নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহযোগিতায় চীন ও ভারতের প্রস্তাবের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে প্রস্তাব দেশের মানুষের কল্যাণে আসবে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের ঋণ নিলে রিটার্ন আসবে, তাদের প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে। তবে তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের অনেক দিনের তিস্তার পানিবণ্টন, তাই তারা যদি আমাদের প্রজেক্ট করে দেয়, আমাদের সব সমস্যার সমাধানই হয়ে গেল।’
আজ মঙ্গলবার গণভবনে ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রশ্নকর্তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ভারত ও চীন সহায়তা করতে চায় বাংলাদেশকে। দেশে একধরনের আলোচনা আছে আপনি ভারত নাকি চীনের দিকে ঝুঁকে আছেন? চীনের দিকে ঝুঁকে গেলে প্যাঁচে পড়বেন। ভারতের দিকে ঝুঁকলে চীন আগাতে দেবে না। এ রকম আলোচনা আছে। এটা কীভাবে মোকাবিলা সরকার করবে তা জানতে চান প্রশ্নকর্তা।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব পররাষ্ট্র নীতিমালা নিয়ে একটানা চতুর্থবার এবং আগে ছিল একবার, এই পঞ্চমবার রাষ্ট্র পরিচালনা করছি। বিরোধী দলের নেতা হিসেবে সংসদে ছিলাম। এ নীতি মেনে চলে যাচ্ছি, এগিয়ে যাচ্ছি। কখনো প্রশ্ন আসেনি কোথায় ব্যালেন্স কম হলো? এটা আসেনি। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় যে সুযোগটা দিচ্ছে, সেটা হচ্ছে উন্নয়ন করার সুযোগ দিচ্ছে। আমার কাছে এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশের মানুষের কল্যাণে, দেশের উন্নয়নে কার সঙ্গে কতটুকু বন্ধুত্ব দরকার, সেটা করে যাচ্ছি। ভারত আমাদের চরম দুঃসময়ের বন্ধু। আবার চীন যেভাবে নিজেদের উন্নত করেছে, সেখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। সেগুলো সামনে রেখে সম্পর্ক বজায় রেখে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘কেউ মনে করল এদিকে ঝুঁকলাম না কি, ওই দিকে ঝুঁকলাম। এই ঝুঁকাঝুঁকির ব্যাপার আমার নেই। আমি কিন্তু সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নেই। আমাকে অনেকেই জিজ্ঞেস করে, এমনকি বিদেশেও অনেকেই বলে আপনি কীভাবে ব্যালেন্স করেন? আমি বলি ব্যালেন্স কোনো কথা না। তাদের দুই দেশের (ভারত ও চীন) মধ্যে কী সম্পর্ক, সেটা তাদের ব্যাপার। আমি সেখানে নাক গলাই না। আমি সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ভারতের সঙ্গে ১০টা এমওইউ, সমঝোতা স্মারক, রিনিউ করলাম।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিস্তা নিয়ে অনেক প্রস্তাব আসে। যেখান থেকে যে প্রস্তাবই আসুক না কেন, সেটা কতটুকু দেশের জন্য প্রযোজ্য, যে টাকাটা ঋণ নেব, তা শোধ দেওয়ার সক্ষমতা আছে কি না। যে প্রকল্প নেব, তা সম্পন্ন হওয়ার পর রিটার্ন কী আসবে, সেখান থেকে দেশের মানুষের কল্যাণে কতটুকু কাজে লাগবে। সেটা বিবেচনা করে প্রতিটি কাজ করি। ৫৪টি নদীর পানিবণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সমস্যা রয়ে গেছে। আবার চীনেরও পানি তুলে নেওয়ার ঘটনা আছে। হিমালয় রেঞ্জের নদীগুলো নিয়ে নানা ধরনের দ্বন্দ্ব আছে, সমস্যা আছে। আবার সমাধানও আছে। সে ক্ষেত্রে আমরা যেহেতু তিস্তা পানি নিয়ে দাবি করছি।’
তিনি বলেন, ‘তিস্তা প্রকল্পটি যদি আমরা করি। আমাদের চীন প্রস্তাব দিয়েছে। ভারতও প্রস্তাব দিয়েছে। অবশ্যই আমি বিবেচনা করব কোন প্রস্তাবটা দেশের মানুষের কল্যাণ আসবে, আমি সেটাই করব। কোন প্রস্তাব নিলে আমি ঋণ কতটুকু নিলাম, শোধ করলাম, দিতে কতটুকু পারব। সবকিছু বিবেচনা করে করতে হবে। সে ক্ষেত্রে ভারত যখন বলছে তারা করতে চায় এবং টেকনিক্যাল গ্রুপ পাঠাবে, অবশ্যই তারা আসবে। আমরা যৌথভাবে সেটা দেখব। চীনও একটা সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে। ভারতও একটা করবে। যেটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য, লাভজনক সেটাই করব। আবার যেহেতু ভারতের সঙ্গে আমাদের অনেক দিনের তিস্তার পানিবণ্টন, তাই তারা যদি আমাদের প্রজেক্ট করে দেয়—আমাদের সব সমস্যার সমাধানই হয়ে গেল। সেটা আমাদের জন্য সহজ হয়ে গেল না। ভারতের সঙ্গে যদি তিস্তা প্রজেক্টটা করি, তাহলে পানি নিয়ে প্রতিদিন প্যাঁ প্যাঁ করতে হবে না। আমরা সেই সুবিধাটা পাব। এখানে কোনো সমস্যা দেখি না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন শপথ অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিলেন গেলাম, এরপর রাষ্ট্রীয় সফরের আমন্ত্রণ জানালেন আমি রাষ্ট্রীয় সফরও করে আসলাম। চীন আমাকে দাওয়াত দিয়েছে, আমি চীনে যাব। আমি যাব না কেন? বাংলাদেশ সার্বভৌম দেশ। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব নিয়েই চলব। কার কী ঝগড়া, সেটা তাদের সঙ্গে থাক, আমার না। দেশের মানুষের কতটুকু উন্নতি করতে পারি, সেটাই আমার।’
ভারতের কারাগারে সাজা ভোগ করার পরও মানবেতর জীবন যাপন করা বাংলাদেশিদের দেশে আনার ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা খোঁজ নেব। আমরা নিয়ে আসব। নিয়মিত আমরা যখনই খবর পাচ্ছি, সঙ্গে সঙ্গে তাদের ফেরত আনা হচ্ছে।’
ভারতের কারাগারে সাজা ভোগ করার পরও মানবেতর জীবন যাপন করা হাজার হাজার বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি বলেন, ‘প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে এসব ক্ষেত্রে টাকা ব্যয় করা হয়। একবার পাচার হওয়া কিছু শিশুকে আমরা উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। মহিলা এমন কেউ পাচার হলে গেলে, একটা ঘটনা আছে যে স্বামী বিক্রি করে দিয়েছে বউকে। তার জায়গা হয় পতিতালয়ে। সেখান থেকেও কিন্তু আমরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। যখনই আমরা যেটার খবর পাই, উদ্ধার করে নিয়ে আসি।’
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত হাজার হাজার বাংলাদেশির ভারতের কারাগারে থাকার কথা আমরা শুনিনি। তবে আপনি যখন বলছেন, আমরা খোঁজ নেব। আমরা নিয়ে আসব, এটা কোনো ব্যাপার না। এ জন্য আমরা টাকা খরচ করি। এমনকি এবার করোনার সময় যারা বাইরে আটকা পড়েছিল, কাজ পাচ্ছিল না, তাদের যখন এক জায়গায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়, প্রবাসীকল্যাণের ব্যাংকের থেকে টাকা দিয়ে আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। কাজেই এটা আমরা দেখব।’
এ ক্ষেত্রে অর্থের কোনো সমস্যা নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিয়মিত আমরা যখনই খবর পাচ্ছি, সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের ফেরত আনা হচ্ছে। আমাদের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। কোথায় কতজন আছেন, আপনার কাছে তথ্য থাকলে তালিকা দেন—আমি নিয়ে আসব। কোনো অসুবিধা নেই।’
বাংলাদেশের তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহযোগিতায় চীন ও ভারতের প্রস্তাবের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে প্রস্তাব দেশের মানুষের কল্যাণে আসবে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের ঋণ নিলে রিটার্ন আসবে, তাদের প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে। তবে তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের অনেক দিনের তিস্তার পানিবণ্টন, তাই তারা যদি আমাদের প্রজেক্ট করে দেয়, আমাদের সব সমস্যার সমাধানই হয়ে গেল।’
আজ মঙ্গলবার গণভবনে ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রশ্নকর্তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ভারত ও চীন সহায়তা করতে চায় বাংলাদেশকে। দেশে একধরনের আলোচনা আছে আপনি ভারত নাকি চীনের দিকে ঝুঁকে আছেন? চীনের দিকে ঝুঁকে গেলে প্যাঁচে পড়বেন। ভারতের দিকে ঝুঁকলে চীন আগাতে দেবে না। এ রকম আলোচনা আছে। এটা কীভাবে মোকাবিলা সরকার করবে তা জানতে চান প্রশ্নকর্তা।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব পররাষ্ট্র নীতিমালা নিয়ে একটানা চতুর্থবার এবং আগে ছিল একবার, এই পঞ্চমবার রাষ্ট্র পরিচালনা করছি। বিরোধী দলের নেতা হিসেবে সংসদে ছিলাম। এ নীতি মেনে চলে যাচ্ছি, এগিয়ে যাচ্ছি। কখনো প্রশ্ন আসেনি কোথায় ব্যালেন্স কম হলো? এটা আসেনি। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় যে সুযোগটা দিচ্ছে, সেটা হচ্ছে উন্নয়ন করার সুযোগ দিচ্ছে। আমার কাছে এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশের মানুষের কল্যাণে, দেশের উন্নয়নে কার সঙ্গে কতটুকু বন্ধুত্ব দরকার, সেটা করে যাচ্ছি। ভারত আমাদের চরম দুঃসময়ের বন্ধু। আবার চীন যেভাবে নিজেদের উন্নত করেছে, সেখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। সেগুলো সামনে রেখে সম্পর্ক বজায় রেখে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘কেউ মনে করল এদিকে ঝুঁকলাম না কি, ওই দিকে ঝুঁকলাম। এই ঝুঁকাঝুঁকির ব্যাপার আমার নেই। আমি কিন্তু সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নেই। আমাকে অনেকেই জিজ্ঞেস করে, এমনকি বিদেশেও অনেকেই বলে আপনি কীভাবে ব্যালেন্স করেন? আমি বলি ব্যালেন্স কোনো কথা না। তাদের দুই দেশের (ভারত ও চীন) মধ্যে কী সম্পর্ক, সেটা তাদের ব্যাপার। আমি সেখানে নাক গলাই না। আমি সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ভারতের সঙ্গে ১০টা এমওইউ, সমঝোতা স্মারক, রিনিউ করলাম।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিস্তা নিয়ে অনেক প্রস্তাব আসে। যেখান থেকে যে প্রস্তাবই আসুক না কেন, সেটা কতটুকু দেশের জন্য প্রযোজ্য, যে টাকাটা ঋণ নেব, তা শোধ দেওয়ার সক্ষমতা আছে কি না। যে প্রকল্প নেব, তা সম্পন্ন হওয়ার পর রিটার্ন কী আসবে, সেখান থেকে দেশের মানুষের কল্যাণে কতটুকু কাজে লাগবে। সেটা বিবেচনা করে প্রতিটি কাজ করি। ৫৪টি নদীর পানিবণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সমস্যা রয়ে গেছে। আবার চীনেরও পানি তুলে নেওয়ার ঘটনা আছে। হিমালয় রেঞ্জের নদীগুলো নিয়ে নানা ধরনের দ্বন্দ্ব আছে, সমস্যা আছে। আবার সমাধানও আছে। সে ক্ষেত্রে আমরা যেহেতু তিস্তা পানি নিয়ে দাবি করছি।’
তিনি বলেন, ‘তিস্তা প্রকল্পটি যদি আমরা করি। আমাদের চীন প্রস্তাব দিয়েছে। ভারতও প্রস্তাব দিয়েছে। অবশ্যই আমি বিবেচনা করব কোন প্রস্তাবটা দেশের মানুষের কল্যাণ আসবে, আমি সেটাই করব। কোন প্রস্তাব নিলে আমি ঋণ কতটুকু নিলাম, শোধ করলাম, দিতে কতটুকু পারব। সবকিছু বিবেচনা করে করতে হবে। সে ক্ষেত্রে ভারত যখন বলছে তারা করতে চায় এবং টেকনিক্যাল গ্রুপ পাঠাবে, অবশ্যই তারা আসবে। আমরা যৌথভাবে সেটা দেখব। চীনও একটা সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে। ভারতও একটা করবে। যেটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য, লাভজনক সেটাই করব। আবার যেহেতু ভারতের সঙ্গে আমাদের অনেক দিনের তিস্তার পানিবণ্টন, তাই তারা যদি আমাদের প্রজেক্ট করে দেয়—আমাদের সব সমস্যার সমাধানই হয়ে গেল। সেটা আমাদের জন্য সহজ হয়ে গেল না। ভারতের সঙ্গে যদি তিস্তা প্রজেক্টটা করি, তাহলে পানি নিয়ে প্রতিদিন প্যাঁ প্যাঁ করতে হবে না। আমরা সেই সুবিধাটা পাব। এখানে কোনো সমস্যা দেখি না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন শপথ অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিলেন গেলাম, এরপর রাষ্ট্রীয় সফরের আমন্ত্রণ জানালেন আমি রাষ্ট্রীয় সফরও করে আসলাম। চীন আমাকে দাওয়াত দিয়েছে, আমি চীনে যাব। আমি যাব না কেন? বাংলাদেশ সার্বভৌম দেশ। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব নিয়েই চলব। কার কী ঝগড়া, সেটা তাদের সঙ্গে থাক, আমার না। দেশের মানুষের কতটুকু উন্নতি করতে পারি, সেটাই আমার।’
ভারতের কারাগারে সাজা ভোগ করার পরও মানবেতর জীবন যাপন করা বাংলাদেশিদের দেশে আনার ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা খোঁজ নেব। আমরা নিয়ে আসব। নিয়মিত আমরা যখনই খবর পাচ্ছি, সঙ্গে সঙ্গে তাদের ফেরত আনা হচ্ছে।’
ভারতের কারাগারে সাজা ভোগ করার পরও মানবেতর জীবন যাপন করা হাজার হাজার বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি বলেন, ‘প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে এসব ক্ষেত্রে টাকা ব্যয় করা হয়। একবার পাচার হওয়া কিছু শিশুকে আমরা উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। মহিলা এমন কেউ পাচার হলে গেলে, একটা ঘটনা আছে যে স্বামী বিক্রি করে দিয়েছে বউকে। তার জায়গা হয় পতিতালয়ে। সেখান থেকেও কিন্তু আমরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি। যখনই আমরা যেটার খবর পাই, উদ্ধার করে নিয়ে আসি।’
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত হাজার হাজার বাংলাদেশির ভারতের কারাগারে থাকার কথা আমরা শুনিনি। তবে আপনি যখন বলছেন, আমরা খোঁজ নেব। আমরা নিয়ে আসব, এটা কোনো ব্যাপার না। এ জন্য আমরা টাকা খরচ করি। এমনকি এবার করোনার সময় যারা বাইরে আটকা পড়েছিল, কাজ পাচ্ছিল না, তাদের যখন এক জায়গায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়, প্রবাসীকল্যাণের ব্যাংকের থেকে টাকা দিয়ে আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। কাজেই এটা আমরা দেখব।’
এ ক্ষেত্রে অর্থের কোনো সমস্যা নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিয়মিত আমরা যখনই খবর পাচ্ছি, সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের ফেরত আনা হচ্ছে। আমাদের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। কোথায় কতজন আছেন, আপনার কাছে তথ্য থাকলে তালিকা দেন—আমি নিয়ে আসব। কোনো অসুবিধা নেই।’
অন্য যে কোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা–সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তাঁদের প্রেস মিনিস্টার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যোগদানের তারিখ থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে।
৪ মিনিট আগেবিগত সময়ে বঞ্চিত হওয়া অতিরিক্ত সচিবদের গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দিয়ে চাকরি থেকে বিদায় করবে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান আজ রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান...
২ ঘণ্টা আগেসরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার সময় এক মাস বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের সম্পদ বিবরণী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা জমা দেওয়া যাবে...
২ ঘণ্টা আগেপাঁচটি বিসিএসের মাধ্যমে ক্যাডার পদে ১২ হাজার ৭১০ জন এবং নন-ক্যাডারে ৫ হাজার ৪৩৯ জনসহ মোট ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে নিয়োগ দেবে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান আজ রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
৩ ঘণ্টা আগে