২০২১ সালকে ‘মাস্ক বর্ষ’ ঘোষণা করতে বলেছিলাম: ড. বিজন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২১, ১৭: ১৯

করোনাভাইরাসের আগের ধরনগুলো যেখানে সংক্রমণ ঘটাতে পাঁচ দিন লাগতো, ডেলটা সেখানে তিন দিনেই সংক্রমিত হচ্ছে। বাসার একজন আক্রান্ত হলে খুব দ্রুত অন্যরাও আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। এ জন্য এই ভাইরাস প্রতিরোধে সবার সতর্ক থাকতে হবে। 

আজ শনিবার গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এ কথা বলেন অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তিনি। 

মাস্ক পরার কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে এই গবেষক বলেন, আমি ২০২০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অনুরোধ করেছিলাম ২০২১ সালকে যেন ‘মাস্ক বর্ষ’ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ওরা সেটা শুনল না। প্রত্যেকের মাস্ক পরতে হবে। এর বিকল্প আপাতত নেই। 

এ সময় করোনাভাইরাসের ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ভিটামিন সি এবং জিংক যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন ড. বিজন। তিনি বলেন, করোনার আগের ধরনের চেয়ে ডেলটা ধরনের লোডিং ক্ষমতা এক হাজার গুণ বেশি। খুব দ্রুত ছড়ায় এই ধরনটা। গবেষণায় দেখেছি, এই ডেলটার বিরুদ্ধে খুব কার্যকরী হতে পারে ভিটামিন সি এবং জিংক। ডেলটা প্রতিরোধে এই দুটো জিনিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

আমলকী খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ড. বিজন বলেন, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল বেশি করে খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমলকী খুব ভালো ফলাফল দিতে পারে। এ ছাড়া উচ্চ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আরও অনেক ফল রয়েছে। সেগুলোও খাওয়া যেতে পারে। 

ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানু। ওয়েবিনারে যুক্ত ছিলেন বিএসএমএমইউয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত