শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
রেশনের মোটা চাল মুখে রোচে না পুলিশের। রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ভাত নষ্ট হয়। ব্যারাক ও মেসের ক্যানটিনে নষ্ট হওয়া এসব ভাত ফেলে দেওয়া হয়।
কর্মচারীরা বলছেন, নিম্নমানের মোটা চালের শক্ত ভাত খাওয়ার অনুপযোগী। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নিজেরা চাল না কিনতে পারায় এই সমস্যা কাটছে না। তবে খাদ্যমন্ত্রীর দাবি, আগের চেয়ে চালের মান উন্নত হয়েছে।
শুধু রাজারবাগে নয়, নিম্নমানের চাল সব জায়গায়। মোটা এই চাল থেকে ভাত হয় শক্ত আর গন্ধযুক্ত। সে কারণে ব্যারাকের জীবন শেষ করে কোনো সদস্য ভুলেও সেই চাল আর হাঁড়িতে বসান না। রেশনের চাল তুলে সেখানেই বিক্রি করে দেন। এখন প্রশ্ন, এমন অভিযোগ থাকার পরও কেন বছরের পর বছর একই ধরনের চাল সরবরাহ করছে পুলিশ?
পুলিশ সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বাহিনীর সদস্যদের রেশন দেওয়ার জন্য খাদ্য অধিদপ্তর থেকে চাল কেনা হয়। সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে চাল কিনে মাঝে মাঝেই বিপাকে পড়তে হয় তাঁদের।
অন্য কোথাও থেকে কেনার সুযোগ না থাকায় সদস্যদের মাঝে এই চালই বিতরণ করতে হয়।
গত কয়েক বছরে পুলিশের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। মান বেড়েছে রেশনেও। তবে চাল নিয়ে পুলিশ সদস্যদের সেই অসন্তুষ্টি কাটেনি। দীর্ঘদিনের অভিযোগের পরও রেশনের নিম্নমানের চাল দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লজিস্টিক শাখার উপকমিশনার (রেশনিং বিভাগ) নাবিদ কামাল শৈবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি গুদামে এ বছরের চালটা আগামী বছরের জন্য মজুত রাখা হয়। সুতরাং এ বছর দেওয়া হবে বিগত বছরের চাল। গোডাউনে কিছুদিন থাকার কারণে অনেক সময় চাল গন্ধ হতে পারে। তবে সেটা খাওয়ার উপযোগী নয়, এ কথা ঠিক না। জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা নিজে বলেন, ‘আমি নিজে রেশনের চালের ভাত খাই না। আমার গ্রামের বাড়ি থেকে চাল আসে। সে চালের ভাত খাই। তবে রেশনে পাওয়া অন্য সব পণ্য ব্যবহার করি।’
শুধু এই কর্মকর্তাই নয়, আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন ডিআইজি থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত অনেক সদস্য। পরিবার নিয়ে থাকা এসব পুলিশ সদস্যের কেউই রেশনে চালের ভাত খেতে পারেন না। প্রথম দিকে চেষ্টা করলেও এখন প্রায় সবাই রেশন তুলে চাল বিক্রি করে দেন।
সরেজমিনে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের রেশন বিক্রির স্টোর ঘুরে দেখা যায়, রেশন ভবনের সামনেই এই স্টোরটির অবস্থান। সব পুলিশ লাইনসে এমন একটি করে স্টোর আছে। চলতি মাসে এখানে প্রতি কেজি চালের মূল্য রাখা হচ্ছে ৩৬ টাকা ১০ পয়সা। রেশন দেওয়ার দিন চাল বিক্রির ধুম পড়ে যায়।
নিয়মানুযায়ী পুলিশের (কর্মকর্তা-কর্মচারী) প্রতিটি পরিবারের চারজন সদস্য রেশন পান। পুলিশের মহাপরিদর্শক থেকে সাধারণ কনস্টেবল পর্যন্ত একই হারে রেশন-সুবিধা পেয়ে থাকেন। পরিবার এক সদস্যের হলে প্রতি মাসে ১১ কেজি চাল আর চার সদস্যের হলে ৩৫ কেজি করে চাল পেয়ে থাকেন।
রেশনের চাল বিক্রি করতে আসা এক কর্মকর্তা বলেন, ‘রেশন নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তবে চালটা খাওয়া যায় না। তাই রেশন তোলার পর চাল অল্প দামে বিক্রি করে দিতে হয়। বাজারে সবচেয়ে খারাপ চাল ৫০ টাকা কেজি। আর আমরা বিক্রি করি ৩৫ টাকা কেজি।’
জানতে চাইলে ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনারে কামরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি রেশন তুলে চাল বাইরে বিক্রি করে দিই। সেই টাকার সঙ্গে আরও টাকা যোগ করে ভালো চাল কিনে থাকি।’
পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (লজিস্টিক) তৌফিক মাহবুব চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রেশনের চালটা আমরা কিনতে পারি না। তাই ভালো-মন্দ আমাদের হাতে নেই। আমরা যে অংশটা কিনতে পারি–ডাল, তেল, চিনি; সেগুলো আমরা সর্বোচ্চ মানেরটাই কিনে থাকি। সেগুলো নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। মূলত চালের দামটা পুলিশের বাজেট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে খাদ্য অধিদপ্তরে চলে যায়। বাকি পণ্যগুলো আমরা টেন্ডার দিয়ে কিনে থাকি। আমরা প্রস্তাব রেখেছি অন্য পণ্যের মতো চালটাও নিজেরা কিনতে।’
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, নিজেরা চাল কেনার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি আজও। ফলে সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে সরবরাহ করা চালই শেষ ভরসা।
নিম্নমানের চালের ব্যাপারে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে এক বছরের চাল অন্য বছরে দেওয়া হতো। এখন সেটা আর হয় না। তাই আগের চেয়ে এখন ভালো চাল যাচ্ছে।’ মোটা চালের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ আরও অনেক সংস্থাকে আমরা চাল দিয়ে থাকি। আমাদের অর্থনীতি এতটা শক্তিশালী এখনো হয়ে ওঠেনি যে সবাইকে এক নম্বর চাল দিতে পারব। তবে আমরা ভালো চাল দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অনেক কাজ করে থাকেন, তাঁদের অনেক বেশি দৈহিক ও মানসিক শক্তির দরকার হয়। এসব কারণে রেশনের সব পণ্যই গুণগত মানসম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন। এটা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত।’
রেশনের মোটা চাল মুখে রোচে না পুলিশের। রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ভাত নষ্ট হয়। ব্যারাক ও মেসের ক্যানটিনে নষ্ট হওয়া এসব ভাত ফেলে দেওয়া হয়।
কর্মচারীরা বলছেন, নিম্নমানের মোটা চালের শক্ত ভাত খাওয়ার অনুপযোগী। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নিজেরা চাল না কিনতে পারায় এই সমস্যা কাটছে না। তবে খাদ্যমন্ত্রীর দাবি, আগের চেয়ে চালের মান উন্নত হয়েছে।
শুধু রাজারবাগে নয়, নিম্নমানের চাল সব জায়গায়। মোটা এই চাল থেকে ভাত হয় শক্ত আর গন্ধযুক্ত। সে কারণে ব্যারাকের জীবন শেষ করে কোনো সদস্য ভুলেও সেই চাল আর হাঁড়িতে বসান না। রেশনের চাল তুলে সেখানেই বিক্রি করে দেন। এখন প্রশ্ন, এমন অভিযোগ থাকার পরও কেন বছরের পর বছর একই ধরনের চাল সরবরাহ করছে পুলিশ?
পুলিশ সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বাহিনীর সদস্যদের রেশন দেওয়ার জন্য খাদ্য অধিদপ্তর থেকে চাল কেনা হয়। সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে চাল কিনে মাঝে মাঝেই বিপাকে পড়তে হয় তাঁদের।
অন্য কোথাও থেকে কেনার সুযোগ না থাকায় সদস্যদের মাঝে এই চালই বিতরণ করতে হয়।
গত কয়েক বছরে পুলিশের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। মান বেড়েছে রেশনেও। তবে চাল নিয়ে পুলিশ সদস্যদের সেই অসন্তুষ্টি কাটেনি। দীর্ঘদিনের অভিযোগের পরও রেশনের নিম্নমানের চাল দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লজিস্টিক শাখার উপকমিশনার (রেশনিং বিভাগ) নাবিদ কামাল শৈবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি গুদামে এ বছরের চালটা আগামী বছরের জন্য মজুত রাখা হয়। সুতরাং এ বছর দেওয়া হবে বিগত বছরের চাল। গোডাউনে কিছুদিন থাকার কারণে অনেক সময় চাল গন্ধ হতে পারে। তবে সেটা খাওয়ার উপযোগী নয়, এ কথা ঠিক না। জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা নিজে বলেন, ‘আমি নিজে রেশনের চালের ভাত খাই না। আমার গ্রামের বাড়ি থেকে চাল আসে। সে চালের ভাত খাই। তবে রেশনে পাওয়া অন্য সব পণ্য ব্যবহার করি।’
শুধু এই কর্মকর্তাই নয়, আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন ডিআইজি থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত অনেক সদস্য। পরিবার নিয়ে থাকা এসব পুলিশ সদস্যের কেউই রেশনে চালের ভাত খেতে পারেন না। প্রথম দিকে চেষ্টা করলেও এখন প্রায় সবাই রেশন তুলে চাল বিক্রি করে দেন।
সরেজমিনে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের রেশন বিক্রির স্টোর ঘুরে দেখা যায়, রেশন ভবনের সামনেই এই স্টোরটির অবস্থান। সব পুলিশ লাইনসে এমন একটি করে স্টোর আছে। চলতি মাসে এখানে প্রতি কেজি চালের মূল্য রাখা হচ্ছে ৩৬ টাকা ১০ পয়সা। রেশন দেওয়ার দিন চাল বিক্রির ধুম পড়ে যায়।
নিয়মানুযায়ী পুলিশের (কর্মকর্তা-কর্মচারী) প্রতিটি পরিবারের চারজন সদস্য রেশন পান। পুলিশের মহাপরিদর্শক থেকে সাধারণ কনস্টেবল পর্যন্ত একই হারে রেশন-সুবিধা পেয়ে থাকেন। পরিবার এক সদস্যের হলে প্রতি মাসে ১১ কেজি চাল আর চার সদস্যের হলে ৩৫ কেজি করে চাল পেয়ে থাকেন।
রেশনের চাল বিক্রি করতে আসা এক কর্মকর্তা বলেন, ‘রেশন নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। তবে চালটা খাওয়া যায় না। তাই রেশন তোলার পর চাল অল্প দামে বিক্রি করে দিতে হয়। বাজারে সবচেয়ে খারাপ চাল ৫০ টাকা কেজি। আর আমরা বিক্রি করি ৩৫ টাকা কেজি।’
জানতে চাইলে ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনারে কামরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি রেশন তুলে চাল বাইরে বিক্রি করে দিই। সেই টাকার সঙ্গে আরও টাকা যোগ করে ভালো চাল কিনে থাকি।’
পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (লজিস্টিক) তৌফিক মাহবুব চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রেশনের চালটা আমরা কিনতে পারি না। তাই ভালো-মন্দ আমাদের হাতে নেই। আমরা যে অংশটা কিনতে পারি–ডাল, তেল, চিনি; সেগুলো আমরা সর্বোচ্চ মানেরটাই কিনে থাকি। সেগুলো নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। মূলত চালের দামটা পুলিশের বাজেট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে খাদ্য অধিদপ্তরে চলে যায়। বাকি পণ্যগুলো আমরা টেন্ডার দিয়ে কিনে থাকি। আমরা প্রস্তাব রেখেছি অন্য পণ্যের মতো চালটাও নিজেরা কিনতে।’
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, নিজেরা চাল কেনার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি আজও। ফলে সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে সরবরাহ করা চালই শেষ ভরসা।
নিম্নমানের চালের ব্যাপারে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে এক বছরের চাল অন্য বছরে দেওয়া হতো। এখন সেটা আর হয় না। তাই আগের চেয়ে এখন ভালো চাল যাচ্ছে।’ মোটা চালের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ আরও অনেক সংস্থাকে আমরা চাল দিয়ে থাকি। আমাদের অর্থনীতি এতটা শক্তিশালী এখনো হয়ে ওঠেনি যে সবাইকে এক নম্বর চাল দিতে পারব। তবে আমরা ভালো চাল দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অনেক কাজ করে থাকেন, তাঁদের অনেক বেশি দৈহিক ও মানসিক শক্তির দরকার হয়। এসব কারণে রেশনের সব পণ্যই গুণগত মানসম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন। এটা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যেসব মামলা চলছিল, তা সংশোধিত আইনেও চলবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। আজ সোমবার প্রসিকিউশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ -এর সংশোধনী তুলে ধরতেই সংবাদ সম্মেলনের আ
২ ঘণ্টা আগেজুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ আরও ৪৫ জনকে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেওয়া হয়
৬ ঘণ্টা আগেসংস্কারের অংশ হিসেবে গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্রায়ণের পথ খোঁজা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ।
৬ ঘণ্টা আগে