মো. আরাফাত হোসেন
সময় এখন ঝরনা অভিযানের। বর্ষা ও এর পরপরই ঝরনা দেখার ভালো সময়। আগে পুরুষ ট্রেকারের সংখ্যা বেশি থাকলেও এখন অসংখ্য নারীও যাচ্ছেন বিভিন্ন ঝরনা অভিযানে। তরুণদের পাশাপাশি মধ্যবয়সী অনেকে যাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে কেউবা প্রকৃতির ভালোবাসায়, কেউবা নিজেদের ফিটনেস ধরে রাখতে নিয়মিত ভ্রমণ করছেন পার্বত্য অঞ্চলগুলোয়। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, বর্ষা বা এর পরপরই ট্রেকিং করতে গেলে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। না হলে যেকোনো মুহূর্তে বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন।
অ্যাকসেসরিজ জুতা
শুরুতেই আসা যাক স্যান্ডেল বা জুতা নিয়ে। অবশ্যই ভালো গ্রিপযুক্ত এক জোড়া স্যান্ডেল নিতে হবে, যেটা স্লিপ কম করবে। পেছনে ফিতাযুক্ত এবং পানিতে নষ্ট হবে না এমন স্যান্ডেল নিতে হবে। ট্রেকিং শু নিলে অবশ্যই ওয়াটারপ্রুফ ও ভালো গ্রিপের কিনতে হবে। এ ক্ষেত্রে হেলাফেলা করবেন না। আপনার নিরাপদ ট্রেকিং অনেকটাই নির্ভর করে স্যান্ডেল বা জুতার ওপরে। পাশাপাশি ব্যাকআপ এক জোড়া জুতা রাখতে হবে।
ট্রেকিং পোল
ট্রেকিং, সেটা পাহাড় হোক কিংবা ঝরনায়, অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে একটি ট্রেকিং পোল। এটা আপনাকে নিচে নামার সময় শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হবে। অনেক সময় ওপরে ওঠার ক্ষেত্রেও সহায়তা করবে, পাশাপাশি কর্দমাক্ত বা পিচ্ছিল পথে আপনাকে বাড়তি সহায়তা দেবে। নতুন ট্রেকারদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পাহাড়ে চলবেন যেভাবে
ট্রেকিং অবস্থায় কোনো পাহাড়ের গা দিয়ে চলার সময় অবশ্যই শরীরের ভার পাহাড়ের দিকে রাখতে হবে। পাহাড়ের খাঁজ বা কিনারার দিকে শরীরের ভর থাকলে অসাবধানতাবশত পা পিছলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। পাহাড়ের কিনারা দিয়ে হাঁটার সময় অবশ্যই পাহাড়ের গায়ে থাকা লতাপাতা বা গাছের ডাল ধরে রাখবেন। অথবা দ্রুতই ধরে ফেলতে পারবেন এমন কাছাকাছি অবস্থায় হাত রেখে চলাফেরা করবেন। এতে কোনো কারণে পা ফসকে গেলে আপনি নিজেকে ধরে রাখতে পারেন। যাঁদের হাইট ফোবিয়া আছে, তাঁরা অবশ্যই পাহাড়ের নিচের দিকে না তাকিয়ে যে রাস্তায় হাঁটছেন, সেই রাস্তার দিকে তাকিয়ে হাঁটতে থাকবেন। ওপরে ওঠা বা নিচে নামার ক্ষেত্রেও এ নিয়ম মেনে চললে কষ্ট কম হবে। কখনোই উচ্চ শব্দ করতে করতে অথবা কানে হেডফোন দিয়ে ট্রেকিং করবেন না। অনেক সময় পাহাড়ি পথে চলাচল করতে গেলে চোখ দিয়ে দেখার পাশাপাশি কান দিয়ে অনেক কিছু শুনতে হয়। কানে হেডফোন থাকলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। কারণ, মস্তিষ্ক কোনো একটি বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকলে শরীরের অন্যান্য অংশের নমনীয়তা কম থাকে। ফলে পা ফসকানোর আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া আনমনা হয়ে রাস্তা ভুল হয়ে যেতে পারে। নেটওয়ার্কবিহীন এলাকার জন্য এটি খুবই বিপদের বিষয়।
ঝিরিপথে চলার আগে
পাহাড়ি পথগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হচ্ছে ঝিরিপথে চলা। এই পথে একবার পা পিছলে পড়ে গেলে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে জন্য ট্রেকিং পোল সঙ্গে থাকলে এবং ধীরে ধীরে পাথর বুঝে এগোলে ঝুঁকি কমে আসে। ঝরনা অভিযানে অধিকাংশ সময়ই পাথুরে ঝিরিপথের ওপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। সব সময় পানির প্রবাহ আছে, তেমন পাথুরে পথ বেছে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, পাথরের ওপর সব সময় পানির প্রবাহ থাকলে সেগুলো পিচ্ছিল হয় না। যে পাথরগুলো দেখতে পরিষ্কার এবং সাদা, সেগুলো পিচ্ছিল হয় না। সবুজ শেওলাযুক্ত বা মাটি জমে থাকা পাথরের ওপর পা দেওয়া যাবে না। সেগুলো খুবই পিচ্ছিল হয়। একটি পাথরের গায়ে পা দেওয়ার আগে অবশ্যই সেটির গায়ে হালকা করে পা দিয়ে চাপ দিয়ে দেখতে হবে পিচ্ছিল কি না বা আপনার ভর নিতে পারবে কি না। কখনোই না জেনে বা বুঝে কোনো পাথরের ওপর লাফ দেওয়া যাবে না।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা, বেঙ্গল ট্রেকার্স
সময় এখন ঝরনা অভিযানের। বর্ষা ও এর পরপরই ঝরনা দেখার ভালো সময়। আগে পুরুষ ট্রেকারের সংখ্যা বেশি থাকলেও এখন অসংখ্য নারীও যাচ্ছেন বিভিন্ন ঝরনা অভিযানে। তরুণদের পাশাপাশি মধ্যবয়সী অনেকে যাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে কেউবা প্রকৃতির ভালোবাসায়, কেউবা নিজেদের ফিটনেস ধরে রাখতে নিয়মিত ভ্রমণ করছেন পার্বত্য অঞ্চলগুলোয়। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, বর্ষা বা এর পরপরই ট্রেকিং করতে গেলে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। না হলে যেকোনো মুহূর্তে বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন।
অ্যাকসেসরিজ জুতা
শুরুতেই আসা যাক স্যান্ডেল বা জুতা নিয়ে। অবশ্যই ভালো গ্রিপযুক্ত এক জোড়া স্যান্ডেল নিতে হবে, যেটা স্লিপ কম করবে। পেছনে ফিতাযুক্ত এবং পানিতে নষ্ট হবে না এমন স্যান্ডেল নিতে হবে। ট্রেকিং শু নিলে অবশ্যই ওয়াটারপ্রুফ ও ভালো গ্রিপের কিনতে হবে। এ ক্ষেত্রে হেলাফেলা করবেন না। আপনার নিরাপদ ট্রেকিং অনেকটাই নির্ভর করে স্যান্ডেল বা জুতার ওপরে। পাশাপাশি ব্যাকআপ এক জোড়া জুতা রাখতে হবে।
ট্রেকিং পোল
ট্রেকিং, সেটা পাহাড় হোক কিংবা ঝরনায়, অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে একটি ট্রেকিং পোল। এটা আপনাকে নিচে নামার সময় শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হবে। অনেক সময় ওপরে ওঠার ক্ষেত্রেও সহায়তা করবে, পাশাপাশি কর্দমাক্ত বা পিচ্ছিল পথে আপনাকে বাড়তি সহায়তা দেবে। নতুন ট্রেকারদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পাহাড়ে চলবেন যেভাবে
ট্রেকিং অবস্থায় কোনো পাহাড়ের গা দিয়ে চলার সময় অবশ্যই শরীরের ভার পাহাড়ের দিকে রাখতে হবে। পাহাড়ের খাঁজ বা কিনারার দিকে শরীরের ভর থাকলে অসাবধানতাবশত পা পিছলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। পাহাড়ের কিনারা দিয়ে হাঁটার সময় অবশ্যই পাহাড়ের গায়ে থাকা লতাপাতা বা গাছের ডাল ধরে রাখবেন। অথবা দ্রুতই ধরে ফেলতে পারবেন এমন কাছাকাছি অবস্থায় হাত রেখে চলাফেরা করবেন। এতে কোনো কারণে পা ফসকে গেলে আপনি নিজেকে ধরে রাখতে পারেন। যাঁদের হাইট ফোবিয়া আছে, তাঁরা অবশ্যই পাহাড়ের নিচের দিকে না তাকিয়ে যে রাস্তায় হাঁটছেন, সেই রাস্তার দিকে তাকিয়ে হাঁটতে থাকবেন। ওপরে ওঠা বা নিচে নামার ক্ষেত্রেও এ নিয়ম মেনে চললে কষ্ট কম হবে। কখনোই উচ্চ শব্দ করতে করতে অথবা কানে হেডফোন দিয়ে ট্রেকিং করবেন না। অনেক সময় পাহাড়ি পথে চলাচল করতে গেলে চোখ দিয়ে দেখার পাশাপাশি কান দিয়ে অনেক কিছু শুনতে হয়। কানে হেডফোন থাকলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। কারণ, মস্তিষ্ক কোনো একটি বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকলে শরীরের অন্যান্য অংশের নমনীয়তা কম থাকে। ফলে পা ফসকানোর আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া আনমনা হয়ে রাস্তা ভুল হয়ে যেতে পারে। নেটওয়ার্কবিহীন এলাকার জন্য এটি খুবই বিপদের বিষয়।
ঝিরিপথে চলার আগে
পাহাড়ি পথগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হচ্ছে ঝিরিপথে চলা। এই পথে একবার পা পিছলে পড়ে গেলে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে জন্য ট্রেকিং পোল সঙ্গে থাকলে এবং ধীরে ধীরে পাথর বুঝে এগোলে ঝুঁকি কমে আসে। ঝরনা অভিযানে অধিকাংশ সময়ই পাথুরে ঝিরিপথের ওপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। সব সময় পানির প্রবাহ আছে, তেমন পাথুরে পথ বেছে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, পাথরের ওপর সব সময় পানির প্রবাহ থাকলে সেগুলো পিচ্ছিল হয় না। যে পাথরগুলো দেখতে পরিষ্কার এবং সাদা, সেগুলো পিচ্ছিল হয় না। সবুজ শেওলাযুক্ত বা মাটি জমে থাকা পাথরের ওপর পা দেওয়া যাবে না। সেগুলো খুবই পিচ্ছিল হয়। একটি পাথরের গায়ে পা দেওয়ার আগে অবশ্যই সেটির গায়ে হালকা করে পা দিয়ে চাপ দিয়ে দেখতে হবে পিচ্ছিল কি না বা আপনার ভর নিতে পারবে কি না। কখনোই না জেনে বা বুঝে কোনো পাথরের ওপর লাফ দেওয়া যাবে না।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা, বেঙ্গল ট্রেকার্স
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক গভীর বন্ধুত্বের মতো হলেও কিছু বিষয় আছে, যা সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করলে তা সম্পর্কের মধ্যে অস্বস্তি বা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এখানে এমন অন্তত ১০টি বিষয় তুলে ধরা হলো, যা স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করাই ভালো:
২ ঘণ্টা আগেচোখ ভালো রাখতে দৈনন্দিন জীবনে কিছু সহজ অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। এখানে এমন ১০টি কাজের তালিকা দেওয়া হলো, যা চোখ ভালো রাখতে সহায়ক।
৫ ঘণ্টা আগেচার কাপ কিমা, আধা কাপ বাটার বা ঘি, দুটি কালো এলাচির গুঁড়া, ছয়টি সবুজ এলাচির গুঁড়া, এক চা-চামচ করে আদা ও রসুন বাটা, লবণ, গুঁড়া আদা, গোলমরিচের গুঁড়া। সব একসঙ্গে মিশিয়ে দিন।
৭ ঘণ্টা আগেসকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস আপনার দৈনন্দিন জীবন এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে। এটি মানসিক ও শারীরিক সুস্থতাকে বাড়িয়ে তোলে। এখানে সকালে ঘুম থেকে ওঠার ১০টি উল্লেখযোগ্য উপকারিতা তুলে ধরা হলো:
১ দিন আগে