নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে তিন দিন ধরে কোনো সরকার নেই। রাষ্ট্র পরিচালনায় তৈরি হওয়া এই শূন্যতা পূরণে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গেছে, শপথ নেওয়ার পর রাজধানীর রমনা এলাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উঠবেন ড. ইউনূস। দায়িত্ব পালনকালে তিনি সেখানেই থাকবেন। এ জন্য যমুনা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ জন্য গতকাল বুধবার বঙ্গভবনে শপথসংক্রান্ত প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আকার কেমন হতে পারে, সে সম্পর্কে গতকাল ধারণা দিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সন্ধ্যা ৭টার দিকে সেনা সদর দপ্তরে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্যসংখ্যা হতে পারে ১৫ জনের মতো। দু-একজন বেশিও হতে পারে।’
সেনাপ্রধান এ সময় বলেন, ‘আপনারা জানেন যে আমরা কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের প্রধান হিসেবে ড. ইউনূসকে নির্বাচন করেছি অনেক আলোচনা করে। আমরা নিজেদের মধ্যে অনেক আলোচনা করেছি। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেছি। আলোচনা করে সর্বসম্মতভাবে সম্মত হয়েছি। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি ড. ইউনূসকে করার জন্য। তিনি আমাদের এখন চিফ অ্যাডভাইজার। উনি কালকে আসবেন। দুপুরে এসে উনি পৌঁছাবেন। আমি ওনাকে রিসিভ করতে যাব। আমরা ওনাকে সর্বোত্তমভাবে সহায়তা করব। আমি নিশ্চিত, উনি সব রাজনৈতিক দল ও সবার কাছ থেকে সাহায্য পাবেন। ছাত্রদের থেকেও সাহায্য পাবেন। আমি নিশ্চিত যে অত্যন্ত সফলভাবে কাজ করবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আগামীকাল (আজ) শপথ অনুষ্ঠানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। একটা প্রস্তাব ছিল বিকেলে করার। সেটা অত্যন্ত টাইট শিডিউল হয়ে যায়। কারণ, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২টা ১০ মিনিটের দিকে দেশে আসবেন। এর পরপর আয়োজন করা কঠিন। এ জন্য রাত ৮টার দিকে আয়োজন করতে পারি। মোট ৪০০ জন লোকের আয়োজন থাকবে।’
এদিকে গতকাল রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চূড়ান্ত রূপরেখা তুলে ধরার কথা থাকলেও রাত ৯টা পর্যন্ত আন্দোলনের সমন্বয়কেরা রূপরেখা চূড়ান্ত করতে পারেননি। তবে সমন্বয়কেরা বলছেন, তাঁরা এমন একটি অন্তর্বর্তী সরকারব্যবস্থার প্রবর্তন করতে চান, যাঁরা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ সাধন করতে সক্ষম হবেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসসহ ১৭ জনের একটি প্রাথমিক তালিকা তারা তৈরি করেছে। সেখানে রয়েছেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল, মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের আদিলুর রহমান, বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদের নাম। ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে দুজন থাকতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁরা হতে পারেন নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ।
জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা অভ্যন্তরীণ আলোচনা প্রায় সময় করি। আগামীকাল রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ হবে। তবে কারা সেখানে আছেন, সেটা আমরা ডিসক্লোজ করছি না।’
আর গতকাল এক বার্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ছাত্র-জনতার এই গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে মেরামত করে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ সাধন করার জন্য। গণ-অভ্যুত্থানে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হবে ছাত্র-নাগরিকের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করা। কোনো নির্দিষ্ট দল কিংবা গোষ্ঠীর ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করার জন্য নয়।’
আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান শুধু নির্যাতকের পরিবর্তনের বিরুদ্ধেই ছিল না। বরং এ আন্দোলন ছিল নির্যাতনের পরিবর্তনের বিরুদ্ধে। আমরা নির্যাতককে উৎখাত করেছি। এর মানে এই নয় যে আবার নতুন নির্যাতক এসে নির্যাতন চালাবে। আমরা একটি নির্যাতককে উৎখাত করেছি আরেকটি নির্যাতকের জায়গা দেওয়ার জন্য নয়।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে তিন দিন ধরে কোনো সরকার নেই। রাষ্ট্র পরিচালনায় তৈরি হওয়া এই শূন্যতা পূরণে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গেছে, শপথ নেওয়ার পর রাজধানীর রমনা এলাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উঠবেন ড. ইউনূস। দায়িত্ব পালনকালে তিনি সেখানেই থাকবেন। এ জন্য যমুনা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ জন্য গতকাল বুধবার বঙ্গভবনে শপথসংক্রান্ত প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আকার কেমন হতে পারে, সে সম্পর্কে গতকাল ধারণা দিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সন্ধ্যা ৭টার দিকে সেনা সদর দপ্তরে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্যসংখ্যা হতে পারে ১৫ জনের মতো। দু-একজন বেশিও হতে পারে।’
সেনাপ্রধান এ সময় বলেন, ‘আপনারা জানেন যে আমরা কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের প্রধান হিসেবে ড. ইউনূসকে নির্বাচন করেছি অনেক আলোচনা করে। আমরা নিজেদের মধ্যে অনেক আলোচনা করেছি। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেছি। আলোচনা করে সর্বসম্মতভাবে সম্মত হয়েছি। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি ড. ইউনূসকে করার জন্য। তিনি আমাদের এখন চিফ অ্যাডভাইজার। উনি কালকে আসবেন। দুপুরে এসে উনি পৌঁছাবেন। আমি ওনাকে রিসিভ করতে যাব। আমরা ওনাকে সর্বোত্তমভাবে সহায়তা করব। আমি নিশ্চিত, উনি সব রাজনৈতিক দল ও সবার কাছ থেকে সাহায্য পাবেন। ছাত্রদের থেকেও সাহায্য পাবেন। আমি নিশ্চিত যে অত্যন্ত সফলভাবে কাজ করবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আগামীকাল (আজ) শপথ অনুষ্ঠানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। একটা প্রস্তাব ছিল বিকেলে করার। সেটা অত্যন্ত টাইট শিডিউল হয়ে যায়। কারণ, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২টা ১০ মিনিটের দিকে দেশে আসবেন। এর পরপর আয়োজন করা কঠিন। এ জন্য রাত ৮টার দিকে আয়োজন করতে পারি। মোট ৪০০ জন লোকের আয়োজন থাকবে।’
এদিকে গতকাল রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চূড়ান্ত রূপরেখা তুলে ধরার কথা থাকলেও রাত ৯টা পর্যন্ত আন্দোলনের সমন্বয়কেরা রূপরেখা চূড়ান্ত করতে পারেননি। তবে সমন্বয়কেরা বলছেন, তাঁরা এমন একটি অন্তর্বর্তী সরকারব্যবস্থার প্রবর্তন করতে চান, যাঁরা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ সাধন করতে সক্ষম হবেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসসহ ১৭ জনের একটি প্রাথমিক তালিকা তারা তৈরি করেছে। সেখানে রয়েছেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল, মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের আদিলুর রহমান, বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদের নাম। ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে দুজন থাকতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁরা হতে পারেন নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ।
জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা অভ্যন্তরীণ আলোচনা প্রায় সময় করি। আগামীকাল রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ হবে। তবে কারা সেখানে আছেন, সেটা আমরা ডিসক্লোজ করছি না।’
আর গতকাল এক বার্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ছাত্র-জনতার এই গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে মেরামত করে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ সাধন করার জন্য। গণ-অভ্যুত্থানে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হবে ছাত্র-নাগরিকের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করা। কোনো নির্দিষ্ট দল কিংবা গোষ্ঠীর ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করার জন্য নয়।’
আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান শুধু নির্যাতকের পরিবর্তনের বিরুদ্ধেই ছিল না। বরং এ আন্দোলন ছিল নির্যাতনের পরিবর্তনের বিরুদ্ধে। আমরা নির্যাতককে উৎখাত করেছি। এর মানে এই নয় যে আবার নতুন নির্যাতক এসে নির্যাতন চালাবে। আমরা একটি নির্যাতককে উৎখাত করেছি আরেকটি নির্যাতকের জায়গা দেওয়ার জন্য নয়।’
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন (জেআরসি) বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে অংশীজনদের মতামত গ্রহণের জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। ২৩ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সাধারণ জনগণসহ বিচারক, আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্ট সহায়ক কর্মচারীদের কাছে মতামত চেয়েছে কমি
৬ ঘণ্টা আগেফৌজদারি মামলায় কোনো আসামি আদালত থেকে অব্যাহতি পেলেও তিনি পুরোপুরি বিপদমুক্ত হন না। তার বিপদ কিছুটা থেকেই যায়। তবে ফৌজদারি মামলায় চার্জ গঠনের পর খালাস পেলে আসামি বিপদমুক্ত হন। একটি ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত সকল বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট ও দায়রা আদালত।
৮ ঘণ্টা আগেঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক রাজনীতি ও মানবাধিকারের ওপর প্রভাব ফেলবে।
৮ ঘণ্টা আগেনবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। নিরীহ কারও নামে মামলা হলেও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৯ ঘণ্টা আগে