নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজন আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার শ্রম আদালত-৩-এ এই দাবি করেন তাঁরা। পরে বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা ১৬ নভেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য করেন।
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ড. ইউনূসসহ চারজন লিখিতভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
এর আগে ৬ নভেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন এই আদালত। তাঁদের বিরুদ্ধে চারজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। ড. ইউনূসসহ চারজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে শুনানির সময় আদালতে চারজনের কেউই কথা বলেননি। শুধু নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতে লিখিত বক্তব্য দাখিল করেন।
তাঁদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। অন্যদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।
গত ৬ জুন এই মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনকে চ্যালেঞ্জ করে ড. ইউনূসের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন জানালে হাইকোর্ট ওই আবেদন খারিজ করেন। পরে আপিল বিভাগও হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের নামে এ মামলা করেন।
অভিযোগ গঠনের পর এই মামলা বাতিলের জন্য ড. ইউনূস হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট ওই আবেদন খারিজ করার পর আপিল বিভাগে গেলেও হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল থাকে। পরে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আত্মপক্ষ সমর্থনে ২৮ পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়া হয়।
ইউনূস ছাড়াও এ মামলার অপর তিন আসামি হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
লিখিত বক্তব্যে যা বলা হয়েছে
লিখিত বক্তব্যে ড. ইউনূসসহ চারজন বলেছেন, তাঁরা কোনো অপরাধ করেননি এবং তাঁরা সম্পূর্ণ নির্দোষ। দেশে গ্রামীণ ব্যাংকসহ ৫০টির অধিক সামাজিক প্রতিষ্ঠান ড. ইউনূস গড়ে তুলেছেন। কোনো কোম্পানিতে তাঁর নিজস্ব কোনো শেয়ার নেই। সুতরাং, কোনো লভ্যাংশ বা লাভের টাকা কারও পকেটে ঢোকে না।
ড. ইউনূস যখনই দেশের গরিবদের একটা সামাজিক সমস্যা দেখেছেন, সেটার মাধ্যমেই একটা বিজনেস মডেল বানিয়ে দিয়েছেন। শিক্ষা সমস্যার জন্য বানিয়েছেন গ্রামীণ শিক্ষা, স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য বানিয়েছেন গ্রামীণ কল্যাণ। এমন ব্যবসার ধারণা বা মডেল তৈরির জন্য যথেষ্ট সময় দেন, কিন্তু মালিকানায় কখনো নিজেকে জড়াননি। দেশে-বিদেশে কোথাও নিজের নামে কোনো জায়গা-জমি ও গাড়ি-বাড়ি নেই ইউনূসের।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেখান যিনি এতগুলো ইম্প্যাক্ট তৈরি করেছেন। এতগুলো বিদেশি ব্র্যান্ড কোম্পানিকে জয়েন্ট ভেঞ্চারে বাংলাদেশে এনেছেন। এত এত মানবসম্পদ তৈরি করেছেন।’
কোম্পানি আইনসহ বিভিন্ন আইনের ব্যাখ্যাসহ এই মামলাটি কেন চলতে পারে না, তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয় বক্তব্যে। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ড. ইউনূসসহ চারজনকেই খালাস দেওয়া হোক।
ভুল আর অপরাধ এক নয়
শুনানি শেষে আদালত থেকে বেরিয়ে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করিনি।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তো নিজে এই প্রতিষ্ঠানের মালিক নই। আমার আদর্শ কর্মসূচিতে কোনো ত্রুটি ছিল না। এত বড় কাজ করতে গেলে কিছু ভুল হতে পারে। আমরা তো ফেরেশতা নই। কিন্তু ভুল হলে তা ইচ্ছাকৃত নয়।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘ভুল’ আর ‘অপরাধ’ এক নয়। তিনি আবারও বলেন, কোনো অপরাধ তিনি করেননি।
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজন আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার শ্রম আদালত-৩-এ এই দাবি করেন তাঁরা। পরে বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা ১৬ নভেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য করেন।
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ড. ইউনূসসহ চারজন লিখিতভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
এর আগে ৬ নভেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন এই আদালত। তাঁদের বিরুদ্ধে চারজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। ড. ইউনূসসহ চারজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে শুনানির সময় আদালতে চারজনের কেউই কথা বলেননি। শুধু নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতে লিখিত বক্তব্য দাখিল করেন।
তাঁদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। অন্যদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।
গত ৬ জুন এই মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনকে চ্যালেঞ্জ করে ড. ইউনূসের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন জানালে হাইকোর্ট ওই আবেদন খারিজ করেন। পরে আপিল বিভাগও হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের নামে এ মামলা করেন।
অভিযোগ গঠনের পর এই মামলা বাতিলের জন্য ড. ইউনূস হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট ওই আবেদন খারিজ করার পর আপিল বিভাগে গেলেও হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল থাকে। পরে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আত্মপক্ষ সমর্থনে ২৮ পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়া হয়।
ইউনূস ছাড়াও এ মামলার অপর তিন আসামি হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
লিখিত বক্তব্যে যা বলা হয়েছে
লিখিত বক্তব্যে ড. ইউনূসসহ চারজন বলেছেন, তাঁরা কোনো অপরাধ করেননি এবং তাঁরা সম্পূর্ণ নির্দোষ। দেশে গ্রামীণ ব্যাংকসহ ৫০টির অধিক সামাজিক প্রতিষ্ঠান ড. ইউনূস গড়ে তুলেছেন। কোনো কোম্পানিতে তাঁর নিজস্ব কোনো শেয়ার নেই। সুতরাং, কোনো লভ্যাংশ বা লাভের টাকা কারও পকেটে ঢোকে না।
ড. ইউনূস যখনই দেশের গরিবদের একটা সামাজিক সমস্যা দেখেছেন, সেটার মাধ্যমেই একটা বিজনেস মডেল বানিয়ে দিয়েছেন। শিক্ষা সমস্যার জন্য বানিয়েছেন গ্রামীণ শিক্ষা, স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য বানিয়েছেন গ্রামীণ কল্যাণ। এমন ব্যবসার ধারণা বা মডেল তৈরির জন্য যথেষ্ট সময় দেন, কিন্তু মালিকানায় কখনো নিজেকে জড়াননি। দেশে-বিদেশে কোথাও নিজের নামে কোনো জায়গা-জমি ও গাড়ি-বাড়ি নেই ইউনূসের।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেখান যিনি এতগুলো ইম্প্যাক্ট তৈরি করেছেন। এতগুলো বিদেশি ব্র্যান্ড কোম্পানিকে জয়েন্ট ভেঞ্চারে বাংলাদেশে এনেছেন। এত এত মানবসম্পদ তৈরি করেছেন।’
কোম্পানি আইনসহ বিভিন্ন আইনের ব্যাখ্যাসহ এই মামলাটি কেন চলতে পারে না, তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয় বক্তব্যে। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ড. ইউনূসসহ চারজনকেই খালাস দেওয়া হোক।
ভুল আর অপরাধ এক নয়
শুনানি শেষে আদালত থেকে বেরিয়ে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করিনি।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তো নিজে এই প্রতিষ্ঠানের মালিক নই। আমার আদর্শ কর্মসূচিতে কোনো ত্রুটি ছিল না। এত বড় কাজ করতে গেলে কিছু ভুল হতে পারে। আমরা তো ফেরেশতা নই। কিন্তু ভুল হলে তা ইচ্ছাকৃত নয়।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘ভুল’ আর ‘অপরাধ’ এক নয়। তিনি আবারও বলেন, কোনো অপরাধ তিনি করেননি।
রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ২০১৩ সালে ৫০টি ‘আর্টিকুলেটেড’ বাস কিনেছিল। বলা হয়েছিল, ভারতীয় ঋণের আওতায় কেনা এ বাসগুলো ঢাকার গণপরিবহনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। কিন্তু মাত্র সাত বছরের মধ্যেই ৪৩টি বাস অকেজো হয়ে পড়ে, যা অনেককে মনে করিয়ে দিতে পারে আড়াই দশক আগে সুইডেন থেকে কেনা বিশ
২৬ মিনিট আগেবাংলাদেশের জেলেরা যখন সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ রাখেন, তখন প্রতিবেশী দেশের জেলেরা ঠিকই মাছ ধরেন। শুধু তা-ই নয়, ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের সীমানায় অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরে নিয়ে যান এ সময়। এতে তাঁরা লাভবান হলেও দেশের জেলেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরায় বিধিনিষেধ কমানোর উদ
২ ঘণ্টা আগেআমরা সক্রেটিস (অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক) পেয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে প্লেটো পাইনি; যিনি পরবর্তী প্রজন্মের কাছে সক্রেটিসের কথা পৌঁছাবেন। জ্ঞানতাপসের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এই খেদোক্তি শোনা গেল বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহানের কণ্ঠে।
২ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ‘অস্বাভাবিক অবস্থার’ ভেতর দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক। বাংলাদেশ সামনে রেখেছে শেখ হাসিনা ইস্যুটি। আর ভারত কথা বলে যাচ্ছে এ দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে। উভয় পক্ষের এ টানাটানির মধ্যে মাঠেও ঘটে নানা ঘটনা।
৩ ঘণ্টা আগে