রাষ্ট্র সংস্কারে সংবিধান সংশোধনসহ সুজনের ১৯ প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২৪, ০১: ৩২
Thumbnail image

রাষ্ট্র সংস্কারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংবিধান সংশোধনসহ ১৯ প্রস্তাব দিয়েছে নাগরিক সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

আজ রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচার রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্র সংস্কারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত প্রস্তাব উপস্থাপন করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শুধু একটি সরকারের পরিবর্তন চায়নি, চেয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতির আমূল পরিবর্তন। তাঁরা আর কোনো কর্তৃত্ববাদী সরকার বা একনায়কতন্ত্র দেখতে চান না। শিক্ষার্থীদের এই প্রত্যাশার সঙ্গে এ দেশের সাধারণ মানুষও কণ্ঠ মিলিয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে আশাবাদ। নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের কথা-বার্তায় জনমনে সৃষ্ট আশাবাদ আরও সুদৃঢ় হয়েছে।

সুজনের ১৯ দফা প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে: সংবিধান সংশোধন, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন ও নির্বাচনী আইনের সংস্কার, দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে’ জিরো টলারেন্স’, অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস রাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান আয়-বৈষম্য ও সুযোগের ক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসন, মানবাধিকার সংরক্ষণ, নারীর ক্ষমতায়ন, তরুণদের জন্য বিনিয়োগ ও তাঁদের নেতৃত্বের বিকাশ, মানসম্মত শিক্ষা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা, রাজনৈতিক দলের সংস্কারসহ রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন ইত্যাদি।

সুজনের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে এই যে অন্যায় অবিচার, অপশাসন আর বিচারহীনতা এসব যেন আর না থাকে। আর কোনো দিনও লুটপাট অর্থপাচারের ঘটনা যেন না ঘটে। যারা এসব অন্যায় করছে তাদের যেন বিচার হয়। এগুলো দাবি করা সহজ বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত কঠিন। বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। বিচারের প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছ হয়। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে গুণগত পরিবর্তন করতে হবে। সেই প্রক্রিয়াটা দুরূহ সময়সাপেক্ষ। এই সরকারের পক্ষে করা সম্ভব হবে কিনা, আমার মনে হয় না সম্ভব হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন নিয়ে সুজনের নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। এতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের প্রতিনিধিত্ব নেই। ব্যবসায়ী প্রতিনিধি নেই। গণমাধ্যমের অংশগ্রহণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। জাতিগত সংখ্যালঘু প্রতিনিধি নেওয়া হয়েছে তারা ওই জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে কিনা তা দেখতে হবে। তবে এটাকে সম্প্রসারণ করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, অবকাঠামো পরিবর্তনের চেয়ে সাংস্কৃতিক পরিবর্তন করা বেশি দরকার। স্বৈরাচারী কাঠামো ভেঙে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, সুজনের নির্বাহী সদস্য ড. শাহনাজ হুদা প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত