নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে করোনার টিকা কেনায় প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার গরমিল পাওয়া গেছে বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণায় উঠে এসেছে। আজ মঙ্গলবার ‘করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সুশাসন: অন্তর্ভুক্তি ও স্বচ্ছতার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় টিআইবি।
প্রতিবেদনে টিআইবি বলছে, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে করোনা টিকা ক্রয়ে ব্যয় ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি বলে উল্লেখ করেন। পরবর্তী সময়ে গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন উৎস থেকে প্রায় ২৯ কোটি ৬৪ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে। বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যে, দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে সরকারিভাবে ক্রয় করা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ডোজ টিকা, কোভ্যাক্স কস্ট শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ৮ কোটি ৭০ লাখ ডোজ, বিভিন্ন দেশের সরকার ও কোভ্যাক্স থেকে অনুদানের মাধ্যমে প্রায় ১১ কোটি ৭০ লাখ ডোজ টিকা বিনা মূল্যে পাওয়া গেছে।
এ ক্ষেত্রে কোভিশিল্ড প্রতি ডোজ ৫ ডলার হিসেবে ৪২৫ টাকা, সিনোফার্ম ১০ ডলার হিসেবে ৮৫০ টাকা এবং কোভ্যাক্স কস্ট শেয়ারিংয়ের টিকা সাড়ে ৫ ডলার হিসেবে ৪৬৭ টাকা ৫০ পয়সা হিসাবে ধরে আনুমানিক টিকার খরচ দাঁড়ায় ১১ হাজার ২৫৪ কোটি ৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ ৮ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকার হিসাবে গরমিল রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, টিকা কার্যক্রমে জবাবদিহির ঘাটতি ছিল। গবেষণায় পর্যবেক্ষণ করা ৪৫টি স্থায়ী টিকাকেন্দ্রের মধ্যে ৩৫টি কেন্দ্রে অভিযোগ বাক্স ছিল না, ৪০টি কেন্দ্রে অভিযোগ কেন্দ্র ছিল না এবং ৩৯টি কেন্দ্রে অভিযোগ জানানোর নম্বর প্রদর্শন করা ছিল না। অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম-দুর্নীতির শিকার হওয়া টিকা গ্রহীতাদের দেড় শতাংশ অভিযোগ করেছেন। যাঁরা অভিযোগ করেননি, তাঁদের ৪৪ দশমিক ১ শতাংশ বলেছেন, অভিযোগ ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁদের কোনো ধারণা নেই। ৩০ দশমিক ১ শতাংশ বলেছেন, কেন্দ্রে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা ছিল না।
গবেষণা জরিপে আরও জানানো হয়, টিকা ব্যবস্থাপনায়ও ছিল অনিয়ম-দুর্নীতি। টিকাকেন্দ্রে টিকা গ্রহণের সময় ২ শতাংশ সেবাগ্রহীতা অনিয়ম-দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণ, টিকাকেন্দ্রে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সুবিধা দেওয়া, দুর্ব্যবহার এবং কিছু কেন্দ্রে টিকা থাকা সত্ত্বেও টিকাকেন্দ্র থেকে টিকা গ্রহীতাদের ফিরিয়ে দেওয়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ২০২১ সালের জুলাই মাসে গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে টিকা প্রতি ৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ১০ মার্চ গণমাধ্যমে টিকা কার্যক্রমে মোট ব্যয় ৪০ হাজার কোটি টাকা বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
দেশে করোনার টিকা কেনায় প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার গরমিল পাওয়া গেছে বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণায় উঠে এসেছে। আজ মঙ্গলবার ‘করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সুশাসন: অন্তর্ভুক্তি ও স্বচ্ছতার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় টিআইবি।
প্রতিবেদনে টিআইবি বলছে, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে করোনা টিকা ক্রয়ে ব্যয় ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি বলে উল্লেখ করেন। পরবর্তী সময়ে গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন উৎস থেকে প্রায় ২৯ কোটি ৬৪ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে। বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যে, দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে সরকারিভাবে ক্রয় করা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ডোজ টিকা, কোভ্যাক্স কস্ট শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ৮ কোটি ৭০ লাখ ডোজ, বিভিন্ন দেশের সরকার ও কোভ্যাক্স থেকে অনুদানের মাধ্যমে প্রায় ১১ কোটি ৭০ লাখ ডোজ টিকা বিনা মূল্যে পাওয়া গেছে।
এ ক্ষেত্রে কোভিশিল্ড প্রতি ডোজ ৫ ডলার হিসেবে ৪২৫ টাকা, সিনোফার্ম ১০ ডলার হিসেবে ৮৫০ টাকা এবং কোভ্যাক্স কস্ট শেয়ারিংয়ের টিকা সাড়ে ৫ ডলার হিসেবে ৪৬৭ টাকা ৫০ পয়সা হিসাবে ধরে আনুমানিক টিকার খরচ দাঁড়ায় ১১ হাজার ২৫৪ কোটি ৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ ৮ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকার হিসাবে গরমিল রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, টিকা কার্যক্রমে জবাবদিহির ঘাটতি ছিল। গবেষণায় পর্যবেক্ষণ করা ৪৫টি স্থায়ী টিকাকেন্দ্রের মধ্যে ৩৫টি কেন্দ্রে অভিযোগ বাক্স ছিল না, ৪০টি কেন্দ্রে অভিযোগ কেন্দ্র ছিল না এবং ৩৯টি কেন্দ্রে অভিযোগ জানানোর নম্বর প্রদর্শন করা ছিল না। অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম-দুর্নীতির শিকার হওয়া টিকা গ্রহীতাদের দেড় শতাংশ অভিযোগ করেছেন। যাঁরা অভিযোগ করেননি, তাঁদের ৪৪ দশমিক ১ শতাংশ বলেছেন, অভিযোগ ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁদের কোনো ধারণা নেই। ৩০ দশমিক ১ শতাংশ বলেছেন, কেন্দ্রে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা ছিল না।
গবেষণা জরিপে আরও জানানো হয়, টিকা ব্যবস্থাপনায়ও ছিল অনিয়ম-দুর্নীতি। টিকাকেন্দ্রে টিকা গ্রহণের সময় ২ শতাংশ সেবাগ্রহীতা অনিয়ম-দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণ, টিকাকেন্দ্রে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সুবিধা দেওয়া, দুর্ব্যবহার এবং কিছু কেন্দ্রে টিকা থাকা সত্ত্বেও টিকাকেন্দ্র থেকে টিকা গ্রহীতাদের ফিরিয়ে দেওয়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ২০২১ সালের জুলাই মাসে গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে টিকা প্রতি ৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ১০ মার্চ গণমাধ্যমে টিকা কার্যক্রমে মোট ব্যয় ৪০ হাজার কোটি টাকা বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে অভিন্ন নদীগুলো রয়েছে সেগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা বাংলাদেশকে দিতে ভারত বাধ্য। পানি না দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে ভারতকে রাজনৈতিক, সামাজিকভাবে চাপ দিতে হবে।
১ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে বিভক্তি, কার্যকর নেতৃত্বের অভাব ও রাখাইনে নিবর্তনমূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে না ওঠা তাঁদের প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা। এমনটাই মনে করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আবদুল হাফিজ।
৩ ঘণ্টা আগেসরকারি পর্যায়ে সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের বরাদ্দ করা বাজেটের খুব কমই পায় দরিদ্ররা। বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারী, বয়স্ক ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী, চা শ্রমিক, হিজড়া, বেদে ও ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর মানুষ যে নগদ অর্থ পায়, তার পরিমাণ খুবই সামান্য। দেখা গেছে, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের বাজেটের অর্ধেক বা তারও বেশি সুব
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মানুষের মতামত জানতে ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার তত্ত্বাবধানে একটি জনমত জরিপ পরিচালিত হয়েছে। টেলিফোনে এই জরিপে অংশ নিয়েছেন দেশের আটটি বিভাগের ১ হাজার মানুষ।
৪ ঘণ্টা আগে