কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
উন্নয়নশীল দেশসমূহ কর্তৃক জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় উন্নত দেশসমূহ থেকে স্বল্প মূল্যে অধিকতর সবুজ, টেকসই এবং উন্নত প্রযুক্তি সরবরাহ অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রযুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার জেনেভায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের আয়োজনে ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সংক্রান্ত অগ্রাধিকারসমূহ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে আয়োজন করা হয়। সেখানে এ আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ)-এর আওতায় অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সম্ভাব্য করণীয়সমূহ তুলে ধরা হয়।
অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনিও আইওয়েলা, বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থার মহাপরিচালক দারেন তাং, জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার উপ-মহাসচিব ইসাবেল ডুরান্ট, জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থার উপ-মহাপরিচালক হিরোশি কুনিওশি, সিভিএফ সভাপতির বিশেষ দূত মো. আবুল কালাম আজাদ, সাউথ সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক কর্লোস মারিয়া কোরেয়া এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, ভারত ও বার্বাডোসের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধিগণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
উল্লেখ্য, ২০১১-১৩ মেয়াদে সিভিএফ সভাপতি হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালনের পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় মেয়াদে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা ৫৫টি দেশের এ ফোরামের সভাপতিত্ব করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের মানুষের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবসমূহ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবহিত করেন। একই সঙ্গে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত কার্যক্রমসমূহও তুলে ধরেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানান। এ সময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের অতি ঝুঁকিতে থাকা দেশসমূহের উন্নয়ন প্রতিবন্ধকতাসমূহ অতি দ্রুত নিরসন করার জন্য উন্নত দেশসমূহের প্রতি আহ্বান জানান। বিশেষকরে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ সকল দেশসমূহের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ওপর নেতিবাচক প্রভাবসমূহ প্রশমনের ওপর জোর দেন।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বাণিজ্য নীতিসমূহে অবশ্যই উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য বিদ্যমান প্রযুক্তি হতে টেকসই ও সবুজ প্রযুক্তিতে স্থানান্তরের যথাযথ সুবিধা ও ব্যবস্থা থাকতে হবে। তিনি জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশসমূহে অধিকতর অর্থায়ন ও বাণিজ্য সহায়তা প্রদানের জন্য উন্নত দেশসমূহকে আহ্বান জানান।
বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থার মহাপরিচালক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অভিনব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও উন্নয়নশীল দেশসমূহে প্রযুক্তি সহায়তা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
স্বল্পোন্নত দেশসমূহের রপ্তানিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংক্রান্ত বিধির ক্ষেত্রে এমন কোনো পদক্ষেপের বিষয়ে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার উপ-মহাসচিব সতর্ক করেন। অর্থায়নের ঘাটতিকে টেকসই পরিবেশের জন্য কাঠামোগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা বলে তিনি চিহ্নিত করেন। তিনি উন্নয়নশীল দেশসমূহে, বিশেষকরে ঝুঁকিতে থাকা বিশটি ভি-২০ দেশে অতিরিক্ত অর্থ সহায়তা, পেটেন্ট মুক্ত সবুজ প্রযুক্তি সরবরাহ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার আহ্বান জানান। জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থার উপ-মহাপরিচালক কার্বন নিঃসরণ প্রশমনে টেকসই শিল্পায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উন্নয়নশীল দেশসমূহ কর্তৃক জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় উন্নত দেশসমূহ থেকে স্বল্প মূল্যে অধিকতর সবুজ, টেকসই এবং উন্নত প্রযুক্তি সরবরাহ অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রযুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার জেনেভায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের আয়োজনে ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সংক্রান্ত অগ্রাধিকারসমূহ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে আয়োজন করা হয়। সেখানে এ আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ)-এর আওতায় অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সম্ভাব্য করণীয়সমূহ তুলে ধরা হয়।
অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনিও আইওয়েলা, বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থার মহাপরিচালক দারেন তাং, জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার উপ-মহাসচিব ইসাবেল ডুরান্ট, জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থার উপ-মহাপরিচালক হিরোশি কুনিওশি, সিভিএফ সভাপতির বিশেষ দূত মো. আবুল কালাম আজাদ, সাউথ সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক কর্লোস মারিয়া কোরেয়া এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, ভারত ও বার্বাডোসের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধিগণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
উল্লেখ্য, ২০১১-১৩ মেয়াদে সিভিএফ সভাপতি হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালনের পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় মেয়াদে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা ৫৫টি দেশের এ ফোরামের সভাপতিত্ব করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের মানুষের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবসমূহ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবহিত করেন। একই সঙ্গে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত কার্যক্রমসমূহও তুলে ধরেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানান। এ সময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের অতি ঝুঁকিতে থাকা দেশসমূহের উন্নয়ন প্রতিবন্ধকতাসমূহ অতি দ্রুত নিরসন করার জন্য উন্নত দেশসমূহের প্রতি আহ্বান জানান। বিশেষকরে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ সকল দেশসমূহের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ওপর নেতিবাচক প্রভাবসমূহ প্রশমনের ওপর জোর দেন।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বাণিজ্য নীতিসমূহে অবশ্যই উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য বিদ্যমান প্রযুক্তি হতে টেকসই ও সবুজ প্রযুক্তিতে স্থানান্তরের যথাযথ সুবিধা ও ব্যবস্থা থাকতে হবে। তিনি জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশসমূহে অধিকতর অর্থায়ন ও বাণিজ্য সহায়তা প্রদানের জন্য উন্নত দেশসমূহকে আহ্বান জানান।
বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থার মহাপরিচালক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অভিনব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও উন্নয়নশীল দেশসমূহে প্রযুক্তি সহায়তা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
স্বল্পোন্নত দেশসমূহের রপ্তানিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংক্রান্ত বিধির ক্ষেত্রে এমন কোনো পদক্ষেপের বিষয়ে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার উপ-মহাসচিব সতর্ক করেন। অর্থায়নের ঘাটতিকে টেকসই পরিবেশের জন্য কাঠামোগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা বলে তিনি চিহ্নিত করেন। তিনি উন্নয়নশীল দেশসমূহে, বিশেষকরে ঝুঁকিতে থাকা বিশটি ভি-২০ দেশে অতিরিক্ত অর্থ সহায়তা, পেটেন্ট মুক্ত সবুজ প্রযুক্তি সরবরাহ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার আহ্বান জানান। জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থার উপ-মহাপরিচালক কার্বন নিঃসরণ প্রশমনে টেকসই শিল্পায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) দেশের সংবাদমাধ্যমের ওপর চলমান আক্রমণ ও হুমকি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো
৫ মিনিট আগেনির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য বেশ চাপ এসেছিল। এমন অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের ট্রেন চলছে, এমন ধারণা দেওয়ার জন্য নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে।’
৩১ মিনিট আগেসংবিধান সংস্কার বিষয়ে ওয়েবসাইটে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ৪৭ হাজার ৯৭ জন মতামত দিয়েছে। একই সঙ্গে কমিশন ২৮টি সংগঠন, ২৩ জন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ৫ জন সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং ১০ জন তরুণ চিন্তাবিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে। সোমবার সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেঅনেক মিত্রই আজ হঠকারীর ভূমিকায় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আজ সোমবার ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন
১ ঘণ্টা আগে