ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের আওতায় আসবে ২ কোটিরও বেশি শিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২২, ২০: ০৩
আপডেট : ১৫ জুন ২০২২, ২০: ২৬

প্রতিবছরের মতো এ বছরও সারা দেশে শুরু হয়েছে ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন। বুধবার (১৫ জুন) শুরু হওয়া এ ক্যাম্পেইন চলবে ১৯ জুন পর্যন্ত। তবে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় শুক্রবার বন্ধ থাকবে এ কার্যক্রম। ৪ দিনে একটি করে ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখের বেশি শিশুকে। 

সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৪ লাখের বেশি শিশুকে একটি করে নীল ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ১ কোটি ৯৬ একটি লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। 

আজ বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রাজধানীর শিশু হাসপাতালে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ।

দেশের সব সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি–ইপিআই কেন্দ্র এবং স্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চার দিন পরিচালিত হবে এ ক্যাম্পেইন। নির্ধারিত ইপিআই শিডিউল অনুযায়ী প্রত্যেক ওয়ার্ডের (পুরোনো) আটটি সাব-ব্লকে সপ্তাহের চার কর্মদিবসে নির্ধারিত ইপিআই কেন্দ্রে পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার কল্যাণ সহকারী ও স্বেচ্ছাসেবী কর্তৃক উদ্দিষ্ট শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। এ ছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে কার্যক্রম চলছে।

ক্যাম্পেইন উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা বছরে দুবার এই ক্যাম্পেইন করি। আর এই ক্যাম্পেইনে দুই কোটিরও অধিক শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। সফলতার সঙ্গে এই ক্যাম্পেইন চলছে। আপনারা জানেন, ভিটামিন এ-এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়াও রাতকানা রোগসহ অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শারীরিক মানসিক দিক থেকে ভালোভাবে গড়ে ওঠে এবং মৃত্যুঝুঁকি থেকেও সে বেঁচে যায়।’ 

জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘শিশুদের ভালো রাখতে হলে মায়েদেরও ভালো রাখতে হবে, ভালো খাবার খাওয়াতে হবে। তা না হলে শিশুদের বুকের দুধ খাওয়াতে পারবেন না। একটা শিশুকে অন্তত ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। এই সময়ে অন্য কোনো খাবার লাগবে না। এরপর আস্তেধীরে বাসায় তৈরি সুষম খাবার খাওয়াতে হবে, যেখানে ভিটামিন এ-সহ অন্যান্য উপাদানও থাকবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত