নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জনশুমারি ও গৃহগণনা কর্মসূচিতে ব্যবহৃত ২০ লাখ ডলারের সফটওয়্যার কেনার প্রক্রিয়া জানতে চেয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। মন্ত্রণালয়কে পরবর্তী বৈঠকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোতে ব্যবহৃত বিদেশি সফটওয়্যারের ক্রয় প্রক্রিয়ার বিশদ বিবরণ আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করে করেছে কমিটি।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় জনশুমারিতে ব্যবহৃত সফটওয়্যার কিনতে প্রায় ২০ লাখ ডলার (বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী ১৮ কোটি ৯৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯৪০ টাকা) খরচ হয়েছে বলে মৌখিকভাবে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে বলে বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সদস্য জানান। তাঁরা বলেন, কমিটি জানতে চেয়েছে, এই সফটওয়্যার কোন প্রক্রিয়ায় কেনা হয়েছে, দেশি প্রতিষ্ঠান আর বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগ্যতা যাচাই করা হয়েছে কি না—এসব বিষয় বিশদে বর্ণনা করে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
গতকাল বুধবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোট ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন এবং নারী ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন।
মাঠ পর্যায়ে গণনাকারীদের জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) যুক্ত ট্যাব সরবরাহ করা হয়। ট্যাবে এমন সফটওয়্যার যুক্ত করা হয়েছে যাতে সব তথ্য পূরণ না করে কিংবা কোনো খানা থেকে তথ্য না নিয়ে সংশ্লিষ্ট গণনাকারী ‘কাজ শেষ’ বলে ট্যাব জমা দিতে পারবেন না। দেশে এবারই প্রথম জনশুমারি ডিজিটালি করা হয়েছে।
সংসদীয় কমিটির আগের বৈঠকের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ধরনের কোনো দেশীয় প্রযুক্তির সফটওয়্যার নেই, এ কারণে পরিসংখ্যান ব্যুরো বিদেশি সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করে। আইসিটি সংক্রান্ত কাজের জন্য আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করে ‘কোয়ালিটি অ্যান্ড কস্ট বেইজ সিলেকশন’ পদ্ধতিতে কোম্পানি নির্বাচন করা হয়েছে। এ সফটওয়্যার কিনতে খরচের পরিমাণ ২০ লাখ ডলার।
সংসদীয় কমিটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে মন্ত্রণালয়গুলোর প্রকল্প গ্রহণ/বাজেটের পরিমাণ নির্ধারণে সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন ধরনের হালনাগাদ তথ্য প্রদানের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং প্রতিটি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনাপত্তি সনদ (এনওসি), কার্য বিধিমালা (রুলস অব বিজনেস) ও অ্যালোকেশন অব বিজনেস সঠিকভাবে মানা হয়েছে কি না তা যাচাই করে অনুমোদন দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
মন্ত্রণালয়কে পরিকল্পনা নেওয়ার আগে হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান কমিটির সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘যখন কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, তখন হালনাগাদ তথ্যের ভিত্তিতে তা করা হয় না। আগের তথ্য মাথায় রেখে করা হয়। কমিটি বলেছে, হালনাগাদ তথ্য না থাকলে প্রকল্পের ফল আশানুরূপ আসবে না। সঠিক তথ্য না থাকলে তো কাজটাই ঠিকঠাক হবে না।’
উন্নয়ন বাজেট বরাদ্দের সময় জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকির বিষয়টি আমলে রেখে বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে বলে জানান সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, তাঁরা দেখতে চান উন্নয়ন বাজেটে জলবায়ুর বিষয়টি কতটা আমলে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রজেক্টের ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট করার জন্য বলা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশ নেন কমিটির সদস্য পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, রফিকুল ইসলাম, সাবের হোসেন চৌধুরী, হাফিজ আহমদ মজুমদার, বীরেন শিকদার এবং মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।
জনশুমারি ও গৃহগণনা কর্মসূচিতে ব্যবহৃত ২০ লাখ ডলারের সফটওয়্যার কেনার প্রক্রিয়া জানতে চেয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। মন্ত্রণালয়কে পরবর্তী বৈঠকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোতে ব্যবহৃত বিদেশি সফটওয়্যারের ক্রয় প্রক্রিয়ার বিশদ বিবরণ আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করে করেছে কমিটি।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় জনশুমারিতে ব্যবহৃত সফটওয়্যার কিনতে প্রায় ২০ লাখ ডলার (বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী ১৮ কোটি ৯৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯৪০ টাকা) খরচ হয়েছে বলে মৌখিকভাবে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে বলে বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সদস্য জানান। তাঁরা বলেন, কমিটি জানতে চেয়েছে, এই সফটওয়্যার কোন প্রক্রিয়ায় কেনা হয়েছে, দেশি প্রতিষ্ঠান আর বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগ্যতা যাচাই করা হয়েছে কি না—এসব বিষয় বিশদে বর্ণনা করে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
গতকাল বুধবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোট ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন এবং নারী ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন।
মাঠ পর্যায়ে গণনাকারীদের জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) যুক্ত ট্যাব সরবরাহ করা হয়। ট্যাবে এমন সফটওয়্যার যুক্ত করা হয়েছে যাতে সব তথ্য পূরণ না করে কিংবা কোনো খানা থেকে তথ্য না নিয়ে সংশ্লিষ্ট গণনাকারী ‘কাজ শেষ’ বলে ট্যাব জমা দিতে পারবেন না। দেশে এবারই প্রথম জনশুমারি ডিজিটালি করা হয়েছে।
সংসদীয় কমিটির আগের বৈঠকের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ধরনের কোনো দেশীয় প্রযুক্তির সফটওয়্যার নেই, এ কারণে পরিসংখ্যান ব্যুরো বিদেশি সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করে। আইসিটি সংক্রান্ত কাজের জন্য আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করে ‘কোয়ালিটি অ্যান্ড কস্ট বেইজ সিলেকশন’ পদ্ধতিতে কোম্পানি নির্বাচন করা হয়েছে। এ সফটওয়্যার কিনতে খরচের পরিমাণ ২০ লাখ ডলার।
সংসদীয় কমিটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে মন্ত্রণালয়গুলোর প্রকল্প গ্রহণ/বাজেটের পরিমাণ নির্ধারণে সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন ধরনের হালনাগাদ তথ্য প্রদানের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং প্রতিটি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনাপত্তি সনদ (এনওসি), কার্য বিধিমালা (রুলস অব বিজনেস) ও অ্যালোকেশন অব বিজনেস সঠিকভাবে মানা হয়েছে কি না তা যাচাই করে অনুমোদন দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
মন্ত্রণালয়কে পরিকল্পনা নেওয়ার আগে হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান কমিটির সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘যখন কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, তখন হালনাগাদ তথ্যের ভিত্তিতে তা করা হয় না। আগের তথ্য মাথায় রেখে করা হয়। কমিটি বলেছে, হালনাগাদ তথ্য না থাকলে প্রকল্পের ফল আশানুরূপ আসবে না। সঠিক তথ্য না থাকলে তো কাজটাই ঠিকঠাক হবে না।’
উন্নয়ন বাজেট বরাদ্দের সময় জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকির বিষয়টি আমলে রেখে বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে বলে জানান সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, তাঁরা দেখতে চান উন্নয়ন বাজেটে জলবায়ুর বিষয়টি কতটা আমলে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রজেক্টের ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট করার জন্য বলা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশ নেন কমিটির সদস্য পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, রফিকুল ইসলাম, সাবের হোসেন চৌধুরী, হাফিজ আহমদ মজুমদার, বীরেন শিকদার এবং মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম তিন মাসে সহকারী সচিব থেকে সিনিয়র সচিব পর্যায় পর্যন্ত ৮০ জন কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল হয়েছে ১০১ জনের। বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে চার কর্মকর্তাকে
৩ মিনিট আগেযুক্তরাজ্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থন করবে বলে জানিয়ে বাংলাদেশ সফররত দেশটির ইন্দো-প্যাসিফিক প্রতিমন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট বলেছেন, তাঁর সরকার বাংলাদেশকে পূর্ণ সমর্থন দেবে, বিশেষ করে বিদেশে পাচার হওয়া বিলিয়ন ডলার ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায়...
৪০ মিনিট আগেসশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় যান চলাচল সীমিত থাকবে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। আজ রোববার আইএসপিআর–এর সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেএয়ারক্র্যাফটের ভেতরে স্বর্ণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান। আজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগে