পানাম নগর
পানাম নগর বা পানাম সিটি আমাদের দেশে হারানো নগরী হিসেবে সুপরিচিত। বাংলার প্রাচীনতম এ শহর ওয়ার্ল্ড মনুমেন্ট ফান্ডের তালিকায় পৃথিবীর ১০০টি ধ্বংসপ্রায় ঐতিহাসিক শহরের একটি। এখানে একসময় ছিল মসলিনের জমজমাট ব্যবসা। ইংরেজ আমলে এখানকার কাপড়ের ব্যবসায় ধস নামে। গড়ে ওঠে নীলের ব্যবসা। ২০০৩ সালে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে পানাম নগরকে গেজেটভুক্ত করে সরকার।
পানাম নগরে প্রায় ৫ মিটার প্রশস্ত ও ৬০০ মিটার দীর্ঘ একটি সড়কের দুপাশে দুই ও তিনতলাবিশিষ্ট ৫২টি সুরম্য ভবন আছে। এসব বাড়ির স্থাপত্যে ইউরোপীয় শিল্পরীতির সঙ্গে মোগল আমলের শিল্পরীতির মিশ্রণ রয়েছে। বাড়িগুলোর ইটের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে ঢালাই লোহার তৈরি ব্র্যাকেট ভেন্টিলেটর ও জানালার গ্রিল। মেঝেতে রয়েছে লাল, সাদা, কালো মোজাইকের কারুকাজ। অধিকাংশ বাড়িতে খিলান, ছাদে ও মধ্যবর্তী স্থানে রয়েছে নীল ও সাদা মোজাইকের কাজ। প্রতিটি বাড়িতেই আছে কূপ।
টিকিট
দেশি পর্যটকদের জন্য টিকিটের দাম ২০ আর সার্কভুক্ত দেশগুলোর জন্য ১০০ টাকা। অন্যান্য দেশের জন্য টিকিটের দাম ৩০০ টাকা। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। রোববার সাপ্তাহিক ছুটি। সোমবার বেলা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে পানাম সিটি।
যাতায়াত
ঢাকার গুলিস্তান থেকে বোরাক, দোয়েল ইত্যাদি বাসে করে সোনারগাঁয়ে নেমে, সেখান থেকে রিকশা বা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পানাম নগর যাওয়া যায়।
লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর
লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর আর বড় সরদারবাড়ি একই কমপ্লেক্সে অবস্থিত।
লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরে আছে গ্রামবাংলার লোক ও কারুশিল্পের প্রাচীন নিদর্শন। দেখা যাবে বাংলার প্রাচীন সুলতানদের ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র, তৈজসপত্র, পোশাক, বর্ম, অলংকার, প্রাচীন মুদ্রা, জামদানি, নকশিকাঁথা ইত্যাদি।
জাদুঘরে যাওয়ার আগে হাতের বাঁ দিকে যে ভবন, সেটিই বড় সরদারবাড়ি। অনেকের কাছে দোতলা এ ভবনটি গোপীনাথ সাহা সরদারবাড়ি নামেও পরিচিত। বাড়িটির সামনে ও পেছনে আছে চমৎকার দুটি দিঘি। এর পাশেই চোখে পড়বে তলোয়ার হাতে ঘোড়ার পিঠে দুই সৈনিকের মূর্তি। সরদারবাড়ির নিচতলায় রয়েছে ৪৭ ও দোতলায় ৩৭টি কক্ষ। এগুলো এখন জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
জাদুঘর কমপ্লেক্সে আছে হ্রদ, বাগান, কারুপল্লি ও একটি লাইব্রেরি।
টিকিট ও অন্যান্য
লোকশিল্প জাদুঘর এবং আশপাশে ভ্রমণের জন্য টিকিট ৫০ টাকা। তবে বড় সরদারবাড়িসহ জাদুঘর দেখার টিকিটের দাম ১০০ টাকা। শিক্ষার্থীদের টিকিট ৩০ টাকা। দুই জায়গার দুই টিকিট। ফলে কোনো টিকিট ফেলবেন না। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে জাদুঘর। বৃহস্পতিবার বন্ধ। এখানকার কারুপল্লি থেকে জামদানি শাড়ি ও অন্যান্য স্মারক কেনা যায়।
বাংলার তাজমহল
আগ্রার তাজমহল দেখার সুযোগ সবার হয় না। কিন্তু তাজমহলের রেপ্লিকা দেখার সুযোগ আছে দেশে। নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ের অন্তর্গত জামপুর ইউনিয়নের পেরাব গ্রামে নির্মিত হয়েছে বাংলার তাজমহল। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে এটি উন্মুক্ত করা হয়। এর ভেতরে আছে আহসানউল্লাহ মনি ও তাঁর স্ত্রী রাজিয়ার সমাধি। চার কোণে চারটি বড় মিনার, মাঝখানে মূল ভবন সম্পূর্ণ টাইলস করা। সামনে আছে পানির ফোয়ারা, ফুলের বাগান এবং বসার জায়গা।
যাতায়াত ও টিকিট
ঢাকা থেকে গেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জের বরপা বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাংলার তাজমহলে যাওয়া যাবে। পানাম নগর থেকেও তাজমহল দেখতে যাওয়া যাবে। এতে সিএনজিচালিত ভাড়া বেশি পড়বে।
টিকিটের দাম ১৫০ টাকা। এক টিকিটে পিরামিডও দেখা যাবে। সপ্তাহে সাত দিনই এটি খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
খাবারদাবার: প্রতিটি দর্শনীয় জায়গার আশপাশে অসংখ্য খাবারের দোকান আছে। দেখেশুনে সেগুলোতে খেতে পারেন।
সতর্কতা: ভ্রমণের জায়গাগুলো নোংরা করবেন না। ডাস্টবিনে চিপস, চানাচুরের প্যাকেট ও কোমল পানীয়ের বোতল ফেলুন।
পানাম নগর
পানাম নগর বা পানাম সিটি আমাদের দেশে হারানো নগরী হিসেবে সুপরিচিত। বাংলার প্রাচীনতম এ শহর ওয়ার্ল্ড মনুমেন্ট ফান্ডের তালিকায় পৃথিবীর ১০০টি ধ্বংসপ্রায় ঐতিহাসিক শহরের একটি। এখানে একসময় ছিল মসলিনের জমজমাট ব্যবসা। ইংরেজ আমলে এখানকার কাপড়ের ব্যবসায় ধস নামে। গড়ে ওঠে নীলের ব্যবসা। ২০০৩ সালে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে পানাম নগরকে গেজেটভুক্ত করে সরকার।
পানাম নগরে প্রায় ৫ মিটার প্রশস্ত ও ৬০০ মিটার দীর্ঘ একটি সড়কের দুপাশে দুই ও তিনতলাবিশিষ্ট ৫২টি সুরম্য ভবন আছে। এসব বাড়ির স্থাপত্যে ইউরোপীয় শিল্পরীতির সঙ্গে মোগল আমলের শিল্পরীতির মিশ্রণ রয়েছে। বাড়িগুলোর ইটের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে ঢালাই লোহার তৈরি ব্র্যাকেট ভেন্টিলেটর ও জানালার গ্রিল। মেঝেতে রয়েছে লাল, সাদা, কালো মোজাইকের কারুকাজ। অধিকাংশ বাড়িতে খিলান, ছাদে ও মধ্যবর্তী স্থানে রয়েছে নীল ও সাদা মোজাইকের কাজ। প্রতিটি বাড়িতেই আছে কূপ।
টিকিট
দেশি পর্যটকদের জন্য টিকিটের দাম ২০ আর সার্কভুক্ত দেশগুলোর জন্য ১০০ টাকা। অন্যান্য দেশের জন্য টিকিটের দাম ৩০০ টাকা। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। রোববার সাপ্তাহিক ছুটি। সোমবার বেলা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে পানাম সিটি।
যাতায়াত
ঢাকার গুলিস্তান থেকে বোরাক, দোয়েল ইত্যাদি বাসে করে সোনারগাঁয়ে নেমে, সেখান থেকে রিকশা বা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পানাম নগর যাওয়া যায়।
লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর
লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর আর বড় সরদারবাড়ি একই কমপ্লেক্সে অবস্থিত।
লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরে আছে গ্রামবাংলার লোক ও কারুশিল্পের প্রাচীন নিদর্শন। দেখা যাবে বাংলার প্রাচীন সুলতানদের ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র, তৈজসপত্র, পোশাক, বর্ম, অলংকার, প্রাচীন মুদ্রা, জামদানি, নকশিকাঁথা ইত্যাদি।
জাদুঘরে যাওয়ার আগে হাতের বাঁ দিকে যে ভবন, সেটিই বড় সরদারবাড়ি। অনেকের কাছে দোতলা এ ভবনটি গোপীনাথ সাহা সরদারবাড়ি নামেও পরিচিত। বাড়িটির সামনে ও পেছনে আছে চমৎকার দুটি দিঘি। এর পাশেই চোখে পড়বে তলোয়ার হাতে ঘোড়ার পিঠে দুই সৈনিকের মূর্তি। সরদারবাড়ির নিচতলায় রয়েছে ৪৭ ও দোতলায় ৩৭টি কক্ষ। এগুলো এখন জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
জাদুঘর কমপ্লেক্সে আছে হ্রদ, বাগান, কারুপল্লি ও একটি লাইব্রেরি।
টিকিট ও অন্যান্য
লোকশিল্প জাদুঘর এবং আশপাশে ভ্রমণের জন্য টিকিট ৫০ টাকা। তবে বড় সরদারবাড়িসহ জাদুঘর দেখার টিকিটের দাম ১০০ টাকা। শিক্ষার্থীদের টিকিট ৩০ টাকা। দুই জায়গার দুই টিকিট। ফলে কোনো টিকিট ফেলবেন না। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে জাদুঘর। বৃহস্পতিবার বন্ধ। এখানকার কারুপল্লি থেকে জামদানি শাড়ি ও অন্যান্য স্মারক কেনা যায়।
বাংলার তাজমহল
আগ্রার তাজমহল দেখার সুযোগ সবার হয় না। কিন্তু তাজমহলের রেপ্লিকা দেখার সুযোগ আছে দেশে। নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ের অন্তর্গত জামপুর ইউনিয়নের পেরাব গ্রামে নির্মিত হয়েছে বাংলার তাজমহল। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে এটি উন্মুক্ত করা হয়। এর ভেতরে আছে আহসানউল্লাহ মনি ও তাঁর স্ত্রী রাজিয়ার সমাধি। চার কোণে চারটি বড় মিনার, মাঝখানে মূল ভবন সম্পূর্ণ টাইলস করা। সামনে আছে পানির ফোয়ারা, ফুলের বাগান এবং বসার জায়গা।
যাতায়াত ও টিকিট
ঢাকা থেকে গেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জের বরপা বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাংলার তাজমহলে যাওয়া যাবে। পানাম নগর থেকেও তাজমহল দেখতে যাওয়া যাবে। এতে সিএনজিচালিত ভাড়া বেশি পড়বে।
টিকিটের দাম ১৫০ টাকা। এক টিকিটে পিরামিডও দেখা যাবে। সপ্তাহে সাত দিনই এটি খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
খাবারদাবার: প্রতিটি দর্শনীয় জায়গার আশপাশে অসংখ্য খাবারের দোকান আছে। দেখেশুনে সেগুলোতে খেতে পারেন।
সতর্কতা: ভ্রমণের জায়গাগুলো নোংরা করবেন না। ডাস্টবিনে চিপস, চানাচুরের প্যাকেট ও কোমল পানীয়ের বোতল ফেলুন।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে