নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য তৈরি হওয়া অনুসন্ধান কমিটি আলোচনার জন্য দেশের ৬০ বিশিষ্ট নাগরিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আগামীকাল শনিবার বেলা ১১টা থেকে কয়েক ধাপে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করবে কমিটি। এর আগেও ইসি গঠনের আগে সার্চ কমিটি বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে। তবে অনেক নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং বিশিষ্টজনদের মতে সার্চ কমিটির আলোচনা কেবল ‘লোকদেখানোই’ ছিল। অবশ্য ইসি গঠনের ক্ষেত্রে এই সার্চ কমিটি নিয়ে ইতিবাচক মনোভাবও পোষণ করেছেন কেউ কেউ।
আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপে এই বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেছেন।
ইসি গঠনে অনুসন্ধান কমিটি নিয়ে নানা জনের নানা মত থাকলে তেমন কোনো আগ্রহ নেই স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদের। তাঁর মতে, ইসি গঠন হলেই যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, সে নিশ্চয়তা কে দেবে? তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সবাই সার্চ কমিটিকে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে। এটা এত মাতামাতি করার বিষয় নয়। আমার এখন কোনো প্রত্যাশা-নিরাশা নেই। তারা কী বলে শুনি। তারপর মন্তব্য দেব। নির্বাচন কমিশন গঠন এই কমিটির উদ্দেশ্য। কিন্তু নির্বাচন কেমন হবে, সেটা তো আর এখনই বলা যাচ্ছে না। ইসি গঠন হলেই যে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এই নিশ্চয়তা কে দিয়েছে?’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘আমি এমন একটি নির্বাচন কমিশন চাই, যে কমিশন মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে পারবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘বিভিন্ন লোককে ডাকলেও চূড়ান্তভাবে কার কথাটা শোনে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি ডাকলাম ৬০ জনকে, তাঁদের মধ্যে সরকারদলীয় তিনজনের কথা শুনলাম, তাহলে তো লাভ নেই। ডাকা এক বিষয়, কথা শোনা আরেক বিষয়, আবার বিবেচনায় নেওয়া অন্য বিষয়। যদি ইলেকশন কমিশন পূর্ববর্তী দুই কমিশনের বিতর্ক মুছে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, তাহলে মনে করব সার্চ কমিটির একটা ফল পাওয়া গেছে।’
সার্চ কমিটির কার্যক্রমের স্বচ্ছতার দাবি জানিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সার্চ কমিটির আমন্ত্রণে আগেও দুবার গিয়েছি। কিন্তু সে সময় আমাদের কথার কোনো গুরুত্ব ছিল না। ইসি গঠনে স্বচ্ছতা ছিল না। এবার প্রত্যাশা থাকবে, সার্চ কমিটি যেন স্বচ্ছতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে। যে নামগুলো অনুসন্ধান করে পাওয়া যাবে, সেগুলো রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়ার আগে প্রতিবেদন আকারে জনগণের সামনে প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘সবার দীর্ঘদিনের দাবি ছিল নির্বাচন কমিশন আইন করা। আইনটি পাস হয়েছে। সার্চ কমিটি সেই আইন অনুযায়ী সবার কাছ থেকে মতামত নিচ্ছে। আশা করি সার্চ কমিটি মতামত নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন আমাদের উপহার দেবে, যারা স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন কমিশন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে আমি আশা রাখি।’
সার্চ কমিটি যেন বিতর্কিত কোনো লোককে নির্বাচন কমিশনের জন্য মনোনয়ন না দেয়, এমনটাই প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন একটি বড় ঘটনা। নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হলে পরের পাঁচটা বছর দেশ শান্তিতে চলে না। এই নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনও গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোনো বিতর্কিত লোককে বা কোনো দলান্ধ লোককে যেন মনোনয়ন দেওয়া না হয়, সেটা আমরা সামগ্রিকভাবে অনুরোধ করব।’
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবেদ খানের মতে, একটা গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা তৈরি করার জন্য এমন লোককে নির্বাচন কমিশন হিসেবে দেখতে চান, যিনি বা যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নিবেদিতপ্রাণ থাকবে। দেশে উন্নতির প্রয়াসকে অব্যাহত রাখার জন্য যা যা করণীয়, তা তা করবেন। স্বাধীনতাবিরোধী চক্রদের কোনোভাবেই সাংবিধানিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যাবে না, এ ব্যাপার নিশ্চয়তা দেবে। সে রকম লোকদের কমিশনে চান তিনি।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য তৈরি হওয়া অনুসন্ধান কমিটি আলোচনার জন্য দেশের ৬০ বিশিষ্ট নাগরিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আগামীকাল শনিবার বেলা ১১টা থেকে কয়েক ধাপে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করবে কমিটি। এর আগেও ইসি গঠনের আগে সার্চ কমিটি বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে। তবে অনেক নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং বিশিষ্টজনদের মতে সার্চ কমিটির আলোচনা কেবল ‘লোকদেখানোই’ ছিল। অবশ্য ইসি গঠনের ক্ষেত্রে এই সার্চ কমিটি নিয়ে ইতিবাচক মনোভাবও পোষণ করেছেন কেউ কেউ।
আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপে এই বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেছেন।
ইসি গঠনে অনুসন্ধান কমিটি নিয়ে নানা জনের নানা মত থাকলে তেমন কোনো আগ্রহ নেই স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদের। তাঁর মতে, ইসি গঠন হলেই যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, সে নিশ্চয়তা কে দেবে? তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সবাই সার্চ কমিটিকে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে। এটা এত মাতামাতি করার বিষয় নয়। আমার এখন কোনো প্রত্যাশা-নিরাশা নেই। তারা কী বলে শুনি। তারপর মন্তব্য দেব। নির্বাচন কমিশন গঠন এই কমিটির উদ্দেশ্য। কিন্তু নির্বাচন কেমন হবে, সেটা তো আর এখনই বলা যাচ্ছে না। ইসি গঠন হলেই যে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এই নিশ্চয়তা কে দিয়েছে?’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘আমি এমন একটি নির্বাচন কমিশন চাই, যে কমিশন মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে পারবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘বিভিন্ন লোককে ডাকলেও চূড়ান্তভাবে কার কথাটা শোনে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি ডাকলাম ৬০ জনকে, তাঁদের মধ্যে সরকারদলীয় তিনজনের কথা শুনলাম, তাহলে তো লাভ নেই। ডাকা এক বিষয়, কথা শোনা আরেক বিষয়, আবার বিবেচনায় নেওয়া অন্য বিষয়। যদি ইলেকশন কমিশন পূর্ববর্তী দুই কমিশনের বিতর্ক মুছে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, তাহলে মনে করব সার্চ কমিটির একটা ফল পাওয়া গেছে।’
সার্চ কমিটির কার্যক্রমের স্বচ্ছতার দাবি জানিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সার্চ কমিটির আমন্ত্রণে আগেও দুবার গিয়েছি। কিন্তু সে সময় আমাদের কথার কোনো গুরুত্ব ছিল না। ইসি গঠনে স্বচ্ছতা ছিল না। এবার প্রত্যাশা থাকবে, সার্চ কমিটি যেন স্বচ্ছতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে। যে নামগুলো অনুসন্ধান করে পাওয়া যাবে, সেগুলো রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়ার আগে প্রতিবেদন আকারে জনগণের সামনে প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘সবার দীর্ঘদিনের দাবি ছিল নির্বাচন কমিশন আইন করা। আইনটি পাস হয়েছে। সার্চ কমিটি সেই আইন অনুযায়ী সবার কাছ থেকে মতামত নিচ্ছে। আশা করি সার্চ কমিটি মতামত নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন আমাদের উপহার দেবে, যারা স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন কমিশন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে আমি আশা রাখি।’
সার্চ কমিটি যেন বিতর্কিত কোনো লোককে নির্বাচন কমিশনের জন্য মনোনয়ন না দেয়, এমনটাই প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন একটি বড় ঘটনা। নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হলে পরের পাঁচটা বছর দেশ শান্তিতে চলে না। এই নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনও গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোনো বিতর্কিত লোককে বা কোনো দলান্ধ লোককে যেন মনোনয়ন দেওয়া না হয়, সেটা আমরা সামগ্রিকভাবে অনুরোধ করব।’
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবেদ খানের মতে, একটা গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা তৈরি করার জন্য এমন লোককে নির্বাচন কমিশন হিসেবে দেখতে চান, যিনি বা যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নিবেদিতপ্রাণ থাকবে। দেশে উন্নতির প্রয়াসকে অব্যাহত রাখার জন্য যা যা করণীয়, তা তা করবেন। স্বাধীনতাবিরোধী চক্রদের কোনোভাবেই সাংবিধানিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যাবে না, এ ব্যাপার নিশ্চয়তা দেবে। সে রকম লোকদের কমিশনে চান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী হলে দলীয় প্রধানের পদ ছেড়ে দেওয়া, ৫১ শতাংশের কম ভোট পড়লে পুনরায় ভোট গ্রহণ এবং দেশের সব জাতিসত্তার স্বীকৃতিসহ বিভিন্ন বিধান সংবিধানে যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। গতকাল বুধবার সংবিধান সংস্কার কমিশনের সঙ্গে অংশীজনদের মতবিনিময় সভায় এসব কথা উঠে এসেছে। মতবিনিময় সভায় বিচারপতি ইমান
৪ ঘণ্টা আগেব্যক্তির অপরাধের জন্য দলের বিরুদ্ধে আঙুল তোলা ঠিক নয় বলে মনে করেন ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। তিনি বলেছেন, ‘কোনো অপরাধীর জন্য কোনো সংগঠন বা কোনো দল কিংবা কোনো গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আঙুল দেখানো ঠিক হবে না।’
৫ ঘণ্টা আগেইন্টারনেট এখন আর বিনোদন কিংবা কথা বলার মাধ্যমের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ইন্টারনেট স্বীকৃত মৌলিক মানবাধিকার। তাই বাংলাদেশেও সংবিধানে ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা ও ডাটা সুরক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ব
৫ ঘণ্টা আগেসম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে ভারতের দেওয়া বিবৃতিকে ‘অনধিকার চর্চা’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
৫ ঘণ্টা আগে