরে ধীরে কমবে। ফুট স্ক্রাব করতে এক কাপ লবণ, এক কাপ চিনি, দুই টেবিল চামচ মধু, সামান্য নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে স্ক্রাব করুন। ম্যাসাজ শেষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে পা ধুয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া আধা কাপ লবণ, এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ৪ থেকে ৫ ফোঁটা পিপারমিন্ট অয়েল একটি কাচের পাত্রে একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে রেখে দিন। এই স্ক্রাব সপ্তাহে দুদিন পায়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানিতে পা ধুয়ে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
২০ মিনিটের পুটবাথ
প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে সরাসরি গোসলে না ঢুকে একটি বাটিতে হালকা গরম পানি নিয়ে তাতে হালকা কোনো বডি ওয়াশ ও অল্প পরিমাণ লবণ মিশিয়ে নিন। এই পানিতে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েলও যোগ করতে পারেন। এবার এতে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে গোড়ালির ত্বক কিছুটা নরম হয়ে আসবে। তারপর ঝামা, লুফা বা ফুট স্ক্রাবার দিয়ে গোড়ালি ঘষে নিন। তারপর গোসল সেরে পায়ে ভারী ময়শ্চারাইজার লাগান। সবশেষে পায়ে মোজা পরতে ভুলবেন না যেন!

ক্ষতি সারাবে টি ট্রি অয়েল
অ্য়ান্টিমাইক্রোবিয়াল টি ট্রি অয়েল গোড়ালি ফাটা সারাতে খুব কার্যকর। তবে সরাসরি টি ট্রি অয়েল ত্বকে ব্যবহার করবেন না। এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে তারপর ত্বকে ব্যবহার করুন। এ ক্ষেত্রে পরিমাণটা বোঝা জরুরি। একটি কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ অলিভ অয়েল নিন। তাতে ৬ থেকে ৭ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার হালকা গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখার পর এই মিশ্রণ দিয়ে ভালো করে ফুট ম্যাসাজ করে ফেলুন। এই ঘরোয়া টোটকাতে ফাটা গোড়ালি ধীরে ধীরে ভালো হয়ে উঠবে।
প্রাকৃতিক সমাধান হতে পারে মধু
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণসমৃদ্ধ মধু যেকোনো ত্বকের ক্ষত ও ফেটে যাওয়া অংশ সারিয়ে তুলতে সাহায্য় করে; পাশাপাশি ত্বক আর্দ্র ও মসৃণ রাখতেও সহায়ক। তাই ফাটা গোড়ালি সারাতে বাড়তি কিছু করতে না চাইলে মধুর ওপর ভরসা রাখতে পারেন। সিনেমা দেখতে বসার আগে পায়ের গোড়ালিতে মধু মেখে তারপর টিভির সামনে পা এলিয়ে বসুন। ২ থেকে ৩ ঘণ্টায় খুব ভালো কাজ করবে এই মধু। নিয়মিত করলে ফাটা গোড়ালি সেরে উঠবে খুব দ্রুত।
সূত্র: বি বিউটিফুল, নেটমেডস ও অন্যান্য

শীতের দিনে ত্বকের সাধারণ সমস্যার একটি হলো ফাটা গোড়ালি। সাধারণত যাঁদের বয়স ত্রিশ বা তার বেশি, তাঁরা ত্বকের অতিরিক্ত মরা কোষ ও ফাটা গোড়ালির সমস্যায় বেশি ভোগেন। ফলে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগেই হয়তো পারলার থেকে পেডিকিউর করে এসেছেন, কিন্তু সপ্তাহ পার হতে না হতেই আবার পায়ের গোড়ালির ত্বক পুরু হয়ে শক্ত হয়ে গেছে, খানিকটা ফেটেও যেতে পারে। তাই সাবধান হতে হবে আগে থেকে। এই শীতে ফাটা গোড়ালির সমস্যা এড়াতে হলে নিয়মিত যত্নের বাইরে কোনো দাওয়াই নেই। ফাটা গোড়ালি সারানোর জন্য বিশেষ লোশন বা ক্রিমের খোঁজ না করে ভরসা রাখতে পারেন কিছু ঘরোয়া টোটকায়। এসব উপাদান নিয়মিত ব্যবহারে সুফল মিলবে।
ময়শ্চারাইজেশন আসল চিকিৎসা

ত্বক ও গোড়ালি ফাটার মূল কারণ শুষ্কতা। শীতের হাওয়া লেগে আমাদের ত্বক আর্দ্রতা হারায় দ্রুত। তাই ত্বকের হাইড্রেশনে জোর দিলে ফাটা গোড়ালি থেকে মুক্তি মিলবে সহজে। এর জন্য গোড়ালি শুষ্ক হয়ে এলেই ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। সম্ভব হলে কয়েক লেয়ারে ময়শ্চারাইজার মেখে তারপর সুতির মোজা পরুন। এই যেমন প্রথমে গ্লিসারিন, তারপর অলিভ অয়েল এবং সবশেষে পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে ১০ মিনিট অপেক্ষার পর সুতি মোজা পরুন। তাতে পায়ের ত্বক কোমল থাকবে আর গোড়ালি ফাটাও রোধ করা যাবে। এই কাজে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ হিল বামে ভরসা রাখতে পারেন।
ফুট স্ক্রাব জরুরি
ফাটা গোড়ালির ত্বক অপেক্ষাকৃত বেশি শুষ্ক ও পুরু হয়। ফলে হাঁটার সময় বেশি চাপ পড়লে গোড়ালি আরও ফাটে। তাই নিয়মিত ফুট স্ক্রাব করতে হবে। তাহলে গোড়ালি ফাটার সমস্যা ধীরে ধীরে কমবে। ফুট স্ক্রাব করতে এক কাপ লবণ, এক কাপ চিনি, দুই টেবিল চামচ মধু, সামান্য নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে স্ক্রাব করুন। ম্যাসাজ শেষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে পা ধুয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া আধা কাপ লবণ, এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ৪ থেকে ৫ ফোঁটা পিপারমিন্ট অয়েল একটি কাচের পাত্রে একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে রেখে দিন। এই স্ক্রাব সপ্তাহে দুদিন পায়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানিতে পা ধুয়ে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
২০ মিনিটের পুটবাথ
প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে সরাসরি গোসলে না ঢুকে একটি বাটিতে হালকা গরম পানি নিয়ে তাতে হালকা কোনো বডি ওয়াশ ও অল্প পরিমাণ লবণ মিশিয়ে নিন। এই পানিতে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েলও যোগ করতে পারেন। এবার এতে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে গোড়ালির ত্বক কিছুটা নরম হয়ে আসবে। তারপর ঝামা, লুফা বা ফুট স্ক্রাবার দিয়ে গোড়ালি ঘষে নিন। তারপর গোসল সেরে পায়ে ভারী ময়শ্চারাইজার লাগান। সবশেষে পায়ে মোজা পরতে ভুলবেন না যেন!

ক্ষতি সারাবে টি ট্রি অয়েল
অ্য়ান্টিমাইক্রোবিয়াল টি ট্রি অয়েল গোড়ালি ফাটা সারাতে খুব কার্যকর। তবে সরাসরি টি ট্রি অয়েল ত্বকে ব্যবহার করবেন না। এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে তারপর ত্বকে ব্যবহার করুন। এ ক্ষেত্রে পরিমাণটা বোঝা জরুরি। একটি কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ অলিভ অয়েল নিন। তাতে ৬ থেকে ৭ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার হালকা গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখার পর এই মিশ্রণ দিয়ে ভালো করে ফুট ম্যাসাজ করে ফেলুন। এই ঘরোয়া টোটকাতে ফাটা গোড়ালি ধীরে ধীরে ভালো হয়ে উঠবে।
প্রাকৃতিক সমাধান হতে পারে মধু
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণসমৃদ্ধ মধু যেকোনো ত্বকের ক্ষত ও ফেটে যাওয়া অংশ সারিয়ে তুলতে সাহায্য় করে; পাশাপাশি ত্বক আর্দ্র ও মসৃণ রাখতেও সহায়ক। তাই ফাটা গোড়ালি সারাতে বাড়তি কিছু করতে না চাইলে মধুর ওপর ভরসা রাখতে পারেন। সিনেমা দেখতে বসার আগে পায়ের গোড়ালিতে মধু মেখে তারপর টিভির সামনে পা এলিয়ে বসুন। ২ থেকে ৩ ঘণ্টায় খুব ভালো কাজ করবে এই মধু। নিয়মিত করলে ফাটা গোড়ালি সেরে উঠবে খুব দ্রুত।
সূত্র: বি বিউটিফুল, নেটমেডস ও অন্যান্য

ভ্রমণ করতে অনেকেই পছন্দ করেন। আর ঘোরাঘুরিতে সবারই পছন্দের গন্তব্য থাকে। তবে পৃথিবীর সব দেশ ভ্রমণ করা মানুষের সংখ্যা মোটেই বেশি নয়। ধারণা করা হয় সংখ্যাটি ৪০০-র আশপাশে। তবে যতই দিন গড়াচ্ছে এই চেষ্টা করা এবং সফল হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
চিকেন ফ্রাই এখন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় খাবার। শহরগুলোতে গলির মোড়ে মোড়ে চিকেন ফ্রাইয়ের দোকান হয়ে গেছে। অর্থাৎ হাত বাড়ালেই এখন সুস্বাদু আর ক্রিস্পি মুরগি ভাজা পাওয়া যায়। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে বাড়িতেই রেস্তোরাঁর মতো চিকেন ফ্রাই করে নিতে পারেন। মনে রাখতে হবে, রেস্তোরাঁর মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই...
৯ ঘণ্টা আগে
রোজ শ্যাম্পু করার পর বোতলজাত যে কন্ডিশনার আমরা ব্যবহার করি; সেগুলোর ব্যবহার করলেই যে চুল কোমল, সুন্দর ও মসৃণ থাকবে, এ কথা ভাবাটা বোকামি। চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করেও চুলে ব্যবহার করতে হবে। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। দেখে নিন...
১৮ ঘণ্টা আগে
সঞ্চয় করার দক্ষতা নিয়ে আজ লোকে আপনার প্রশংসা করবে। তবে সাবধান! কিপটেমি আর সঞ্চয়ের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। বন্ধুদের ট্রিট দেওয়ার সময় হুট করে ‘মানিব্যাগ ভুলে রেখে এসেছি’ বা ‘আমার নেট কাজ করছে না’ বলার পুরোনো কৌশলটি আজ বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যেতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতকাল আমাদের জন্য উদ্যাপনের ঋতু হলেও চুলের জন্য আতঙ্কের। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলে নির্জীব ভাব আসার পাশাপাশি আগা ফাটার সমস্যাও বাড়তে থাকে। তাই এই ঋতুতে চুলের ডিপ কন্ডিশনিং রীতিনীতি মেনে চলা অপরিহার্য। তবে রোজ শ্যাম্পু করার পর বোতলজাত যে কন্ডিশনার আমরা ব্যবহার করি; সেগুলোর ব্যবহার করলেই যে চুল কোমল, সুন্দর ও মসৃণ থাকবে, এ কথা ভাবাটা বোকামি। চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করেও চুলে ব্যবহার করতে হবে। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। দেখে নিন, কী কী ঘরোয়ার উপকরণ দিয়ে চুলের জন্য ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করবেন।
পাকা কলার প্যাক
কলা খুব ভালো ময়শ্চারাইজিং উপাদান। এটি শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যাওয়া চুল নিরাময়ে সহায়ক। কলা ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। ফলে এটি মাথার ত্বক ও চুলে গভীরভাবে পুষ্টি জোগায়। কেবল একটি পাকা কলা বেটে তার সঙ্গে মধু, ডিম ও সামান্য দুধ মিশিয়ে নিন। এরপর এই পেস্ট মাথার ত্বক এবং পুরো চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর ভালো কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল সুন্দর করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এই প্যাক ব্যবহারে চুল খুব দ্রুত ঝলমলে হয়।
দইয়ের জাদুকরি প্যাক

প্রচুর প্রোটিন ও ল্যাকটিক অ্যাসিডে ভরা দই আমাদের চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, চুল মসৃণ করে মাথার ত্বকে চুলকানি দূর করতেও সহায়ক। টক দই, কলা, মধু ও জলপাই তেল দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। সবশেষে ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে এটিকে বলা যেতে পারে জাদুকরি প্যাক। তবে যাঁদের ঠান্ডা লাগে, তাঁরা ৩০ মিনিটের পরিবর্তে ১০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে নিতে পারেন।
চুলের তরতাজা ভাব ফেরাবে অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং চুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। একটি পাত্রে ৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ আপনার চুলে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু করে চুলে রেগুলার কন্ডিশনার মাখুন। নিজেই টের পাবেন চুলের তরতাজা ভাব। সপ্তাহে দুবার এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।

তৈলাক্ত চুলের সেরা কন্ডিশনার আপেল সিডার ভিনেগার
আপেল সিডার ভিনেগার অ্যাসিটিক অ্যাসিডের একটি ভালো উৎস। এটি তৈলাক্ত মাথার ত্বক, খুশকি এবং কুঁকড়ে যাওয়া চুলের জন্য চমৎকার সমাধান। এটি মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এর জন্য চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এক মগ পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মাথার ত্বক ও চুলে ঢেলে দিন। ৫ মিনিট ধরে আপনার মাথার ত্বক ম্যাসাজ করুন। হালকা করে চুল আবার শ্যাম্পু করে এরপর কন্ডিশনার মাখুন। সবশেষে সুন্দর করে চুল ধুয়ে নিন।
সহজ সমাধান নারকেল তেল
আমরা সবাই নারকেল তেলের বিস্ময়কর গুণাবলির কথা শুনে বড় হয়েছি। এই তেল যে চুলের যত্নে জাদুকরি উপাদান—এ কথা একেবারে মিথ্য়া নয়। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে চুল করে তোলে নরম ও মসৃণ। নারকেল তেল দিয়ে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার তৈরি করতে, ১ টেবিল চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার সময় এটি লাগান। ২০ মিনিট রেখে দিন এবং তারপর হালকা গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

শীতকাল আমাদের জন্য উদ্যাপনের ঋতু হলেও চুলের জন্য আতঙ্কের। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলে নির্জীব ভাব আসার পাশাপাশি আগা ফাটার সমস্যাও বাড়তে থাকে। তাই এই ঋতুতে চুলের ডিপ কন্ডিশনিং রীতিনীতি মেনে চলা অপরিহার্য। তবে রোজ শ্যাম্পু করার পর বোতলজাত যে কন্ডিশনার আমরা ব্যবহার করি; সেগুলোর ব্যবহার করলেই যে চুল কোমল, সুন্দর ও মসৃণ থাকবে, এ কথা ভাবাটা বোকামি। চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করেও চুলে ব্যবহার করতে হবে। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। দেখে নিন, কী কী ঘরোয়ার উপকরণ দিয়ে চুলের জন্য ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করবেন।
পাকা কলার প্যাক
কলা খুব ভালো ময়শ্চারাইজিং উপাদান। এটি শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যাওয়া চুল নিরাময়ে সহায়ক। কলা ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। ফলে এটি মাথার ত্বক ও চুলে গভীরভাবে পুষ্টি জোগায়। কেবল একটি পাকা কলা বেটে তার সঙ্গে মধু, ডিম ও সামান্য দুধ মিশিয়ে নিন। এরপর এই পেস্ট মাথার ত্বক এবং পুরো চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর ভালো কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল সুন্দর করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এই প্যাক ব্যবহারে চুল খুব দ্রুত ঝলমলে হয়।
দইয়ের জাদুকরি প্যাক

প্রচুর প্রোটিন ও ল্যাকটিক অ্যাসিডে ভরা দই আমাদের চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, চুল মসৃণ করে মাথার ত্বকে চুলকানি দূর করতেও সহায়ক। টক দই, কলা, মধু ও জলপাই তেল দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। সবশেষে ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে এটিকে বলা যেতে পারে জাদুকরি প্যাক। তবে যাঁদের ঠান্ডা লাগে, তাঁরা ৩০ মিনিটের পরিবর্তে ১০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে নিতে পারেন।
চুলের তরতাজা ভাব ফেরাবে অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং চুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। একটি পাত্রে ৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ আপনার চুলে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু করে চুলে রেগুলার কন্ডিশনার মাখুন। নিজেই টের পাবেন চুলের তরতাজা ভাব। সপ্তাহে দুবার এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।

তৈলাক্ত চুলের সেরা কন্ডিশনার আপেল সিডার ভিনেগার
আপেল সিডার ভিনেগার অ্যাসিটিক অ্যাসিডের একটি ভালো উৎস। এটি তৈলাক্ত মাথার ত্বক, খুশকি এবং কুঁকড়ে যাওয়া চুলের জন্য চমৎকার সমাধান। এটি মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এর জন্য চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এক মগ পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মাথার ত্বক ও চুলে ঢেলে দিন। ৫ মিনিট ধরে আপনার মাথার ত্বক ম্যাসাজ করুন। হালকা করে চুল আবার শ্যাম্পু করে এরপর কন্ডিশনার মাখুন। সবশেষে সুন্দর করে চুল ধুয়ে নিন।
সহজ সমাধান নারকেল তেল
আমরা সবাই নারকেল তেলের বিস্ময়কর গুণাবলির কথা শুনে বড় হয়েছি। এই তেল যে চুলের যত্নে জাদুকরি উপাদান—এ কথা একেবারে মিথ্য়া নয়। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে চুল করে তোলে নরম ও মসৃণ। নারকেল তেল দিয়ে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার তৈরি করতে, ১ টেবিল চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার সময় এটি লাগান। ২০ মিনিট রেখে দিন এবং তারপর হালকা গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

ভ্রমণ করতে অনেকেই পছন্দ করেন। আর ঘোরাঘুরিতে সবারই পছন্দের গন্তব্য থাকে। তবে পৃথিবীর সব দেশ ভ্রমণ করা মানুষের সংখ্যা মোটেই বেশি নয়। ধারণা করা হয় সংখ্যাটি ৪০০-র আশপাশে। তবে যতই দিন গড়াচ্ছে এই চেষ্টা করা এবং সফল হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
চিকেন ফ্রাই এখন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় খাবার। শহরগুলোতে গলির মোড়ে মোড়ে চিকেন ফ্রাইয়ের দোকান হয়ে গেছে। অর্থাৎ হাত বাড়ালেই এখন সুস্বাদু আর ক্রিস্পি মুরগি ভাজা পাওয়া যায়। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে বাড়িতেই রেস্তোরাঁর মতো চিকেন ফ্রাই করে নিতে পারেন। মনে রাখতে হবে, রেস্তোরাঁর মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই...
৯ ঘণ্টা আগে
শীতের দিনে ত্বকের সাধারণ সমস্যার একটি হলো ফাটা গোড়ালি। সাধারণত যাঁদের বয়স ত্রিশ বা তার বেশি, তাঁরা ত্বকের অতিরিক্ত মরা কোষ ও ফাটা গোড়ালির সমস্যায় বেশি ভোগেন। ফলে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগেই হয়তো পারলার থেকে পেডিকিউর করে এসেছেন, কিন্তু সপ্তাহ পার হতে না হতেই আবার পায়ের গোড়ালির ত্বক পুরু হয়ে শক্ত হয়ে...
১৬ ঘণ্টা আগে
সঞ্চয় করার দক্ষতা নিয়ে আজ লোকে আপনার প্রশংসা করবে। তবে সাবধান! কিপটেমি আর সঞ্চয়ের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। বন্ধুদের ট্রিট দেওয়ার সময় হুট করে ‘মানিব্যাগ ভুলে রেখে এসেছি’ বা ‘আমার নেট কাজ করছে না’ বলার পুরোনো কৌশলটি আজ বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যেতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
সঞ্চয় করার দক্ষতা নিয়ে আজ লোকে আপনার প্রশংসা করবে। তবে সাবধান! কিপটেমি আর সঞ্চয়ের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। বন্ধুদের ট্রিট দেওয়ার সময় হুট করে ‘মানিব্যাগ ভুলে রেখে এসেছি’ বা ‘আমার নেট কাজ করছে না’ বলার পুরোনো কৌশলটি আজ বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যেতে পারে। পরিবারে শান্তি বজায় থাকবে, যদি আপনি রিমোটের দখল ছেড়ে দেন। মানিব্যাগে সব সময় কিছু খুচরা টাকা রাখুন, ইজ্জত বাঁচতে পারে।
বৃষ
স্ত্রী বা পরিবারের কারোর মধুর ব্যবহারে আজ আপনি মুগ্ধ হতে পারেন, তবে এর পেছনে কোনো দামি শাড়ি, গয়না বা অনলাইন শপিংয়ের আবদার লুকিয়ে আছে কি না, তা ‘শার্লক হোমস’ স্টাইলে যাচাই করে নিন। সঞ্চয়ের জন্য দিনটি ভালো, কিন্তু লটারি জেতার আশায় অফিসের কলিগের কাছে ধার চাইবেন না। আবেগের চেয়ে আজ পেটভরা খাবারকে বেশি গুরুত্ব দিন। মিষ্টি কথায় ভুলে যাওয়ার আগে ব্যাংকের ব্যালেন্স চেক করুন।
মিথুন
মনের কথা বাড়ির লোককে বলে ফেলার জন্য আজ দারুণ দিন। তবে অফিসের বসের নামে কোনো ‘গোপন ছড়া’ বা ‘নিকনেম’ আবার ভুল করে বাড়ির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠিয়ে দেবেন না! পুরোনো অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে আবেগময় হয়ে পড়তে পারেন, সঙ্গে গামছা বা টিস্যু বক্স রাখুন। মেসেজ পাঠানোর আগে ‘রিসিভার’ কে, তা দুবার চেক করুন।
কর্কট
কারও কাছ থেকে আজ ধার নেবেন না, আর কাউকে দেবেনও না। কারণ, আজ যাকে টাকা দেবেন, তাকে খুঁজে পেতে ভবিষ্যতে আপনাকে ইন্টারপোল নিয়োগ করতে হতে পারে। সন্ধ্যার পর শরীর বেশ সতেজ থাকবে, চাইলে এক কাপ কড়া চা নিয়ে পাড়ার মোড়ে আড্ডা জমাতে পারেন। তবে পলিটিকস নিয়ে জ্ঞান দিতে যাবেন না। টাকা চাইলে ‘মানিব্যাগটা ধুতে দিয়েছি’ বলে এড়িয়ে যান।
সিংহ
বড় কোনো অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা আছে। তবে সেই টাকা হাতে আসার আগেই অনলাইনে আইফোন বা দামি গ্যাজেটের রিভিউ দেখা শুরু করবেন না। অতিরিক্ত রাগ আপনার কর্মক্ষেত্রে ক্ষতি করতে পারে। বসের ঝাড়ি খেয়েও আজ ‘মোনালিসা হাসি’ বজায় রাখার চেষ্টা করুন, এতে বস কনফিউজড হয়ে ঝাড়ি থামিয়ে দেবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাসার প্র্যাকটিস করুন।
কন্যা
বাড়িতে যদি অবিবাহিত কেউ থাকে, তবে আজ তার বিয়ের আলোচনা তুঙ্গে উঠতে পারে। বিয়ের মেনুতে বিরিয়ানি থাকবে কি না, তা নিয়ে আজ থেকেই তর্ক শুরু হতে পারে। খাওয়ার অভ্যাসে বদল আনুন; রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়ার আগে বিক্রেতার হাত ধোয়া কি না, তা একটু জুম করে দেখে নিন। প্রবীণদের কথা শুনুন, মাঝেমধ্যে তারা ইন্টারনেটের চেয়েও ভালো সমাধান দেন! ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলবেন, পেটের অবস্থা ভালো নয়।
তুলা
হয়তো ভালো মনেই কাউকে উপদেশ দেবেন, কিন্তু লোকে সেটাকে পার্সোনাল অ্যাটাক হিসেবে ধরে নেবে। আজ আপনার মিষ্টি কথা মানুষের কানে ‘নিমপাতার জুস’ মনে হতে পারে। অফিসে আপনার নামে কেউ কানকথা দিতে পারে, কিন্তু উল্টো তাদের মিষ্টি খাইয়ে কনফিউজ করে দিন। চুপ থাকাই আজ আপনার সেরা অস্ত্র।
বৃশ্চিক
পাড়ার দুই খালা বা চাচির ঝগড়ায় বিচার করতে যাবেন না। অন্যের ঝামেলা মেটাতে গিয়ে নিজেই ‘ভিলেন’ হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রল হতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে যুক্তিসংগত কথা বলুন। আজ আপনার কোনো পুরোনো শখ (যেমন গিটার বাজানো বা বাথরুমে গান গাওয়া) আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। অন্যের ব্যাপারে বাঁ হাত ঢোকাবেন না।
ধনু
আজ আপনার মধ্যে আধুনিক চিন্তা কাজ করবে। অফিসের কাজে এআই ব্যবহার করে বসকে চমকে দিতে পারেন; তবে সাবধান, যেন ধরা না পড়েন! সৃজনশীল কাজে সাফল্য আসবে। ভ্রমণে যাওয়ার আগে ব্যাগে ছাতা নিতে ভুলবেন না। কারণ, আবহাওয়া অফিস রোদ বললেও আজ বৃষ্টির সঙ্গে আপনার মোলাকাত হতে পারে। ল্যাপটপ চার্জ দিয়ে রাখুন।
মকর
আপনার পকেটে আজ অদৃশ্য ফুটো হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে শপিং মলে গেলে ক্রেডিট কার্ডটি বাসায় ফেলে যান। বিরোধীরা আজ আপনার ছোট কোনো ব্যাকরণগত ভুলকেও বড় করে দেখাতে পারে। তাই কথা বলার আগে মুখে ‘কাল্পনিক ফিল্টার’ ব্যবহার করুন। ‘সুলভ মূল্যে’ লেখা বোর্ড দেখলে উল্টো দিকে হাঁটুন।
কুম্ভ
দিনটি আপনার জন্য বেশ শুভ। নতুন কারোর সঙ্গে দেখা হতে পারে যে আপনার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে (সেটা বিমা কোম্পানি বা এমএলএম মার্কেটিংয়ের লোকও হতে পারে, সাবধান!)। রাতে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যদি না মশার দল আপনার কানে গান গাওয়ার কনসার্ট আয়োজন করে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের লোকদের থেকে দূরে থাকুন।
মীন
আজ সারা দিন অফিসের বা বাড়ির কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকবেন যে নিজের আয়নায় মুখ দেখার সময় পাবেন না। তবে এই ব্যস্ততার শেষে একটা মিষ্টি ক্লান্তি আসবে। সন্তানের বায়না মেটাতে গিয়ে পকেটে টান পড়তে পারে। শরীরের প্রতি যত্ন নিন, লিফট থাকতে সিঁড়ি দিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে যাবেন না। দুপুরের খাবারটা ঠিক সময়ে খেয়ে নিন।

মেষ
সঞ্চয় করার দক্ষতা নিয়ে আজ লোকে আপনার প্রশংসা করবে। তবে সাবধান! কিপটেমি আর সঞ্চয়ের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। বন্ধুদের ট্রিট দেওয়ার সময় হুট করে ‘মানিব্যাগ ভুলে রেখে এসেছি’ বা ‘আমার নেট কাজ করছে না’ বলার পুরোনো কৌশলটি আজ বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যেতে পারে। পরিবারে শান্তি বজায় থাকবে, যদি আপনি রিমোটের দখল ছেড়ে দেন। মানিব্যাগে সব সময় কিছু খুচরা টাকা রাখুন, ইজ্জত বাঁচতে পারে।
বৃষ
স্ত্রী বা পরিবারের কারোর মধুর ব্যবহারে আজ আপনি মুগ্ধ হতে পারেন, তবে এর পেছনে কোনো দামি শাড়ি, গয়না বা অনলাইন শপিংয়ের আবদার লুকিয়ে আছে কি না, তা ‘শার্লক হোমস’ স্টাইলে যাচাই করে নিন। সঞ্চয়ের জন্য দিনটি ভালো, কিন্তু লটারি জেতার আশায় অফিসের কলিগের কাছে ধার চাইবেন না। আবেগের চেয়ে আজ পেটভরা খাবারকে বেশি গুরুত্ব দিন। মিষ্টি কথায় ভুলে যাওয়ার আগে ব্যাংকের ব্যালেন্স চেক করুন।
মিথুন
মনের কথা বাড়ির লোককে বলে ফেলার জন্য আজ দারুণ দিন। তবে অফিসের বসের নামে কোনো ‘গোপন ছড়া’ বা ‘নিকনেম’ আবার ভুল করে বাড়ির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠিয়ে দেবেন না! পুরোনো অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে আবেগময় হয়ে পড়তে পারেন, সঙ্গে গামছা বা টিস্যু বক্স রাখুন। মেসেজ পাঠানোর আগে ‘রিসিভার’ কে, তা দুবার চেক করুন।
কর্কট
কারও কাছ থেকে আজ ধার নেবেন না, আর কাউকে দেবেনও না। কারণ, আজ যাকে টাকা দেবেন, তাকে খুঁজে পেতে ভবিষ্যতে আপনাকে ইন্টারপোল নিয়োগ করতে হতে পারে। সন্ধ্যার পর শরীর বেশ সতেজ থাকবে, চাইলে এক কাপ কড়া চা নিয়ে পাড়ার মোড়ে আড্ডা জমাতে পারেন। তবে পলিটিকস নিয়ে জ্ঞান দিতে যাবেন না। টাকা চাইলে ‘মানিব্যাগটা ধুতে দিয়েছি’ বলে এড়িয়ে যান।
সিংহ
বড় কোনো অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা আছে। তবে সেই টাকা হাতে আসার আগেই অনলাইনে আইফোন বা দামি গ্যাজেটের রিভিউ দেখা শুরু করবেন না। অতিরিক্ত রাগ আপনার কর্মক্ষেত্রে ক্ষতি করতে পারে। বসের ঝাড়ি খেয়েও আজ ‘মোনালিসা হাসি’ বজায় রাখার চেষ্টা করুন, এতে বস কনফিউজড হয়ে ঝাড়ি থামিয়ে দেবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাসার প্র্যাকটিস করুন।
কন্যা
বাড়িতে যদি অবিবাহিত কেউ থাকে, তবে আজ তার বিয়ের আলোচনা তুঙ্গে উঠতে পারে। বিয়ের মেনুতে বিরিয়ানি থাকবে কি না, তা নিয়ে আজ থেকেই তর্ক শুরু হতে পারে। খাওয়ার অভ্যাসে বদল আনুন; রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়ার আগে বিক্রেতার হাত ধোয়া কি না, তা একটু জুম করে দেখে নিন। প্রবীণদের কথা শুনুন, মাঝেমধ্যে তারা ইন্টারনেটের চেয়েও ভালো সমাধান দেন! ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলবেন, পেটের অবস্থা ভালো নয়।
তুলা
হয়তো ভালো মনেই কাউকে উপদেশ দেবেন, কিন্তু লোকে সেটাকে পার্সোনাল অ্যাটাক হিসেবে ধরে নেবে। আজ আপনার মিষ্টি কথা মানুষের কানে ‘নিমপাতার জুস’ মনে হতে পারে। অফিসে আপনার নামে কেউ কানকথা দিতে পারে, কিন্তু উল্টো তাদের মিষ্টি খাইয়ে কনফিউজ করে দিন। চুপ থাকাই আজ আপনার সেরা অস্ত্র।
বৃশ্চিক
পাড়ার দুই খালা বা চাচির ঝগড়ায় বিচার করতে যাবেন না। অন্যের ঝামেলা মেটাতে গিয়ে নিজেই ‘ভিলেন’ হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রল হতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে যুক্তিসংগত কথা বলুন। আজ আপনার কোনো পুরোনো শখ (যেমন গিটার বাজানো বা বাথরুমে গান গাওয়া) আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। অন্যের ব্যাপারে বাঁ হাত ঢোকাবেন না।
ধনু
আজ আপনার মধ্যে আধুনিক চিন্তা কাজ করবে। অফিসের কাজে এআই ব্যবহার করে বসকে চমকে দিতে পারেন; তবে সাবধান, যেন ধরা না পড়েন! সৃজনশীল কাজে সাফল্য আসবে। ভ্রমণে যাওয়ার আগে ব্যাগে ছাতা নিতে ভুলবেন না। কারণ, আবহাওয়া অফিস রোদ বললেও আজ বৃষ্টির সঙ্গে আপনার মোলাকাত হতে পারে। ল্যাপটপ চার্জ দিয়ে রাখুন।
মকর
আপনার পকেটে আজ অদৃশ্য ফুটো হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে শপিং মলে গেলে ক্রেডিট কার্ডটি বাসায় ফেলে যান। বিরোধীরা আজ আপনার ছোট কোনো ব্যাকরণগত ভুলকেও বড় করে দেখাতে পারে। তাই কথা বলার আগে মুখে ‘কাল্পনিক ফিল্টার’ ব্যবহার করুন। ‘সুলভ মূল্যে’ লেখা বোর্ড দেখলে উল্টো দিকে হাঁটুন।
কুম্ভ
দিনটি আপনার জন্য বেশ শুভ। নতুন কারোর সঙ্গে দেখা হতে পারে যে আপনার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে (সেটা বিমা কোম্পানি বা এমএলএম মার্কেটিংয়ের লোকও হতে পারে, সাবধান!)। রাতে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যদি না মশার দল আপনার কানে গান গাওয়ার কনসার্ট আয়োজন করে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের লোকদের থেকে দূরে থাকুন।
মীন
আজ সারা দিন অফিসের বা বাড়ির কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকবেন যে নিজের আয়নায় মুখ দেখার সময় পাবেন না। তবে এই ব্যস্ততার শেষে একটা মিষ্টি ক্লান্তি আসবে। সন্তানের বায়না মেটাতে গিয়ে পকেটে টান পড়তে পারে। শরীরের প্রতি যত্ন নিন, লিফট থাকতে সিঁড়ি দিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে যাবেন না। দুপুরের খাবারটা ঠিক সময়ে খেয়ে নিন।

ভ্রমণ করতে অনেকেই পছন্দ করেন। আর ঘোরাঘুরিতে সবারই পছন্দের গন্তব্য থাকে। তবে পৃথিবীর সব দেশ ভ্রমণ করা মানুষের সংখ্যা মোটেই বেশি নয়। ধারণা করা হয় সংখ্যাটি ৪০০-র আশপাশে। তবে যতই দিন গড়াচ্ছে এই চেষ্টা করা এবং সফল হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
চিকেন ফ্রাই এখন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় খাবার। শহরগুলোতে গলির মোড়ে মোড়ে চিকেন ফ্রাইয়ের দোকান হয়ে গেছে। অর্থাৎ হাত বাড়ালেই এখন সুস্বাদু আর ক্রিস্পি মুরগি ভাজা পাওয়া যায়। তবে কিছু কৌশল জানা থাকলে বাড়িতেই রেস্তোরাঁর মতো চিকেন ফ্রাই করে নিতে পারেন। মনে রাখতে হবে, রেস্তোরাঁর মতো ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই...
৯ ঘণ্টা আগে
শীতের দিনে ত্বকের সাধারণ সমস্যার একটি হলো ফাটা গোড়ালি। সাধারণত যাঁদের বয়স ত্রিশ বা তার বেশি, তাঁরা ত্বকের অতিরিক্ত মরা কোষ ও ফাটা গোড়ালির সমস্যায় বেশি ভোগেন। ফলে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগেই হয়তো পারলার থেকে পেডিকিউর করে এসেছেন, কিন্তু সপ্তাহ পার হতে না হতেই আবার পায়ের গোড়ালির ত্বক পুরু হয়ে শক্ত হয়ে...
১৬ ঘণ্টা আগে
রোজ শ্যাম্পু করার পর বোতলজাত যে কন্ডিশনার আমরা ব্যবহার করি; সেগুলোর ব্যবহার করলেই যে চুল কোমল, সুন্দর ও মসৃণ থাকবে, এ কথা ভাবাটা বোকামি। চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করেও চুলে ব্যবহার করতে হবে। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। দেখে নিন...
১৮ ঘণ্টা আগে