তাপপ্রবাহে গবাদিপশুর যত্নে প্রাণিসম্পদের ১২ পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২১: ০৪
Thumbnail image

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ, ভালো নেই প্রাণিকুলও। অতি গরমে গরু-ছাগলসহ গৃহপালিত পশু-পাখি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় করণীয় জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তর। 

আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে তথ্য দপ্তরের গণযোগাযোগ কর্মকর্তা মো. সামছুল আলম তাপপ্রবাহে প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় করণীয় সম্পর্কে ১২টি পরামর্শের কথা জানিয়েছেন। তাপপ্রবাহজনিত পীড়ন (স্ট্রেস) সহনীয় করতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের পরামর্শের মধ্য রয়েছে: 

১. গবাদিপশু বা পোলট্রির ঘর শীতল রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য শেডের চালে ভেজা চট বা বস্তা বা কাপড় বিছিয়ে দিন এবং সময়ে সময়ে তাতে পানি ছিটিয়ে ভিজিয়ে দিন। ঘরের ভেতরেও ভেজা চট বা বস্তা বা কাপড় ঝুলিয়ে রাখলে তা ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করবে। 

২. শেডের চালের উপরিভাগে প্রতিফলক রং করা যেতে পারে। ভেতরে সহজলভ্য ও সস্তা উপাদানের (যেমন: চাটাই, ছন, খড় ইত্যাদি) ফলস সিলিং লাগিয়ে দিলে ঘর অনেক ঠান্ডা থাকবে। 

৩. শেডের ওপরে সরাসরি সূর্যের তাপ প্রতিরোধে রঙিন (কালো বা স্বচ্ছ নয়) পলিথিন শামিয়ানার মতো করে টাঙিয়ে দিন। 

৪. ঘরের ভেতরে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে, প্রয়োজনে ফ্যান ব্যবহার করতে হবে। 

৫. গবাদি প্রাণীকে দিনে একাধিকবার গোসল করানো বা পাইপের সাহায্যে পানি ছিটিয়ে ভিজিয়ে দিতে হবে। 

৬. গবাদিপশু বা পোলট্রিকে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করুন। পোলট্রির শেডে পানির পাত্রের সংখ্যা বাড়িয়ে দিন। পানির সঙ্গে উপযুক্ত পরিমাণে লবণ, ভিটামিন সি, ইলেকট্রোলাইট, গ্লুকোজ বা অ্যামিনো অ্যাসিড ইত্যাদি মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। 

৭. সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সময়ে আবদ্ধ ঘরে বা খোলা মাঠে গবাদি প্রাণী না রেখে প্রাকৃতিক ছায়াযুক্ত স্থানে রাখুন।

৮. গবাদি প্রাণীকে খড় বা অতি পরিপক্ব শক্ত আঁশযুক্ত খাবার সরবরাহ পরিহার করে নরম কচি ঘাস সরবরাহ করতে হবে। হজমের সময় তাপ বৃদ্ধি কমাতে দুধেল গাভিকে কম আঁশ এবং উচ্চ শক্তিসম্পন্ন খাবার সরবরাহ করলে তা হিট স্ট্রেস কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 

৯. দিনের অতিরিক্ত গরমের সময়ে খাদ্য সরবরাহ কমিয়ে শীতল সময়ে বাড়িয়ে দিন। 

১০. সম্ভব হলে মিনারেল মিক্সচার ব্লক সরবরাহ করুন। 

১১. প্রচণ্ড গরমে পারতপক্ষে কৃমিনাশক ব্যবহার বা টিকা প্রদান কিংবা গবাদিপশু পরিবহন পরিহার করুন। দিনের অপেক্ষাকৃত শীতল সময়ে এ কাজগুলো করা যেতে পারে। 

১২. জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত