নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা এখন বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় বিশাল উৎপাদন সক্ষমতার বিদ্যুতের ব্যবহার নিশ্চিত করতে না পারার কারণে সেগুলোর খরচ নির্বাহ করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনটিই মনে করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
সিপিডির মতে, ২০১৮ অর্থবছরে পিডিবির লোকসান ছিল ৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ২০২১–২২ অর্থবছরে এই লোকসান দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা। পিডিবির এই লোকসানের অন্যতম বড় কারণ হচ্ছে ক্যাপাসিটি চার্জ পেমেন্ট। ৪০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বসিয়ে রেখে সরকার ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে বলে সিপিডির গবেষণায় উঠে এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সিপিডি আয়োজিত ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে প্রস্তাবিত পদক্ষেপ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এই কথা বলেন সিপিডির রিসার্চ ডিরেক্টর ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
তিনি বলেন, ‘একদিকে ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি পণ্য আমদানি করতে পারছে না সরকার। জ্বালানি পণ্যের অভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকার কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। অন্যদিকে অলস বসিয়ে রেখে দিতে হচ্ছে বিশাল অঙ্কের ক্যাপাসিটি পেমেন্ট। দেশে বর্তমানে বিদ্যুতের যে বিশাল উৎপাদন সক্ষমতা আছে সেটা জ্বালানি খাতকে সামনের দিনগুলোতে আরও সমস্যায় ফেলবে।’
ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জানান, বর্তমানে অন–গ্রিড বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৪ হাজার ১৪৩ মেগাওয়াট। ২০২৬ সাল নাগাদ আরও ৬ হাজার ১৬৭ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। তিনি বলেন, ‘এত বিদ্যুৎ নিয়ে আমরা কী করব? আমাদের দেশের বিদ্যুতের যে চাহিদা প্রায় ১৫ হাজার মেগাওয়াট, সেটা চালাতে সরকারকে প্রতিবছর ১০ বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি আমদানি করতে হবে। প্রতি মাসে খরচ করতে হবে ৮৩৩ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার বিবেচনায় আমরা এই পরিমাণ জ্বালানি আমদানি করার সক্ষমতায় আছি কি না?’
এই গবেষক আরও বলেন, ‘এত বিশাল উৎপাদন সক্ষমতার বিদ্যুতের ব্যবহার যদি নিশ্চিত করতে না পারি তাহলে আমদের জন্য এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালানোর জন্য যে জ্বালানি দরকার সেটা আমদানি করার সক্ষমতা সামনের দিনগুলোতে থাকবে না। যেটা এখনো নেই।’
সরকারের হাতে টাকা না তাকায় এখন আগের বছরের ক্যাপাসিটি পেমেন্ট পরের বছরে দিতে বাধ্য হচ্ছে এবং অতিরিক্ত ক্যাপাসিটি পেমেন্টের কারণে সরকারকে বিশাল অঙ্কের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে উল্লেখ করে ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে লোকসান নিরসনে যে হারে সরকার থেকে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে তার প্রায় সম হারে বাড়ছে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট। মূলত ক্যাপাসিটি পেমেন্ট দিতে সরকার বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি নিতে বাধ্য হচ্ছে।’
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) আয় ব্যয়ের হিসাবের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সিপিডির রিসার্চ ডিরেক্টর বলেন, ‘বিপিসি একদিকে দেখাচ্ছে লোকসান করেছে আবার অন্যদিকে সরকারকে প্রচুর টাকা দিচ্ছে। একই সঙ্গে বিপিসির বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে। এই বিষয়গুলো আমাদের কাছে পরিষ্কার না।’
সর্বশেষ বিপিসি যখন জ্বালানি পণ্যের দাম বাড়িয়েছে তখন থেকে তারা বিশাল অঙ্কের লাভ করছে উল্লেখ করেন ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। জ্বালানি খাতে এখন যে সমস্যা আছে সেটা নিরসনে আইএমএফের শর্ত পর্যাপ্ত না বলে মনে করেন তিনি।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেছেন, ‘জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিপিসির এখন আর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) যাওয়া লাগছে না। আইন পরিবর্তন করে বিপিসিকে ব্যবসায়ী বানানো হয়েছে। ব্যবসায়ী নিজেই তার পণ্যের দাম নির্ধারণ করে। একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে, মনোপলি প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে। যা দাম নির্ধারণ করেছে, সে দামে আমাদের কিনতে হবে।’
সিপিডির অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইজাজ হোসেন, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক খসরু মো. সেলিম, ব্যবসায়ী নেতা মোস্তফা আজিজ চৌধুরী আলোচনায় অংশ নেন।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা এখন বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় বিশাল উৎপাদন সক্ষমতার বিদ্যুতের ব্যবহার নিশ্চিত করতে না পারার কারণে সেগুলোর খরচ নির্বাহ করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনটিই মনে করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
সিপিডির মতে, ২০১৮ অর্থবছরে পিডিবির লোকসান ছিল ৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ২০২১–২২ অর্থবছরে এই লোকসান দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা। পিডিবির এই লোকসানের অন্যতম বড় কারণ হচ্ছে ক্যাপাসিটি চার্জ পেমেন্ট। ৪০ শতাংশের বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বসিয়ে রেখে সরকার ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে বলে সিপিডির গবেষণায় উঠে এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সিপিডি আয়োজিত ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে প্রস্তাবিত পদক্ষেপ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এই কথা বলেন সিপিডির রিসার্চ ডিরেক্টর ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
তিনি বলেন, ‘একদিকে ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি পণ্য আমদানি করতে পারছে না সরকার। জ্বালানি পণ্যের অভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকার কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। অন্যদিকে অলস বসিয়ে রেখে দিতে হচ্ছে বিশাল অঙ্কের ক্যাপাসিটি পেমেন্ট। দেশে বর্তমানে বিদ্যুতের যে বিশাল উৎপাদন সক্ষমতা আছে সেটা জ্বালানি খাতকে সামনের দিনগুলোতে আরও সমস্যায় ফেলবে।’
ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জানান, বর্তমানে অন–গ্রিড বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৪ হাজার ১৪৩ মেগাওয়াট। ২০২৬ সাল নাগাদ আরও ৬ হাজার ১৬৭ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। তিনি বলেন, ‘এত বিদ্যুৎ নিয়ে আমরা কী করব? আমাদের দেশের বিদ্যুতের যে চাহিদা প্রায় ১৫ হাজার মেগাওয়াট, সেটা চালাতে সরকারকে প্রতিবছর ১০ বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি আমদানি করতে হবে। প্রতি মাসে খরচ করতে হবে ৮৩৩ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার বিবেচনায় আমরা এই পরিমাণ জ্বালানি আমদানি করার সক্ষমতায় আছি কি না?’
এই গবেষক আরও বলেন, ‘এত বিশাল উৎপাদন সক্ষমতার বিদ্যুতের ব্যবহার যদি নিশ্চিত করতে না পারি তাহলে আমদের জন্য এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালানোর জন্য যে জ্বালানি দরকার সেটা আমদানি করার সক্ষমতা সামনের দিনগুলোতে থাকবে না। যেটা এখনো নেই।’
সরকারের হাতে টাকা না তাকায় এখন আগের বছরের ক্যাপাসিটি পেমেন্ট পরের বছরে দিতে বাধ্য হচ্ছে এবং অতিরিক্ত ক্যাপাসিটি পেমেন্টের কারণে সরকারকে বিশাল অঙ্কের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে উল্লেখ করে ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে লোকসান নিরসনে যে হারে সরকার থেকে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে তার প্রায় সম হারে বাড়ছে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট। মূলত ক্যাপাসিটি পেমেন্ট দিতে সরকার বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি নিতে বাধ্য হচ্ছে।’
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) আয় ব্যয়ের হিসাবের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সিপিডির রিসার্চ ডিরেক্টর বলেন, ‘বিপিসি একদিকে দেখাচ্ছে লোকসান করেছে আবার অন্যদিকে সরকারকে প্রচুর টাকা দিচ্ছে। একই সঙ্গে বিপিসির বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে। এই বিষয়গুলো আমাদের কাছে পরিষ্কার না।’
সর্বশেষ বিপিসি যখন জ্বালানি পণ্যের দাম বাড়িয়েছে তখন থেকে তারা বিশাল অঙ্কের লাভ করছে উল্লেখ করেন ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। জ্বালানি খাতে এখন যে সমস্যা আছে সেটা নিরসনে আইএমএফের শর্ত পর্যাপ্ত না বলে মনে করেন তিনি।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেছেন, ‘জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিপিসির এখন আর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) যাওয়া লাগছে না। আইন পরিবর্তন করে বিপিসিকে ব্যবসায়ী বানানো হয়েছে। ব্যবসায়ী নিজেই তার পণ্যের দাম নির্ধারণ করে। একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে, মনোপলি প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে। যা দাম নির্ধারণ করেছে, সে দামে আমাদের কিনতে হবে।’
সিপিডির অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইজাজ হোসেন, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক খসরু মো. সেলিম, ব্যবসায়ী নেতা মোস্তফা আজিজ চৌধুরী আলোচনায় অংশ নেন।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
৫ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
৫ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশনে আড়াই মাসের শূন্যতা কাটল অবশেষে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৬ ঘণ্টা আগে