নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের স্লোগান শুনে ভারাক্রান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘আমার খুব দুঃখ লাগে, যখন শুনি—রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও বলে, তারা রাজাকার। তারা কি জানে, ’৭১ সালের ২৫ মার্চ সেখানে কী ঘটেছিল। ৩০০ মেয়েকে হত্যা করেছিল। ৪০ জনকে ধর্ষণ করেছিল, এদের ধরে পাকিস্তানি ক্যাম্পে নিয়ে গিয়েছিল।’
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদক চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই সরকারের একমাত্র লক্ষ্য—উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লাখো শহীদ রক্ত দিয়ে গেছে, লাখো মা-বোন নির্যাতিতা। তাদের এ অবদান ভুললে চলবে না, মনে রাখতে হবে। পাকিস্তানি হানাদার-রাজাকার এ দেশে এত অত্যাচার করেছে। অনেক মেয়ে শাড়ি-ওড়না দিয়ে ফাঁসি দিয়েছিল বলে তাদের কাপড় পরতে দেওয়া হতো না, ওই একটা পেটিকোট পরিয়ে বসিয়ে রাখত। দিনের পর দিন তাদের ওপর পাশবিক অত্যাচার হতো। যখন তাদের উদ্ধার করা হয়, আমাদের মিত্র শক্তি ভারতের এক শিখ সৈন্য তাঁর মাথার পাগড়ি খুলে এক মেয়ের গায়ে পেঁচিয়ে উদ্ধার করে আনেন। এটা একটা ঘটনা না, বহু ঘটনা এ রকম।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় নারীদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এসব অত্যাচার, রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকা—এরা দেখেনি। তাই নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জা হয় না। হ্যাঁ, আমাদের গেরিলা যুদ্ধ হয়েছে। এখানে কেউ শান্তি কমিটিতে, কেউ রাজাকার কমিটিতে ছিল, কিন্তু অনেকেই মানুষের ক্ষতি করেনি। কিন্তু বাহিনীগুলো তারা তৈরি করেছিল। তাদের হাতে অস্ত্র দিয়েছিল। তাদের দিয়ে মানুষের ক্ষতি, অত্যাচার এবং লুটপাট করত, গণহত্যা চালাত।’
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিচারের মাধ্যমে নির্যাতিতরা ন্যায়বিচার পেয়েছে। দুর্ভাগ্য যে, এখন যখন শুনি মেয়েরাও স্লোগান দেয়! কোন দেশে আছি? ওরা কী চেতনায় বিশ্বাস করে? কী শিক্ষা তারা নিল, কী তারা শিখল—সেটাই আমার প্রশ্ন। যে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্বের, জাতির পিতার এক ডাকে মানুষ সব ছেড়ে রণক্ষেত্রে চলে গিয়েছিল। জীবনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধ করে বিজয় এনে দিয়েছে, যারা বাহিনীতে ছিল। দেশের মানুষের প্রতি অত্যাচার হয়েছে—এটা ভুললে চলবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে চললে দেশ এগিয়ে যাবে।’
আরও খবর পড়ুন:
কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের স্লোগান শুনে ভারাক্রান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘আমার খুব দুঃখ লাগে, যখন শুনি—রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও বলে, তারা রাজাকার। তারা কি জানে, ’৭১ সালের ২৫ মার্চ সেখানে কী ঘটেছিল। ৩০০ মেয়েকে হত্যা করেছিল। ৪০ জনকে ধর্ষণ করেছিল, এদের ধরে পাকিস্তানি ক্যাম্পে নিয়ে গিয়েছিল।’
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদক চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই সরকারের একমাত্র লক্ষ্য—উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লাখো শহীদ রক্ত দিয়ে গেছে, লাখো মা-বোন নির্যাতিতা। তাদের এ অবদান ভুললে চলবে না, মনে রাখতে হবে। পাকিস্তানি হানাদার-রাজাকার এ দেশে এত অত্যাচার করেছে। অনেক মেয়ে শাড়ি-ওড়না দিয়ে ফাঁসি দিয়েছিল বলে তাদের কাপড় পরতে দেওয়া হতো না, ওই একটা পেটিকোট পরিয়ে বসিয়ে রাখত। দিনের পর দিন তাদের ওপর পাশবিক অত্যাচার হতো। যখন তাদের উদ্ধার করা হয়, আমাদের মিত্র শক্তি ভারতের এক শিখ সৈন্য তাঁর মাথার পাগড়ি খুলে এক মেয়ের গায়ে পেঁচিয়ে উদ্ধার করে আনেন। এটা একটা ঘটনা না, বহু ঘটনা এ রকম।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় নারীদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এসব অত্যাচার, রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকা—এরা দেখেনি। তাই নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জা হয় না। হ্যাঁ, আমাদের গেরিলা যুদ্ধ হয়েছে। এখানে কেউ শান্তি কমিটিতে, কেউ রাজাকার কমিটিতে ছিল, কিন্তু অনেকেই মানুষের ক্ষতি করেনি। কিন্তু বাহিনীগুলো তারা তৈরি করেছিল। তাদের হাতে অস্ত্র দিয়েছিল। তাদের দিয়ে মানুষের ক্ষতি, অত্যাচার এবং লুটপাট করত, গণহত্যা চালাত।’
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিচারের মাধ্যমে নির্যাতিতরা ন্যায়বিচার পেয়েছে। দুর্ভাগ্য যে, এখন যখন শুনি মেয়েরাও স্লোগান দেয়! কোন দেশে আছি? ওরা কী চেতনায় বিশ্বাস করে? কী শিক্ষা তারা নিল, কী তারা শিখল—সেটাই আমার প্রশ্ন। যে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্বের, জাতির পিতার এক ডাকে মানুষ সব ছেড়ে রণক্ষেত্রে চলে গিয়েছিল। জীবনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধ করে বিজয় এনে দিয়েছে, যারা বাহিনীতে ছিল। দেশের মানুষের প্রতি অত্যাচার হয়েছে—এটা ভুললে চলবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে চললে দেশ এগিয়ে যাবে।’
আরও খবর পড়ুন:
নবীন উদ্যোক্তাদের সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প শুনতে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে ১৫ জন উদ্যোক্তা অংশ নেন, যাঁরা সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছেন।
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস. এম. কামরুল হাসান ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মুহাম্মদ আলী রাওয়ালপিন্ডিতে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপর জোর দেওয়া হয়।
১০ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক এ কে এম মনিরুজ্জামানকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে বদলি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পদ–পদবি ব্যবহার করে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ রয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালে বাংলাদেশে ৩১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তাদের মাঝে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও রয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশের বেশি কৈশোর বয়সী।
১৩ ঘণ্টা আগে