ডা. নাজনীন হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২১, ১৫: ২০
Thumbnail image

রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের চিকিৎসক নাজনীন আক্তার ও তাঁর গৃহকর্মী হত্যার আসামি আমিনুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এ রায় দিয়েছে। 

আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এ বি এম বায়েজীদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

২০০৮ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ আমিনুলকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। অন্যদিকে আসামি আমিনুল আপিল করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৩ সালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে আপিলের রায় দেয়।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ল্যাবএইডের চিকিৎসক ছিলেন নাজনীন আক্তারের স্বামী আসারুজ্জামান। তিনি আপন ভাগনে আমিনুলকে লেখাপড়া করানোর জন্য ঢাকায় নিয়ে আসেন। ভর্তি করান মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে। পারিবারিক ঝগড়া–বিবাদের কারণে ২০০৫ সালের ৭ মার্চ হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর নাজনীনকে কুপিয়ে হত্যা করেন ভাগনে আমিনুল। পারুল নামের এক গৃহকর্মী ঘটনাটি দেখে ফেলায় তাকেও কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা হয়। হত্যার পর আমিনুল বগুড়ায় চলে যান। সেখান থেকে যান ফরিদপুরে। তার কয়েক দিন পর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

আসামির আপিল শুনানিতে তাঁর আইনজীবী আদালতকে বলেন, ‘আসামি একজন ছাত্র। সুবিচার ও মানবিকতার স্বার্থে আপনারা যে রায় দেবেন, যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তাই হবে। যদি আসামি বেরিয়ে লেখাপড়াটা করতে পারে। যদি মানুষ হতে পারে।' 

বিচারপতিরা এ সময় প্রশ্ন করেন, ‘কোনটিকে মানবিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে বলছেন? তিনি এ ঘটনায় নিহতদের একজনকে ১৮টি কোপ দিয়েছেন। তাঁর শরীর ক্ষতবিক্ষত করেছেন। আরেকজনকে দিয়েছেন সাতটি কোপ। এমনভাবে আক্রমণ করেছেন যেন ওই চিকিৎসক কোনো প্রতিরোধই করতে না পারেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত