আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০: ১১
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০: ৪৬

দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘মব জাস্টিসের ক্ষেত্রে জনসচেতনতাটা একটু বাড়াতে হবে। একজন অন্যায় করলে তাঁকে আইনের হাতে সোপর্দ করেন। আইন তো হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।’

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপি সদর দপ্তরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশকে মানবিক পুলিশ হতে উজ্জীবিত করে কীভাবে তাদের পুরোনো গৌরবটা ফিরে পাওয়া যায় এবং জনবান্ধব পুলিশ যেন বাস্তবে হয়—এটা যেন কোনো কাগজ-কলমে না থাকে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। থানা পর্যায়ে লোকজনকে অনেক সময় বিভিন্ন কাজের জন্য গিয়ে তাদের যে সমস্যা সেটা সমাধান করতে পারে না, সব সময় সমাধান সম্ভবও নয়। কিন্তু তারপরেও তাদের যেন একটা পার্সেন্ট হিয়ারিং দেওয়া হয়। কাজগুলো কীভাবে সমাধান করা যায় এইটা বলা হয়েছে। মেইনলি আলোচনা হয়েছে তাদের যে পুরোনো ফরমে যেন পুলিশ যত তাড়াতাড়ি ফিরে যেতে পারে। তারা যেন জনবান্ধব পুলিশ হতে পারে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ট্রাফিকে যে একটা সমস্যা হচ্ছে, এই ট্রাফিকটা কীভাবে উন্নত করা যায় এই ক্ষেত্রে বলা হয়েছে। চাঁদাবাজি কীভাবে বন্ধ করা যায়, এই সম্বন্ধে বলা হয়েছে। চাঁদাবাজিটা যদি বন্ধ হয় জিনিসপত্রের দামটা একটু সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। এই চাঁদাবাজি যেন না হয়, প্লাস এই ঘুষ এবং দুর্নীতিতে আমাদের সমাজটাকে গ্রাস করে নিয়েছে। এটাকে কীভাবে বন্ধ করা যায় এসব আলোচনা হয়েছে।’

রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হয়রানিমূলক মামলা হচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশ কিন্তু আগে মামলা দিত, এই সময়ে কোনো পুলিশ একটা মামলা দিয়েছে? আগে পুলিশ ১০ জনের নাম দিয়ে ১০০ জনকে অজ্ঞাত রেখে দিত। কিন্তু আজ পর্যন্ত পুলিশ কিন্তু মামলা দিচ্ছে না, এটা কিন্তু সাধারণ পাবলিকরা দিচ্ছে। যদি পুলিশ একটা এমন মামলা দেয় আপনি আমার কাছে আনেন, যে ১০ জনের নাম দিয়ে, ৫০০ জনকে অজ্ঞাত করে দেওয়া। এখন যারা মামলা দিচ্ছে সাধারণ জনগণ। তাঁদের বলতে হবে, যারা অ্যাকচ্যুয়াল ক্রিমিনাল তাদের দিন।’

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, শুধু যারা দোষী তাদেরই নাম দেন। অন্য কাউরে নাম দিয়েন না। অন্য নাম দিলে এইটা তদন্ত করতে সময়ও বেশি যাচ্ছে এবং অনেক সময় নিরীহ লোকও যেন হেনস্তা না হয়—এই দিকে খেয়াল রাখতে। এ জন্য আমরা বলে দিয়েছি যে সাধারণ লোক যেন হেনস্তা না হয়। তদন্ত ছাড়া কাউকেই গ্রেপ্তার করা হবে না।’

এদিকে থানা-পুলিশের লুট হওয়া ১৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব ঘটনায় ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত