এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
প্রায় ২৫ বছর পর অধস্তন আদালতের বিচারকদের সংগঠন জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির নির্বাচন ঘিরে সৃষ্ট আমেজ কমে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই আশঙ্কা এবারও ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার।
তফসিল অনুযায়ী, ৩০ অক্টোবর জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ৪৫ সদস্যের নির্বাহী কমিটির নির্বাচন। তবে নির্বাচন না করে আগের মতো সমঝোতার কমিটি গঠনের জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ওপর চাপ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিচারকদের নিজস্ব গ্রুপে অনেকে ক্ষোভ জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান অন্তর্বর্তী কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা কারও চাপে বাধ্য হয়ে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন বলে শুনেছি। সারা দেশের বিচারকেরা ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন চান। আমরাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আশা করছি, যথাসময়েই নির্বাচন হবে।’
জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্রের ১০(ঘ) ধারায় বলা হয়েছে, বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যরা সাধারণ সংখ্যাধিক্য ভোটে অ্যাসোসিয়েশনের কাজ পরিচালনার জন্য একটি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠন করবে। গঠনতন্ত্রে ১৯৯০ সালে এই বিধান রাখা হলেও সমঝোতার মাধ্যমে কমিটি গঠন করায় প্রায় ২৫ বছর ভোট হয়নি।
অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির মেয়াদ এক বছর। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একটি কমিটি টানা ১০-১২ বছর ছিল। সর্বশেষ কমিটি হয় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। এ ছাড়া প্রতিবছর বিচারকদের সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও ২০১০ সালের পর ২০২২ সালে সম্মেলন হয়েছে।
জানা গেছে, আগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পদাধিকারবলে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হতেন ঢাকার জেলা জজ। বাকি পদগুলোতেও বৃহত্তর ঢাকার বিচারকদের প্রার্থী হওয়ার বিধান ছিল। তবে কমিটি গঠনে সর্বশেষ কবে নির্বাচন হয়েছে, তা বিচার বিভাগের অনেক জেলা জজ, সিনিয়র জেলা জজরাও জানেন না। কমিটি গঠনে নির্বাচন না হওয়ায় অনেকে ক্ষুব্ধ থাকলেও হয়রানির ভয়ে মুখ খোলেননি।
সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন বলেন, ‘যতটুকু মনে পড়ে, চাকরিজীবনে প্রায় ২৫ বছর আগে একবারই কমিটি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। নির্বাচনে বাধা দেওয়া উচিত নয়; বরং সমঝোতা না হলে প্রতিবছরই নির্বাচন হওয়া উচিত।’
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৯ আগস্ট সহকারী জজ ও সিনিয়র সহকারী জজরা গঠন করেন ‘ইয়াং জাজেস ফর জুডিশিয়াল রিফর্ম’। তাঁরা অনলাইন ভোটের মাধ্যমে বিগত সরকারের সময়ে গঠিত মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্তির প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে সারা দেশের বিচারকেরা একমত হলে আগের কমিটির সবাই ২১ আগস্ট স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। সেদিনই ইয়াং জাজেস ফর জুডিশিয়াল রিফর্মের প্রস্তাবের ভিত্তিতে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী নির্বাহী কমিটি। এই কমিটি নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৬ সেপ্টেম্বর কমিশন গঠন করে। কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। এতে সারা দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের মধ্যে ভোটের আমেজ শুরু হয়।
তবে নির্বাচন বন্ধের হুমকির অভিযোগে ৪ অক্টোবর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং পরদিন কমিশনের বাকি সদস্যরাও পদত্যাগপত্র জমা দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বিচারক বলেন, কমিশনের সদস্যরা কয়েকজন বিচারকের চাপে পদত্যাগ করেছেন।
এদিকে ১৫ অক্টোবর রাতে অন্তর্বর্তী কমিটির বৈঠকে তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন করতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
ইয়াং জাজেস ফর জুডিশিয়াল রিফর্মের সমন্বয়ক মুহাম্মদ আলী তালহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিচারকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা গণতান্ত্রিক অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু বিগত দিনে স্বার্থান্বেষী মহল এবং সরকারের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। সারা দেশের দুই হাজারের বেশি বিচারকের মধ্যে মাত্র ৮-১০ জন নির্বাচন না করে আগের মতো অ্যাসোসিয়েশনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন। বিভিন্নভাবে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেন।
প্রায় ২৫ বছর পর অধস্তন আদালতের বিচারকদের সংগঠন জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির নির্বাচন ঘিরে সৃষ্ট আমেজ কমে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই আশঙ্কা এবারও ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার।
তফসিল অনুযায়ী, ৩০ অক্টোবর জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ৪৫ সদস্যের নির্বাহী কমিটির নির্বাচন। তবে নির্বাচন না করে আগের মতো সমঝোতার কমিটি গঠনের জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ওপর চাপ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিচারকদের নিজস্ব গ্রুপে অনেকে ক্ষোভ জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান অন্তর্বর্তী কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা কারও চাপে বাধ্য হয়ে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন বলে শুনেছি। সারা দেশের বিচারকেরা ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন চান। আমরাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আশা করছি, যথাসময়েই নির্বাচন হবে।’
জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্রের ১০(ঘ) ধারায় বলা হয়েছে, বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যরা সাধারণ সংখ্যাধিক্য ভোটে অ্যাসোসিয়েশনের কাজ পরিচালনার জন্য একটি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠন করবে। গঠনতন্ত্রে ১৯৯০ সালে এই বিধান রাখা হলেও সমঝোতার মাধ্যমে কমিটি গঠন করায় প্রায় ২৫ বছর ভোট হয়নি।
অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির মেয়াদ এক বছর। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একটি কমিটি টানা ১০-১২ বছর ছিল। সর্বশেষ কমিটি হয় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। এ ছাড়া প্রতিবছর বিচারকদের সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও ২০১০ সালের পর ২০২২ সালে সম্মেলন হয়েছে।
জানা গেছে, আগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পদাধিকারবলে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হতেন ঢাকার জেলা জজ। বাকি পদগুলোতেও বৃহত্তর ঢাকার বিচারকদের প্রার্থী হওয়ার বিধান ছিল। তবে কমিটি গঠনে সর্বশেষ কবে নির্বাচন হয়েছে, তা বিচার বিভাগের অনেক জেলা জজ, সিনিয়র জেলা জজরাও জানেন না। কমিটি গঠনে নির্বাচন না হওয়ায় অনেকে ক্ষুব্ধ থাকলেও হয়রানির ভয়ে মুখ খোলেননি।
সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন বলেন, ‘যতটুকু মনে পড়ে, চাকরিজীবনে প্রায় ২৫ বছর আগে একবারই কমিটি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। নির্বাচনে বাধা দেওয়া উচিত নয়; বরং সমঝোতা না হলে প্রতিবছরই নির্বাচন হওয়া উচিত।’
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৯ আগস্ট সহকারী জজ ও সিনিয়র সহকারী জজরা গঠন করেন ‘ইয়াং জাজেস ফর জুডিশিয়াল রিফর্ম’। তাঁরা অনলাইন ভোটের মাধ্যমে বিগত সরকারের সময়ে গঠিত মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্তির প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে সারা দেশের বিচারকেরা একমত হলে আগের কমিটির সবাই ২১ আগস্ট স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। সেদিনই ইয়াং জাজেস ফর জুডিশিয়াল রিফর্মের প্রস্তাবের ভিত্তিতে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী নির্বাহী কমিটি। এই কমিটি নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৬ সেপ্টেম্বর কমিশন গঠন করে। কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। এতে সারা দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের মধ্যে ভোটের আমেজ শুরু হয়।
তবে নির্বাচন বন্ধের হুমকির অভিযোগে ৪ অক্টোবর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং পরদিন কমিশনের বাকি সদস্যরাও পদত্যাগপত্র জমা দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বিচারক বলেন, কমিশনের সদস্যরা কয়েকজন বিচারকের চাপে পদত্যাগ করেছেন।
এদিকে ১৫ অক্টোবর রাতে অন্তর্বর্তী কমিটির বৈঠকে তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন করতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
ইয়াং জাজেস ফর জুডিশিয়াল রিফর্মের সমন্বয়ক মুহাম্মদ আলী তালহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিচারকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা গণতান্ত্রিক অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু বিগত দিনে স্বার্থান্বেষী মহল এবং সরকারের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। সারা দেশের দুই হাজারের বেশি বিচারকের মধ্যে মাত্র ৮-১০ জন নির্বাচন না করে আগের মতো অ্যাসোসিয়েশনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন। বিভিন্নভাবে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ মঙ্গলবার বঙ্গভবনে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম
১ মিনিট আগেসারা দেশের সাধারণ জনগণকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, ‘আপনারা ধৈর্য ধরুন, শান্ত থাকুন। নিজেরা আইন হাতে তুলে নিয়ে দয়া করে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করবেন না।’
১৬ মিনিট আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকার ও ব্যালটে ভোট গ্রহণসহ নানা প্রস্তাব নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাছে তুলে ধরেছেন রাজধানীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে। সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা, প্
১ ঘণ্টা আগেগণমাধ্যমে গুজব প্রচারের ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন
২ ঘণ্টা আগে