প্রতিনিধি
ঢাবি (ঢাকা): রোডম্যাপ ঘোষণা করে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলাসহ চার দফা দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে যাত্রা করলে সচিবালয় গেটে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন তারা। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট, প্রেসক্লাব অতিক্রম করে সচিবালয় গেটে এলে ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয় পুলিশ।
পুলিশের বাধায় সচিবালয় গেটের সামনে ‘শিক্ষা আর ব্যবসা, একসঙ্গে চলে না; হল-ক্যাম্পাস খুলে দাও, নাইলে গদি ছেড়ে দাও’, ‘অচল হল সচল করো, শিক্ষাজীবন রক্ষা করো’; ‘লড়াই হবে সেখানে, বাধা আসবে যেখানে’, ‘লড়াই হবে সেখানে; লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। পুলিশের বাধায় ব্যারিকেডের সামনে সমাবেশ করে প্রগতিশীল সংগঠনগুলো।
সচিবালয়ের সামনে সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, ‘সরকার সব সময় পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করতে চায়। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে তারা আমাদের মিছিলে বাধা দিয়েছে। করোনার কারণে অনেক শিক্ষার্থী এমনিতেই ঝরে পড়ছে। তার ওপর শিক্ষার ওপর কর আরোপের কারণে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার আরও বেড়ে যাবে। আমরা অবিলম্বে সকল শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় এনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি করছি। পাশাপাশি বাজেটে শিক্ষার ওপর যে কর আরোপ করা হয়েছে, তা বাতিল করার দাবি জানাই।’
সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী এত নরম সুরে কথা বলেন; সকল শিক্ষার্থী গলে যায়। উনি মন্ত্রী না, ছলনাময়ী নারী। আমরা তাঁর আর কোনো কথা শুনব না। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালা আমরা ভেঙে ফেলব।’ এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
দীপক শীল আরও বলেন, ‘আপনার মতো শিক্ষামন্ত্রী আমাদের দরকার নেই। আপনার যদি সৎসাহস থাকে তাহলে এক মাসের জন্য প্রগতিশীল সংগঠনসমূহের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। আমরা ১৫ দিনে রোডম্যাপ ঘোষণা করব। ১৬ দিনের মাথায় সকল তালা খুলে দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেব ৷’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (একাংশ) সভাপতি আল কাদেরী জয় বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী একজন সার্কাস মন্ত্রী। জনগণের শিক্ষার অধিকারের সঙ্গে তিনি সার্কাস খেলেছেন। এই সার্কাস অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। করোনা মহামারির চেয়ে এই সরকার বেশি ভয়ংকর। অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে৷ তা না হলে আমরা আরও বিশাল মিছিল নিয়ে আসব।’
পুলিশি বাধার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নেতারা বলেন, ‘আজকের সমাবেশ থেকে আমাদের যৌক্তিক দাবিতে পুলিশি বাধার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বাধা দিয়ে আমাদের আন্দোলন–সংগ্রাম বন্ধ করা যাবে না, ছাত্রসমাজের জন্য আমাদের আন্দোলন চলবে। আপনারা বাড়াবাড়ি করছেন, এই বাড়াবাড়ির ফল ভালো হবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওই জং ধরা তালা আমাদের ভাঙতে হবে, আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের চারটি দাবি মেনে নিন, অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন। অন্যথায় সারা দেশের ছাত্রসমাজকে নিয়ে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করব।’
উল্লেখ্য, প্রগতিশীল সংগঠনসমূহের চার দফা দাবি হলো রোডম্যাপ ঘোষণা করে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, সব শিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে টিকাদান করা এবং করোনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেতন-ফি মওকুফ করা।
ঢাবি (ঢাকা): রোডম্যাপ ঘোষণা করে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলাসহ চার দফা দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে যাত্রা করলে সচিবালয় গেটে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন তারা। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট, প্রেসক্লাব অতিক্রম করে সচিবালয় গেটে এলে ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয় পুলিশ।
পুলিশের বাধায় সচিবালয় গেটের সামনে ‘শিক্ষা আর ব্যবসা, একসঙ্গে চলে না; হল-ক্যাম্পাস খুলে দাও, নাইলে গদি ছেড়ে দাও’, ‘অচল হল সচল করো, শিক্ষাজীবন রক্ষা করো’; ‘লড়াই হবে সেখানে, বাধা আসবে যেখানে’, ‘লড়াই হবে সেখানে; লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। পুলিশের বাধায় ব্যারিকেডের সামনে সমাবেশ করে প্রগতিশীল সংগঠনগুলো।
সচিবালয়ের সামনে সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, ‘সরকার সব সময় পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করতে চায়। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে তারা আমাদের মিছিলে বাধা দিয়েছে। করোনার কারণে অনেক শিক্ষার্থী এমনিতেই ঝরে পড়ছে। তার ওপর শিক্ষার ওপর কর আরোপের কারণে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার আরও বেড়ে যাবে। আমরা অবিলম্বে সকল শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় এনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি করছি। পাশাপাশি বাজেটে শিক্ষার ওপর যে কর আরোপ করা হয়েছে, তা বাতিল করার দাবি জানাই।’
সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী এত নরম সুরে কথা বলেন; সকল শিক্ষার্থী গলে যায়। উনি মন্ত্রী না, ছলনাময়ী নারী। আমরা তাঁর আর কোনো কথা শুনব না। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালা আমরা ভেঙে ফেলব।’ এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
দীপক শীল আরও বলেন, ‘আপনার মতো শিক্ষামন্ত্রী আমাদের দরকার নেই। আপনার যদি সৎসাহস থাকে তাহলে এক মাসের জন্য প্রগতিশীল সংগঠনসমূহের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। আমরা ১৫ দিনে রোডম্যাপ ঘোষণা করব। ১৬ দিনের মাথায় সকল তালা খুলে দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেব ৷’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (একাংশ) সভাপতি আল কাদেরী জয় বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী একজন সার্কাস মন্ত্রী। জনগণের শিক্ষার অধিকারের সঙ্গে তিনি সার্কাস খেলেছেন। এই সার্কাস অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। করোনা মহামারির চেয়ে এই সরকার বেশি ভয়ংকর। অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে৷ তা না হলে আমরা আরও বিশাল মিছিল নিয়ে আসব।’
পুলিশি বাধার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নেতারা বলেন, ‘আজকের সমাবেশ থেকে আমাদের যৌক্তিক দাবিতে পুলিশি বাধার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বাধা দিয়ে আমাদের আন্দোলন–সংগ্রাম বন্ধ করা যাবে না, ছাত্রসমাজের জন্য আমাদের আন্দোলন চলবে। আপনারা বাড়াবাড়ি করছেন, এই বাড়াবাড়ির ফল ভালো হবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওই জং ধরা তালা আমাদের ভাঙতে হবে, আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের চারটি দাবি মেনে নিন, অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন। অন্যথায় সারা দেশের ছাত্রসমাজকে নিয়ে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করব।’
উল্লেখ্য, প্রগতিশীল সংগঠনসমূহের চার দফা দাবি হলো রোডম্যাপ ঘোষণা করে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, সব শিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে টিকাদান করা এবং করোনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেতন-ফি মওকুফ করা।
মেট্রোরেল চালায় যারা, সেই ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) অধীন একটি প্রতিষ্ঠান। আইন সংশোধন করে এখন আধুনিক নগর পরিবহনটির নিয়ন্ত্রণ থেকে সেই কর্তৃপক্ষকে বাদ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সংশোধিত আইনের খসড়ায় মেট্রোরেলের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি...
১ ঘণ্টা আগেপ্রধানমন্ত্রী হলে দলীয় প্রধানের পদ ছেড়ে দেওয়া, ৫১ শতাংশের কম ভোট পড়লে পুনরায় ভোট গ্রহণ এবং দেশের সব জাতিসত্তার স্বীকৃতিসহ বিভিন্ন বিধান সংবিধানে যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। গতকাল বুধবার সংবিধান সংস্কার কমিশনের সঙ্গে অংশীজনদের মতবিনিময় সভায় এসব কথা উঠে এসেছে। মতবিনিময় সভায় বিচারপতি ইমান
১০ ঘণ্টা আগেব্যক্তির অপরাধের জন্য দলের বিরুদ্ধে আঙুল তোলা ঠিক নয় বলে মনে করেন ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। তিনি বলেছেন, ‘কোনো অপরাধীর জন্য কোনো সংগঠন বা কোনো দল কিংবা কোনো গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আঙুল দেখানো ঠিক হবে না।’
১১ ঘণ্টা আগেইন্টারনেট এখন আর বিনোদন কিংবা কথা বলার মাধ্যমের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ইন্টারনেট স্বীকৃত মৌলিক মানবাধিকার। তাই বাংলাদেশেও সংবিধানে ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা ও ডাটা সুরক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ব
১১ ঘণ্টা আগে