আশপাশের সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র পেয়েছে কেএনএফ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮: ১১

পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংগঠন কুকি–চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে আশপাশের সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ আছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছ থেকে এরা অস্ত্রশস্ত্রও পেয়েছে বলে জানান তিনি।

আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

কেএনএফ বিদেশি সহযোগিতা নিয়ে ব্যাংক লুট, ডাকাতিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে, এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আশপাশের সন্ত্রাসীদেরও যোগাযোগ আছে, পার্শ্ববর্তী দেশে যারা ইতিমধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছিল, তাদের অস্ত্রশস্ত্র এদের কাছে এসেছে বলে জানা গেছে। দেখুন, তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে, ইতিমধ্যে ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্ত করা হয়েছে। তাদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’

এদিকে সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের ঈদের আগে কাছে পেতে স্বজনেরা আকুল আবেদন জানিয়েছেন, ‘নাবিক ও জাহাজের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা কতটুকু এগিয়েছে, সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা আছে, সর্বমুখী প্রচেষ্টা পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা হাইজ্যাক করেছে তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে এবং নাবিকেরা ভালো আছে। তাদের খাবার–দাবারেরও কোনো অসুবিধা নেই, তারা কেবিনে আছে। যেহেতু আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে, আমরা আশা করছি, সহসা তাদের মুক্ত করা সম্ভবপর হবে।’

সেই জাহাজের আশপাশে বিদেশি জাহাজও প্রস্তুত আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আলোচনার পাশাপাশি হাইজ্যাকারদের ওপর নানামুখী চাপও রয়েছে। আমরা আশা করছি, সহসা জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হবে। সে জন্য দিনক্ষণ বলা সম্ভবপর নয়। তবে, এ ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। জাহাজে যারা চাকরি করে ঈদের আগে পরে হিসাব করে তাদের কোনো ছুটি হয় না। তারা যায় ছয় মাস কিংবা এক বছরের জন্য। এই জাহাজ যদি হাইজ্যাক নাও হতো তারা ঈদের আগে জাহাজ ছেড়ে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার কথা ছিল না।’

বাজার নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং মজুতদার চেষ্টা করেছিল বাজারকে অস্থিতিশীল করার জন্য এবং সেটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক। ঈদকে সামনে রেখেও সব সময় বাংলাদেশে অসাধু সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় হয়। সেটিকেও কঠোরহস্তে দমন করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।’

তিনি বলেন, ‘আমি গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানাব, রমজানের সময় যে বাজার মোটামুটিভাবে স্থিতিশীল আছে, কিছু কিছু পণ্যের দামও যে কমেছে, সেটিও প্রচার করা দরকার। কোনো পণ্যের দাম বাড়লে গণমাধ্যমে সেটি যেমন প্রচারিত হয়, কোনো পণ্যের দাম কমলে সেটিও প্রচার করা দরকার।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত