Ajker Patrika

অক্সফোর্ডের না পেলে দ্বিতীয় ডোজে সিনোফার্মের টিকার কথা ভাবছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ২৮ মে ২০২১, ০০: ০৬
অক্সফোর্ডের না পেলে দ্বিতীয় ডোজে সিনোফার্মের টিকার কথা ভাবছে সরকার

ঢাকা: অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ যারা পেয়েছেন মজুত টিকা দিয়ে তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে না। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নিবন্ধন। টিকাদান কার্যক্রম চালিয়ে যেতে এরই মধ্যে চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চীন উপহার দিয়েছে সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ টিকা। চীন থেকে আরও দেড় কোটি টিকা কিনছে সরকার। কিন্তু অক্সফোর্ডের প্রথম ডোজ পাওয়া যাদের দ্বিতীয় ডোজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের জন্য এবার বিকল্প ভাবনা শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ডোজ পূর্ণ করতে ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টিকা দেওয়া যায় কি–না সেটি ভাবা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্পেনে ছয় শ বেশি প্রথম ডোজ গ্রহীতাকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। তারা যে ফল পেয়েছেন তা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার। মিক্সড ডোজ নেওয়াদের সবারই প্রথম ডোজের তুলনায় অনেক বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। আমাদের অনেক মানুষ দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষায় আছেন। এখন আমরা যদি সিনোফার্ম, ফাইজার ও স্পুটনিক–ভি ভ্যাকসিন পাই, আমরাও পরীক্ষা করবো। এসব টিকা দিয়ে দ্বিতীয় ডোজ যাতে দেওয়া যায় সেটি নিয়ে আমিসহ অধিদপ্তরের কয়েকজন কাজ করছি। টিকা হাতে পাওয়া পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ে আশা করি, সরকারের ওপর মহল থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে। আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।

এ বিষয়ে প্রস্তুতির বিষয়ে রোবেদ আমিন বলেন, প্রথমে কয়েকজনের মাধ্যমে একটি পরীক্ষা চালানো হতে পারে। পরে চূড়ান্তভাবে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি) অনুমতি দিলেই এগুলো দ্বিতীয় ডোজে আমরা ব্যবহার করতে পারব। আমি মনে করি, এটাতে কোনো সমস্যা হবে না।

আজ বৃহস্পতিবার প্রতি ডোজ ১০ ডলার দরে দেড় কোটি ডোজ কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সে হিসাবে সেরাম থেকে কেনা অক্সফোর্ডের টিকার আড়াই গুণ দাম পড়বে। আগামী মাসের মাঝামাঝি এই টিকা দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, চীনের সিনোফার্মের টিকার বিষয়ে সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে। চুক্তি হলে আগামী তিন মাসে (জুন, জুলাই ও আগস্ট) দেড় কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে।

এদিকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মার্কিন ফার্মা জায়ান্ট ফাইজার–বায়োএনটেকের টিকা। আগামী রোববার জাতিসংঘের উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ১ লাখ ৬২০ ডোজ ফাইজারের টিকা আসছে। তবে এ টিকা শুধু ঢাকার ভেতরে চল্লিশোর্ধ্বদের দেওয়া হবে।

এর আগে গত ১২ মে চীন থেকে পাঁচ লাখ ডোজ টিকা উপহার পেয়েছে বাংলাদেশ। চুক্তির বাইরে শিগগিরই আরও ছয় লাখ ডোজ টিকা পাঠাবে বলে জানিয়েছে দেশটি। তবে চলতি মাসে রাশিয়ার স্পুটনিক–ভি–এর ৪০ লাখ ডোজ উপহার আসার কথা থাকলেও সেটি নিশ্চিত করতে পারেনি সরকার। এ ছাড়া বেক্সিমকো সেরাম থেকে ২০ লাখ ডোজ টিকা এনে দেওয়ার কথা বললেও প্রতিষ্ঠানটি এখন নিশ্চুপ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত