Ajker Patrika

রাজনীতিবিদেরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে স্বার্থের রাজনীতি করেছেন: অধ্যাপক রওনক জাহান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা            
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৫, ২৩: ৫৭
সিপিডির ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহান মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও স্বাধীনতা উৎসব উপলক্ষে স্মারক বক্তব্য দেন। ছবি: সংগৃহীত
সিপিডির ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহান মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও স্বাধীনতা উৎসব উপলক্ষে স্মারক বক্তব্য দেন। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধের বয়ান (ইতিহাস) নিয়ে রাজনৈতিকীকরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহান। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বয়ান নিয়ে রাজনৈতিকীকরণ করা হয়েছে। রাজনীতিবিদেরা সেই বয়ান সৃষ্টি করছেন তাঁদের নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য।’

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আয়োজিত ‘আমাদের স্বাধীনতার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ: রাজনীতি ও গবেষণার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক স্মারক বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ইতিহাসভিত্তিক বইয়ের সংখ্যা অনেক কম জানিয়ে রওনক জাহান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক বই থাকলেও বেশির ভাগ স্মৃতিকথা। এসব বইয়ের বয়ানগুলো খণ্ডিত। কিন্তু যেকোনো দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ধারণা করা হয়, অনেকগুলো গবেষণাভিত্তিক বই হবে। যেগুলো সর্বজন গৃহীত হবে দেশে ও বিদেশে। আমাদের দেশে ওই ধরনের গবেষণামূলক লেখা খুবই কম।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতির কারণে গবেষণাগুলো অনেক বাধাগ্রস্ত হয়। তথ্য-উপাত্ত জোগাড় করা অনেক কঠিন হয়ে যায়। পাকিস্তান হওয়ার পর গত ৭০ বছরে বেশির ভাগ সময় আমরা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় ছিলাম না। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা না থাকলে তখন সরকারকে নিয়ে সমালোচনামূলক কিছু লেখা কঠিন। গবেষণায় রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাব পড়লে ইতিহাসের বয়ান বিতর্কিত হয়ে যায়।’

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও স্বাধীনতা উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (বাঁ থেকে) সারওয়ার আলী, সারা যাকের, রওনক জাহান ও মফিদুল হক। ছবি: সংগৃহীত
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও স্বাধীনতা উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (বাঁ থেকে) সারওয়ার আলী, সারা যাকের, রওনক জাহান ও মফিদুল হক। ছবি: সংগৃহীত

অধ্যাপক রওনক জাহান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বয়ান নিয়ে রাজনৈতিকীকরণ করা হয়েছে। রাজনীতিবিদেরা সেই বয়ান সৃষ্টি করছেন তাঁদের নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য। এতে একেক সরকার একেকভাবে ইতিহাস লিখছে। ইতিহাসের নায়কেরাও পাল্টে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্ম কয়েক বছর পর একেক রকম ইতিহাস পড়ে। তাহলে কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যা, সেটা প্রতিষ্ঠা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি সারওয়ার আলী। বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ট্রাস্টি সারা যাকের। আর বক্তব্য দেন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হেলিকপ্টারে নেওয়ার অবস্থায় নেই, দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে তামিম

অর্ধশতাধিক পুলিশ কর্মকর্তার ‘বিশেষ বৈঠক’, ব্যাখ্যা চাইল সদর দপ্তর

অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, পালানোকালে আটক ৫ পুলিশ সদস্য

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের বিরুদ্ধে ৪৭ ব্রিটিশ এমপিকে ‘সন্দেহজনক’ ই-মেইল

নতুন বাহিনীর প্রস্তাবে অসন্তোষ বেবিচকে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত