আয়নাল হোসেন
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ১৯৭৫ সাল থেকে যেকোনো খাদ্যদ্রব্যের মান তৈরির কাজ করছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। তবে ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) গঠিত হয়। সম্প্রতি সব ধরনের খাদ্যদ্রব্যের স্থানীয় মান (স্ট্যাডার্ডস) তৈরির আগ্রহের কথা জানিয়েছে বিএফএসএ। বিষয়টি সুরাহা করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠিও দিয়েছে সংস্থাটি। খাদ্যের মান নির্ধারণের দায়িত্ব ধরে রাখা ও পাওয়া নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে এখন সরকারের এই দুই সংস্থা।
জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) যৌথভাবে সারা বিশ্বে কৃষি ও খাদ্যজাত দ্রব্যের মান প্রণয়ন করে থাকে। এ দুটি সংস্থা থেকে গৃহীত খাদ্যদ্রব্যের আন্তর্জাতিক মান বা স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করে থাকে কোডেক্স অ্যালিমেন্টারিস কমিশন (সিএসি)। বিএসটিআই ৪৬ বছর ধরে দেশে খাদ্যের মান প্রণয়ন করে আসছে।
বিএফএসএর দাবি হচ্ছে, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী খাদ্যপণ্য রপ্তানি করতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশের ফুড সেফটি অথোরিটির সনদ চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে সে রকম কিছু নেই। তাই ব্যবসায়ী ও জনগণের স্বার্থে তারা সব সেবা এক ছাতার নিচে আনতে চায়। তবে দেশের ফুড সেফটি অথোরিটির প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল ও খাদ্যপণ্যের মান পরীক্ষার মতো ল্যাবের কোনো ব্যবস্থা নেই।
বিএসটিআইয়ের দাবি, প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই খাদ্যের আন্তর্জাতিক মান নির্ধারণকারী প্রতিষ্ঠান কোডেক্সের অনুসরণ করে খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের মান প্রণয়ন ও সনদ দিয়ে আসছে তারা। সম্প্রতি বিএফএসএ কোডেক্সের আদলে মান তৈরি এবং সব ধরনের খাদ্যের স্থানীয় মান তৈরি করার ক্ষমতা চেয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিএসটিআইকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠির জবাবে বিএসটিআই তাদের সপক্ষে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছে। বলেছে, কোডেক্স মান অনুসরণ করে তারা এ পর্যন্ত ১৫৫টি সনদ দিয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৯৬টি দেশ কোডেক্সের সদস্য। এই সংস্থার বিভিন্ন সভা হয়। খাদ্যদ্রব্যের মান ও নিরাপদ খাদ্য নিয়ে যেসব আলোচনা হয়, সেখানে সরাসরি তারা অংশ নিতে পারছে না। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নিয়ে তাদের সেখানে যেতে হচ্ছে। আগে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ছিল না বলে বিএসটিআই দায়িত্ব পালন করছে। কর্তৃপক্ষ গঠিত হওয়ার পর খাদ্যের সব ধরনের নিরাপত্তার দায়িত্ব এখন তাদের।
জানতে চাইলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক আবদুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইন অনুযায়ী নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। খাদ্যের মান প্রণয়ন করা প্রতিটি রাষ্ট্রেই নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। বাংলাদেশে এখনো তা নেই। খাদ্যের মান প্রণয়নের জন্য আমাদের ৩০ জন দক্ষ কর্মকর্তা রয়েছেন।’ তবে ল্যাব–সংকটের বিষয়টিও তিনি স্বীকার করেন।
আবদুল আলীম বলেন, এ সংকট নিরসনে দেশে স্বীকৃত পরীক্ষাগার থেকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর সনদ দেওয়ার বিষয়টি অনেক এগিয়েছে।
আবদুল আলীম বলেন, বিএসটিআই ননফুডের মান প্রণয়ন করবে। আর ফুডের মান প্রণয়ন করবে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এটা এখন সময়ের দাবি।
তবে বিএসটিআইয়ের পরিচালক (মান) নিলুফা হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, কে কী দায়িত্ব পালন করবেন, তা সরকার নির্ধারণ করবে।
বিএসটিআইয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, বিশ্বের অন্যান্য দেশে কোডেক্সের দায়িত্ব সাধারণত রেগুলেটরি অথোরিটি অথবা জাতীয় মান সংস্থা পালন করে থাকে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ল্যাবসহ অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এ দায়িত্ব বিএসটিআই পালন করতে পারে। দুই সংস্থার মালিকানা নিয়ে টানাটানির বিষয় নয়। দেশের স্বার্থে কাজ করতে হবে।
বিএসটিআই সূত্র জানায়, ১৯৮৫ সালের বিএসটিআই অর্ডিন্যান্স এবং ২০১৮ সালের আইনে খাদ্যদ্রব্যসহ যেকোনো পণ্যের মান প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানকে। আর ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইনের ১৩ ধারায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পর্কে বলা আছে।
বিএসটিআই আরও জানায়, বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ ও বিক্রি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন করা তাদের দায়িত্ব।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ১৯৭৫ সাল থেকে যেকোনো খাদ্যদ্রব্যের মান তৈরির কাজ করছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। তবে ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) গঠিত হয়। সম্প্রতি সব ধরনের খাদ্যদ্রব্যের স্থানীয় মান (স্ট্যাডার্ডস) তৈরির আগ্রহের কথা জানিয়েছে বিএফএসএ। বিষয়টি সুরাহা করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠিও দিয়েছে সংস্থাটি। খাদ্যের মান নির্ধারণের দায়িত্ব ধরে রাখা ও পাওয়া নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে এখন সরকারের এই দুই সংস্থা।
জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) যৌথভাবে সারা বিশ্বে কৃষি ও খাদ্যজাত দ্রব্যের মান প্রণয়ন করে থাকে। এ দুটি সংস্থা থেকে গৃহীত খাদ্যদ্রব্যের আন্তর্জাতিক মান বা স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করে থাকে কোডেক্স অ্যালিমেন্টারিস কমিশন (সিএসি)। বিএসটিআই ৪৬ বছর ধরে দেশে খাদ্যের মান প্রণয়ন করে আসছে।
বিএফএসএর দাবি হচ্ছে, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী খাদ্যপণ্য রপ্তানি করতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশের ফুড সেফটি অথোরিটির সনদ চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে সে রকম কিছু নেই। তাই ব্যবসায়ী ও জনগণের স্বার্থে তারা সব সেবা এক ছাতার নিচে আনতে চায়। তবে দেশের ফুড সেফটি অথোরিটির প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল ও খাদ্যপণ্যের মান পরীক্ষার মতো ল্যাবের কোনো ব্যবস্থা নেই।
বিএসটিআইয়ের দাবি, প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই খাদ্যের আন্তর্জাতিক মান নির্ধারণকারী প্রতিষ্ঠান কোডেক্সের অনুসরণ করে খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের মান প্রণয়ন ও সনদ দিয়ে আসছে তারা। সম্প্রতি বিএফএসএ কোডেক্সের আদলে মান তৈরি এবং সব ধরনের খাদ্যের স্থানীয় মান তৈরি করার ক্ষমতা চেয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিএসটিআইকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠির জবাবে বিএসটিআই তাদের সপক্ষে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছে। বলেছে, কোডেক্স মান অনুসরণ করে তারা এ পর্যন্ত ১৫৫টি সনদ দিয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৯৬টি দেশ কোডেক্সের সদস্য। এই সংস্থার বিভিন্ন সভা হয়। খাদ্যদ্রব্যের মান ও নিরাপদ খাদ্য নিয়ে যেসব আলোচনা হয়, সেখানে সরাসরি তারা অংশ নিতে পারছে না। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নিয়ে তাদের সেখানে যেতে হচ্ছে। আগে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ছিল না বলে বিএসটিআই দায়িত্ব পালন করছে। কর্তৃপক্ষ গঠিত হওয়ার পর খাদ্যের সব ধরনের নিরাপত্তার দায়িত্ব এখন তাদের।
জানতে চাইলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক আবদুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইন অনুযায়ী নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। খাদ্যের মান প্রণয়ন করা প্রতিটি রাষ্ট্রেই নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। বাংলাদেশে এখনো তা নেই। খাদ্যের মান প্রণয়নের জন্য আমাদের ৩০ জন দক্ষ কর্মকর্তা রয়েছেন।’ তবে ল্যাব–সংকটের বিষয়টিও তিনি স্বীকার করেন।
আবদুল আলীম বলেন, এ সংকট নিরসনে দেশে স্বীকৃত পরীক্ষাগার থেকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর সনদ দেওয়ার বিষয়টি অনেক এগিয়েছে।
আবদুল আলীম বলেন, বিএসটিআই ননফুডের মান প্রণয়ন করবে। আর ফুডের মান প্রণয়ন করবে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এটা এখন সময়ের দাবি।
তবে বিএসটিআইয়ের পরিচালক (মান) নিলুফা হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, কে কী দায়িত্ব পালন করবেন, তা সরকার নির্ধারণ করবে।
বিএসটিআইয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, বিশ্বের অন্যান্য দেশে কোডেক্সের দায়িত্ব সাধারণত রেগুলেটরি অথোরিটি অথবা জাতীয় মান সংস্থা পালন করে থাকে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ল্যাবসহ অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এ দায়িত্ব বিএসটিআই পালন করতে পারে। দুই সংস্থার মালিকানা নিয়ে টানাটানির বিষয় নয়। দেশের স্বার্থে কাজ করতে হবে।
বিএসটিআই সূত্র জানায়, ১৯৮৫ সালের বিএসটিআই অর্ডিন্যান্স এবং ২০১৮ সালের আইনে খাদ্যদ্রব্যসহ যেকোনো পণ্যের মান প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানকে। আর ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইনের ১৩ ধারায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পর্কে বলা আছে।
বিএসটিআই আরও জানায়, বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ ও বিক্রি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন করা তাদের দায়িত্ব।
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় ভ্রমণের ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদের সতর্ক করেছে সরকার। স্ক্যাম চক্রের প্রতারণা এড়াতে নিয়োগ যাচাই এবং সাইবার নিরাপত্তা মেনে চলার পরামর্শ।
১ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
৮ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
৮ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
৮ ঘণ্টা আগে