নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদে থাকা বা না থাকার বিষয়টি এ মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়, বরং রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
আজ বুধবার রাজধানীর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষাকে সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে উপদেষ্টা জানান।
নাহিদ ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপতি থাকবেন কী থাকবেন না—প্রশ্নটি ‘এ মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়’। এটা একেবারেই একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ‘রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে’ রাষ্ট্রপতির বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং এর মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত আসবে। তবে রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকার রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘একটি গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সমর্থনে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সে সময় বিদ্যমান সংবিধান ও রাষ্ট্রপতিকে রেখেই সরকার গঠন করেছিলাম। কিন্তু আমাদের যদি মনে হয়, এই সেটআপে অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে অথবা জনগণ এই সেটআপে অসন্তুষ্ট, তাহলে এই সেটআপ নিয়ে আমরা ভাবব এবং পুনর্ম্যূল্যায়ন করছি।’
পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে বলে সতর্ক করে নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশি–বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে এবং সেই ষড়যন্ত্রকারীরা যেন কোনো সুবিধা না নিতে পারে।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত মন্তব্যের কারণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচার ও শপথ লঙ্ঘনের’ অভিযোগ তুলেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এর সূত্র ধরে এরই মধ্যে বঙ্গভবন থেকে তাঁর বিদায়ের দাবিতে বিক্ষোভ করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই ইস্যুতে রাষ্ট্রপতির অপসারণ বা পদত্যাগ চাইছেন আরও অনেকে। রাষ্ট্রপতি নিজে থেকে পদত্যাগ করবেন, নাকি সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে—এটাই মূল আলোচনা।
এর মধ্যে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সমাবেশ ও বিক্ষোভ হয়েছে। সেনাবাহিনীর ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনে ঢোকারও চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। সেখান থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে রাষ্ট্রপতির বিদায়ের আলটিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আলটিমেটামের বিষয়ে নাহিদ বলেন, ‘সরকার আলোচনা করছে। এর মাধ্যমে যৌক্তিক সিদ্ধান্তে যাওয়া যাবে, যা রাষ্ট্র ও জনগণের পক্ষে যাবে।’
সবাইকে শান্ত থাকার ও অরাজক পরিস্থিতি তৈরি না করার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘বঙ্গভবন বা অন্য কোথাও বিক্ষোভ বা আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। জনগণের মেসেজ আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে যেতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদে থাকা বা না থাকার বিষয়টি এ মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়, বরং রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
আজ বুধবার রাজধানীর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষাকে সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে উপদেষ্টা জানান।
নাহিদ ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপতি থাকবেন কী থাকবেন না—প্রশ্নটি ‘এ মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়’। এটা একেবারেই একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ‘রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে’ রাষ্ট্রপতির বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং এর মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত আসবে। তবে রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকার রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘একটি গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সমর্থনে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সে সময় বিদ্যমান সংবিধান ও রাষ্ট্রপতিকে রেখেই সরকার গঠন করেছিলাম। কিন্তু আমাদের যদি মনে হয়, এই সেটআপে অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে অথবা জনগণ এই সেটআপে অসন্তুষ্ট, তাহলে এই সেটআপ নিয়ে আমরা ভাবব এবং পুনর্ম্যূল্যায়ন করছি।’
পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে বলে সতর্ক করে নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশি–বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে এবং সেই ষড়যন্ত্রকারীরা যেন কোনো সুবিধা না নিতে পারে।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত মন্তব্যের কারণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচার ও শপথ লঙ্ঘনের’ অভিযোগ তুলেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এর সূত্র ধরে এরই মধ্যে বঙ্গভবন থেকে তাঁর বিদায়ের দাবিতে বিক্ষোভ করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই ইস্যুতে রাষ্ট্রপতির অপসারণ বা পদত্যাগ চাইছেন আরও অনেকে। রাষ্ট্রপতি নিজে থেকে পদত্যাগ করবেন, নাকি সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে—এটাই মূল আলোচনা।
এর মধ্যে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সমাবেশ ও বিক্ষোভ হয়েছে। সেনাবাহিনীর ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনে ঢোকারও চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। সেখান থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে রাষ্ট্রপতির বিদায়ের আলটিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আলটিমেটামের বিষয়ে নাহিদ বলেন, ‘সরকার আলোচনা করছে। এর মাধ্যমে যৌক্তিক সিদ্ধান্তে যাওয়া যাবে, যা রাষ্ট্র ও জনগণের পক্ষে যাবে।’
সবাইকে শান্ত থাকার ও অরাজক পরিস্থিতি তৈরি না করার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘বঙ্গভবন বা অন্য কোথাও বিক্ষোভ বা আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। জনগণের মেসেজ আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে যেতে হবে।’
জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনের প্রধান ফলকার টুর্ক শুধু রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সদস্যসহ ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা না করার তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সাংবাদিকসহ অনেকের বিরুদ্ধে খুনসহ এমন অনেক অভিযোগ আনা হয়েছে, তদন্তে যার সত্যতা মেলেনি।
৩৩ মিনিট আগেদীর্ঘ ২৫ বছর পর ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করেছেন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। আজ বুধবার অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে ভোট গ্রহণের পুরো প্রক্রিয়াটি সরাসরি দেখানো হয়। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এই নির্বাচনে সভাপতি হিসেবে
২ ঘণ্টা আগেসংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে জারি করা রুলের শুনানি শুরু হয়েছে। আজ বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে রুলের ওপর শুনানি হয়। পরে আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্য
৪ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৫৪ জন। আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগে