জাহীদ রেজা নূর

চলে যাওয়া বছরটিতে আমরা হারিয়েছি অনেক বরেণ্য ব্যক্তিকে। এর মধ্যে অভিশপ্ত কোভিডও কেড়ে নিয়েছে অনেক প্রাণ।
বছরের শুরুতেই ৩ জানুয়ারি আমরা হারিয়েছি একুশে পদকজয়ী লেখিকা রাবেয়া খাতুনকে। অনেকগুলো উপন্যাস লিখেছিলেন তিনি। কয়েকটি উপন্যাস থেকে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র। এর মধ্যে ‘মেঘের পর মেঘ’, ‘মধুমতী’র নাম বলা যেতে পারে। ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর বর্তমান মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরে জন্মেছিলেন তিনি।
এর পরের আঘাত আসে এ টি এম শামসুজ্জামানের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের শক্তিমান এই অভিনেতাও পেয়েছিলেন একুশে পদক। ‘লাঠিয়াল’, ‘নয়নমণি’, ‘অশিক্ষিত’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘গেরিলা’ তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের কয়েকটি। জন্মেছিলেন ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী জেলায়।
প্রখ্যাত লেখক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মুকসুদ চলে গেলেন ২৩ ফেব্রুয়ারি। ভালো গবেষক ছিলেন তিনি। মওলানা ভাসানীকে নিয়ে বই লিখেছেন। লিখেছেন রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে। তাঁর ভাষা ছিল সরল, কিন্তু গভীর তথ্যসমৃদ্ধ। মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার এলাচিপুর গ্রামে ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর তাঁর জন্ম হয়।
মার্চ মাসও ছিল বিয়োগের বেদনায় ভরা। ৪ মার্চ মারা যান প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হোসেন তৌফিক ইমাম (এইচ টি ইমাম)। ১৯৩৯ সালের ১৫ জানুয়ারি জন্ম হওয়া এইচ টি ইমাম ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব। একই মাসের ৮ তারিখ চলে যান বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেতা শাহীন আলম। আর ১৬ মার্চ মারা যান বিএনপির নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে একজন সুলেখক হিসেবে পরিচিত মওদুদ আহমদের জন্ম ১৯৪০ সালের ২৪ মে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়।
এপ্রিলের এমনিতেই বদনাম ছিল, আছেও। ইংরেজ কবি টি এস এলিয়ট তো সেই কবেই এপ্রিলকে ‘নিষ্ঠুরতম মাস’ আখ্যা দিয়েছেন। সে কথা রাখতেই যেন এ বছরের এপ্রিল একের পর এক আঘাত হানল। এপ্রিল মাসের ৭ তারিখ এসেছিল দুঃসংবাদ নিয়ে। এদিন লোকসংগীতশিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী মারা যান। তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী। ১৯৪৬ সালের ২৬ জানুয়ারি তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। এই শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ১০ এপ্রিল মারা যান সাংবাদিক, কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাসান শাহরিয়ার। সুনামগঞ্জ জেলায় ১৯৪৬ সালের ২৫ এপ্রিল জন্ম হয়েছিল তাঁর। এর ঠিক পরদিনই চলে যান মিতা হক।
রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হক মারা যান ১১ এপ্রিল। কিডনির রোগে দীর্ঘদিন ভুগছিলেন তিনি। ১৯৬২ সালে ঢাকায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই শিল্পী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। করোনাই তাঁকে একেবারে দুর্বল করে ফেলেছিল। এপ্রিলের বাতাসকে ভারী করে তোলার জন্য এটুকুই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু এতেও যেন সে নিজেকে ‘নিষ্ঠুরতম’ প্রমাণ করতে পারছিল না। কয়েক দিন বিরতি দিয়ে আবার আঘাত। এবার শামসুজ্জামান খান। ১৪ এপ্রিল বাংলা একাডেমির এই সাবেক মহাপরিচালক চলে যান। ১৯৪০ সালের ২৯ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করা এই অধ্যাপক ও লোকসংস্কৃতি গবেষক নিজের জ্ঞান ও প্রজ্ঞার ছাপ রেখে গেছেন বহু লেখায়। এই ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই চলে যান ‘মিষ্টি মেয়ে’ কবরী। ১৭ এপ্রিল চলে গিয়েছিলেন চলচ্চিত্রশিল্পী কবরী। ১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় জন্মানো সারাহ বেগম কবরী ছিলেন এই বাংলার চলচ্চিত্রের একজন গুণী শিল্পী। শক্তিমান এই শিল্পীর ঝুলিতে আছে ‘সোয়ে নদিয়া জাগে পানি’, ‘যে আগুনে পুড়ি’, ‘কাচ কাটা হীরে’, ‘সুজনসখী’, ‘সারেং বউ’-এর মতো ছবি। পাশাপাশি ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মন কাড়ে। রাজনীতিও করেছেন, করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালনা। রাজ্জাক-কবরী জুটি একসময় চলচ্চিত্রের দর্শকদের মন জুড়িয়ে দিয়েছিল।
শামসুজ্জামান খানের মেয়াদ ফুরালে বাংলা একাডেমির দায়িত্ব পেয়েছিলেন কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী। কিন্তু বেশি দিন সেই দায়িত্ব পালন করতে পারলেন না। ২৪ মে মারা যান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক। ফরিদপুরে ১৯৪৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্মেছিলেন তিনি। তাঁর কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে ‘দাও বৃক্ষ দাও দিন’, ‘মোমশিল্পের ক্ষয়ক্ষতি’, ‘হাওয়া কলে জোড়াগাড়ি’, ‘নোনা জলে বুনো সংসার’, ‘স্বপ্নহীনতার পক্ষে’, ‘আমার একজনই বন্ধু’, ‘পোশাক বদলের পালা’, ‘প্রেমের কবিতা’, ‘কৃষ্ণ কৃপাণ ও অন্যান্য কবিতা’, ছিন্নভিন্ন অপরাহ্ণ’, ‘জয় বাংলা বলো রে ভাই’, ‘সারিবদ্ধ জ্যোৎস্না’ উল্লেখযোগ্য।
মারা যান অর্থনীতিবিদ ও সমাজসেবক শাহ আব্দুল হান্নান। ১৯৩৯ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদীতে জন্ম নেওয়া এই অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর, দুর্নীতি দমন ব্যুরোর (বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশন) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৪ জুলাই মারা যান গীতিকার ও ছড়াকার ফজল-এ-খোদা। তাঁর লেখা গান ‘যে দেশেতে শাপলা শালুক ঝিলের জলে ভাসে’, ‘ভালোবাসার মূল্য কত আমি কিছু জানি না’ খুবই জনপ্রিয়। তবে যে গানটি লিখে তিনি বাংলাদেশকে ঋণী করে গেছেন, সেটি হলো ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’। শিশুদের জন্য তাঁর লেখা ছড়াগুলো অনবদ্য। ১৯৪১ সালের ৯ মার্চ পাবনার বেড়া থানার বনগ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
২৩ জুলাই চলে যান গণসংগীতশিল্পী, শব্দসৈনিক ফকির আলমগীর। বাংলাদেশে পপসংগীতের পুরোধাব্যক্তিত্বদের একজন তিনি। আজম খান, ফেরদৌস ওয়াহিদ, ফিরোজ সাঁই ও পিলু মমতাজকে নিয়ে গড়ে উঠেছিল সেই সময়ের তারুণ্যের গান। ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর মাধ্যমে তিনি গণসংগীতে অবদান রাখেন। তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী। ‘ও সখিনা গেছস কিনা ভুইল্যা আমারে’ গানটি তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। এ ছাড়া ‘মায়ের এক ধার দুধের দাম’, ‘নাম তার ছিল জন হেনরি’ গানগুলোর কথা মানুষ মনে রাখবে। ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
কথাসাহিত্যিক ও লেখক বুলবুল চৌধুরী মারা যান ২৮ আগস্ট। ১৯৪৮ সালের ১৬ আগস্ট গাজীপুরের দক্ষিণবাগ গ্রামে জন্ম নেওয়া নিভৃতচারী শক্তিমান এই সাহিত্যিক ২০১১ সালে পান বাংলা একাডেমি পুরস্কার। আর যে বছর পেলেন একুশে পদক, সে বছরই মারা গেলেন।
অভিনেতা, লেখক, নাট্যকার ও শিক্ষক ইনামুল হক মারা যান ১১ অক্টোবর। বাংলাদেশের মঞ্চনাটকের এই পুরোধাব্যক্তিত্ব ছিলেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেও নাটকের জন্যই তিনি জনপ্রিয়তা পান। মঞ্চ, টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। ১৯৪৩ সালের ২৯ মে ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
বছরের শেষ দিকে চলে যান প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। রাজশাহীতে নিজের বাসায় ১৫ নভেম্বর মারা যান তিনি। একুশে পদকপ্রাপ্ত এই লেখকের লেখা গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘তৃষ্ণা’, ‘উত্তরবসন্তে’, ‘বিমর্ষ রাত্রি, প্রথম প্রহর’, ‘পরবাসী’, ‘আমৃত্যু’, ‘আজীবন’, ‘জীবন ঘষে আগুন’, ‘খাঁচা’, ‘ভূষণের একদিন’, ‘ফেরা’, ‘মন তার শঙ্খিনী’, ‘মাটির তলার মাটি’, ‘শোণিত সেতু’, ‘ঘরগেরস্থি’, ‘সরল হিংসা’, ‘খনন’, ‘সমুখে শান্তির পারাবার’, ‘অচিন পাখি’, ‘মা-মেয়ের সংসার’, ‘বিধবাদের কথা’, ‘সারা দুপুর’ ও ‘কেউ আসেনি’। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ২ ফেব্রুয়ারি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
মৃত্যুর এ সারিতে নাম লেখান একুশে পদকপ্রাপ্ত নজরুল গবেষক, বাংলা একাডেমির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। দিনটি ছিল ৩০ নভেম্বর। ভাষা আন্দোলনে তাঁর তোলা ছবিগুলো ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে। তাঁর রয়েছে অনেকগুলো গবেষণাগ্রন্থ। ভাষা আন্দোলন, কবি নজরুল ইসলাম, ভাষাতত্ত্ব ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাঁর লেখা গুরুত্বপূর্ণ বই রয়েছে। ১৯৩৪ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা গ্রামে জন্ম হয়েছিল তাঁর।
ডিসেম্বরের ২০ তারিখে মারা যান একাত্তরের রণাঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখা শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফী। ‘মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের নারী’, ‘চিঠি জাহানারা ইমামকে’, ‘স্বাধীনতা আমার রক্তঝরা দিন’ তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য বই। তিনি ১৯৩৮ সালের ১৫ জানুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন। এখানেই শেষ নয়। বড়দিনের দিন চলে যান জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। ২৫ ডিসেম্বর মারা যান একুশে পদকপ্রাপ্ত এই সাংবাদিক নেতা।
সব মিলিয়ে ২০২১ সালে বাংলাদেশ একের পর এক কৃতিকে হারিয়েছে। হ্যাঁ, করোনায় সারা বছরই নানা শ্রেণি-পেশার নানা বয়সী মানুষ মারা গেছেন। এই প্রতিটি মৃত্যুই বেদনাদায়ক। তারপরও কিছু মৃত্যু থাকে, যা জাতীয় জীবনে একটা শূন্যতার সৃষ্টি করে। এ বছর বিভিন্ন অঙ্গনের এমন বহু মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, যাঁদের অভাব বোধ হবে অনেক দিন। যাঁদের এই হারিয়ে যাওয়ার কারণেও ২০২১ সালকে মানুষ মনে রাখবে।

চলে যাওয়া বছরটিতে আমরা হারিয়েছি অনেক বরেণ্য ব্যক্তিকে। এর মধ্যে অভিশপ্ত কোভিডও কেড়ে নিয়েছে অনেক প্রাণ।
বছরের শুরুতেই ৩ জানুয়ারি আমরা হারিয়েছি একুশে পদকজয়ী লেখিকা রাবেয়া খাতুনকে। অনেকগুলো উপন্যাস লিখেছিলেন তিনি। কয়েকটি উপন্যাস থেকে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র। এর মধ্যে ‘মেঘের পর মেঘ’, ‘মধুমতী’র নাম বলা যেতে পারে। ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর বর্তমান মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরে জন্মেছিলেন তিনি।
এর পরের আঘাত আসে এ টি এম শামসুজ্জামানের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের শক্তিমান এই অভিনেতাও পেয়েছিলেন একুশে পদক। ‘লাঠিয়াল’, ‘নয়নমণি’, ‘অশিক্ষিত’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘গেরিলা’ তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের কয়েকটি। জন্মেছিলেন ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী জেলায়।
প্রখ্যাত লেখক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মুকসুদ চলে গেলেন ২৩ ফেব্রুয়ারি। ভালো গবেষক ছিলেন তিনি। মওলানা ভাসানীকে নিয়ে বই লিখেছেন। লিখেছেন রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে। তাঁর ভাষা ছিল সরল, কিন্তু গভীর তথ্যসমৃদ্ধ। মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার এলাচিপুর গ্রামে ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর তাঁর জন্ম হয়।
মার্চ মাসও ছিল বিয়োগের বেদনায় ভরা। ৪ মার্চ মারা যান প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হোসেন তৌফিক ইমাম (এইচ টি ইমাম)। ১৯৩৯ সালের ১৫ জানুয়ারি জন্ম হওয়া এইচ টি ইমাম ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব। একই মাসের ৮ তারিখ চলে যান বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেতা শাহীন আলম। আর ১৬ মার্চ মারা যান বিএনপির নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে একজন সুলেখক হিসেবে পরিচিত মওদুদ আহমদের জন্ম ১৯৪০ সালের ২৪ মে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়।
এপ্রিলের এমনিতেই বদনাম ছিল, আছেও। ইংরেজ কবি টি এস এলিয়ট তো সেই কবেই এপ্রিলকে ‘নিষ্ঠুরতম মাস’ আখ্যা দিয়েছেন। সে কথা রাখতেই যেন এ বছরের এপ্রিল একের পর এক আঘাত হানল। এপ্রিল মাসের ৭ তারিখ এসেছিল দুঃসংবাদ নিয়ে। এদিন লোকসংগীতশিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী মারা যান। তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী। ১৯৪৬ সালের ২৬ জানুয়ারি তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। এই শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ১০ এপ্রিল মারা যান সাংবাদিক, কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাসান শাহরিয়ার। সুনামগঞ্জ জেলায় ১৯৪৬ সালের ২৫ এপ্রিল জন্ম হয়েছিল তাঁর। এর ঠিক পরদিনই চলে যান মিতা হক।
রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হক মারা যান ১১ এপ্রিল। কিডনির রোগে দীর্ঘদিন ভুগছিলেন তিনি। ১৯৬২ সালে ঢাকায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই শিল্পী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। করোনাই তাঁকে একেবারে দুর্বল করে ফেলেছিল। এপ্রিলের বাতাসকে ভারী করে তোলার জন্য এটুকুই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু এতেও যেন সে নিজেকে ‘নিষ্ঠুরতম’ প্রমাণ করতে পারছিল না। কয়েক দিন বিরতি দিয়ে আবার আঘাত। এবার শামসুজ্জামান খান। ১৪ এপ্রিল বাংলা একাডেমির এই সাবেক মহাপরিচালক চলে যান। ১৯৪০ সালের ২৯ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করা এই অধ্যাপক ও লোকসংস্কৃতি গবেষক নিজের জ্ঞান ও প্রজ্ঞার ছাপ রেখে গেছেন বহু লেখায়। এই ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই চলে যান ‘মিষ্টি মেয়ে’ কবরী। ১৭ এপ্রিল চলে গিয়েছিলেন চলচ্চিত্রশিল্পী কবরী। ১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় জন্মানো সারাহ বেগম কবরী ছিলেন এই বাংলার চলচ্চিত্রের একজন গুণী শিল্পী। শক্তিমান এই শিল্পীর ঝুলিতে আছে ‘সোয়ে নদিয়া জাগে পানি’, ‘যে আগুনে পুড়ি’, ‘কাচ কাটা হীরে’, ‘সুজনসখী’, ‘সারেং বউ’-এর মতো ছবি। পাশাপাশি ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মন কাড়ে। রাজনীতিও করেছেন, করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালনা। রাজ্জাক-কবরী জুটি একসময় চলচ্চিত্রের দর্শকদের মন জুড়িয়ে দিয়েছিল।
শামসুজ্জামান খানের মেয়াদ ফুরালে বাংলা একাডেমির দায়িত্ব পেয়েছিলেন কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী। কিন্তু বেশি দিন সেই দায়িত্ব পালন করতে পারলেন না। ২৪ মে মারা যান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক। ফরিদপুরে ১৯৪৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্মেছিলেন তিনি। তাঁর কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে ‘দাও বৃক্ষ দাও দিন’, ‘মোমশিল্পের ক্ষয়ক্ষতি’, ‘হাওয়া কলে জোড়াগাড়ি’, ‘নোনা জলে বুনো সংসার’, ‘স্বপ্নহীনতার পক্ষে’, ‘আমার একজনই বন্ধু’, ‘পোশাক বদলের পালা’, ‘প্রেমের কবিতা’, ‘কৃষ্ণ কৃপাণ ও অন্যান্য কবিতা’, ছিন্নভিন্ন অপরাহ্ণ’, ‘জয় বাংলা বলো রে ভাই’, ‘সারিবদ্ধ জ্যোৎস্না’ উল্লেখযোগ্য।
মারা যান অর্থনীতিবিদ ও সমাজসেবক শাহ আব্দুল হান্নান। ১৯৩৯ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদীতে জন্ম নেওয়া এই অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর, দুর্নীতি দমন ব্যুরোর (বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশন) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৪ জুলাই মারা যান গীতিকার ও ছড়াকার ফজল-এ-খোদা। তাঁর লেখা গান ‘যে দেশেতে শাপলা শালুক ঝিলের জলে ভাসে’, ‘ভালোবাসার মূল্য কত আমি কিছু জানি না’ খুবই জনপ্রিয়। তবে যে গানটি লিখে তিনি বাংলাদেশকে ঋণী করে গেছেন, সেটি হলো ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’। শিশুদের জন্য তাঁর লেখা ছড়াগুলো অনবদ্য। ১৯৪১ সালের ৯ মার্চ পাবনার বেড়া থানার বনগ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
২৩ জুলাই চলে যান গণসংগীতশিল্পী, শব্দসৈনিক ফকির আলমগীর। বাংলাদেশে পপসংগীতের পুরোধাব্যক্তিত্বদের একজন তিনি। আজম খান, ফেরদৌস ওয়াহিদ, ফিরোজ সাঁই ও পিলু মমতাজকে নিয়ে গড়ে উঠেছিল সেই সময়ের তারুণ্যের গান। ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর মাধ্যমে তিনি গণসংগীতে অবদান রাখেন। তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী। ‘ও সখিনা গেছস কিনা ভুইল্যা আমারে’ গানটি তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। এ ছাড়া ‘মায়ের এক ধার দুধের দাম’, ‘নাম তার ছিল জন হেনরি’ গানগুলোর কথা মানুষ মনে রাখবে। ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
কথাসাহিত্যিক ও লেখক বুলবুল চৌধুরী মারা যান ২৮ আগস্ট। ১৯৪৮ সালের ১৬ আগস্ট গাজীপুরের দক্ষিণবাগ গ্রামে জন্ম নেওয়া নিভৃতচারী শক্তিমান এই সাহিত্যিক ২০১১ সালে পান বাংলা একাডেমি পুরস্কার। আর যে বছর পেলেন একুশে পদক, সে বছরই মারা গেলেন।
অভিনেতা, লেখক, নাট্যকার ও শিক্ষক ইনামুল হক মারা যান ১১ অক্টোবর। বাংলাদেশের মঞ্চনাটকের এই পুরোধাব্যক্তিত্ব ছিলেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেও নাটকের জন্যই তিনি জনপ্রিয়তা পান। মঞ্চ, টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। ১৯৪৩ সালের ২৯ মে ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
বছরের শেষ দিকে চলে যান প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। রাজশাহীতে নিজের বাসায় ১৫ নভেম্বর মারা যান তিনি। একুশে পদকপ্রাপ্ত এই লেখকের লেখা গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘তৃষ্ণা’, ‘উত্তরবসন্তে’, ‘বিমর্ষ রাত্রি, প্রথম প্রহর’, ‘পরবাসী’, ‘আমৃত্যু’, ‘আজীবন’, ‘জীবন ঘষে আগুন’, ‘খাঁচা’, ‘ভূষণের একদিন’, ‘ফেরা’, ‘মন তার শঙ্খিনী’, ‘মাটির তলার মাটি’, ‘শোণিত সেতু’, ‘ঘরগেরস্থি’, ‘সরল হিংসা’, ‘খনন’, ‘সমুখে শান্তির পারাবার’, ‘অচিন পাখি’, ‘মা-মেয়ের সংসার’, ‘বিধবাদের কথা’, ‘সারা দুপুর’ ও ‘কেউ আসেনি’। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ২ ফেব্রুয়ারি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
মৃত্যুর এ সারিতে নাম লেখান একুশে পদকপ্রাপ্ত নজরুল গবেষক, বাংলা একাডেমির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। দিনটি ছিল ৩০ নভেম্বর। ভাষা আন্দোলনে তাঁর তোলা ছবিগুলো ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে। তাঁর রয়েছে অনেকগুলো গবেষণাগ্রন্থ। ভাষা আন্দোলন, কবি নজরুল ইসলাম, ভাষাতত্ত্ব ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাঁর লেখা গুরুত্বপূর্ণ বই রয়েছে। ১৯৩৪ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা গ্রামে জন্ম হয়েছিল তাঁর।
ডিসেম্বরের ২০ তারিখে মারা যান একাত্তরের রণাঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখা শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফী। ‘মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের নারী’, ‘চিঠি জাহানারা ইমামকে’, ‘স্বাধীনতা আমার রক্তঝরা দিন’ তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য বই। তিনি ১৯৩৮ সালের ১৫ জানুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন। এখানেই শেষ নয়। বড়দিনের দিন চলে যান জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। ২৫ ডিসেম্বর মারা যান একুশে পদকপ্রাপ্ত এই সাংবাদিক নেতা।
সব মিলিয়ে ২০২১ সালে বাংলাদেশ একের পর এক কৃতিকে হারিয়েছে। হ্যাঁ, করোনায় সারা বছরই নানা শ্রেণি-পেশার নানা বয়সী মানুষ মারা গেছেন। এই প্রতিটি মৃত্যুই বেদনাদায়ক। তারপরও কিছু মৃত্যু থাকে, যা জাতীয় জীবনে একটা শূন্যতার সৃষ্টি করে। এ বছর বিভিন্ন অঙ্গনের এমন বহু মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, যাঁদের অভাব বোধ হবে অনেক দিন। যাঁদের এই হারিয়ে যাওয়ার কারণেও ২০২১ সালকে মানুষ মনে রাখবে।
জাহীদ রেজা নূর

চলে যাওয়া বছরটিতে আমরা হারিয়েছি অনেক বরেণ্য ব্যক্তিকে। এর মধ্যে অভিশপ্ত কোভিডও কেড়ে নিয়েছে অনেক প্রাণ।
বছরের শুরুতেই ৩ জানুয়ারি আমরা হারিয়েছি একুশে পদকজয়ী লেখিকা রাবেয়া খাতুনকে। অনেকগুলো উপন্যাস লিখেছিলেন তিনি। কয়েকটি উপন্যাস থেকে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র। এর মধ্যে ‘মেঘের পর মেঘ’, ‘মধুমতী’র নাম বলা যেতে পারে। ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর বর্তমান মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরে জন্মেছিলেন তিনি।
এর পরের আঘাত আসে এ টি এম শামসুজ্জামানের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের শক্তিমান এই অভিনেতাও পেয়েছিলেন একুশে পদক। ‘লাঠিয়াল’, ‘নয়নমণি’, ‘অশিক্ষিত’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘গেরিলা’ তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের কয়েকটি। জন্মেছিলেন ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী জেলায়।
প্রখ্যাত লেখক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মুকসুদ চলে গেলেন ২৩ ফেব্রুয়ারি। ভালো গবেষক ছিলেন তিনি। মওলানা ভাসানীকে নিয়ে বই লিখেছেন। লিখেছেন রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে। তাঁর ভাষা ছিল সরল, কিন্তু গভীর তথ্যসমৃদ্ধ। মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার এলাচিপুর গ্রামে ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর তাঁর জন্ম হয়।
মার্চ মাসও ছিল বিয়োগের বেদনায় ভরা। ৪ মার্চ মারা যান প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হোসেন তৌফিক ইমাম (এইচ টি ইমাম)। ১৯৩৯ সালের ১৫ জানুয়ারি জন্ম হওয়া এইচ টি ইমাম ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব। একই মাসের ৮ তারিখ চলে যান বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেতা শাহীন আলম। আর ১৬ মার্চ মারা যান বিএনপির নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে একজন সুলেখক হিসেবে পরিচিত মওদুদ আহমদের জন্ম ১৯৪০ সালের ২৪ মে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়।
এপ্রিলের এমনিতেই বদনাম ছিল, আছেও। ইংরেজ কবি টি এস এলিয়ট তো সেই কবেই এপ্রিলকে ‘নিষ্ঠুরতম মাস’ আখ্যা দিয়েছেন। সে কথা রাখতেই যেন এ বছরের এপ্রিল একের পর এক আঘাত হানল। এপ্রিল মাসের ৭ তারিখ এসেছিল দুঃসংবাদ নিয়ে। এদিন লোকসংগীতশিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী মারা যান। তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী। ১৯৪৬ সালের ২৬ জানুয়ারি তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। এই শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ১০ এপ্রিল মারা যান সাংবাদিক, কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাসান শাহরিয়ার। সুনামগঞ্জ জেলায় ১৯৪৬ সালের ২৫ এপ্রিল জন্ম হয়েছিল তাঁর। এর ঠিক পরদিনই চলে যান মিতা হক।
রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হক মারা যান ১১ এপ্রিল। কিডনির রোগে দীর্ঘদিন ভুগছিলেন তিনি। ১৯৬২ সালে ঢাকায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই শিল্পী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। করোনাই তাঁকে একেবারে দুর্বল করে ফেলেছিল। এপ্রিলের বাতাসকে ভারী করে তোলার জন্য এটুকুই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু এতেও যেন সে নিজেকে ‘নিষ্ঠুরতম’ প্রমাণ করতে পারছিল না। কয়েক দিন বিরতি দিয়ে আবার আঘাত। এবার শামসুজ্জামান খান। ১৪ এপ্রিল বাংলা একাডেমির এই সাবেক মহাপরিচালক চলে যান। ১৯৪০ সালের ২৯ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করা এই অধ্যাপক ও লোকসংস্কৃতি গবেষক নিজের জ্ঞান ও প্রজ্ঞার ছাপ রেখে গেছেন বহু লেখায়। এই ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই চলে যান ‘মিষ্টি মেয়ে’ কবরী। ১৭ এপ্রিল চলে গিয়েছিলেন চলচ্চিত্রশিল্পী কবরী। ১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় জন্মানো সারাহ বেগম কবরী ছিলেন এই বাংলার চলচ্চিত্রের একজন গুণী শিল্পী। শক্তিমান এই শিল্পীর ঝুলিতে আছে ‘সোয়ে নদিয়া জাগে পানি’, ‘যে আগুনে পুড়ি’, ‘কাচ কাটা হীরে’, ‘সুজনসখী’, ‘সারেং বউ’-এর মতো ছবি। পাশাপাশি ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মন কাড়ে। রাজনীতিও করেছেন, করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালনা। রাজ্জাক-কবরী জুটি একসময় চলচ্চিত্রের দর্শকদের মন জুড়িয়ে দিয়েছিল।
শামসুজ্জামান খানের মেয়াদ ফুরালে বাংলা একাডেমির দায়িত্ব পেয়েছিলেন কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী। কিন্তু বেশি দিন সেই দায়িত্ব পালন করতে পারলেন না। ২৪ মে মারা যান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক। ফরিদপুরে ১৯৪৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্মেছিলেন তিনি। তাঁর কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে ‘দাও বৃক্ষ দাও দিন’, ‘মোমশিল্পের ক্ষয়ক্ষতি’, ‘হাওয়া কলে জোড়াগাড়ি’, ‘নোনা জলে বুনো সংসার’, ‘স্বপ্নহীনতার পক্ষে’, ‘আমার একজনই বন্ধু’, ‘পোশাক বদলের পালা’, ‘প্রেমের কবিতা’, ‘কৃষ্ণ কৃপাণ ও অন্যান্য কবিতা’, ছিন্নভিন্ন অপরাহ্ণ’, ‘জয় বাংলা বলো রে ভাই’, ‘সারিবদ্ধ জ্যোৎস্না’ উল্লেখযোগ্য।
মারা যান অর্থনীতিবিদ ও সমাজসেবক শাহ আব্দুল হান্নান। ১৯৩৯ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদীতে জন্ম নেওয়া এই অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর, দুর্নীতি দমন ব্যুরোর (বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশন) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৪ জুলাই মারা যান গীতিকার ও ছড়াকার ফজল-এ-খোদা। তাঁর লেখা গান ‘যে দেশেতে শাপলা শালুক ঝিলের জলে ভাসে’, ‘ভালোবাসার মূল্য কত আমি কিছু জানি না’ খুবই জনপ্রিয়। তবে যে গানটি লিখে তিনি বাংলাদেশকে ঋণী করে গেছেন, সেটি হলো ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’। শিশুদের জন্য তাঁর লেখা ছড়াগুলো অনবদ্য। ১৯৪১ সালের ৯ মার্চ পাবনার বেড়া থানার বনগ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
২৩ জুলাই চলে যান গণসংগীতশিল্পী, শব্দসৈনিক ফকির আলমগীর। বাংলাদেশে পপসংগীতের পুরোধাব্যক্তিত্বদের একজন তিনি। আজম খান, ফেরদৌস ওয়াহিদ, ফিরোজ সাঁই ও পিলু মমতাজকে নিয়ে গড়ে উঠেছিল সেই সময়ের তারুণ্যের গান। ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর মাধ্যমে তিনি গণসংগীতে অবদান রাখেন। তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী। ‘ও সখিনা গেছস কিনা ভুইল্যা আমারে’ গানটি তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। এ ছাড়া ‘মায়ের এক ধার দুধের দাম’, ‘নাম তার ছিল জন হেনরি’ গানগুলোর কথা মানুষ মনে রাখবে। ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
কথাসাহিত্যিক ও লেখক বুলবুল চৌধুরী মারা যান ২৮ আগস্ট। ১৯৪৮ সালের ১৬ আগস্ট গাজীপুরের দক্ষিণবাগ গ্রামে জন্ম নেওয়া নিভৃতচারী শক্তিমান এই সাহিত্যিক ২০১১ সালে পান বাংলা একাডেমি পুরস্কার। আর যে বছর পেলেন একুশে পদক, সে বছরই মারা গেলেন।
অভিনেতা, লেখক, নাট্যকার ও শিক্ষক ইনামুল হক মারা যান ১১ অক্টোবর। বাংলাদেশের মঞ্চনাটকের এই পুরোধাব্যক্তিত্ব ছিলেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেও নাটকের জন্যই তিনি জনপ্রিয়তা পান। মঞ্চ, টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। ১৯৪৩ সালের ২৯ মে ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
বছরের শেষ দিকে চলে যান প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। রাজশাহীতে নিজের বাসায় ১৫ নভেম্বর মারা যান তিনি। একুশে পদকপ্রাপ্ত এই লেখকের লেখা গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘তৃষ্ণা’, ‘উত্তরবসন্তে’, ‘বিমর্ষ রাত্রি, প্রথম প্রহর’, ‘পরবাসী’, ‘আমৃত্যু’, ‘আজীবন’, ‘জীবন ঘষে আগুন’, ‘খাঁচা’, ‘ভূষণের একদিন’, ‘ফেরা’, ‘মন তার শঙ্খিনী’, ‘মাটির তলার মাটি’, ‘শোণিত সেতু’, ‘ঘরগেরস্থি’, ‘সরল হিংসা’, ‘খনন’, ‘সমুখে শান্তির পারাবার’, ‘অচিন পাখি’, ‘মা-মেয়ের সংসার’, ‘বিধবাদের কথা’, ‘সারা দুপুর’ ও ‘কেউ আসেনি’। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ২ ফেব্রুয়ারি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
মৃত্যুর এ সারিতে নাম লেখান একুশে পদকপ্রাপ্ত নজরুল গবেষক, বাংলা একাডেমির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। দিনটি ছিল ৩০ নভেম্বর। ভাষা আন্দোলনে তাঁর তোলা ছবিগুলো ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে। তাঁর রয়েছে অনেকগুলো গবেষণাগ্রন্থ। ভাষা আন্দোলন, কবি নজরুল ইসলাম, ভাষাতত্ত্ব ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাঁর লেখা গুরুত্বপূর্ণ বই রয়েছে। ১৯৩৪ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা গ্রামে জন্ম হয়েছিল তাঁর।
ডিসেম্বরের ২০ তারিখে মারা যান একাত্তরের রণাঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখা শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফী। ‘মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের নারী’, ‘চিঠি জাহানারা ইমামকে’, ‘স্বাধীনতা আমার রক্তঝরা দিন’ তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য বই। তিনি ১৯৩৮ সালের ১৫ জানুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন। এখানেই শেষ নয়। বড়দিনের দিন চলে যান জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। ২৫ ডিসেম্বর মারা যান একুশে পদকপ্রাপ্ত এই সাংবাদিক নেতা।
সব মিলিয়ে ২০২১ সালে বাংলাদেশ একের পর এক কৃতিকে হারিয়েছে। হ্যাঁ, করোনায় সারা বছরই নানা শ্রেণি-পেশার নানা বয়সী মানুষ মারা গেছেন। এই প্রতিটি মৃত্যুই বেদনাদায়ক। তারপরও কিছু মৃত্যু থাকে, যা জাতীয় জীবনে একটা শূন্যতার সৃষ্টি করে। এ বছর বিভিন্ন অঙ্গনের এমন বহু মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, যাঁদের অভাব বোধ হবে অনেক দিন। যাঁদের এই হারিয়ে যাওয়ার কারণেও ২০২১ সালকে মানুষ মনে রাখবে।

চলে যাওয়া বছরটিতে আমরা হারিয়েছি অনেক বরেণ্য ব্যক্তিকে। এর মধ্যে অভিশপ্ত কোভিডও কেড়ে নিয়েছে অনেক প্রাণ।
বছরের শুরুতেই ৩ জানুয়ারি আমরা হারিয়েছি একুশে পদকজয়ী লেখিকা রাবেয়া খাতুনকে। অনেকগুলো উপন্যাস লিখেছিলেন তিনি। কয়েকটি উপন্যাস থেকে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র। এর মধ্যে ‘মেঘের পর মেঘ’, ‘মধুমতী’র নাম বলা যেতে পারে। ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর বর্তমান মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরে জন্মেছিলেন তিনি।
এর পরের আঘাত আসে এ টি এম শামসুজ্জামানের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের শক্তিমান এই অভিনেতাও পেয়েছিলেন একুশে পদক। ‘লাঠিয়াল’, ‘নয়নমণি’, ‘অশিক্ষিত’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘গেরিলা’ তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের কয়েকটি। জন্মেছিলেন ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী জেলায়।
প্রখ্যাত লেখক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মুকসুদ চলে গেলেন ২৩ ফেব্রুয়ারি। ভালো গবেষক ছিলেন তিনি। মওলানা ভাসানীকে নিয়ে বই লিখেছেন। লিখেছেন রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে। তাঁর ভাষা ছিল সরল, কিন্তু গভীর তথ্যসমৃদ্ধ। মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার এলাচিপুর গ্রামে ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর তাঁর জন্ম হয়।
মার্চ মাসও ছিল বিয়োগের বেদনায় ভরা। ৪ মার্চ মারা যান প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হোসেন তৌফিক ইমাম (এইচ টি ইমাম)। ১৯৩৯ সালের ১৫ জানুয়ারি জন্ম হওয়া এইচ টি ইমাম ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব। একই মাসের ৮ তারিখ চলে যান বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেতা শাহীন আলম। আর ১৬ মার্চ মারা যান বিএনপির নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে একজন সুলেখক হিসেবে পরিচিত মওদুদ আহমদের জন্ম ১৯৪০ সালের ২৪ মে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়।
এপ্রিলের এমনিতেই বদনাম ছিল, আছেও। ইংরেজ কবি টি এস এলিয়ট তো সেই কবেই এপ্রিলকে ‘নিষ্ঠুরতম মাস’ আখ্যা দিয়েছেন। সে কথা রাখতেই যেন এ বছরের এপ্রিল একের পর এক আঘাত হানল। এপ্রিল মাসের ৭ তারিখ এসেছিল দুঃসংবাদ নিয়ে। এদিন লোকসংগীতশিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী মারা যান। তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী। ১৯৪৬ সালের ২৬ জানুয়ারি তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। এই শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ১০ এপ্রিল মারা যান সাংবাদিক, কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাসান শাহরিয়ার। সুনামগঞ্জ জেলায় ১৯৪৬ সালের ২৫ এপ্রিল জন্ম হয়েছিল তাঁর। এর ঠিক পরদিনই চলে যান মিতা হক।
রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হক মারা যান ১১ এপ্রিল। কিডনির রোগে দীর্ঘদিন ভুগছিলেন তিনি। ১৯৬২ সালে ঢাকায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই শিল্পী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। করোনাই তাঁকে একেবারে দুর্বল করে ফেলেছিল। এপ্রিলের বাতাসকে ভারী করে তোলার জন্য এটুকুই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু এতেও যেন সে নিজেকে ‘নিষ্ঠুরতম’ প্রমাণ করতে পারছিল না। কয়েক দিন বিরতি দিয়ে আবার আঘাত। এবার শামসুজ্জামান খান। ১৪ এপ্রিল বাংলা একাডেমির এই সাবেক মহাপরিচালক চলে যান। ১৯৪০ সালের ২৯ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করা এই অধ্যাপক ও লোকসংস্কৃতি গবেষক নিজের জ্ঞান ও প্রজ্ঞার ছাপ রেখে গেছেন বহু লেখায়। এই ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই চলে যান ‘মিষ্টি মেয়ে’ কবরী। ১৭ এপ্রিল চলে গিয়েছিলেন চলচ্চিত্রশিল্পী কবরী। ১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় জন্মানো সারাহ বেগম কবরী ছিলেন এই বাংলার চলচ্চিত্রের একজন গুণী শিল্পী। শক্তিমান এই শিল্পীর ঝুলিতে আছে ‘সোয়ে নদিয়া জাগে পানি’, ‘যে আগুনে পুড়ি’, ‘কাচ কাটা হীরে’, ‘সুজনসখী’, ‘সারেং বউ’-এর মতো ছবি। পাশাপাশি ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মন কাড়ে। রাজনীতিও করেছেন, করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালনা। রাজ্জাক-কবরী জুটি একসময় চলচ্চিত্রের দর্শকদের মন জুড়িয়ে দিয়েছিল।
শামসুজ্জামান খানের মেয়াদ ফুরালে বাংলা একাডেমির দায়িত্ব পেয়েছিলেন কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী। কিন্তু বেশি দিন সেই দায়িত্ব পালন করতে পারলেন না। ২৪ মে মারা যান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক। ফরিদপুরে ১৯৪৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্মেছিলেন তিনি। তাঁর কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে ‘দাও বৃক্ষ দাও দিন’, ‘মোমশিল্পের ক্ষয়ক্ষতি’, ‘হাওয়া কলে জোড়াগাড়ি’, ‘নোনা জলে বুনো সংসার’, ‘স্বপ্নহীনতার পক্ষে’, ‘আমার একজনই বন্ধু’, ‘পোশাক বদলের পালা’, ‘প্রেমের কবিতা’, ‘কৃষ্ণ কৃপাণ ও অন্যান্য কবিতা’, ছিন্নভিন্ন অপরাহ্ণ’, ‘জয় বাংলা বলো রে ভাই’, ‘সারিবদ্ধ জ্যোৎস্না’ উল্লেখযোগ্য।
মারা যান অর্থনীতিবিদ ও সমাজসেবক শাহ আব্দুল হান্নান। ১৯৩৯ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদীতে জন্ম নেওয়া এই অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর, দুর্নীতি দমন ব্যুরোর (বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশন) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৪ জুলাই মারা যান গীতিকার ও ছড়াকার ফজল-এ-খোদা। তাঁর লেখা গান ‘যে দেশেতে শাপলা শালুক ঝিলের জলে ভাসে’, ‘ভালোবাসার মূল্য কত আমি কিছু জানি না’ খুবই জনপ্রিয়। তবে যে গানটি লিখে তিনি বাংলাদেশকে ঋণী করে গেছেন, সেটি হলো ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’। শিশুদের জন্য তাঁর লেখা ছড়াগুলো অনবদ্য। ১৯৪১ সালের ৯ মার্চ পাবনার বেড়া থানার বনগ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
২৩ জুলাই চলে যান গণসংগীতশিল্পী, শব্দসৈনিক ফকির আলমগীর। বাংলাদেশে পপসংগীতের পুরোধাব্যক্তিত্বদের একজন তিনি। আজম খান, ফেরদৌস ওয়াহিদ, ফিরোজ সাঁই ও পিলু মমতাজকে নিয়ে গড়ে উঠেছিল সেই সময়ের তারুণ্যের গান। ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর মাধ্যমে তিনি গণসংগীতে অবদান রাখেন। তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী। ‘ও সখিনা গেছস কিনা ভুইল্যা আমারে’ গানটি তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। এ ছাড়া ‘মায়ের এক ধার দুধের দাম’, ‘নাম তার ছিল জন হেনরি’ গানগুলোর কথা মানুষ মনে রাখবে। ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
কথাসাহিত্যিক ও লেখক বুলবুল চৌধুরী মারা যান ২৮ আগস্ট। ১৯৪৮ সালের ১৬ আগস্ট গাজীপুরের দক্ষিণবাগ গ্রামে জন্ম নেওয়া নিভৃতচারী শক্তিমান এই সাহিত্যিক ২০১১ সালে পান বাংলা একাডেমি পুরস্কার। আর যে বছর পেলেন একুশে পদক, সে বছরই মারা গেলেন।
অভিনেতা, লেখক, নাট্যকার ও শিক্ষক ইনামুল হক মারা যান ১১ অক্টোবর। বাংলাদেশের মঞ্চনাটকের এই পুরোধাব্যক্তিত্ব ছিলেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেও নাটকের জন্যই তিনি জনপ্রিয়তা পান। মঞ্চ, টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। ১৯৪৩ সালের ২৯ মে ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
বছরের শেষ দিকে চলে যান প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। রাজশাহীতে নিজের বাসায় ১৫ নভেম্বর মারা যান তিনি। একুশে পদকপ্রাপ্ত এই লেখকের লেখা গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘তৃষ্ণা’, ‘উত্তরবসন্তে’, ‘বিমর্ষ রাত্রি, প্রথম প্রহর’, ‘পরবাসী’, ‘আমৃত্যু’, ‘আজীবন’, ‘জীবন ঘষে আগুন’, ‘খাঁচা’, ‘ভূষণের একদিন’, ‘ফেরা’, ‘মন তার শঙ্খিনী’, ‘মাটির তলার মাটি’, ‘শোণিত সেতু’, ‘ঘরগেরস্থি’, ‘সরল হিংসা’, ‘খনন’, ‘সমুখে শান্তির পারাবার’, ‘অচিন পাখি’, ‘মা-মেয়ের সংসার’, ‘বিধবাদের কথা’, ‘সারা দুপুর’ ও ‘কেউ আসেনি’। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ২ ফেব্রুয়ারি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
মৃত্যুর এ সারিতে নাম লেখান একুশে পদকপ্রাপ্ত নজরুল গবেষক, বাংলা একাডেমির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। দিনটি ছিল ৩০ নভেম্বর। ভাষা আন্দোলনে তাঁর তোলা ছবিগুলো ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে। তাঁর রয়েছে অনেকগুলো গবেষণাগ্রন্থ। ভাষা আন্দোলন, কবি নজরুল ইসলাম, ভাষাতত্ত্ব ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাঁর লেখা গুরুত্বপূর্ণ বই রয়েছে। ১৯৩৪ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা গ্রামে জন্ম হয়েছিল তাঁর।
ডিসেম্বরের ২০ তারিখে মারা যান একাত্তরের রণাঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখা শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফী। ‘মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের নারী’, ‘চিঠি জাহানারা ইমামকে’, ‘স্বাধীনতা আমার রক্তঝরা দিন’ তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য বই। তিনি ১৯৩৮ সালের ১৫ জানুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন। এখানেই শেষ নয়। বড়দিনের দিন চলে যান জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। ২৫ ডিসেম্বর মারা যান একুশে পদকপ্রাপ্ত এই সাংবাদিক নেতা।
সব মিলিয়ে ২০২১ সালে বাংলাদেশ একের পর এক কৃতিকে হারিয়েছে। হ্যাঁ, করোনায় সারা বছরই নানা শ্রেণি-পেশার নানা বয়সী মানুষ মারা গেছেন। এই প্রতিটি মৃত্যুই বেদনাদায়ক। তারপরও কিছু মৃত্যু থাকে, যা জাতীয় জীবনে একটা শূন্যতার সৃষ্টি করে। এ বছর বিভিন্ন অঙ্গনের এমন বহু মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, যাঁদের অভাব বোধ হবে অনেক দিন। যাঁদের এই হারিয়ে যাওয়ার কারণেও ২০২১ সালকে মানুষ মনে রাখবে।

বাংলা ভাষায় এই প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘কাগজ ডট এআই— kagoj. ai’ চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্মোচন করা হয়েছে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই।’
৯ মিনিট আগে
শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
১৭ মিনিট আগে
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ সোমবার সকালে গুলশানে ইয়ুথ ভোটার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের এজলাসকক্ষগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির আদেশে আজ সোমবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কোর্ট রুমে (এজলাসকক্ষে) আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলা ভাষায় এই প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘কাগজ ডট এআই— kagoj. ai’ চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্মোচন করা হয়েছে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই।’
আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ দুটি প্রযুক্তির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, ‘গত ২ সপ্তাহে ৪ হাজার মানুষ এটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেছেন। তারা ভালো ফল পেয়েছেন। বাংলা ভাষাকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে এর এপিআই উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করে সোর্স কোডও উন্মুক্ত করা হবে। ভাষার স্থানীয় সাংস্কৃতিক ধারা অক্ষুণ্ন রাখতে অচিরেই প্রতিটি নৃগোষ্ঠীর ভাষার ১০ হাজার ওরাল মিনিট সংগ্রহ করা হবে। তৈরি করা হবে বাংলা এলএমএল। ডেভেলপমেন্ট জার্নি এবং এই ইকো সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে পারলে ভাষাগুলোকে সাইবার স্পেসে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘কাগজ ডট এআই’ বাংলা ভাষাভিত্তিক লেখালেখি, দাপ্তরিক নথি প্রস্তুত, ভাষা প্রক্রিয়াকরণ ও কনটেন্ট তৈরিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিশ্চিত করবে, যা বাংলা ভাষার ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বাংলা ভাষার জন্য এর আগে এ ধরনের পূর্ণাঙ্গ এআই প্ল্যাটফর্ম চালু হয়নি।
অন্যদিকে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই’ দাপ্তরিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। যা কম্পিউটারনির্ভর বাংলা লেখার ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা দূর করতে সহায়ক হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জহিরুল ইসলামসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন হওয়া দুইটি সেবা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।

বাংলা ভাষায় এই প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘কাগজ ডট এআই— kagoj. ai’ চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্মোচন করা হয়েছে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই।’
আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ দুটি প্রযুক্তির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, ‘গত ২ সপ্তাহে ৪ হাজার মানুষ এটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেছেন। তারা ভালো ফল পেয়েছেন। বাংলা ভাষাকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে এর এপিআই উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করে সোর্স কোডও উন্মুক্ত করা হবে। ভাষার স্থানীয় সাংস্কৃতিক ধারা অক্ষুণ্ন রাখতে অচিরেই প্রতিটি নৃগোষ্ঠীর ভাষার ১০ হাজার ওরাল মিনিট সংগ্রহ করা হবে। তৈরি করা হবে বাংলা এলএমএল। ডেভেলপমেন্ট জার্নি এবং এই ইকো সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে পারলে ভাষাগুলোকে সাইবার স্পেসে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘কাগজ ডট এআই’ বাংলা ভাষাভিত্তিক লেখালেখি, দাপ্তরিক নথি প্রস্তুত, ভাষা প্রক্রিয়াকরণ ও কনটেন্ট তৈরিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিশ্চিত করবে, যা বাংলা ভাষার ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বাংলা ভাষার জন্য এর আগে এ ধরনের পূর্ণাঙ্গ এআই প্ল্যাটফর্ম চালু হয়নি।
অন্যদিকে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই’ দাপ্তরিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। যা কম্পিউটারনির্ভর বাংলা লেখার ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা দূর করতে সহায়ক হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জহিরুল ইসলামসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন হওয়া দুইটি সেবা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।

২০২১ সালে বাংলাদেশ একের পর এক কৃতিকে হারিয়েছে। হ্যাঁ, করোনায় সারা বছরই নানা শ্রেণি-পেশার নানা বয়সী মানুষ মারা গেছেন। এই প্রতিটি মৃত্যুই বেদনাদায়ক। তারপরও কিছু মৃত্যু থাকে, যা জাতীয় জীবনে একটা শূন্যতার সৃষ্টি করে। এ বছর বিভিন্ন অঙ্গনের এমন বহু মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, যাঁদের অভাব বোধ হবে অনেক দিন
৩১ ডিসেম্বর ২০২১
শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
১৭ মিনিট আগে
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ সোমবার সকালে গুলশানে ইয়ুথ ভোটার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের এজলাসকক্ষগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির আদেশে আজ সোমবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কোর্ট রুমে (এজলাসকক্ষে) আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ‘আততায়ী রাজনীতি ও গণকর্তব্য’—শীর্ষক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। ভাববৈঠকি ও গণ-অভ্যুত্থান সুরক্ষা মঞ্চ নামের সংগঠন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘এটি কোনো আবেগতাড়িত অভিযোগ নয়, বরং এটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা, সংবিধানিক ধারাবাহিকতা এবং ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার অনিবার্য পরিণতি।’
পুরোনো কাঠামো ভাঙনের পর নতুন করে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগের যে ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হয়েছিল, ৮ আগস্টের সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত সেটিকে বন্ধ করে দেয়—বলেও মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে ভাঙনটি ঘটেছিল, তা ছিল কেবল সরকার পরিবর্তনের নয়, তা ছিল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বৈধতার উৎস নিয়ে একটি মৌলিক প্রশ্ন-গণসার্বভৌমত্ব বনাম প্রশাসনিক-বিচারিক কর্তৃত্ব।’
তাঁর মতে, ‘এই ভাঙনের পর নতুন করে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগের যে ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হয়েছিল, ৮ আগস্টের সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত সেটিকে বন্ধ করে দেয়। অর্থাৎ জনগণের প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক শক্তিকে পাশ কাটিয়ে পুরোনো সংবিধান, পুরোনো রাষ্ট্রযন্ত্র ও পুরোনো প্রতিষ্ঠানগুলোকে অক্ষুণ্ন রেখে ক্ষমতার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা হয়।’ তিনি মনে করেন, বর্তমান মুহূর্তটিই হলো সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব যেখানে বিপ্লবী পরিস্থিতিকে আইনের ভাষায় ‘নিয়ন্ত্রণ’ করে। অর্থাৎ পুরোনো ক্ষমতা-বণ্টন পুনঃস্থাপন করা হয় বলে মনে করেন ফরহাদ মজহার।
কোনো রাষ্ট্রই প্রতিষ্ঠান-নিরপেক্ষ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যখন পুরোনো ব্যবস্থা ভাঙনের মুখে পড়ে, তখন ক্ষমতাবান সংগঠনগুলো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী, আমলাতন্ত্র, বিচারিক কাঠামো, দলীয় ক্যাডার নেটওয়ার্ক নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সহিংসতা, ভয় ও দমনমূলক কৌশলের দিকে ঝুঁকে পড়ে। ৮ আগস্টের পর ঠিক এই কাজটিই হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে গড়ে ওঠা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থাকেই আদতে সংবিধান রক্ষার অজুহাতে টিকিয়ে রাখা হয়েছে।’
‘সংবিধান বাঁচানোর’ নামে মূলত এই ব্যবস্থাই রক্ষা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নতুন গঠনতন্ত্র ছাড়া জনগণের মুক্তি নেই এবং সেখানে প্রত্যেকে অংশগ্রহণ করতে হবে। ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানকে ধরে রাখতে হবে, ৮ আগস্টের প্রতিবিপ্লবকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।’
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য হলো জনগণের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। বিশেষত শ্রেণিভিত্তিক রাজনীতি যারা করেন, তাদের গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য বোঝা উচিত। সমাজে গণসার্বভৌমত্ব মানে জনগণের হাতে ক্ষমতা বিষয়টি পরিষ্কার নয়।’
সরকার ও রাষ্ট্র এক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সমাজে একটি পরিষ্কার ধারণা নেই যে—সরকার এবং রাষ্ট্র এক নয়। অধিকাংশ মানুষ সরকার ও রাষ্ট্রকে গুলিয়ে ফেলে। সরকার গঠন করাকে রাষ্ট্র গঠন করা বলা যায় না। রাষ্ট্র গঠন করে জনগণ। রাষ্ট্র গঠনের সময় জনগণ কিছু সর্বজনীন নীতি প্রস্তাব করে। একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো রাষ্ট্র এমন কোনো আইন করতে পারবে না যা দ্বারা ব্যক্তির মর্যাদা এবং ব্যক্তির স্বাধীনতা, অধিকার হরণ করা হয়। এই নীতিটি হলো ফ্যাসিবাদবিরোধী একটা প্রস্তাব।’
রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধান প্রণয়নে গঠনতন্ত্র প্রণয়নে দাবি তোলেনি মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘তারা প্রত্যেকেই সংসদের সার্বভৌমত্ব চায়, যাতে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যা খুশি আইন প্রণয়ন এবং লুটপাট করতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী ক্ষমতাধারী, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। যার মানে, এখানে কোনো গণতন্ত্র নেই। এই সংবিধান থাকা মানে গণতন্ত্রহীনতা এবং জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়া।’
নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা জনগণের ক্ষমতা হরণ করবে, মর্যাদা হরণ করবে এবং লুটপাট করবে বলে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘কেন মানুষ নির্বাচন নিয়ে এত ব্যস্ত? কারণ, নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা জনগণের ক্ষমতা হরণ করবে, মর্যাদা হরণ করবে এবং ব্যাংক ও বড় বড় প্রকল্প লুটপাট করবে। সমস্যা নির্বাচন না, বরং নির্বাচন পদ্ধতি। রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের অন্যান্য মৌলিক অধিকার উপেক্ষা করে শুধু ভোটের অধিকারের পক্ষে কথা বলে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।’

শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ‘আততায়ী রাজনীতি ও গণকর্তব্য’—শীর্ষক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। ভাববৈঠকি ও গণ-অভ্যুত্থান সুরক্ষা মঞ্চ নামের সংগঠন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘এটি কোনো আবেগতাড়িত অভিযোগ নয়, বরং এটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা, সংবিধানিক ধারাবাহিকতা এবং ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার অনিবার্য পরিণতি।’
পুরোনো কাঠামো ভাঙনের পর নতুন করে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগের যে ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হয়েছিল, ৮ আগস্টের সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত সেটিকে বন্ধ করে দেয়—বলেও মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে ভাঙনটি ঘটেছিল, তা ছিল কেবল সরকার পরিবর্তনের নয়, তা ছিল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বৈধতার উৎস নিয়ে একটি মৌলিক প্রশ্ন-গণসার্বভৌমত্ব বনাম প্রশাসনিক-বিচারিক কর্তৃত্ব।’
তাঁর মতে, ‘এই ভাঙনের পর নতুন করে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগের যে ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হয়েছিল, ৮ আগস্টের সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত সেটিকে বন্ধ করে দেয়। অর্থাৎ জনগণের প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক শক্তিকে পাশ কাটিয়ে পুরোনো সংবিধান, পুরোনো রাষ্ট্রযন্ত্র ও পুরোনো প্রতিষ্ঠানগুলোকে অক্ষুণ্ন রেখে ক্ষমতার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা হয়।’ তিনি মনে করেন, বর্তমান মুহূর্তটিই হলো সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব যেখানে বিপ্লবী পরিস্থিতিকে আইনের ভাষায় ‘নিয়ন্ত্রণ’ করে। অর্থাৎ পুরোনো ক্ষমতা-বণ্টন পুনঃস্থাপন করা হয় বলে মনে করেন ফরহাদ মজহার।
কোনো রাষ্ট্রই প্রতিষ্ঠান-নিরপেক্ষ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যখন পুরোনো ব্যবস্থা ভাঙনের মুখে পড়ে, তখন ক্ষমতাবান সংগঠনগুলো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী, আমলাতন্ত্র, বিচারিক কাঠামো, দলীয় ক্যাডার নেটওয়ার্ক নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সহিংসতা, ভয় ও দমনমূলক কৌশলের দিকে ঝুঁকে পড়ে। ৮ আগস্টের পর ঠিক এই কাজটিই হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে গড়ে ওঠা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থাকেই আদতে সংবিধান রক্ষার অজুহাতে টিকিয়ে রাখা হয়েছে।’
‘সংবিধান বাঁচানোর’ নামে মূলত এই ব্যবস্থাই রক্ষা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নতুন গঠনতন্ত্র ছাড়া জনগণের মুক্তি নেই এবং সেখানে প্রত্যেকে অংশগ্রহণ করতে হবে। ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানকে ধরে রাখতে হবে, ৮ আগস্টের প্রতিবিপ্লবকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।’
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য হলো জনগণের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। বিশেষত শ্রেণিভিত্তিক রাজনীতি যারা করেন, তাদের গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য বোঝা উচিত। সমাজে গণসার্বভৌমত্ব মানে জনগণের হাতে ক্ষমতা বিষয়টি পরিষ্কার নয়।’
সরকার ও রাষ্ট্র এক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সমাজে একটি পরিষ্কার ধারণা নেই যে—সরকার এবং রাষ্ট্র এক নয়। অধিকাংশ মানুষ সরকার ও রাষ্ট্রকে গুলিয়ে ফেলে। সরকার গঠন করাকে রাষ্ট্র গঠন করা বলা যায় না। রাষ্ট্র গঠন করে জনগণ। রাষ্ট্র গঠনের সময় জনগণ কিছু সর্বজনীন নীতি প্রস্তাব করে। একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো রাষ্ট্র এমন কোনো আইন করতে পারবে না যা দ্বারা ব্যক্তির মর্যাদা এবং ব্যক্তির স্বাধীনতা, অধিকার হরণ করা হয়। এই নীতিটি হলো ফ্যাসিবাদবিরোধী একটা প্রস্তাব।’
রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধান প্রণয়নে গঠনতন্ত্র প্রণয়নে দাবি তোলেনি মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘তারা প্রত্যেকেই সংসদের সার্বভৌমত্ব চায়, যাতে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যা খুশি আইন প্রণয়ন এবং লুটপাট করতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী ক্ষমতাধারী, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। যার মানে, এখানে কোনো গণতন্ত্র নেই। এই সংবিধান থাকা মানে গণতন্ত্রহীনতা এবং জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়া।’
নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা জনগণের ক্ষমতা হরণ করবে, মর্যাদা হরণ করবে এবং লুটপাট করবে বলে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘কেন মানুষ নির্বাচন নিয়ে এত ব্যস্ত? কারণ, নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা জনগণের ক্ষমতা হরণ করবে, মর্যাদা হরণ করবে এবং ব্যাংক ও বড় বড় প্রকল্প লুটপাট করবে। সমস্যা নির্বাচন না, বরং নির্বাচন পদ্ধতি। রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের অন্যান্য মৌলিক অধিকার উপেক্ষা করে শুধু ভোটের অধিকারের পক্ষে কথা বলে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।’

২০২১ সালে বাংলাদেশ একের পর এক কৃতিকে হারিয়েছে। হ্যাঁ, করোনায় সারা বছরই নানা শ্রেণি-পেশার নানা বয়সী মানুষ মারা গেছেন। এই প্রতিটি মৃত্যুই বেদনাদায়ক। তারপরও কিছু মৃত্যু থাকে, যা জাতীয় জীবনে একটা শূন্যতার সৃষ্টি করে। এ বছর বিভিন্ন অঙ্গনের এমন বহু মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, যাঁদের অভাব বোধ হবে অনেক দিন
৩১ ডিসেম্বর ২০২১
বাংলা ভাষায় এই প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘কাগজ ডট এআই— kagoj. ai’ চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্মোচন করা হয়েছে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই।’
৯ মিনিট আগে
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ সোমবার সকালে গুলশানে ইয়ুথ ভোটার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের এজলাসকক্ষগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির আদেশে আজ সোমবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কোর্ট রুমে (এজলাসকক্ষে) আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ সোমবার সকালে গুলশানে ইয়ুথ ভোটার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আইনশৃঙ্খলা অবনতি সুষ্ঠু ভোটের বাধা হবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলো কোথায়? মাঝেমধ্যে দুয়েকটা খুন-খারাবি হয়। হাদির একটা ঘটনা হয়েছে। আমরা এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি। এই ধরনের ঘটনা তো সবসময়ই ছিল। অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া-এর প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা তো সবসময় ছিল। এ ধরনের ঘটনা হয় বাংলাদেশে, এটা নতুন কিছু না।’
সিইসি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বরং উন্নতি হয়েছে। ৫ই আগস্ট ২০২৪-এর সঙ্গে তুলনা করুন। যখন থানাগুলো ইনঅ্যাক্টিভ ছিল। পুলিশ স্টেশনে ওয়ার্ক করছিল না। এখন তো অনেক উন্নতি হয়েছে ইনশাআল্লাহ। আমরা তো শান্তিতে চলাফেরা করতে পারছি। শান্তিতে ঘুমাতে পারছি। আমরা গতকালই আমাদের শীর্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তারা নিশ্চিত করেছে যে নির্বাচনের সময় পর্যন্ত শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনে তারা সক্ষম।’
মিডিয়াসহ বিভিন্ন মহলে নির্বাচন নিয়ে কিছু আশঙ্কা হয়তো আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই। আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। ইনশাআল্লাহ, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা হবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, সকলের সহযোগিতা নিয়ে। এ ব্যাপারে কোনোই শঙ্কা নেই, যা-ই আসুক না কেন। যত ধরনের দুশ্চিন্তা মাথায় আসুক না কেন, দুশ্চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে সবাই মিলে যাতে আমরা নির্বাচনটা করতে পারি। ’
সিইসি আরও বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, নির্বাচন সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। জাতিকে আমরা যে ওয়াদা দিয়েছি, নির্বাচন কমিশন ইনশাআল্লাহ তা পরিপালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনাদের সকলকে সঙ্গে নিয়ে একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠান করব ইনশাআল্লাহ।
সিইসি আরও বলেন, ‘সর্বোপরি, এইবার একটি গণভোটও একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে হবে। এই সমস্ত দিক থেকে এটি নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক। আমরা যে সাহস করে এই পথে নেমে পড়েছি, আমাদের এই সাহসী পদক্ষেপের সঙ্গে যদি আপনাদের সকলের, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের, অংশগ্রহণ থাকে, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হব।’

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ সোমবার সকালে গুলশানে ইয়ুথ ভোটার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আইনশৃঙ্খলা অবনতি সুষ্ঠু ভোটের বাধা হবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলো কোথায়? মাঝেমধ্যে দুয়েকটা খুন-খারাবি হয়। হাদির একটা ঘটনা হয়েছে। আমরা এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি। এই ধরনের ঘটনা তো সবসময়ই ছিল। অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া-এর প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা তো সবসময় ছিল। এ ধরনের ঘটনা হয় বাংলাদেশে, এটা নতুন কিছু না।’
সিইসি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বরং উন্নতি হয়েছে। ৫ই আগস্ট ২০২৪-এর সঙ্গে তুলনা করুন। যখন থানাগুলো ইনঅ্যাক্টিভ ছিল। পুলিশ স্টেশনে ওয়ার্ক করছিল না। এখন তো অনেক উন্নতি হয়েছে ইনশাআল্লাহ। আমরা তো শান্তিতে চলাফেরা করতে পারছি। শান্তিতে ঘুমাতে পারছি। আমরা গতকালই আমাদের শীর্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তারা নিশ্চিত করেছে যে নির্বাচনের সময় পর্যন্ত শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনে তারা সক্ষম।’
মিডিয়াসহ বিভিন্ন মহলে নির্বাচন নিয়ে কিছু আশঙ্কা হয়তো আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই। আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। ইনশাআল্লাহ, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা হবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, সকলের সহযোগিতা নিয়ে। এ ব্যাপারে কোনোই শঙ্কা নেই, যা-ই আসুক না কেন। যত ধরনের দুশ্চিন্তা মাথায় আসুক না কেন, দুশ্চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে সবাই মিলে যাতে আমরা নির্বাচনটা করতে পারি। ’
সিইসি আরও বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, নির্বাচন সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। জাতিকে আমরা যে ওয়াদা দিয়েছি, নির্বাচন কমিশন ইনশাআল্লাহ তা পরিপালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনাদের সকলকে সঙ্গে নিয়ে একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠান করব ইনশাআল্লাহ।
সিইসি আরও বলেন, ‘সর্বোপরি, এইবার একটি গণভোটও একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে হবে। এই সমস্ত দিক থেকে এটি নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক। আমরা যে সাহস করে এই পথে নেমে পড়েছি, আমাদের এই সাহসী পদক্ষেপের সঙ্গে যদি আপনাদের সকলের, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের, অংশগ্রহণ থাকে, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হব।’

২০২১ সালে বাংলাদেশ একের পর এক কৃতিকে হারিয়েছে। হ্যাঁ, করোনায় সারা বছরই নানা শ্রেণি-পেশার নানা বয়সী মানুষ মারা গেছেন। এই প্রতিটি মৃত্যুই বেদনাদায়ক। তারপরও কিছু মৃত্যু থাকে, যা জাতীয় জীবনে একটা শূন্যতার সৃষ্টি করে। এ বছর বিভিন্ন অঙ্গনের এমন বহু মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, যাঁদের অভাব বোধ হবে অনেক দিন
৩১ ডিসেম্বর ২০২১
বাংলা ভাষায় এই প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘কাগজ ডট এআই— kagoj. ai’ চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্মোচন করা হয়েছে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই।’
৯ মিনিট আগে
শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
১৭ মিনিট আগে
দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের এজলাসকক্ষগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির আদেশে আজ সোমবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কোর্ট রুমে (এজলাসকক্ষে) আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
৪ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের এজলাসকক্ষগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির আদেশে আজ সোমবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কোর্ট রুমে (এজলাসকক্ষে) আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে। এই আদেশ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নতুন নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। প্রধান বিচারপতি, বিচারপতিবৃন্দ, মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।
সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে, আদালতে আগত কিছু বিচারপ্রার্থী, মামলাসংশ্লিষ্ট এবং অপ্রত্যাশিত ব্যক্তি এজলাসে প্রবেশ করছেন, যা আদালতের নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং বিচারকাজ পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করছে। একই সঙ্গে বিচারপতি, আইনজীবী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি এড়াতেই নিরাপত্তার স্বার্থে এই কড়াকড়ি আরোপ করা হলো।
এজলাসকক্ষের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের জন্যও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যেকোনো ধরনের সমাবেশ, মিছিল, বৈধ বা অবৈধ সব ধরনের অস্ত্র, মারণাস্ত্র, বিস্ফোরক এবং মাদকদ্রব্য বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নতুন এই নিরাপত্তা আদেশ ১৫ ডিসেম্বর (সোমবার) থেকে কার্যকর হয়েছে এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এই আদেশ অমান্য করেন, তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আদালত এ বিষয়ে আইনজীবী, তাঁদের সহকারী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিচারপ্রার্থীদের সচেতন ও সতর্ক থাকার জন্য বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।

দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের এজলাসকক্ষগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির আদেশে আজ সোমবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কোর্ট রুমে (এজলাসকক্ষে) আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে। এই আদেশ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নতুন নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। প্রধান বিচারপতি, বিচারপতিবৃন্দ, মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।
সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে, আদালতে আগত কিছু বিচারপ্রার্থী, মামলাসংশ্লিষ্ট এবং অপ্রত্যাশিত ব্যক্তি এজলাসে প্রবেশ করছেন, যা আদালতের নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং বিচারকাজ পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করছে। একই সঙ্গে বিচারপতি, আইনজীবী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি এড়াতেই নিরাপত্তার স্বার্থে এই কড়াকড়ি আরোপ করা হলো।
এজলাসকক্ষের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের জন্যও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যেকোনো ধরনের সমাবেশ, মিছিল, বৈধ বা অবৈধ সব ধরনের অস্ত্র, মারণাস্ত্র, বিস্ফোরক এবং মাদকদ্রব্য বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নতুন এই নিরাপত্তা আদেশ ১৫ ডিসেম্বর (সোমবার) থেকে কার্যকর হয়েছে এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এই আদেশ অমান্য করেন, তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আদালত এ বিষয়ে আইনজীবী, তাঁদের সহকারী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিচারপ্রার্থীদের সচেতন ও সতর্ক থাকার জন্য বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।

২০২১ সালে বাংলাদেশ একের পর এক কৃতিকে হারিয়েছে। হ্যাঁ, করোনায় সারা বছরই নানা শ্রেণি-পেশার নানা বয়সী মানুষ মারা গেছেন। এই প্রতিটি মৃত্যুই বেদনাদায়ক। তারপরও কিছু মৃত্যু থাকে, যা জাতীয় জীবনে একটা শূন্যতার সৃষ্টি করে। এ বছর বিভিন্ন অঙ্গনের এমন বহু মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, যাঁদের অভাব বোধ হবে অনেক দিন
৩১ ডিসেম্বর ২০২১
বাংলা ভাষায় এই প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘কাগজ ডট এআই— kagoj. ai’ চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্মোচন করা হয়েছে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই।’
৯ মিনিট আগে
শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
১৭ মিনিট আগে
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ সোমবার সকালে গুলশানে ইয়ুথ ভোটার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে