কিছু স্থলবন্দর সাত দিনই ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে আলোচনায় বাংলাদেশ-ভারত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৩: ১১
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৪: ৩৩
কিছু স্থলবন্দর সাত দিনই ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ ও ভারত। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তে কিছু স্থলবন্দর সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা খোলার রাখার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছে দুই দেশ। গতকাল মঙ্গলবার দুই দেশের কর্মকর্তারা এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ভারতের ল্যান্ড পোর্ট অথোরিটি বা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর।

ভারতীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ভারত ও বাংলাদেশ মঙ্গলবার কয়েকটি স্থলবন্দর দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে সাত দিন চালু রাখার বিষয়ে আলোচনা করেছে। এ ছাড়া, উত্তরবঙ্গের বুড়িমারী ও বাংলাবান্ধা বন্দর দিয়ে নেপাল ও ভুটানে রপ্তানি পণ্যবাহী বাংলাদেশি ট্রাক চলাচল সহজ করার বিষয়েও দুই দেশ আলোচনা করেছে।

ভারতের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ (এলপিএআই) ও বাংলাদেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের (বিএলপিএ) মধ্যে অবকাঠামো সম্পর্কিত ষষ্ঠ সাব-গ্রুপ বৈঠক মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের যুগ্ম সচিব ও সদস্য (উন্নয়ন) তাহমিনা ইয়াসমিন এবং ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ভারতের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) সঞ্জীব গুপ্ত।

বৈঠকে সঞ্জীব গুপ্ত ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং সাম্প্রতিক প্রকল্পগুলোর অগ্রগতির প্রশংসা করেন। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে পেট্রাপোল-বেনাপোলের দ্বিতীয় পণ্য প্রবেশদ্বারের কাজ সম্পন্ন হওয়ার বিষয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অবকাঠামোগত সুবিধার বিষয়টি তুলে ধরে তাহমিনা ইয়াসমিন বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোকে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত করতে ১৭টি স্থলবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এ ছাড়া, আলোচনায় অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের গেদে (দর্শনা) ও মেঘালয়ের ভোলাগঞ্জ বন্দরের সুযোগ-সুবিধা উন্নয়ন, পেট্রাপোল ও আগরতলায় বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য দ্রুত ছাড়ের ব্যবস্থা এবং স্থলবন্দর ও সমন্বিত চেকপোস্টগুলোর উন্নয়ন অগ্রাধিকার প্রাধান্য পেয়েছে। এর বাইরে, পশ্চিমবঙ্গের গোজাডাঙ্গা ও বাংলাদেশের ভোমরায় একটি যৌথ পণ্য প্রবেশপথ স্থাপন নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকটি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করা, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক সংযোগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অভিন্ন লক্ষ্যের অগ্রযাত্রায় সম্মিলিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে শেষ হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত