সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ‘অস্বাভাবিক অবস্থার’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক। বাংলাদেশ সামনে রেখেছে শেখ হাসিনা ইস্যুটি। আর ভারত কথা বলে যাচ্ছে এ দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে। উভয় পক্ষের এই টানাটানির মধ্যে মাঠেও ঘটে নানা ঘটনা। এসব ঘটনায় নানামুখী প্রতিক্রিয়া ও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বিভিন্ন মহল।
এসবের মধ্যেই ৫ আগস্টের পর প্রথমবারের মতো দুই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকটি (ফরেন অফিস কনসালটেশন্স-এফওসি) আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় করার জন্য প্রস্তাব গেছে দিল্লিতে। ভারতীয় একটি সূত্র বলেছে, দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সরকার ও সরকারের বাইরের কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সংখ্যালঘু ইস্যুসহ খুব স্পর্শকাতর বিভিন্ন বিষয় চলে আসায় এখন অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দুই দেশের সম্পর্ক। অন্যদিকে দুই দেশের মানুষের এমন অনেক ইস্যু আছে, যেগুলো ফেলে রাখার সুযোগ নেই। এমন অবস্থায় ভালো প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ করার সুযোগ আছে।
পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন এফওসিতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন। এফওসিতে ভারতের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
জানতে চাইলে গত বৃহস্পতিবার জসীম উদ্দিন আজকের পত্রিকা’কে বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের দিকটি ঠিক রেখে আস্থার জায়গা তৈরির চেষ্টা শুরু করলে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার পথ খুলতে পারে।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবির মনে করেন, এফওসি একটি নিয়মিত বিষয় হলেও ভারতের সঙ্গে এবারের এফওসির আলাদা তাৎপর্য আছে। বর্তমান অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল করার জন্য বৈঠকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ নেই বললেই চলে—এমন মন্তব্য করে হুমায়ুন কবির বলেন, ভারতকে মনে রাখতে হবে, দুই দেশের সম্পর্ক পরস্পর নির্ভরশীল। এই সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে হবে।
সম্পর্ক স্থিতিশীল করার উদ্যোগ ভারতের দিক থেকেই আসতে হবে, এমনটা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে ভারতবিরোধী প্রচারণা চালানো হয় না। এখানে সরকার ও সরকারের বাইরের রাজনৈতিক নেতারা সংযত আছেন। অন্যদিকে ভারতে সরকার, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সমন্বিত প্রচারণা চলছে। এমন অবস্থায় ভারত যদি সদিচ্ছা দেখিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে বাংলাদেশ তাতে অনুকূল সাড়া দিতে পারে।
ভারত কীভাবে সদিচ্ছা দেখাতে পারে—এমন প্রশ্নে হুমায়ুন কবির বলেন, ভারতকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচার বন্ধ করতে হবে। আর তৃতীয় অনেক দেশের ভিসার জন্য বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীকে দিল্লি যেতে হয়। গত ১৫ বছর ভারত সহজে ভিসা দিত। গত আগস্ট থেকে ভিসা খুব সীমিত করা হয়েছে। ভিসা সহজ করা ভারতের সদিচ্ছার প্রথম ধাপ হতে পারে।
কূটনীতিকেরা বলছেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে এখন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। এর বাইরে সীমান্তের নানা ইস্যু, গঙ্গা চুক্তি নবায়নসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনের মতো নিয়মিত অনেক বিষয় ঝুলে আছে। এতে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সম্পর্কের অস্থিরতা কাটিয়ে উভয় সরকারকে বাস্তব বিভিন্ন বিষয়ে আবার আলোচনার ধারায় ফিরতে হবে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনাকে বাংলাদেশ কোনোক্রমেই বাড়তে দিতে চায় না। তাদের সুরক্ষার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে, বিষয়টি ভারতের কাছে এবারের বৈঠকে আবার তুলে ধরা হবে।
বাংলাদেশে হিন্দুধর্মের কিছু মানুষের বাড়ি, ব্যবসার স্থান ও উপাসনালয়ে হামলার অভিযোগে ভারত সরকার এরই মধ্যে কয়েক দফা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। একই ধর্মাবলম্বী একটি গোষ্ঠীর মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তারের পর উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এই উত্তেজনার মধ্যে চট্টগ্রামে মঙ্গলবার খুন হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। চিন্ময়ের উগ্রপন্থী সমর্থকদের হাতে খুন হন আলিফ, পুলিশের কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়ার পর সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো পরিস্থিতি শান্ত রাখতে তৎপর হয়।
চিন্ময় ইস্যুটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এমনটা উল্লেখ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন বিষয়ে দিল্লির সরকারি প্রতিক্রিয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছে।
গত বৃহস্পতি ও গতকাল শুক্রবার পরপর দুই দিন ভারতের পার্লামেন্টে প্রশ্নোত্তর পর্বে তোলা হয় বাংলাদেশের হিন্দু প্রসঙ্গটি। বৃহস্পতিবার কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে ভারতের শাসকদল বিজেপি-সমর্থিত স্থানীয় একটি গোষ্ঠী। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিশনের সামনে চলে আসে। পোড়ানো হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে উপ-হাইকমিশনের সামনের এ ঘটনাকে ‘সহিংস’ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে। এতে কলকাতাসহ ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের সব মিশন, কূটনীতিক ও মিশনগুলোর কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশটির সরকারকে অনুরোধ করা হয়।
ভারতের মুখপাত্র যা বললেন
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল নয়াদিল্লিতে গতকাল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন, বাংলাদেশে সহিংসতা ও উসকানির ঘটনা বাড়ছে। এটাকে গণমাধ্যমের বাড়াবাড়ি বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ন্যায়বিচার পাবে, এমন আশা প্রকাশ করেন রণধীর।
ইসকন নিষিদ্ধের দাবি উঠছে বাংলাদেশে, এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, সামাজিক সেবামূলক সংগঠন হিসেবে ইসকনের বিশ্বব্যাপী সুনাম আছে। ভারত সরকার সেভাবেই তাদের দেখে।
দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের সম্ভাবনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, যখন এটা হবে, জানানো হবে।
আরও খবর পড়ুন:
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ‘অস্বাভাবিক অবস্থার’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক। বাংলাদেশ সামনে রেখেছে শেখ হাসিনা ইস্যুটি। আর ভারত কথা বলে যাচ্ছে এ দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে। উভয় পক্ষের এই টানাটানির মধ্যে মাঠেও ঘটে নানা ঘটনা। এসব ঘটনায় নানামুখী প্রতিক্রিয়া ও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বিভিন্ন মহল।
এসবের মধ্যেই ৫ আগস্টের পর প্রথমবারের মতো দুই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকটি (ফরেন অফিস কনসালটেশন্স-এফওসি) আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় করার জন্য প্রস্তাব গেছে দিল্লিতে। ভারতীয় একটি সূত্র বলেছে, দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সরকার ও সরকারের বাইরের কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সংখ্যালঘু ইস্যুসহ খুব স্পর্শকাতর বিভিন্ন বিষয় চলে আসায় এখন অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দুই দেশের সম্পর্ক। অন্যদিকে দুই দেশের মানুষের এমন অনেক ইস্যু আছে, যেগুলো ফেলে রাখার সুযোগ নেই। এমন অবস্থায় ভালো প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ করার সুযোগ আছে।
পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন এফওসিতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন। এফওসিতে ভারতের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
জানতে চাইলে গত বৃহস্পতিবার জসীম উদ্দিন আজকের পত্রিকা’কে বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের দিকটি ঠিক রেখে আস্থার জায়গা তৈরির চেষ্টা শুরু করলে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার পথ খুলতে পারে।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবির মনে করেন, এফওসি একটি নিয়মিত বিষয় হলেও ভারতের সঙ্গে এবারের এফওসির আলাদা তাৎপর্য আছে। বর্তমান অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল করার জন্য বৈঠকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ নেই বললেই চলে—এমন মন্তব্য করে হুমায়ুন কবির বলেন, ভারতকে মনে রাখতে হবে, দুই দেশের সম্পর্ক পরস্পর নির্ভরশীল। এই সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে হবে।
সম্পর্ক স্থিতিশীল করার উদ্যোগ ভারতের দিক থেকেই আসতে হবে, এমনটা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে ভারতবিরোধী প্রচারণা চালানো হয় না। এখানে সরকার ও সরকারের বাইরের রাজনৈতিক নেতারা সংযত আছেন। অন্যদিকে ভারতে সরকার, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সমন্বিত প্রচারণা চলছে। এমন অবস্থায় ভারত যদি সদিচ্ছা দেখিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে বাংলাদেশ তাতে অনুকূল সাড়া দিতে পারে।
ভারত কীভাবে সদিচ্ছা দেখাতে পারে—এমন প্রশ্নে হুমায়ুন কবির বলেন, ভারতকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচার বন্ধ করতে হবে। আর তৃতীয় অনেক দেশের ভিসার জন্য বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীকে দিল্লি যেতে হয়। গত ১৫ বছর ভারত সহজে ভিসা দিত। গত আগস্ট থেকে ভিসা খুব সীমিত করা হয়েছে। ভিসা সহজ করা ভারতের সদিচ্ছার প্রথম ধাপ হতে পারে।
কূটনীতিকেরা বলছেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে এখন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। এর বাইরে সীমান্তের নানা ইস্যু, গঙ্গা চুক্তি নবায়নসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনের মতো নিয়মিত অনেক বিষয় ঝুলে আছে। এতে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সম্পর্কের অস্থিরতা কাটিয়ে উভয় সরকারকে বাস্তব বিভিন্ন বিষয়ে আবার আলোচনার ধারায় ফিরতে হবে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনাকে বাংলাদেশ কোনোক্রমেই বাড়তে দিতে চায় না। তাদের সুরক্ষার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে, বিষয়টি ভারতের কাছে এবারের বৈঠকে আবার তুলে ধরা হবে।
বাংলাদেশে হিন্দুধর্মের কিছু মানুষের বাড়ি, ব্যবসার স্থান ও উপাসনালয়ে হামলার অভিযোগে ভারত সরকার এরই মধ্যে কয়েক দফা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। একই ধর্মাবলম্বী একটি গোষ্ঠীর মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তারের পর উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এই উত্তেজনার মধ্যে চট্টগ্রামে মঙ্গলবার খুন হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। চিন্ময়ের উগ্রপন্থী সমর্থকদের হাতে খুন হন আলিফ, পুলিশের কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়ার পর সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো পরিস্থিতি শান্ত রাখতে তৎপর হয়।
চিন্ময় ইস্যুটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এমনটা উল্লেখ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমন বিষয়ে দিল্লির সরকারি প্রতিক্রিয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছে।
গত বৃহস্পতি ও গতকাল শুক্রবার পরপর দুই দিন ভারতের পার্লামেন্টে প্রশ্নোত্তর পর্বে তোলা হয় বাংলাদেশের হিন্দু প্রসঙ্গটি। বৃহস্পতিবার কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে ভারতের শাসকদল বিজেপি-সমর্থিত স্থানীয় একটি গোষ্ঠী। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিশনের সামনে চলে আসে। পোড়ানো হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে উপ-হাইকমিশনের সামনের এ ঘটনাকে ‘সহিংস’ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে। এতে কলকাতাসহ ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের সব মিশন, কূটনীতিক ও মিশনগুলোর কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশটির সরকারকে অনুরোধ করা হয়।
ভারতের মুখপাত্র যা বললেন
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল নয়াদিল্লিতে গতকাল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন, বাংলাদেশে সহিংসতা ও উসকানির ঘটনা বাড়ছে। এটাকে গণমাধ্যমের বাড়াবাড়ি বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ন্যায়বিচার পাবে, এমন আশা প্রকাশ করেন রণধীর।
ইসকন নিষিদ্ধের দাবি উঠছে বাংলাদেশে, এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, সামাজিক সেবামূলক সংগঠন হিসেবে ইসকনের বিশ্বব্যাপী সুনাম আছে। ভারত সরকার সেভাবেই তাদের দেখে।
দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের সম্ভাবনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, যখন এটা হবে, জানানো হবে।
আরও খবর পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার পর থেকে গুম, খুন ও নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত র্যাব বাহিনী ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। র্যাবের নতুন মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান স্বীকার করেছেন, র্যাবের অভ্যন্তরে আয়নাঘর (গোপন নির্যাতন কক্ষ) রয়েছে...
১ মিনিট আগে১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬৩ লাখই বেকার। আর এই বেকারদের ৮৭ শতাংশই শিক্ষিত বেকার। আর ২১ শতাংশ বেকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েও কোনো কাজে যুক্ত নন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপ-২০২৩-এ এই তথ্য উঠে এসেছে। জরিপের তথ্য বলছে, ১৫ থেকে
৩ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ ১৩ বছর পর পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ফি, দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ, বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সনদ, স্থায়ী আবাসিক সুবিধা, দত্তক সনদসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সেবার ফি বাড়াল সরকার। ফি বেড়েছে ২ থেকে ৫ গুণ পর্যন্ত। একই সঙ্গে বিদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান নিয়মিতকরণের ফি বাড়ানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেমহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে এই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর দোয়েল চত্বরে শিশু একাডেমির সভাকক্ষে বুধবার দিনব্যাপী কমিশনের দ্বিতীয় সভা হয়। এই সভায় কমিশনের কার্যক্রমের রূপকল্প নিয়ে কিছু..
১৩ ঘণ্টা আগে