নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের সংবিধানে সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলা হলেও নাগরিক হিসেবে একজন নারী এখনো অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। সংবিধান সংস্কারের ক্ষেত্রে সমতা নিশ্চিত করতে হবে। সংবিধানে পারিবারিক আইন বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।
আজ সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের সংবিধান ও নারী’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। তিনি বলেন, ‘পরিবর্তিত সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে সংবিধানের মানোন্নয়নের ওপর জোর দিতে হবে, সংস্কার করার ক্ষেত্রে সমতা নিশ্চিতসহ সব জাতিসত্তাকে অন্তর্ভুক্তিকরণের ওপর জোর দিতে হবে।’ পাশাপাশি সংবিধানের সুরক্ষায় নারীর ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় অধিকার নিশ্চিত, সংবিধানের আলোকে নারীর অধিকার প্রাপ্তিতে অংশীদারত্বের স্বীকৃতি দেওয়া, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি এবং অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।
স্বাগত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, ‘পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার আলোকে ’৭২-এর সংবিধান রচিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকলের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে সংবিধানে। সংবিধান এ দেশের সকল মুক্তিকামী মানুষের আত্মমর্যাদার প্রতীক এবং বাংলাদেশের নারী সমাজের জন্য একটি আলোকবর্তিকা। নারী-পুরুষের সমতার কথা সংবিধানে উল্লেখ থাকলেও নারী আন্দোলনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও সেই সমতার লক্ষ্যে আমরা এখনো পৌঁছতে পারিনি।’
শিক্ষাবিদ ও গবেষক ড. রওনক জাহান বলেন, ‘জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে বাতিল হওয়া নারী কোটা ইস্যু, নারীর অধিকার ও সাইবার নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিতে সকল নারী সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, অভিন্ন পারিবারিক আইন কার্যকর করতে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’
বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, ‘মানব পাচার ও পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে নারীবান্ধব বিভিন্ন আইন থাকলেও আইনের প্রয়োগ ও নজরদারি কম। আইন বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে রাজনৈতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে, সংবিধানের অনুচ্ছেদের আলোকে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ বাস্তবায়নে মনিটরিংয়ের ওপর জোর দিতে হবে এবং ভিকটিমের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভিকটিম বান্ধব সাপোর্ট সেন্টার গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের আইন বিভাগের অধ্যাপক ইমরান আজাদ সংবিধান রচনার প্রেক্ষাপট আলোচনা করে বলেন, ‘সংবিধানে পারিবারিক আইন বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। সংবিধান একটি রাজনৈতিক দলিল। সংবিধানের ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে নারীর প্রতি সমতা নিশ্চিত করা, নারীসহ অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সমতা নিশ্চিতে সংবিধানে থাকা বিধানগুলোর প্রতি রাষ্ট্রকে জোর দিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন জাতিসত্তাদেরও সংবিধানে স্বীকৃতি দিতে হবে।
আলোচকেরা সংবিধান সংস্কারের ক্ষেত্রে সম্পদ সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বা সম-অংশীদারত্ব নিশ্চিতের আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশের সংবিধানে সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলা হলেও নাগরিক হিসেবে একজন নারী এখনো অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। সংবিধান সংস্কারের ক্ষেত্রে সমতা নিশ্চিত করতে হবে। সংবিধানে পারিবারিক আইন বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।
আজ সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের সংবিধান ও নারী’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। তিনি বলেন, ‘পরিবর্তিত সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে সংবিধানের মানোন্নয়নের ওপর জোর দিতে হবে, সংস্কার করার ক্ষেত্রে সমতা নিশ্চিতসহ সব জাতিসত্তাকে অন্তর্ভুক্তিকরণের ওপর জোর দিতে হবে।’ পাশাপাশি সংবিধানের সুরক্ষায় নারীর ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় অধিকার নিশ্চিত, সংবিধানের আলোকে নারীর অধিকার প্রাপ্তিতে অংশীদারত্বের স্বীকৃতি দেওয়া, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি এবং অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।
স্বাগত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, ‘পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার আলোকে ’৭২-এর সংবিধান রচিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকলের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে সংবিধানে। সংবিধান এ দেশের সকল মুক্তিকামী মানুষের আত্মমর্যাদার প্রতীক এবং বাংলাদেশের নারী সমাজের জন্য একটি আলোকবর্তিকা। নারী-পুরুষের সমতার কথা সংবিধানে উল্লেখ থাকলেও নারী আন্দোলনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও সেই সমতার লক্ষ্যে আমরা এখনো পৌঁছতে পারিনি।’
শিক্ষাবিদ ও গবেষক ড. রওনক জাহান বলেন, ‘জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে বাতিল হওয়া নারী কোটা ইস্যু, নারীর অধিকার ও সাইবার নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিতে সকল নারী সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, অভিন্ন পারিবারিক আইন কার্যকর করতে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’
বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, ‘মানব পাচার ও পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে নারীবান্ধব বিভিন্ন আইন থাকলেও আইনের প্রয়োগ ও নজরদারি কম। আইন বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে রাজনৈতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে, সংবিধানের অনুচ্ছেদের আলোকে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ বাস্তবায়নে মনিটরিংয়ের ওপর জোর দিতে হবে এবং ভিকটিমের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভিকটিম বান্ধব সাপোর্ট সেন্টার গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের আইন বিভাগের অধ্যাপক ইমরান আজাদ সংবিধান রচনার প্রেক্ষাপট আলোচনা করে বলেন, ‘সংবিধানে পারিবারিক আইন বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। সংবিধান একটি রাজনৈতিক দলিল। সংবিধানের ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে নারীর প্রতি সমতা নিশ্চিত করা, নারীসহ অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সমতা নিশ্চিতে সংবিধানে থাকা বিধানগুলোর প্রতি রাষ্ট্রকে জোর দিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন জাতিসত্তাদেরও সংবিধানে স্বীকৃতি দিতে হবে।
আলোচকেরা সংবিধান সংস্কারের ক্ষেত্রে সম্পদ সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার বা সম-অংশীদারত্ব নিশ্চিতের আহ্বান জানান তিনি।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ জাতিকে বিভক্ত করার প্রচেষ্ট চালিয়েছে।
৪ মিনিট আগেসাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে আটক করা হয়। ঢাকা মহানগ পুলিশের মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস থেকে এক বার্তায় এতথ্য জানানো হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগেসরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেপতিত সরকার সংখ্যা বানানোর খেলায়ও মেতে উঠেছিল বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতি-সংক্রান্ত শ্বেতপত্র প্রণয়ন জাতীয় কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, সংখ্যা বদলে ফেলে তারা ভোটের ফল ঠিক করত। মুদ্রাস্ফীতিসহ বিভিন্ন উপাত্তের সংখ্যা বদলে ফেলে তারা দেশের অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে মানুষের চোখে...
১ ঘণ্টা আগে