নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: এক মাসেরও অধিক সময় কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়েও পুরোপুরি ঠেকানো যায়নি সীমান্ত চলাচল। সে জন্য রাজধানীসহ সারা দেশে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠছে সীমান্ত জেলাগুলোর চিত্র। এসব পথ দিয়ে দেশে ফেরতদের অনেকের শরীরে মিলেছে যুক্তরাজ্য, আফ্রিকা, ভারত, ব্রাজিল ও নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় সীমান্তবর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক সপ্তাহের লকডাউন চলছে। তবে সংক্রমণ পরিস্থিতি আগের মতোই ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় নতুন করে সময়সীমা বাড়ানোর সম্ভাবনা বেশি। এ জেলায় এখন পর্যন্ত ৮ জনের শরীরে করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত করা হয়েছে। যারা প্রত্যেকেই ভারত ভ্রমণে গিয়েছিলেন।
এ অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ ৩৭ জেলার মধ্যে নতুন আরও সাতটি জেলায় কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি। জেলাগুলো হলো- রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর ও কুষ্টিয়া।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সারা দেশে সংক্রমণের হার অনেকটা স্থিতিশীল। তবে বিধিনিষেধের মধ্যেই অবৈধভাবে তথা নানা উপায়ে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে অনেকে দেশে ফেরায় ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এসব জেলায় তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। অথচ এক মাস আগেও এসব এলাকায় সংক্রমণ মাত্রা ৫ শতাংশের নিচে ছিল, যা এখন ৩০ শতাংশ ছুঁই ছুঁই। এতে করে যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশের করোনা পরিস্থিতি চিন্তায় ফেলেছে। তাই, পরিস্থিতি যাতে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সে জন্য সীমান্তবর্তী এসব জেলাকে লকডাউনের আওতায় আনতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, সারা দেশে সংক্রমণ কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও বিভিন্ন কারণে আবারও তা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষে করে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর পরিস্থিতি ভয় বাড়াচ্ছে। পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের উপস্থিতি। তাই সীমান্তের ৭ জেলায় লকডাউনের সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। এসব জেলায় বর্তমানে শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।
এদিকে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, সীমান্তের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পর এখন পর্যন্ত ২৬৩টি নমুনা সিকোয়েন্স করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৫ টিতে মিলেছে আফ্রিকান ধরন। এ ছাড়া ২৭ টিতে যুক্তরাজ্য ও ৫ টিতে নাইজেরিয়ান। আর ২৩ টিতে পাওয়া গেছে ভারতীয় ধরনের উপস্থিতি। এর মধ্যে ভারতীয় ধরনে (বি.১৬১৭) আক্রান্তদের মধ্যে দেশটি থেকে ফেরত আসারাও ছাড়া তাদের সংস্পর্শে এসেছেন এমন ব্যক্তিও রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা আরও নমুনা সিকোয়েন্স করছি। যত দিন সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত বন্ধ না হবে এবং এসব এলাকায় সংক্রমণ মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে কমে না আসবে আমরা এটি চালিয়ে যাব। তবে এই ধরন নতুন কিছু নয়। আক্রান্তের সংখ্যা যত বাড়বে ধরনের সংখ্যাও ততটাই বাড়বে। এ জন্য আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মানা ও টিকা গ্রহণ করতে পারলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসবে।
এদিকে সারা দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের সময়সীমা আরও এক সপ্তাহ (৬ জুন পর্যন্ত) বাড়িয়েছে সরকার। করোনা মোকাবিলায় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই কমিটির সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল ইসলামের মতে, সারা দেশে না দিয়ে অধিক সংক্রমিত এলাকাগুলো চিহ্নিত করে বিশেষ করে সীমান্তবর্তী সব এলাকাকে এই মুহূর্তে কঠোর লকডাউনের আওতায় আনা উচিত।
জানতে চাইলে এ বিশেষজ্ঞ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সমন্বয়হীনতা আমাদের পিছু ছাড়ছে না। যারা নির্দেশনা দিচ্ছেন তারা সেটি করেই ক্ষান্ত হচ্ছেন। অথচ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। সীমান্তবর্তী সব জেলাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি যাতে মানানো যায়, আমাদের সে চেষ্টা করা উচিত। এসব এলাকায় ঘন ঘন নমুনা পরীক্ষার পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের টিকার আওতায় আনতে হবে।
ঢাকা: এক মাসেরও অধিক সময় কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়েও পুরোপুরি ঠেকানো যায়নি সীমান্ত চলাচল। সে জন্য রাজধানীসহ সারা দেশে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠছে সীমান্ত জেলাগুলোর চিত্র। এসব পথ দিয়ে দেশে ফেরতদের অনেকের শরীরে মিলেছে যুক্তরাজ্য, আফ্রিকা, ভারত, ব্রাজিল ও নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় সীমান্তবর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক সপ্তাহের লকডাউন চলছে। তবে সংক্রমণ পরিস্থিতি আগের মতোই ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় নতুন করে সময়সীমা বাড়ানোর সম্ভাবনা বেশি। এ জেলায় এখন পর্যন্ত ৮ জনের শরীরে করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত করা হয়েছে। যারা প্রত্যেকেই ভারত ভ্রমণে গিয়েছিলেন।
এ অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ ৩৭ জেলার মধ্যে নতুন আরও সাতটি জেলায় কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি। জেলাগুলো হলো- রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর ও কুষ্টিয়া।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সারা দেশে সংক্রমণের হার অনেকটা স্থিতিশীল। তবে বিধিনিষেধের মধ্যেই অবৈধভাবে তথা নানা উপায়ে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে অনেকে দেশে ফেরায় ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এসব জেলায় তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। অথচ এক মাস আগেও এসব এলাকায় সংক্রমণ মাত্রা ৫ শতাংশের নিচে ছিল, যা এখন ৩০ শতাংশ ছুঁই ছুঁই। এতে করে যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশের করোনা পরিস্থিতি চিন্তায় ফেলেছে। তাই, পরিস্থিতি যাতে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সে জন্য সীমান্তবর্তী এসব জেলাকে লকডাউনের আওতায় আনতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, সারা দেশে সংক্রমণ কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও বিভিন্ন কারণে আবারও তা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষে করে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর পরিস্থিতি ভয় বাড়াচ্ছে। পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের উপস্থিতি। তাই সীমান্তের ৭ জেলায় লকডাউনের সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। এসব জেলায় বর্তমানে শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।
এদিকে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, সীমান্তের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পর এখন পর্যন্ত ২৬৩টি নমুনা সিকোয়েন্স করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৫ টিতে মিলেছে আফ্রিকান ধরন। এ ছাড়া ২৭ টিতে যুক্তরাজ্য ও ৫ টিতে নাইজেরিয়ান। আর ২৩ টিতে পাওয়া গেছে ভারতীয় ধরনের উপস্থিতি। এর মধ্যে ভারতীয় ধরনে (বি.১৬১৭) আক্রান্তদের মধ্যে দেশটি থেকে ফেরত আসারাও ছাড়া তাদের সংস্পর্শে এসেছেন এমন ব্যক্তিও রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমরা আরও নমুনা সিকোয়েন্স করছি। যত দিন সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত বন্ধ না হবে এবং এসব এলাকায় সংক্রমণ মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে কমে না আসবে আমরা এটি চালিয়ে যাব। তবে এই ধরন নতুন কিছু নয়। আক্রান্তের সংখ্যা যত বাড়বে ধরনের সংখ্যাও ততটাই বাড়বে। এ জন্য আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মানা ও টিকা গ্রহণ করতে পারলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসবে।
এদিকে সারা দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের সময়সীমা আরও এক সপ্তাহ (৬ জুন পর্যন্ত) বাড়িয়েছে সরকার। করোনা মোকাবিলায় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই কমিটির সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল ইসলামের মতে, সারা দেশে না দিয়ে অধিক সংক্রমিত এলাকাগুলো চিহ্নিত করে বিশেষ করে সীমান্তবর্তী সব এলাকাকে এই মুহূর্তে কঠোর লকডাউনের আওতায় আনা উচিত।
জানতে চাইলে এ বিশেষজ্ঞ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সমন্বয়হীনতা আমাদের পিছু ছাড়ছে না। যারা নির্দেশনা দিচ্ছেন তারা সেটি করেই ক্ষান্ত হচ্ছেন। অথচ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। সীমান্তবর্তী সব জেলাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি যাতে মানানো যায়, আমাদের সে চেষ্টা করা উচিত। এসব এলাকায় ঘন ঘন নমুনা পরীক্ষার পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের টিকার আওতায় আনতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী হলে দলীয় প্রধানের পদ ছেড়ে দেওয়া, ৫১ শতাংশের কম ভোট পড়লে পুনরায় ভোট গ্রহণ এবং দেশের সব জাতিসত্তার স্বীকৃতিসহ বিভিন্ন বিধান সংবিধানে যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। গতকাল বুধবার সংবিধান সংস্কার কমিশনের সঙ্গে অংশীজনদের মতবিনিময় সভায় এসব কথা উঠে এসেছে। মতবিনিময় সভায় বিচারপতি ইমান
৩ ঘণ্টা আগেব্যক্তির অপরাধের জন্য দলের বিরুদ্ধে আঙুল তোলা ঠিক নয় বলে মনে করেন ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। তিনি বলেছেন, ‘কোনো অপরাধীর জন্য কোনো সংগঠন বা কোনো দল কিংবা কোনো গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আঙুল দেখানো ঠিক হবে না।’
৪ ঘণ্টা আগেইন্টারনেট এখন আর বিনোদন কিংবা কথা বলার মাধ্যমের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ইন্টারনেট স্বীকৃত মৌলিক মানবাধিকার। তাই বাংলাদেশেও সংবিধানে ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা ও ডাটা সুরক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ব
৪ ঘণ্টা আগেসম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে ভারতের দেওয়া বিবৃতিকে ‘অনধিকার চর্চা’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
৪ ঘণ্টা আগে