নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদন বাড়লেও প্রাণীর চিকিৎসাসেবায় অগ্রগতি নেই। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে অধিকাংশ হাসপাতালই জীর্ণ। আধুনিক যন্ত্রপাতি, চিকিৎসক, ওষুধের সংকট তীব্র। ফলে প্রাণী হাসপাতাল থেকে তেমন সুফল পাচ্ছেন না গবাদিপশুর মালিক ও খামারিরা।
খামারিদের অভিযোগ, প্রাণী হাসপাতালে গবাদিপশুর চিকিৎসাসেবা নামে মাত্র। অনেক জেলা-উপজেলায় চিকিৎসকের দেখা মেলে না। অধিকাংশ প্রাণী হাসপাতালে গবাদিপশুর রোগ নির্ণয় করে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হলেও ওষুধ দেওয়া হয় না। জনবল ও ওষুধের সংকট থাকার কথা স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদার তুলনায় ওষুধ সরবরাহ কম থাকায় সবাইকে দেওয়া সম্ভব হয় না।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. আব্দুল আজিজ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের ৬৪ জেলায় প্রাণী হাসপাতাল আছে। উপজেলা পর্যায়েও চিকিৎসক আছেন। তবে জনবলের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তিনি বলেন, দেশের প্রাণী হাসপাতালগুলোতে জনবলকাঠামো অনুপাতে এক-তৃতীয়াংশ চিকিৎসক নেই। স্টাফ পর্যায়েও অর্ধেকের মতো পদ খালি। তিনি জানান, প্রয়োজনের তুলনায় ওষুধের বরাদ্দও অনেক কম।
চিকিৎসকের দেখা মেলে না
গবাদিপশুর স্বাস্থ্য নিয়ে খামারিরা আগের চেয়ে সচেতন হলেও প্রাণী হাসপাতালে গিয়ে তেমন সুফল পান না। জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার থুপসারা মহল্লার খামারি জাহাঙ্গীর আলম জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরসংলগ্ন মহল্লায় তাঁর বসবাস। তাঁর খামারে ২০টি গরু এবং শতাধিক হাঁস-মুরগি, কবুতর আছে। স্থানীয় প্রাণী হাসপাতালে গিয়ে ভালো সেবা পান না। চাহিদামতো ওষুধ পান না। গাভীর প্রজননের জন্য হাসপাতালে গিয়ে অধিকাংশ সময় প্রজনন কর্মকর্তার দেখা পাননি। জয়পুরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ডা. এস এম খুরসিদ আলম জানান, জনবলের অভাবে খামারিরা কাঙ্ক্ষিত ও দ্রুত সেবা পাচ্ছেন না।
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে সম্প্রতি এক দিন দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করেও সেবাপ্রার্থী কোনো খামারির দেখা মেলেনি। উপজেলার বলিপাড়ার খামারি বাবলু জানান, তিনি ভেটেরিনারি হাসপাতাল থেকে কখনো কোনো সহায়তা পাননি। গরুর কোনো সমস্যা হলে পরিচিত স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করান। খাগড়াছড়ি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জওহর লাল চাকমা বলেন, ‘জনবলসংকটে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। যে পরিমাণ ওষুধ পাই, দুই-চারটি পশুর চিকিৎসা দিলে আর থাকে না।’
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা এলাকার আলিমুজ্জামান বলেন, ঠিকমতো সেবা পাওয়া যায় না। প্রায়ই এসে শোনা যায়, কর্তব্যরত চিকিৎসক নেই।
বগুড়ার ধুনট উপজেলার খামারি শাহীন রেজা জানান, গত রোববার রুগ্ণ গরু নিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা বসে থেকেও চিকিৎসক পাননি। একপর্যায়ে অফিস চত্বরেই গরুটি মারা যায়। বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ধুনটে এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে। কারণ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ছয় মাস আগে বদলি হলেও সেখানে নতুন কাউকে পদায়ন করা হয়নি।
সেবা শুধু ব্যবস্থাপত্রে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের কৃষক আল আমিন বলেন, অসুস্থ গবাদিপশু নিয়ে হাসপাতালে গেলে একটি ব্যবস্থাপত্র দিয়েই বিদায় করা হয়। কোনো ওষুধ মেলে না।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে হোসেনপুর উপজেলার চরপুমদী এলাকার ইসমাইল গিয়েছিলেন বাছুর নিয়ে। তিনি বলেন, ‘আমার বাছুরটি দুই দিন যাবৎ খাওয়াদাওয়া করত না। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর বাছুরটির জ্বর মেপে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছে। এখন ওষুধ কিনে খাওয়াব।’
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ হাবিব বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের ওষুধের সংকট রয়েছে। আমরা চাইলেও উপযুক্ত সেবা দিতে পারছি না।’
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার রহিমা খাতুন গত রোববার দুটি ছাগলের চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন প্রাণী হাসপাতালে। তিনি বলেন, ‘ছাগল দুটি ঠিকমতো খায় না, তাই নিয়ে এসেছি। হাসপাতালের লোকেরা ওষুধ লিখে দিলে বাহির থেকে ২৬০ টাকায় কিনে আনতে হয়েছে।’
একই চিত্র দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাণী হাসপাতালেরও। পৌর এলাকার উত্তর সুজাপুরের আতিয়ার সরকার, ছামছুন্নাহারসহ কয়েকজন জানান, গরু-ছাগল নিয়ে হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্র লিখে দিয়ে বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে বলেন।
লালমনিরহাটে গবাদিপশু-পাখির রোগ নির্ণয়ের জন্য ল্যাব থাকলেও টেকনেশিয়ানের অভাবে কোনো কাজে আসছে না। দীর্ঘদিন ব্যবহার না করায় ল্যাবের যন্ত্রপাতি ও কিট নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি হাসপাতালে ৭০ শতাংশ জনবলের সংকট আছে। জেলা প্রাণী হাসপাতালে ভেটেরিনারি সার্জনের একটিসহ সাতটি পদে আছেন চারজন। অফিস সহকারীর সাতটি পদই শূন্য থাকায় একজন উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকেই কাজ চালাতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘সরকার ওষুধ, ভ্যাকসিন ও কৃমিনাশকের বরাদ্দ দেয়। কয়জন খামারি আজ পর্যন্ত এসব পেয়েছেন, আমার জানা নেই। খামারিরা বিপদের সময় সরকারি চিকিৎসককে ডেকেও পান না। দেশের পশু চিকিৎসার অগ্রগতি কেবল কাগজ-কলমে।’
[প্রতিবেদনের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন আজকের পত্রিকার সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিরা]

দেশে প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদন বাড়লেও প্রাণীর চিকিৎসাসেবায় অগ্রগতি নেই। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে অধিকাংশ হাসপাতালই জীর্ণ। আধুনিক যন্ত্রপাতি, চিকিৎসক, ওষুধের সংকট তীব্র। ফলে প্রাণী হাসপাতাল থেকে তেমন সুফল পাচ্ছেন না গবাদিপশুর মালিক ও খামারিরা।
খামারিদের অভিযোগ, প্রাণী হাসপাতালে গবাদিপশুর চিকিৎসাসেবা নামে মাত্র। অনেক জেলা-উপজেলায় চিকিৎসকের দেখা মেলে না। অধিকাংশ প্রাণী হাসপাতালে গবাদিপশুর রোগ নির্ণয় করে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হলেও ওষুধ দেওয়া হয় না। জনবল ও ওষুধের সংকট থাকার কথা স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদার তুলনায় ওষুধ সরবরাহ কম থাকায় সবাইকে দেওয়া সম্ভব হয় না।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. আব্দুল আজিজ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের ৬৪ জেলায় প্রাণী হাসপাতাল আছে। উপজেলা পর্যায়েও চিকিৎসক আছেন। তবে জনবলের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তিনি বলেন, দেশের প্রাণী হাসপাতালগুলোতে জনবলকাঠামো অনুপাতে এক-তৃতীয়াংশ চিকিৎসক নেই। স্টাফ পর্যায়েও অর্ধেকের মতো পদ খালি। তিনি জানান, প্রয়োজনের তুলনায় ওষুধের বরাদ্দও অনেক কম।
চিকিৎসকের দেখা মেলে না
গবাদিপশুর স্বাস্থ্য নিয়ে খামারিরা আগের চেয়ে সচেতন হলেও প্রাণী হাসপাতালে গিয়ে তেমন সুফল পান না। জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার থুপসারা মহল্লার খামারি জাহাঙ্গীর আলম জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরসংলগ্ন মহল্লায় তাঁর বসবাস। তাঁর খামারে ২০টি গরু এবং শতাধিক হাঁস-মুরগি, কবুতর আছে। স্থানীয় প্রাণী হাসপাতালে গিয়ে ভালো সেবা পান না। চাহিদামতো ওষুধ পান না। গাভীর প্রজননের জন্য হাসপাতালে গিয়ে অধিকাংশ সময় প্রজনন কর্মকর্তার দেখা পাননি। জয়পুরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ডা. এস এম খুরসিদ আলম জানান, জনবলের অভাবে খামারিরা কাঙ্ক্ষিত ও দ্রুত সেবা পাচ্ছেন না।
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে সম্প্রতি এক দিন দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করেও সেবাপ্রার্থী কোনো খামারির দেখা মেলেনি। উপজেলার বলিপাড়ার খামারি বাবলু জানান, তিনি ভেটেরিনারি হাসপাতাল থেকে কখনো কোনো সহায়তা পাননি। গরুর কোনো সমস্যা হলে পরিচিত স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করান। খাগড়াছড়ি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জওহর লাল চাকমা বলেন, ‘জনবলসংকটে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। যে পরিমাণ ওষুধ পাই, দুই-চারটি পশুর চিকিৎসা দিলে আর থাকে না।’
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা এলাকার আলিমুজ্জামান বলেন, ঠিকমতো সেবা পাওয়া যায় না। প্রায়ই এসে শোনা যায়, কর্তব্যরত চিকিৎসক নেই।
বগুড়ার ধুনট উপজেলার খামারি শাহীন রেজা জানান, গত রোববার রুগ্ণ গরু নিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা বসে থেকেও চিকিৎসক পাননি। একপর্যায়ে অফিস চত্বরেই গরুটি মারা যায়। বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ধুনটে এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে। কারণ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ছয় মাস আগে বদলি হলেও সেখানে নতুন কাউকে পদায়ন করা হয়নি।
সেবা শুধু ব্যবস্থাপত্রে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের কৃষক আল আমিন বলেন, অসুস্থ গবাদিপশু নিয়ে হাসপাতালে গেলে একটি ব্যবস্থাপত্র দিয়েই বিদায় করা হয়। কোনো ওষুধ মেলে না।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে হোসেনপুর উপজেলার চরপুমদী এলাকার ইসমাইল গিয়েছিলেন বাছুর নিয়ে। তিনি বলেন, ‘আমার বাছুরটি দুই দিন যাবৎ খাওয়াদাওয়া করত না। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর বাছুরটির জ্বর মেপে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছে। এখন ওষুধ কিনে খাওয়াব।’
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ হাবিব বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের ওষুধের সংকট রয়েছে। আমরা চাইলেও উপযুক্ত সেবা দিতে পারছি না।’
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার রহিমা খাতুন গত রোববার দুটি ছাগলের চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন প্রাণী হাসপাতালে। তিনি বলেন, ‘ছাগল দুটি ঠিকমতো খায় না, তাই নিয়ে এসেছি। হাসপাতালের লোকেরা ওষুধ লিখে দিলে বাহির থেকে ২৬০ টাকায় কিনে আনতে হয়েছে।’
একই চিত্র দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাণী হাসপাতালেরও। পৌর এলাকার উত্তর সুজাপুরের আতিয়ার সরকার, ছামছুন্নাহারসহ কয়েকজন জানান, গরু-ছাগল নিয়ে হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্র লিখে দিয়ে বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে বলেন।
লালমনিরহাটে গবাদিপশু-পাখির রোগ নির্ণয়ের জন্য ল্যাব থাকলেও টেকনেশিয়ানের অভাবে কোনো কাজে আসছে না। দীর্ঘদিন ব্যবহার না করায় ল্যাবের যন্ত্রপাতি ও কিট নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি হাসপাতালে ৭০ শতাংশ জনবলের সংকট আছে। জেলা প্রাণী হাসপাতালে ভেটেরিনারি সার্জনের একটিসহ সাতটি পদে আছেন চারজন। অফিস সহকারীর সাতটি পদই শূন্য থাকায় একজন উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকেই কাজ চালাতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘সরকার ওষুধ, ভ্যাকসিন ও কৃমিনাশকের বরাদ্দ দেয়। কয়জন খামারি আজ পর্যন্ত এসব পেয়েছেন, আমার জানা নেই। খামারিরা বিপদের সময় সরকারি চিকিৎসককে ডেকেও পান না। দেশের পশু চিকিৎসার অগ্রগতি কেবল কাগজ-কলমে।’
[প্রতিবেদনের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন আজকের পত্রিকার সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিরা]
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদন বাড়লেও প্রাণীর চিকিৎসাসেবায় অগ্রগতি নেই। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে অধিকাংশ হাসপাতালই জীর্ণ। আধুনিক যন্ত্রপাতি, চিকিৎসক, ওষুধের সংকট তীব্র। ফলে প্রাণী হাসপাতাল থেকে তেমন সুফল পাচ্ছেন না গবাদিপশুর মালিক ও খামারিরা।
খামারিদের অভিযোগ, প্রাণী হাসপাতালে গবাদিপশুর চিকিৎসাসেবা নামে মাত্র। অনেক জেলা-উপজেলায় চিকিৎসকের দেখা মেলে না। অধিকাংশ প্রাণী হাসপাতালে গবাদিপশুর রোগ নির্ণয় করে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হলেও ওষুধ দেওয়া হয় না। জনবল ও ওষুধের সংকট থাকার কথা স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদার তুলনায় ওষুধ সরবরাহ কম থাকায় সবাইকে দেওয়া সম্ভব হয় না।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. আব্দুল আজিজ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের ৬৪ জেলায় প্রাণী হাসপাতাল আছে। উপজেলা পর্যায়েও চিকিৎসক আছেন। তবে জনবলের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তিনি বলেন, দেশের প্রাণী হাসপাতালগুলোতে জনবলকাঠামো অনুপাতে এক-তৃতীয়াংশ চিকিৎসক নেই। স্টাফ পর্যায়েও অর্ধেকের মতো পদ খালি। তিনি জানান, প্রয়োজনের তুলনায় ওষুধের বরাদ্দও অনেক কম।
চিকিৎসকের দেখা মেলে না
গবাদিপশুর স্বাস্থ্য নিয়ে খামারিরা আগের চেয়ে সচেতন হলেও প্রাণী হাসপাতালে গিয়ে তেমন সুফল পান না। জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার থুপসারা মহল্লার খামারি জাহাঙ্গীর আলম জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরসংলগ্ন মহল্লায় তাঁর বসবাস। তাঁর খামারে ২০টি গরু এবং শতাধিক হাঁস-মুরগি, কবুতর আছে। স্থানীয় প্রাণী হাসপাতালে গিয়ে ভালো সেবা পান না। চাহিদামতো ওষুধ পান না। গাভীর প্রজননের জন্য হাসপাতালে গিয়ে অধিকাংশ সময় প্রজনন কর্মকর্তার দেখা পাননি। জয়পুরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ডা. এস এম খুরসিদ আলম জানান, জনবলের অভাবে খামারিরা কাঙ্ক্ষিত ও দ্রুত সেবা পাচ্ছেন না।
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে সম্প্রতি এক দিন দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করেও সেবাপ্রার্থী কোনো খামারির দেখা মেলেনি। উপজেলার বলিপাড়ার খামারি বাবলু জানান, তিনি ভেটেরিনারি হাসপাতাল থেকে কখনো কোনো সহায়তা পাননি। গরুর কোনো সমস্যা হলে পরিচিত স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করান। খাগড়াছড়ি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জওহর লাল চাকমা বলেন, ‘জনবলসংকটে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। যে পরিমাণ ওষুধ পাই, দুই-চারটি পশুর চিকিৎসা দিলে আর থাকে না।’
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা এলাকার আলিমুজ্জামান বলেন, ঠিকমতো সেবা পাওয়া যায় না। প্রায়ই এসে শোনা যায়, কর্তব্যরত চিকিৎসক নেই।
বগুড়ার ধুনট উপজেলার খামারি শাহীন রেজা জানান, গত রোববার রুগ্ণ গরু নিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা বসে থেকেও চিকিৎসক পাননি। একপর্যায়ে অফিস চত্বরেই গরুটি মারা যায়। বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ধুনটে এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে। কারণ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ছয় মাস আগে বদলি হলেও সেখানে নতুন কাউকে পদায়ন করা হয়নি।
সেবা শুধু ব্যবস্থাপত্রে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের কৃষক আল আমিন বলেন, অসুস্থ গবাদিপশু নিয়ে হাসপাতালে গেলে একটি ব্যবস্থাপত্র দিয়েই বিদায় করা হয়। কোনো ওষুধ মেলে না।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে হোসেনপুর উপজেলার চরপুমদী এলাকার ইসমাইল গিয়েছিলেন বাছুর নিয়ে। তিনি বলেন, ‘আমার বাছুরটি দুই দিন যাবৎ খাওয়াদাওয়া করত না। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর বাছুরটির জ্বর মেপে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছে। এখন ওষুধ কিনে খাওয়াব।’
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ হাবিব বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের ওষুধের সংকট রয়েছে। আমরা চাইলেও উপযুক্ত সেবা দিতে পারছি না।’
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার রহিমা খাতুন গত রোববার দুটি ছাগলের চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন প্রাণী হাসপাতালে। তিনি বলেন, ‘ছাগল দুটি ঠিকমতো খায় না, তাই নিয়ে এসেছি। হাসপাতালের লোকেরা ওষুধ লিখে দিলে বাহির থেকে ২৬০ টাকায় কিনে আনতে হয়েছে।’
একই চিত্র দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাণী হাসপাতালেরও। পৌর এলাকার উত্তর সুজাপুরের আতিয়ার সরকার, ছামছুন্নাহারসহ কয়েকজন জানান, গরু-ছাগল নিয়ে হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্র লিখে দিয়ে বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে বলেন।
লালমনিরহাটে গবাদিপশু-পাখির রোগ নির্ণয়ের জন্য ল্যাব থাকলেও টেকনেশিয়ানের অভাবে কোনো কাজে আসছে না। দীর্ঘদিন ব্যবহার না করায় ল্যাবের যন্ত্রপাতি ও কিট নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি হাসপাতালে ৭০ শতাংশ জনবলের সংকট আছে। জেলা প্রাণী হাসপাতালে ভেটেরিনারি সার্জনের একটিসহ সাতটি পদে আছেন চারজন। অফিস সহকারীর সাতটি পদই শূন্য থাকায় একজন উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকেই কাজ চালাতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘সরকার ওষুধ, ভ্যাকসিন ও কৃমিনাশকের বরাদ্দ দেয়। কয়জন খামারি আজ পর্যন্ত এসব পেয়েছেন, আমার জানা নেই। খামারিরা বিপদের সময় সরকারি চিকিৎসককে ডেকেও পান না। দেশের পশু চিকিৎসার অগ্রগতি কেবল কাগজ-কলমে।’
[প্রতিবেদনের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন আজকের পত্রিকার সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিরা]

দেশে প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদন বাড়লেও প্রাণীর চিকিৎসাসেবায় অগ্রগতি নেই। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে অধিকাংশ হাসপাতালই জীর্ণ। আধুনিক যন্ত্রপাতি, চিকিৎসক, ওষুধের সংকট তীব্র। ফলে প্রাণী হাসপাতাল থেকে তেমন সুফল পাচ্ছেন না গবাদিপশুর মালিক ও খামারিরা।
খামারিদের অভিযোগ, প্রাণী হাসপাতালে গবাদিপশুর চিকিৎসাসেবা নামে মাত্র। অনেক জেলা-উপজেলায় চিকিৎসকের দেখা মেলে না। অধিকাংশ প্রাণী হাসপাতালে গবাদিপশুর রোগ নির্ণয় করে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হলেও ওষুধ দেওয়া হয় না। জনবল ও ওষুধের সংকট থাকার কথা স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদার তুলনায় ওষুধ সরবরাহ কম থাকায় সবাইকে দেওয়া সম্ভব হয় না।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. আব্দুল আজিজ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের ৬৪ জেলায় প্রাণী হাসপাতাল আছে। উপজেলা পর্যায়েও চিকিৎসক আছেন। তবে জনবলের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তিনি বলেন, দেশের প্রাণী হাসপাতালগুলোতে জনবলকাঠামো অনুপাতে এক-তৃতীয়াংশ চিকিৎসক নেই। স্টাফ পর্যায়েও অর্ধেকের মতো পদ খালি। তিনি জানান, প্রয়োজনের তুলনায় ওষুধের বরাদ্দও অনেক কম।
চিকিৎসকের দেখা মেলে না
গবাদিপশুর স্বাস্থ্য নিয়ে খামারিরা আগের চেয়ে সচেতন হলেও প্রাণী হাসপাতালে গিয়ে তেমন সুফল পান না। জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার থুপসারা মহল্লার খামারি জাহাঙ্গীর আলম জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরসংলগ্ন মহল্লায় তাঁর বসবাস। তাঁর খামারে ২০টি গরু এবং শতাধিক হাঁস-মুরগি, কবুতর আছে। স্থানীয় প্রাণী হাসপাতালে গিয়ে ভালো সেবা পান না। চাহিদামতো ওষুধ পান না। গাভীর প্রজননের জন্য হাসপাতালে গিয়ে অধিকাংশ সময় প্রজনন কর্মকর্তার দেখা পাননি। জয়পুরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ডা. এস এম খুরসিদ আলম জানান, জনবলের অভাবে খামারিরা কাঙ্ক্ষিত ও দ্রুত সেবা পাচ্ছেন না।
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে সম্প্রতি এক দিন দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করেও সেবাপ্রার্থী কোনো খামারির দেখা মেলেনি। উপজেলার বলিপাড়ার খামারি বাবলু জানান, তিনি ভেটেরিনারি হাসপাতাল থেকে কখনো কোনো সহায়তা পাননি। গরুর কোনো সমস্যা হলে পরিচিত স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করান। খাগড়াছড়ি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জওহর লাল চাকমা বলেন, ‘জনবলসংকটে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। যে পরিমাণ ওষুধ পাই, দুই-চারটি পশুর চিকিৎসা দিলে আর থাকে না।’
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা এলাকার আলিমুজ্জামান বলেন, ঠিকমতো সেবা পাওয়া যায় না। প্রায়ই এসে শোনা যায়, কর্তব্যরত চিকিৎসক নেই।
বগুড়ার ধুনট উপজেলার খামারি শাহীন রেজা জানান, গত রোববার রুগ্ণ গরু নিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা বসে থেকেও চিকিৎসক পাননি। একপর্যায়ে অফিস চত্বরেই গরুটি মারা যায়। বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ধুনটে এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে। কারণ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ছয় মাস আগে বদলি হলেও সেখানে নতুন কাউকে পদায়ন করা হয়নি।
সেবা শুধু ব্যবস্থাপত্রে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের কৃষক আল আমিন বলেন, অসুস্থ গবাদিপশু নিয়ে হাসপাতালে গেলে একটি ব্যবস্থাপত্র দিয়েই বিদায় করা হয়। কোনো ওষুধ মেলে না।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে হোসেনপুর উপজেলার চরপুমদী এলাকার ইসমাইল গিয়েছিলেন বাছুর নিয়ে। তিনি বলেন, ‘আমার বাছুরটি দুই দিন যাবৎ খাওয়াদাওয়া করত না। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর বাছুরটির জ্বর মেপে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছে। এখন ওষুধ কিনে খাওয়াব।’
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ হাবিব বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের ওষুধের সংকট রয়েছে। আমরা চাইলেও উপযুক্ত সেবা দিতে পারছি না।’
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার রহিমা খাতুন গত রোববার দুটি ছাগলের চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন প্রাণী হাসপাতালে। তিনি বলেন, ‘ছাগল দুটি ঠিকমতো খায় না, তাই নিয়ে এসেছি। হাসপাতালের লোকেরা ওষুধ লিখে দিলে বাহির থেকে ২৬০ টাকায় কিনে আনতে হয়েছে।’
একই চিত্র দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাণী হাসপাতালেরও। পৌর এলাকার উত্তর সুজাপুরের আতিয়ার সরকার, ছামছুন্নাহারসহ কয়েকজন জানান, গরু-ছাগল নিয়ে হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্র লিখে দিয়ে বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে বলেন।
লালমনিরহাটে গবাদিপশু-পাখির রোগ নির্ণয়ের জন্য ল্যাব থাকলেও টেকনেশিয়ানের অভাবে কোনো কাজে আসছে না। দীর্ঘদিন ব্যবহার না করায় ল্যাবের যন্ত্রপাতি ও কিট নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি হাসপাতালে ৭০ শতাংশ জনবলের সংকট আছে। জেলা প্রাণী হাসপাতালে ভেটেরিনারি সার্জনের একটিসহ সাতটি পদে আছেন চারজন। অফিস সহকারীর সাতটি পদই শূন্য থাকায় একজন উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকেই কাজ চালাতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘সরকার ওষুধ, ভ্যাকসিন ও কৃমিনাশকের বরাদ্দ দেয়। কয়জন খামারি আজ পর্যন্ত এসব পেয়েছেন, আমার জানা নেই। খামারিরা বিপদের সময় সরকারি চিকিৎসককে ডেকেও পান না। দেশের পশু চিকিৎসার অগ্রগতি কেবল কাগজ-কলমে।’
[প্রতিবেদনের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন আজকের পত্রিকার সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিরা]

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ সোমবার সকালে গুলশানে ইয়ুথ ভোটার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের এজলাসকক্ষগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির আদেশে আজ সোমবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কোর্ট রুমে (এজলাসকক্ষে) আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করা হলেও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনা দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। ওই ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীসহ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহের বদলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
সুদান থেকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ভিডিও কলে পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু রাতেই দেশটির আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক শান্ত মন্ডল। কুড়িগ্রামে শান্তদের বাড়িতে এখন চলছে শুধুই মাতম।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ সোমবার সকালে গুলশানে ইয়ুথ ভোটার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আইনশৃঙ্খলা অবনতি সুষ্ঠু ভোটের বাধা হবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলো কোথায়? মাঝেমধ্যে দুয়েকটা খুন-খারাবি হয়। হাদির একটা ঘটনা হয়েছে। আমরা এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি। এই ধরনের ঘটনা তো সবসময়ই ছিল। অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া-এর প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা তো সবসময় ছিল। এ ধরনের ঘটনা হয় বাংলাদেশে, এটা নতুন কিছু না।’
সিইসি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বরং উন্নতি হয়েছে। ৫ই আগস্ট ২০২৪-এর সঙ্গে তুলনা করুন। যখন থানাগুলো ইনঅ্যাক্টিভ ছিল। পুলিশ স্টেশনে ওয়ার্ক করছিল না। এখন তো অনেক উন্নতি হয়েছে ইনশাআল্লাহ। আমরা তো শান্তিতে চলাফেরা করতে পারছি। শান্তিতে ঘুমাতে পারছি। আমরা গতকালই আমাদের শীর্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তারা নিশ্চিত করেছে যে নির্বাচনের সময় পর্যন্ত শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনে তারা সক্ষম।’
মিডিয়াসহ বিভিন্ন মহলে নির্বাচন নিয়ে কিছু আশঙ্কা হয়তো আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই। আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। ইনশাআল্লাহ, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা হবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, সকলের সহযোগিতা নিয়ে। এ ব্যাপারে কোনোই শঙ্কা নেই, যা-ই আসুক না কেন। যত ধরনের দুশ্চিন্তা মাথায় আসুক না কেন, দুশ্চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে সবাই মিলে যাতে আমরা নির্বাচনটা করতে পারি। ’
সিইসি আরও বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, নির্বাচন সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। জাতিকে আমরা যে ওয়াদা দিয়েছি, নির্বাচন কমিশন ইনশাআল্লাহ তা পরিপালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনাদের সকলকে সঙ্গে নিয়ে একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠান করব ইনশাআল্লাহ।
সিইসি আরও বলেন, ‘সর্বোপরি, এইবার একটি গণভোটও একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে হবে। এই সমস্ত দিক থেকে এটি নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক। আমরা যে সাহস করে এই পথে নেমে পড়েছি, আমাদের এই সাহসী পদক্ষেপের সঙ্গে যদি আপনাদের সকলের, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের, অংশগ্রহণ থাকে, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হব।’

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ সোমবার সকালে গুলশানে ইয়ুথ ভোটার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আইনশৃঙ্খলা অবনতি সুষ্ঠু ভোটের বাধা হবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলো কোথায়? মাঝেমধ্যে দুয়েকটা খুন-খারাবি হয়। হাদির একটা ঘটনা হয়েছে। আমরা এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি। এই ধরনের ঘটনা তো সবসময়ই ছিল। অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া-এর প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা তো সবসময় ছিল। এ ধরনের ঘটনা হয় বাংলাদেশে, এটা নতুন কিছু না।’
সিইসি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বরং উন্নতি হয়েছে। ৫ই আগস্ট ২০২৪-এর সঙ্গে তুলনা করুন। যখন থানাগুলো ইনঅ্যাক্টিভ ছিল। পুলিশ স্টেশনে ওয়ার্ক করছিল না। এখন তো অনেক উন্নতি হয়েছে ইনশাআল্লাহ। আমরা তো শান্তিতে চলাফেরা করতে পারছি। শান্তিতে ঘুমাতে পারছি। আমরা গতকালই আমাদের শীর্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তারা নিশ্চিত করেছে যে নির্বাচনের সময় পর্যন্ত শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনে তারা সক্ষম।’
মিডিয়াসহ বিভিন্ন মহলে নির্বাচন নিয়ে কিছু আশঙ্কা হয়তো আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই। আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। ইনশাআল্লাহ, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা হবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, সকলের সহযোগিতা নিয়ে। এ ব্যাপারে কোনোই শঙ্কা নেই, যা-ই আসুক না কেন। যত ধরনের দুশ্চিন্তা মাথায় আসুক না কেন, দুশ্চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে সবাই মিলে যাতে আমরা নির্বাচনটা করতে পারি। ’
সিইসি আরও বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, নির্বাচন সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। জাতিকে আমরা যে ওয়াদা দিয়েছি, নির্বাচন কমিশন ইনশাআল্লাহ তা পরিপালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনাদের সকলকে সঙ্গে নিয়ে একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠান করব ইনশাআল্লাহ।
সিইসি আরও বলেন, ‘সর্বোপরি, এইবার একটি গণভোটও একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে হবে। এই সমস্ত দিক থেকে এটি নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক। আমরা যে সাহস করে এই পথে নেমে পড়েছি, আমাদের এই সাহসী পদক্ষেপের সঙ্গে যদি আপনাদের সকলের, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের, অংশগ্রহণ থাকে, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হব।’

দেশে প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদন বাড়লেও প্রাণীর চিকিৎসাসেবায় অগ্রগতি নেই। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে অধিকাংশ হাসপাতালই জীর্ণ। আধুনিক যন্ত্রপাতি, চিকিৎসক, ওষুধের সংকট তীব্র। ফলে প্রাণী হাসপাতাল থেকে তেমন সুফল পাচ্ছেন না গবাদিপশুর মালিক ও খামারিরা।
০৪ মে ২০২৪
দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের এজলাসকক্ষগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির আদেশে আজ সোমবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কোর্ট রুমে (এজলাসকক্ষে) আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করা হলেও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনা দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। ওই ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীসহ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহের বদলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
সুদান থেকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ভিডিও কলে পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু রাতেই দেশটির আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক শান্ত মন্ডল। কুড়িগ্রামে শান্তদের বাড়িতে এখন চলছে শুধুই মাতম।
১১ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের এজলাসকক্ষগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির আদেশে আজ সোমবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কোর্ট রুমে (এজলাসকক্ষে) আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে। এই আদেশ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নতুন নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। প্রধান বিচারপতি, বিচারপতিবৃন্দ, মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।
সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে, আদালতে আগত কিছু বিচারপ্রার্থী, মামলাসংশ্লিষ্ট এবং অপ্রত্যাশিত ব্যক্তি এজলাসে প্রবেশ করছেন, যা আদালতের নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং বিচারকাজ পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করছে। একই সঙ্গে বিচারপতি, আইনজীবী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি এড়াতেই নিরাপত্তার স্বার্থে এই কড়াকড়ি আরোপ করা হলো।
এজলাসকক্ষের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের জন্যও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যেকোনো ধরনের সমাবেশ, মিছিল, বৈধ বা অবৈধ সব ধরনের অস্ত্র, মারণাস্ত্র, বিস্ফোরক এবং মাদকদ্রব্য বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নতুন এই নিরাপত্তা আদেশ ১৫ ডিসেম্বর (সোমবার) থেকে কার্যকর হয়েছে এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এই আদেশ অমান্য করেন, তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আদালত এ বিষয়ে আইনজীবী, তাঁদের সহকারী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিচারপ্রার্থীদের সচেতন ও সতর্ক থাকার জন্য বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।

দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের এজলাসকক্ষগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির আদেশে আজ সোমবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কোর্ট রুমে (এজলাসকক্ষে) আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে। এই আদেশ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নতুন নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। প্রধান বিচারপতি, বিচারপতিবৃন্দ, মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।
সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে, আদালতে আগত কিছু বিচারপ্রার্থী, মামলাসংশ্লিষ্ট এবং অপ্রত্যাশিত ব্যক্তি এজলাসে প্রবেশ করছেন, যা আদালতের নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং বিচারকাজ পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করছে। একই সঙ্গে বিচারপতি, আইনজীবী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি এড়াতেই নিরাপত্তার স্বার্থে এই কড়াকড়ি আরোপ করা হলো।
এজলাসকক্ষের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের জন্যও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যেকোনো ধরনের সমাবেশ, মিছিল, বৈধ বা অবৈধ সব ধরনের অস্ত্র, মারণাস্ত্র, বিস্ফোরক এবং মাদকদ্রব্য বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নতুন এই নিরাপত্তা আদেশ ১৫ ডিসেম্বর (সোমবার) থেকে কার্যকর হয়েছে এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এই আদেশ অমান্য করেন, তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আদালত এ বিষয়ে আইনজীবী, তাঁদের সহকারী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিচারপ্রার্থীদের সচেতন ও সতর্ক থাকার জন্য বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।

দেশে প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদন বাড়লেও প্রাণীর চিকিৎসাসেবায় অগ্রগতি নেই। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে অধিকাংশ হাসপাতালই জীর্ণ। আধুনিক যন্ত্রপাতি, চিকিৎসক, ওষুধের সংকট তীব্র। ফলে প্রাণী হাসপাতাল থেকে তেমন সুফল পাচ্ছেন না গবাদিপশুর মালিক ও খামারিরা।
০৪ মে ২০২৪
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ সোমবার সকালে গুলশানে ইয়ুথ ভোটার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করা হলেও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনা দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। ওই ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীসহ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহের বদলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
সুদান থেকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ভিডিও কলে পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু রাতেই দেশটির আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক শান্ত মন্ডল। কুড়িগ্রামে শান্তদের বাড়িতে এখন চলছে শুধুই মাতম।
১১ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করা হলেও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনা দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। ওই ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীসহ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহের বদলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রাজনৈতিক নেতারাসহ জুলাই যোদ্ধারা। সরকার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলেও এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রচার নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, সময়মতো কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন হাল। নির্বাচনের ট্রেন চলা শুরু হলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাবাচ্ছে সবাইকে। পরিস্থিতি ঠিক করতে এখনই দৃশ্যমান ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তাঁরা।
ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে প্রকাশ্যে মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা ব্যাটারিচালিত রিকশায় বসা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে। এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাদির সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে চোরাগোপ্তা হামলা, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার এবং নাশকতার আশঙ্কার মধ্যে এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে থমথমে ভাব নেমে এসেছে। তফসিলের পর যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গিয়েছিল, তাও কমে গেছে।
সূত্র বলেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে মাঠপর্যায়ের সদস্যদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে মাঠপর্যায় থেকেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়গুলো জানানো হয়েছে। গত শনিবার পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সঙ্গে দেশের সব রেঞ্জের ডিআইজি ও মহানগর পুলিশের কমিশনারদের বৈঠকেও এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং করণীয় নির্ধারণের বিষয়ে পরামর্শ এসেছে।
জানতে চাইলে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং কোনো প্রার্থী অনিরাপদ বোধ করলে তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হবে।
সার্বিক বিষয় নিয়ে গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই বৈঠকেও চোরাগোপ্তা হামলা ও জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের প্রসঙ্গে ওঠে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি, যাতে ভবিষ্যতে নিরাপত্তা পরিকল্পনা আরও কার্যকর করা যায়। তবে নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রকার শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।’
এদিকে বিভিন্ন ইস্যুতে বিভক্তি থাকলেও ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান সব রাজনৈতিক দল আবার এক কাতারে দাঁড়িয়েছে। শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণাও এসেছে। ওই বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
গত ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদউল্লাহর গণসংযোগের সময় গুলিতে একজন নিহত ও প্রার্থীসহ দুজন আহত হন। অবশ্য সেখানে হত্যার লক্ষ্য ছিলেন সন্ত্রাসী সরোয়ার। এরপর ২৭ নভেম্বর পাবনা-৪ আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডলের গণসংযোগকে কেন্দ্র করে হামলা ও সংঘর্ষ হয়। এর পেছনে স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনা ভিন্ন। তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়েছে। এই ঘটনার পর কোনো কোনো দল থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিও উঠেছে।
রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, কয়েক দিন ধরে বাসে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল হামলার মাধ্যমে আতঙ্ক তৈরির একটি চেষ্টা চলছে। তবে ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচনের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। নির্বাচন যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
ওসমান হাদির ওপর হামলাকে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার একটি সুপরিকল্পিত চেষ্টা হিসেবে দেখছেন রাজনীতিকদের অনেকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই একটি পক্ষ নির্বাচন ঠেকানোর হুমকি দিয়ে আসছিল।
অন্তর্বর্তী সরকারও ঘটনাটিকে নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বিবৃতিতে বলেছেন, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে কোনো ধরনের সহিংসতা বরদাশত করা হবে না। জনগণের নিরাপত্তা ও প্রার্থীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সাবেক আইজিপি মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, কোথায় কোথায় রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও শত্রুতা বেশি, কোথায় শক্ত প্রার্থী রয়েছেন—এসব জায়গায় আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এমন ঘটনা যেকোনোভাবেই প্রতিরোধ করতে হবে। করণীয় সম্পর্কে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সব তথ্য সংগ্রহ ও গোয়েন্দা চ্যানেলকে সক্রিয় করতে হবে এবং অন্য কাজের চেয়ে নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
এদিকে প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে শনিবার আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে কমিটি করা হয়েছে। অপারেশন ডেভিল হান্ট-২ শুরুর ঘোষণাও দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এদিকে গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সব রাজনৈতিক দলের জন্য পুলিশ নিরাপত্তা প্রটোকল দেবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলেছে, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকগুলোতে আওয়ামী লীগের শাসনামলে যেসব ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র ছিল, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর সঙ্গে জড়িত চিহ্নিত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি পেশাদার সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনার আলোকে অবৈধ অস্ত্রের সরবরাহপথ চিহ্নিত করা এবং অস্ত্রের পেছনে থাকা অর্থের জোগানদাতাদের শনাক্ত করতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ শুরু করেছে।
এদিকে গত বছরের ৫ আগস্ট পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে জোর দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, লুণ্ঠিত ১ হাজার ৩৩৭টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। এগুলোর মধ্যে প্রায় ৪০০টি পিস্তল রয়েছে।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, সীমান্ত দিয়ে দেশে অস্ত্র প্রবেশের আশঙ্কার পাশাপাশি লুট হওয়া অস্ত্রগুলো কোনো অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে কি না, সেটিও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। অভিযানে এসব বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
নতুন নিরাপত্তা পরিকল্পনা
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের দাবি করেছে রাজনৈতিক দলগুলোও। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা ও জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুলিশের নিরাপত্তা পরিকল্পনা নতুন করে সাজানো হচ্ছে। যেকোনো মূল্যে প্রার্থীদের এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, নির্বাচনের সময় যেকোনো ঝুঁকি মোকাবিলা করতে এবং নির্বাচনকে শঙ্কামুক্ত রাখতে সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রার্থীদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, প্রার্থীদের সঙ্গে সশস্ত্র প্রহরী থাকবে এবং গোয়েন্দা সংস্থা সম্ভাব্য ঝুঁকি ও দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে সতর্ক করবে। প্রার্থীদের ঠিক কোন জায়গায় যাওয়া নিরাপদ বা ঝুঁকিপূর্ণ সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করা হলেও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনা দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। ওই ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীসহ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহের বদলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রাজনৈতিক নেতারাসহ জুলাই যোদ্ধারা। সরকার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলেও এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রচার নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, সময়মতো কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন হাল। নির্বাচনের ট্রেন চলা শুরু হলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাবাচ্ছে সবাইকে। পরিস্থিতি ঠিক করতে এখনই দৃশ্যমান ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তাঁরা।
ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে প্রকাশ্যে মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা ব্যাটারিচালিত রিকশায় বসা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে। এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাদির সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে চোরাগোপ্তা হামলা, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার এবং নাশকতার আশঙ্কার মধ্যে এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে থমথমে ভাব নেমে এসেছে। তফসিলের পর যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গিয়েছিল, তাও কমে গেছে।
সূত্র বলেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে মাঠপর্যায়ের সদস্যদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে মাঠপর্যায় থেকেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়গুলো জানানো হয়েছে। গত শনিবার পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সঙ্গে দেশের সব রেঞ্জের ডিআইজি ও মহানগর পুলিশের কমিশনারদের বৈঠকেও এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং করণীয় নির্ধারণের বিষয়ে পরামর্শ এসেছে।
জানতে চাইলে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং কোনো প্রার্থী অনিরাপদ বোধ করলে তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হবে।
সার্বিক বিষয় নিয়ে গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই বৈঠকেও চোরাগোপ্তা হামলা ও জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের প্রসঙ্গে ওঠে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি, যাতে ভবিষ্যতে নিরাপত্তা পরিকল্পনা আরও কার্যকর করা যায়। তবে নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রকার শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।’
এদিকে বিভিন্ন ইস্যুতে বিভক্তি থাকলেও ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান সব রাজনৈতিক দল আবার এক কাতারে দাঁড়িয়েছে। শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণাও এসেছে। ওই বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
গত ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদউল্লাহর গণসংযোগের সময় গুলিতে একজন নিহত ও প্রার্থীসহ দুজন আহত হন। অবশ্য সেখানে হত্যার লক্ষ্য ছিলেন সন্ত্রাসী সরোয়ার। এরপর ২৭ নভেম্বর পাবনা-৪ আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডলের গণসংযোগকে কেন্দ্র করে হামলা ও সংঘর্ষ হয়। এর পেছনে স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনা ভিন্ন। তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়েছে। এই ঘটনার পর কোনো কোনো দল থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিও উঠেছে।
রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, কয়েক দিন ধরে বাসে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল হামলার মাধ্যমে আতঙ্ক তৈরির একটি চেষ্টা চলছে। তবে ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচনের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। নির্বাচন যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
ওসমান হাদির ওপর হামলাকে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার একটি সুপরিকল্পিত চেষ্টা হিসেবে দেখছেন রাজনীতিকদের অনেকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই একটি পক্ষ নির্বাচন ঠেকানোর হুমকি দিয়ে আসছিল।
অন্তর্বর্তী সরকারও ঘটনাটিকে নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বিবৃতিতে বলেছেন, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে কোনো ধরনের সহিংসতা বরদাশত করা হবে না। জনগণের নিরাপত্তা ও প্রার্থীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সাবেক আইজিপি মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, কোথায় কোথায় রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও শত্রুতা বেশি, কোথায় শক্ত প্রার্থী রয়েছেন—এসব জায়গায় আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এমন ঘটনা যেকোনোভাবেই প্রতিরোধ করতে হবে। করণীয় সম্পর্কে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সব তথ্য সংগ্রহ ও গোয়েন্দা চ্যানেলকে সক্রিয় করতে হবে এবং অন্য কাজের চেয়ে নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
এদিকে প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে শনিবার আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে কমিটি করা হয়েছে। অপারেশন ডেভিল হান্ট-২ শুরুর ঘোষণাও দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এদিকে গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সব রাজনৈতিক দলের জন্য পুলিশ নিরাপত্তা প্রটোকল দেবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলেছে, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকগুলোতে আওয়ামী লীগের শাসনামলে যেসব ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র ছিল, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর সঙ্গে জড়িত চিহ্নিত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি পেশাদার সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনার আলোকে অবৈধ অস্ত্রের সরবরাহপথ চিহ্নিত করা এবং অস্ত্রের পেছনে থাকা অর্থের জোগানদাতাদের শনাক্ত করতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ শুরু করেছে।
এদিকে গত বছরের ৫ আগস্ট পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে জোর দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, লুণ্ঠিত ১ হাজার ৩৩৭টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। এগুলোর মধ্যে প্রায় ৪০০টি পিস্তল রয়েছে।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, সীমান্ত দিয়ে দেশে অস্ত্র প্রবেশের আশঙ্কার পাশাপাশি লুট হওয়া অস্ত্রগুলো কোনো অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে কি না, সেটিও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। অভিযানে এসব বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
নতুন নিরাপত্তা পরিকল্পনা
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের দাবি করেছে রাজনৈতিক দলগুলোও। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা ও জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুলিশের নিরাপত্তা পরিকল্পনা নতুন করে সাজানো হচ্ছে। যেকোনো মূল্যে প্রার্থীদের এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, নির্বাচনের সময় যেকোনো ঝুঁকি মোকাবিলা করতে এবং নির্বাচনকে শঙ্কামুক্ত রাখতে সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রার্থীদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, প্রার্থীদের সঙ্গে সশস্ত্র প্রহরী থাকবে এবং গোয়েন্দা সংস্থা সম্ভাব্য ঝুঁকি ও দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে সতর্ক করবে। প্রার্থীদের ঠিক কোন জায়গায় যাওয়া নিরাপদ বা ঝুঁকিপূর্ণ সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।

দেশে প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদন বাড়লেও প্রাণীর চিকিৎসাসেবায় অগ্রগতি নেই। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে অধিকাংশ হাসপাতালই জীর্ণ। আধুনিক যন্ত্রপাতি, চিকিৎসক, ওষুধের সংকট তীব্র। ফলে প্রাণী হাসপাতাল থেকে তেমন সুফল পাচ্ছেন না গবাদিপশুর মালিক ও খামারিরা।
০৪ মে ২০২৪
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ সোমবার সকালে গুলশানে ইয়ুথ ভোটার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের এজলাসকক্ষগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির আদেশে আজ সোমবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কোর্ট রুমে (এজলাসকক্ষে) আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সুদান থেকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ভিডিও কলে পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু রাতেই দেশটির আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক শান্ত মন্ডল। কুড়িগ্রামে শান্তদের বাড়িতে এখন চলছে শুধুই মাতম।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুদান থেকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ভিডিও কলে পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু রাতেই দেশটির আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক শান্ত মন্ডল। কুড়িগ্রামে শান্তদের বাড়িতে এখন চলছে শুধুই মাতম।
শুধু শান্ত নন, সুদানের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ওই ঘাঁটিতে হামলায় সেনাবাহিনীর আরও তিন সৈনিক এবং দুই কর্মচারী নিহত হয়েছেন। সবার বাড়িতে এখন মাতম চলছে। তাঁদের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্বজন ও প্রতিবেশীদের কেউ।
২০১৮ সালে সৈনিক পদে যোগ দেওয়া শান্ত গত ৭ নভেম্বর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুদানে যান। এক বছর আগে বিয়ে করেছিলেন তিনি। শান্তর স্ত্রী এখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সাটমাধাই ডারারপাড়ে শান্ত মন্ডলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সুনসান নীরবতা, সেখানে কান্নার কোনো শব্দ নেই। শান্তর মা সাহেরা বেগম বিছানায় বসে শূন্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন। কথা নেই, কান্নাও নেই। ছেলের নাম উচ্চারণ করলেই চোখ ভিজে ওঠে সাহেরা বেগম এবং পাশে দাঁড়িয়ে থাকা স্বজনদের। লাশ দেশে এলে বাবার কবরের পাশে দাফনের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। এখন তাঁরা লাশ আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। শান্তর ভাই সোহাগ মন্ডল বলেন, ‘যাওয়ার সময় মায়ের পা ছুঁয়ে দোয়া নিয়েছিল। কেউ ভাবেনি, সেটিই হবে তার শেষ দেখা। এমন মৃত্যু আমাদের কল্পনার বাইরে।’
শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের কাদুগলি লজিস্টিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী। এতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মধ্যে করপোরাল মো. মাসুদ রানা (নাটোর) এবং সৈনিকদের মধ্যে মো. মমিনুল ইসলাম (কুড়িগ্রাম), শামীম রেজা (রাজবাড়ী), শান্ত মন্ডল (কুড়িগ্রাম), মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ) এবং লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা) নিহত হন।
এ ঘটনায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (কুষ্টিয়া), সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (দিনাজপুর), করপোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (ঢাকা), ল্যান্স করপোরাল মহিবুল ইসলাম (বরগুনা); সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (কুড়িগ্রাম), মোসা. উম্মে হানি আক্তার (রংপুর), চুমকি আক্তার (মানিকগঞ্জ) ও মো. মানাজির আহসান (নোয়াখালী) আহত হয়েছেন বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।
হামলায় নিহত কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম তিন ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে শোকের আবহ চলছে বাড়িতে। জাহাঙ্গীরের চাচাতো ভাই আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে সহকর্মীদের কাছ থেকে খবর পাই। এরপর ভোরে সেনাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফোন করে নিশ্চিত করেন।’ জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রুবাইয়া আক্তার স্বামীর ছবি আর তিন বছরের ছেলেকে বুকে জড়িয়ে নিস্তব্ধ হয়ে আছেন। বৃদ্ধ বাবা হজরত আলী রহমান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি শুনছি, বোমা ফালাইয়া আমার ছেলেরে মাইরা ফেলছে। এ দুঃখ কেমনে সহ্য করমু?’
হামলায় নিহত মমিনুল ইসলামের বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের পারুলেরপাড় গ্রামে। তাঁর বড় মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে, ছোট মেয়ের বয়স ৪ বছর। মমিনুলের পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার বিকেলে ভিডিও কলে বাড়ির সবার সঙ্গে কথা বলেন মমিনুল। কয়েক ঘণ্টা পরই আসে মৃত্যুর খবর। প্রতিবেশীরা জানান, খবর শোনার পর স্ত্রী ও মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। বাবা আব্দুল করিম বলেন, ‘আমার ছেলে ভালো মানুষ ছিল। আল্লাহ হয়তো তাকে ভালোবাসেন বলেই শহীদের মৃত্যু দিয়েছেন।’
ড্রোন হামলায় নিহত গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি গ্রামের সবুজ মিয়া ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছেন। এক বছর আগে বিয়ে করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবরে মা, স্ত্রীসহ স্বজনেরা শোকে ভেঙে পড়েছেন। গ্রামজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
হামলায় নিহত রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামের আলমগীর ফকিরের ছেলে শামীম রেজা ছিলেন তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড়। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
শামীম রেজার ছোট ভাই সোহান ফকির বলেন, ‘টেলিভিশনে সুদানের ঘটনার খবর দেখার পর থেকে আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। রাত ১২টার পর আমরা নিশ্চিত হই ভাই আর নেই। গত শুক্রবার তিনি বাড়িতে ভিডিও কলে শেষবার কথা বলেছিলেন।’
শামীম রেজার বাবা আলমগীর ফকির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলে ৭ মাস আগে বিদেশে গেছে। শুক্রবারও কথা বলেছি। শামীম তখন বলল, আব্বু তুমি ভালো থেকো আমি ডিউটিতে যাব। আমার ছেলেকে এনে দাও তোমরা।’
নাটোরের লালপুর উপজেলার আরবাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ রানা নিহত হওয়ার খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি সাহার উদ্দিনের ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে মাসুদ ছিলেন সবার বড়। ২০০৬ সালে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তাঁর দুই ভাইও সেনাবাহিনীর সদস্য।
মাসুদ রানার স্ত্রী আসমাউল হুসনা আঁখি বলেন, ‘তিনি আমার মেয়েকে এতিম করে চলে গেলেন। বাকি জীবন আমরা কীভাবে কাটাব? গতকালও আমাদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছিলেন। আজ তিনি নেই ভাবতেই পারছি না।’
ড্রোন হামলায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন প্রধান উপদেষ্টা।
আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে আইএসপিআর বলেছে, তাঁদের মধ্যে সৈনিক মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। বর্তমানে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। আহত অন্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে স্থানান্তর করা হয়েছে, তাঁরা সবাই শঙ্কামুক্ত।
আন্তোনিও গুতেরেসের শোক
বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মর্মান্তিক মৃত্যুতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গতকাল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। গুতেরেস প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ‘আমি গভীর সমবেদনা জানাতে ফোন করেছি। আমি এই ঘটনায় খুবই মর্মাহত।’
হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ড. ইউনূসও শান্তিরক্ষীদের মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি আহত সেনাসদস্যদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার এবং নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে জাতিসংঘকে অনুরোধ জানান।

সুদান থেকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ভিডিও কলে পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু রাতেই দেশটির আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক শান্ত মন্ডল। কুড়িগ্রামে শান্তদের বাড়িতে এখন চলছে শুধুই মাতম।
শুধু শান্ত নন, সুদানের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ওই ঘাঁটিতে হামলায় সেনাবাহিনীর আরও তিন সৈনিক এবং দুই কর্মচারী নিহত হয়েছেন। সবার বাড়িতে এখন মাতম চলছে। তাঁদের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্বজন ও প্রতিবেশীদের কেউ।
২০১৮ সালে সৈনিক পদে যোগ দেওয়া শান্ত গত ৭ নভেম্বর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুদানে যান। এক বছর আগে বিয়ে করেছিলেন তিনি। শান্তর স্ত্রী এখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সাটমাধাই ডারারপাড়ে শান্ত মন্ডলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সুনসান নীরবতা, সেখানে কান্নার কোনো শব্দ নেই। শান্তর মা সাহেরা বেগম বিছানায় বসে শূন্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন। কথা নেই, কান্নাও নেই। ছেলের নাম উচ্চারণ করলেই চোখ ভিজে ওঠে সাহেরা বেগম এবং পাশে দাঁড়িয়ে থাকা স্বজনদের। লাশ দেশে এলে বাবার কবরের পাশে দাফনের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। এখন তাঁরা লাশ আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। শান্তর ভাই সোহাগ মন্ডল বলেন, ‘যাওয়ার সময় মায়ের পা ছুঁয়ে দোয়া নিয়েছিল। কেউ ভাবেনি, সেটিই হবে তার শেষ দেখা। এমন মৃত্যু আমাদের কল্পনার বাইরে।’
শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের কাদুগলি লজিস্টিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী। এতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মধ্যে করপোরাল মো. মাসুদ রানা (নাটোর) এবং সৈনিকদের মধ্যে মো. মমিনুল ইসলাম (কুড়িগ্রাম), শামীম রেজা (রাজবাড়ী), শান্ত মন্ডল (কুড়িগ্রাম), মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ) এবং লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা) নিহত হন।
এ ঘটনায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (কুষ্টিয়া), সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (দিনাজপুর), করপোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (ঢাকা), ল্যান্স করপোরাল মহিবুল ইসলাম (বরগুনা); সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (কুড়িগ্রাম), মোসা. উম্মে হানি আক্তার (রংপুর), চুমকি আক্তার (মানিকগঞ্জ) ও মো. মানাজির আহসান (নোয়াখালী) আহত হয়েছেন বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।
হামলায় নিহত কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম তিন ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে শোকের আবহ চলছে বাড়িতে। জাহাঙ্গীরের চাচাতো ভাই আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে সহকর্মীদের কাছ থেকে খবর পাই। এরপর ভোরে সেনাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফোন করে নিশ্চিত করেন।’ জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রুবাইয়া আক্তার স্বামীর ছবি আর তিন বছরের ছেলেকে বুকে জড়িয়ে নিস্তব্ধ হয়ে আছেন। বৃদ্ধ বাবা হজরত আলী রহমান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি শুনছি, বোমা ফালাইয়া আমার ছেলেরে মাইরা ফেলছে। এ দুঃখ কেমনে সহ্য করমু?’
হামলায় নিহত মমিনুল ইসলামের বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের পারুলেরপাড় গ্রামে। তাঁর বড় মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে, ছোট মেয়ের বয়স ৪ বছর। মমিনুলের পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার বিকেলে ভিডিও কলে বাড়ির সবার সঙ্গে কথা বলেন মমিনুল। কয়েক ঘণ্টা পরই আসে মৃত্যুর খবর। প্রতিবেশীরা জানান, খবর শোনার পর স্ত্রী ও মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। বাবা আব্দুল করিম বলেন, ‘আমার ছেলে ভালো মানুষ ছিল। আল্লাহ হয়তো তাকে ভালোবাসেন বলেই শহীদের মৃত্যু দিয়েছেন।’
ড্রোন হামলায় নিহত গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি গ্রামের সবুজ মিয়া ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছেন। এক বছর আগে বিয়ে করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবরে মা, স্ত্রীসহ স্বজনেরা শোকে ভেঙে পড়েছেন। গ্রামজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
হামলায় নিহত রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামের আলমগীর ফকিরের ছেলে শামীম রেজা ছিলেন তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড়। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
শামীম রেজার ছোট ভাই সোহান ফকির বলেন, ‘টেলিভিশনে সুদানের ঘটনার খবর দেখার পর থেকে আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। রাত ১২টার পর আমরা নিশ্চিত হই ভাই আর নেই। গত শুক্রবার তিনি বাড়িতে ভিডিও কলে শেষবার কথা বলেছিলেন।’
শামীম রেজার বাবা আলমগীর ফকির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলে ৭ মাস আগে বিদেশে গেছে। শুক্রবারও কথা বলেছি। শামীম তখন বলল, আব্বু তুমি ভালো থেকো আমি ডিউটিতে যাব। আমার ছেলেকে এনে দাও তোমরা।’
নাটোরের লালপুর উপজেলার আরবাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ রানা নিহত হওয়ার খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি সাহার উদ্দিনের ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে মাসুদ ছিলেন সবার বড়। ২০০৬ সালে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তাঁর দুই ভাইও সেনাবাহিনীর সদস্য।
মাসুদ রানার স্ত্রী আসমাউল হুসনা আঁখি বলেন, ‘তিনি আমার মেয়েকে এতিম করে চলে গেলেন। বাকি জীবন আমরা কীভাবে কাটাব? গতকালও আমাদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছিলেন। আজ তিনি নেই ভাবতেই পারছি না।’
ড্রোন হামলায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন প্রধান উপদেষ্টা।
আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে আইএসপিআর বলেছে, তাঁদের মধ্যে সৈনিক মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। বর্তমানে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। আহত অন্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে স্থানান্তর করা হয়েছে, তাঁরা সবাই শঙ্কামুক্ত।
আন্তোনিও গুতেরেসের শোক
বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মর্মান্তিক মৃত্যুতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গতকাল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। গুতেরেস প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ‘আমি গভীর সমবেদনা জানাতে ফোন করেছি। আমি এই ঘটনায় খুবই মর্মাহত।’
হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ড. ইউনূসও শান্তিরক্ষীদের মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি আহত সেনাসদস্যদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার এবং নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে জাতিসংঘকে অনুরোধ জানান।

দেশে প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদন বাড়লেও প্রাণীর চিকিৎসাসেবায় অগ্রগতি নেই। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে অধিকাংশ হাসপাতালই জীর্ণ। আধুনিক যন্ত্রপাতি, চিকিৎসক, ওষুধের সংকট তীব্র। ফলে প্রাণী হাসপাতাল থেকে তেমন সুফল পাচ্ছেন না গবাদিপশুর মালিক ও খামারিরা।
০৪ মে ২০২৪
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ সোমবার সকালে গুলশানে ইয়ুথ ভোটার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের এজলাসকক্ষগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির আদেশে আজ সোমবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কোর্ট রুমে (এজলাসকক্ষে) আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করা হলেও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনা দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। ওই ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীসহ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহের বদলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে