নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ফাউন্ডেশন করার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শেষ পর্যায়ের বলে জানিয়েছেন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণের এ তথ্য জানান ড. ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন জুলাই–আগস্ট মাস গণ–অভ্যুত্থানে বল প্রয়োগ ও হতাহতের যে দুঃসহ ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তার স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধানকে বাংলাদেশ এসে তাঁদের তদন্ত শুরু করতে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তদন্তের এই প্রক্রিয়া এ সপ্তাহেই শুরু হবে। তাঁদের প্রথম দল ইতিমধ্যে এসে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ছাত্র–জনতার বিপ্লবকে নস্যাৎ করতে যে শত শত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছিলে, তার অধিকাংশ প্রত্যাহার করেছি এবং আটক ছাত্র–জনতার মুক্তিলাভের ব্যবস্থা করেছি। পর্যায়ক্রমে মিথ্যা ও গায়েবি সব মামলার ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করে মানুষকে দুঃসহ ভোগান্তি থেকে মুক্ত করা হবে।’
ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গণ–অভ্যুত্থানের সব শহীদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সব আহত শিক্ষার্থী ও জনতার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় সরকার বহন করবে। সে লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিত্বকারী দুজন উপদেষ্টার সহায়তায় একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এই কার্যক্রমের জন্য এবং গণ–অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে সরকার অতি দ্রুত “জুলাই গণহত্যা স্মৃতি ফাউন্ডেশন” নাম একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায় এনেছে। আপনাদের সবাইকে এবং বিদেশে অবস্থানরত ভাই-বোনদের অনুদান এই প্রতিষ্ঠানে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদ গ্রহণ করেছি।’
দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই সরকার আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের অস্থির পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘আপনাদের সহযোগিতা ও সমর্থনে দেশপ্রেমিক সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজে যোগ দিয়েছে। ফ্যাসিবাদী সরকার প্রশাসনে চরম দলীয়করণ করার ফলে বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা–কর্মচারী দীর্ঘদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। আমরা ইতিমধ্যে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আরম্ভ করেছি। তবে প্রশাসনকে গতিশীল রাখতে এবং একই সঙ্গে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে সময় প্রয়োজন। সে জন্য সবাইকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রশাসনের সব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলো যেন জনগণের আস্থা ফিরে পায় সেটি আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য।’
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ফাউন্ডেশন করার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শেষ পর্যায়ের বলে জানিয়েছেন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণের এ তথ্য জানান ড. ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন জুলাই–আগস্ট মাস গণ–অভ্যুত্থানে বল প্রয়োগ ও হতাহতের যে দুঃসহ ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তার স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধানকে বাংলাদেশ এসে তাঁদের তদন্ত শুরু করতে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তদন্তের এই প্রক্রিয়া এ সপ্তাহেই শুরু হবে। তাঁদের প্রথম দল ইতিমধ্যে এসে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ছাত্র–জনতার বিপ্লবকে নস্যাৎ করতে যে শত শত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছিলে, তার অধিকাংশ প্রত্যাহার করেছি এবং আটক ছাত্র–জনতার মুক্তিলাভের ব্যবস্থা করেছি। পর্যায়ক্রমে মিথ্যা ও গায়েবি সব মামলার ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করে মানুষকে দুঃসহ ভোগান্তি থেকে মুক্ত করা হবে।’
ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গণ–অভ্যুত্থানের সব শহীদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সব আহত শিক্ষার্থী ও জনতার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় সরকার বহন করবে। সে লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিত্বকারী দুজন উপদেষ্টার সহায়তায় একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এই কার্যক্রমের জন্য এবং গণ–অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে সরকার অতি দ্রুত “জুলাই গণহত্যা স্মৃতি ফাউন্ডেশন” নাম একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায় এনেছে। আপনাদের সবাইকে এবং বিদেশে অবস্থানরত ভাই-বোনদের অনুদান এই প্রতিষ্ঠানে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদ গ্রহণ করেছি।’
দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই সরকার আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের অস্থির পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘আপনাদের সহযোগিতা ও সমর্থনে দেশপ্রেমিক সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজে যোগ দিয়েছে। ফ্যাসিবাদী সরকার প্রশাসনে চরম দলীয়করণ করার ফলে বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা–কর্মচারী দীর্ঘদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। আমরা ইতিমধ্যে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আরম্ভ করেছি। তবে প্রশাসনকে গতিশীল রাখতে এবং একই সঙ্গে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে সময় প্রয়োজন। সে জন্য সবাইকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রশাসনের সব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলো যেন জনগণের আস্থা ফিরে পায় সেটি আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য।’
নবীন উদ্যোক্তাদের সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প শুনতে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে ১৫ জন উদ্যোক্তা অংশ নেন, যাঁরা সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছেন।
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস. এম. কামরুল হাসান ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মুহাম্মদ আলী রাওয়ালপিন্ডিতে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপর জোর দেওয়া হয়।
১০ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক এ কে এম মনিরুজ্জামানকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে বদলি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পদ–পদবি ব্যবহার করে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ রয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালে বাংলাদেশে ৩১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তাদের মাঝে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও রয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশের বেশি কৈশোর বয়সী।
১৩ ঘণ্টা আগে