অপরাধে জড়ালে বাহিনী থেকে বের করে দেওয়া হবে: আইজিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২২, ২০: ২৭
Thumbnail image

কোনো পুলিশ সদস্য অপরাধে জড়িয়ে পড়লে তাঁকে পুলিশ বাহিনী থেকে বের করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। আজ বুধবার সকালে যশোর পুলিশ লাইনসে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বুধবার সকালে যশোর পুলিশ লাইনসে খুলনা রেঞ্জের সব পুলিশ ইউনিটের বিভিন্ন পদবির কর্মকর্তা ও বাহিনীর এক বিশেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আইজিপি। 

সভায় মানুষের সঙ্গে অমানবিক ও অপেশাদার আচরণ না করার জন্য পুলিশ সদস্যদের আহ্বান জানিয়ে ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশে কোনো অপরাধীর স্থান নেই। অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যই বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। তাই আমরা নিজে অপরাধ করব না, সিনিয়র-জুনিয়র কোনো সহকর্মীকেই অপরাধ করতে দেব না।’ 

করোনাকালে পুলিশের অবদানের কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, করোনা মোকাবিলায় পুলিশ একমুহূর্তের জন্যও দায়িত্ব পালনে পিছপা হয়নি। প্রথমদিকে পুলিশের সুরক্ষা সামগ্রী ছিল না, পিপিই ছিল না। তবু পুলিশ দেশ ও জনগণের সেবায় প্রথম দিন থেকেই আত্মনিয়োগ করেছে। তিনি বলেন, ‘করোনাকালে দেশমাতৃকার সেবায়, দেশ ও জনগণের জন্য আমাদের ১০৬ জন সহকর্মী আত্মোৎসর্গ করেন। এ সময় ২৭ হাজার পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। নিজেদের দায়িত্বের গণ্ডি পেরিয়ে পুলিশ মানুষকে সেবা দিয়েছে। দেশের ১৮ কোটি মানুষ পুলিশকে ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ এখন “ফ্রন্টলাইন হিরো”।’ 

আইজিপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে প্রথম বুলেট নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে পুলিশ জনগণের আস্থা, ভালোবাসা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। আবার করোনাকালে পুলিশ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। জনগণের এ বিশ্বাস, আস্থা ধরে রাখা অত্যন্ত কঠিন চ্যালেঞ্জ। এ কঠিন চ্যালেঞ্জ জয় করতে হবে। সবাই মিলে পুলিশ বাহিনীর সম্মান বাড়াতে হবে। 

বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। বাংলাদেশ পুলিশকেও উন্নত দেশের উপযোগী আধুনিক পুলিশ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।’ পুলিশের আধুনিকায়নে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে পুলিশে সর্বাধুনিক ট্যাকটিক্যাল বেল্ট, বডি ওর্ন ক্যামেরা ইত্যাদি যুক্ত হয়েছে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে এবং জনগণকে উন্নত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ভবিষ্যতে পুলিশের আধুনিকায়নে যা যা করা প্রয়োজন, তাই করা হবে।’ 

পুলিশের নিয়োগ পদ্ধতির সংস্কারের প্রসঙ্গে বেনজীর আহমেদ বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর পর পুলিশের কনস্টেবল, সাব-ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট পদে বিদ্যমান নিয়োগবিধি সংস্কার করা হয়েছে। এরই মধ্যে কনস্টেবল পদে জব মার্কেট থেকে ‘বেস্ট অব দি বেস্ট’ প্রার্থী নিয়োগ করা হয়েছে। সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। 

খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খ মহিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যশোর জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত