মাহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)
আসছে বর্ষা। সঙ্গে আছে ঈদের ছুটি। সেজে উঠছে মৌলভীবাজারের রিসোর্টগুলো। আর কমলগঞ্জের প্রকৃতি আপনার অপেক্ষায়।
হাওর-বাঁওড়, জলপ্রপাত, টিলা, চা-বাগান, বিচিত্র প্রজাতির পশুপাখি ও বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য। এসব মিলিয়ে মৌলভীবাজার। বর্ষায় প্রকৃতি এখানে অপরূপ সাজে সেজে ওঠে। সে সৌন্দর্য দেখতে প্রতিবছর ভ্রমণপিয়াসি মানুষ ছুটে যায় কমলগঞ্জসহ মৌলভীবাজারের বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গায়। দর্শনার্থীদের প্রকৃতি দেখা নির্বিঘ্ন করতে এখানে গড়ে উঠেছে অনেক রিসোর্ট। ঈদ আর বর্ষাকে কেন্দ্র করে সেজে উঠছে মৌলভীবাজারের রিসোর্টগুলো।
পাঁচ তারকা রিসোর্ট থেকে শুরু করে বাজেট রিসোর্টও আছে মৌলভীবাজারে। প্রকৃতি দেখার পাশাপাশি এসব রিসোর্ট এখন ভ্রমণকারীদের আকর্ষণের জায়গায় পরিণত হয়েছে।
যেসব রিসোর্ট আছে
মৌলভীবাজারে আছে গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ, নভেম ইকো রিসোর্ট, দুসাই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুর, সুইস ভ্যালি রিসোর্ট, বালিশিরা ইকো রিসোর্ট, টিলাগাঁও ইকো ভিলেজ, পত্রস্নান রিসোর্ট, শান্তিবাড়ি রিসোর্ট, নিসর্গ ইকো রিসোর্ট, লেমন গার্ডেন রিসোর্ট, টি হেভেন রিসোর্ট, শ্রীমঙ্গল টি রিসোর্ট অ্যান্ড মিউজিয়াম, ওয়াটারলিলি, মুক্তানগর রিসোর্ট, রাঙ্গাউটি রিসোর্ট, অরণ্য নিবাস ইকো রিসোর্ট ও গগনটিলা। এসবের বাইরে ছোট-বড় শতাধিক রিসোর্ট রয়েছে এ জেলায়। তবে বেশির ভাগ রিসোর্টের অবস্থান শ্রীমঙ্গলে।
প্রতিটি রিসোর্ট সাজানো হয়েছে ভিন্নভাবে। ইট-পাথরের পাশাপাশি অনেক কটেজ তৈরি করা হয়েছে স্থানীয় ঐতিহ্য আর উপকরণের মিশ্রণে। এর মধ্যে যেমন আছে মাটির দেয়াল ও ছনের ছাউনিতে তৈরি রিসোর্ট, তেমনি আছে কাঠের দোতলা কটেজ। অনেক রিসোর্টে পর্যটকদের জন্য রয়েছে সুইমিংপুলের ব্যবস্থা। বেশির ভাগ রিসোর্টে একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে রান্না করা খাবার পাওয়া যায়। চাইলে স্থানীয় স্বাদের খাবারও পাওয়া যাবে।
সেবা ও দাম
রিসোর্টগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রুম। এসি ও নন-এসি ছাড়াও আছে সিঙ্গেল, ডাবল, ফ্যামিলি রুম কিংবা ডিলাক্স ডাবল রুম। রুমের সঙ্গে ব্যালকনি ও প্রাইভেট সুইমিংপুল রয়েছে কোনো কোনো রিসোর্টে। টেনিস ও ব্যাডমিন্টন কোর্ট, ডাইনিং রুম, স্পা, জিম, ক্যাফে ও শিশুদের খেলাধুলার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিনোদনের আয়োজনও রয়েছে কোনো কোনো রিসোর্টে।
এসব রিসোর্টে প্রতি রাত থাকার জন্য ব্যয় হবে সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা। সেবার সুবিধা ও স্টার রেটিংয়ের ওপর ভিত্তি করে রুমের দাম বেশি হবে। যেমন গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টের সর্বনিম্ন রুম ভাড়া কিং ডিলাক্স ৩১ হাজার ১০০ টাকা আর প্রেসিডেনশিয়াল সুইটের সর্বোচ্চ ভাড়া ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। আবার দুসাই রিসোর্টের হোটেল ক্যাটাগরির রুমের ভাড়া সর্বনিম্ন ১৬ হাজার ও সর্বোচ্চ ১৮ হাজার টাকা। ভিলা ক্যাটাগরির রুমের ভাড়া ১৬ হাজার ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা। নভেম ইকো রিসোর্টের ভাড়া পড়বে ৭ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা।
দর্শনীয় জায়গা
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ, মাধবকুণ্ড ও হামহাম জলপ্রপাত, মণিপুরি পল্লি, হাকালুকি হাওর, মনু ব্যারাজ, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট, বধ্যভূমি, মাধবপুর লেক, চা-বাগান, চা-কন্যা ভাস্কর্য, গগন টিলা, কমলা রানীর দিঘি, পৃথিমপাশা নবাববাড়ি, পাথারিয়া হিলস রিজার্ভ ফরেস্ট, আদমপুর বন বিট, খাসিয়াপুঞ্জি, বাইক্কা বিল, হাকালুকি হাওর, বর্ষিজোড়া ইকোপার্ক, হজরত শাহ মোস্তফা (র.)-এর মাজার শরিফ ইত্যাদি।
যোগাযোগ
দেশের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে মৌলভীবাজার জেলায় আসা যায়। ট্রেনে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে শ্রীমঙ্গল, ভানুগাছ, শমশেরনগর ও কুলাউড়া রেলস্টেশনে নেমে লোকাল বাস বা সিএনজি চালিত অটোরিকশায় সহজে বিভিন্ন রিসোর্টে যাওয়া যায়।
আসছে বর্ষা। সঙ্গে আছে ঈদের ছুটি। সেজে উঠছে মৌলভীবাজারের রিসোর্টগুলো। আর কমলগঞ্জের প্রকৃতি আপনার অপেক্ষায়।
হাওর-বাঁওড়, জলপ্রপাত, টিলা, চা-বাগান, বিচিত্র প্রজাতির পশুপাখি ও বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য। এসব মিলিয়ে মৌলভীবাজার। বর্ষায় প্রকৃতি এখানে অপরূপ সাজে সেজে ওঠে। সে সৌন্দর্য দেখতে প্রতিবছর ভ্রমণপিয়াসি মানুষ ছুটে যায় কমলগঞ্জসহ মৌলভীবাজারের বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গায়। দর্শনার্থীদের প্রকৃতি দেখা নির্বিঘ্ন করতে এখানে গড়ে উঠেছে অনেক রিসোর্ট। ঈদ আর বর্ষাকে কেন্দ্র করে সেজে উঠছে মৌলভীবাজারের রিসোর্টগুলো।
পাঁচ তারকা রিসোর্ট থেকে শুরু করে বাজেট রিসোর্টও আছে মৌলভীবাজারে। প্রকৃতি দেখার পাশাপাশি এসব রিসোর্ট এখন ভ্রমণকারীদের আকর্ষণের জায়গায় পরিণত হয়েছে।
যেসব রিসোর্ট আছে
মৌলভীবাজারে আছে গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ, নভেম ইকো রিসোর্ট, দুসাই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্ট অ্যান্ড ট্যুর, সুইস ভ্যালি রিসোর্ট, বালিশিরা ইকো রিসোর্ট, টিলাগাঁও ইকো ভিলেজ, পত্রস্নান রিসোর্ট, শান্তিবাড়ি রিসোর্ট, নিসর্গ ইকো রিসোর্ট, লেমন গার্ডেন রিসোর্ট, টি হেভেন রিসোর্ট, শ্রীমঙ্গল টি রিসোর্ট অ্যান্ড মিউজিয়াম, ওয়াটারলিলি, মুক্তানগর রিসোর্ট, রাঙ্গাউটি রিসোর্ট, অরণ্য নিবাস ইকো রিসোর্ট ও গগনটিলা। এসবের বাইরে ছোট-বড় শতাধিক রিসোর্ট রয়েছে এ জেলায়। তবে বেশির ভাগ রিসোর্টের অবস্থান শ্রীমঙ্গলে।
প্রতিটি রিসোর্ট সাজানো হয়েছে ভিন্নভাবে। ইট-পাথরের পাশাপাশি অনেক কটেজ তৈরি করা হয়েছে স্থানীয় ঐতিহ্য আর উপকরণের মিশ্রণে। এর মধ্যে যেমন আছে মাটির দেয়াল ও ছনের ছাউনিতে তৈরি রিসোর্ট, তেমনি আছে কাঠের দোতলা কটেজ। অনেক রিসোর্টে পর্যটকদের জন্য রয়েছে সুইমিংপুলের ব্যবস্থা। বেশির ভাগ রিসোর্টে একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে রান্না করা খাবার পাওয়া যায়। চাইলে স্থানীয় স্বাদের খাবারও পাওয়া যাবে।
সেবা ও দাম
রিসোর্টগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রুম। এসি ও নন-এসি ছাড়াও আছে সিঙ্গেল, ডাবল, ফ্যামিলি রুম কিংবা ডিলাক্স ডাবল রুম। রুমের সঙ্গে ব্যালকনি ও প্রাইভেট সুইমিংপুল রয়েছে কোনো কোনো রিসোর্টে। টেনিস ও ব্যাডমিন্টন কোর্ট, ডাইনিং রুম, স্পা, জিম, ক্যাফে ও শিশুদের খেলাধুলার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিনোদনের আয়োজনও রয়েছে কোনো কোনো রিসোর্টে।
এসব রিসোর্টে প্রতি রাত থাকার জন্য ব্যয় হবে সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা। সেবার সুবিধা ও স্টার রেটিংয়ের ওপর ভিত্তি করে রুমের দাম বেশি হবে। যেমন গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টের সর্বনিম্ন রুম ভাড়া কিং ডিলাক্স ৩১ হাজার ১০০ টাকা আর প্রেসিডেনশিয়াল সুইটের সর্বোচ্চ ভাড়া ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। আবার দুসাই রিসোর্টের হোটেল ক্যাটাগরির রুমের ভাড়া সর্বনিম্ন ১৬ হাজার ও সর্বোচ্চ ১৮ হাজার টাকা। ভিলা ক্যাটাগরির রুমের ভাড়া ১৬ হাজার ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা। নভেম ইকো রিসোর্টের ভাড়া পড়বে ৭ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা।
দর্শনীয় জায়গা
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ, মাধবকুণ্ড ও হামহাম জলপ্রপাত, মণিপুরি পল্লি, হাকালুকি হাওর, মনু ব্যারাজ, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট, বধ্যভূমি, মাধবপুর লেক, চা-বাগান, চা-কন্যা ভাস্কর্য, গগন টিলা, কমলা রানীর দিঘি, পৃথিমপাশা নবাববাড়ি, পাথারিয়া হিলস রিজার্ভ ফরেস্ট, আদমপুর বন বিট, খাসিয়াপুঞ্জি, বাইক্কা বিল, হাকালুকি হাওর, বর্ষিজোড়া ইকোপার্ক, হজরত শাহ মোস্তফা (র.)-এর মাজার শরিফ ইত্যাদি।
যোগাযোগ
দেশের যেকোনো জায়গা থেকে বাসে মৌলভীবাজার জেলায় আসা যায়। ট্রেনে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে শ্রীমঙ্গল, ভানুগাছ, শমশেরনগর ও কুলাউড়া রেলস্টেশনে নেমে লোকাল বাস বা সিএনজি চালিত অটোরিকশায় সহজে বিভিন্ন রিসোর্টে যাওয়া যায়।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে