রাজীব কুমার সাহা
বাংলা ভাষায় অতিপরিচিত একটি শব্দবন্ধ হলো ‘জগাখিচুড়ি’। পরিস্থিতির প্রসঙ্গভেদে আমরা জগাখিচুড়ি শব্দটি ব্যবহার করি। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, আমাদের দৈনন্দিন কথ্যভাষায় জগাখিচুড়ি শব্দটি আহার্য হিসেবে ব্যবহৃত না হয়ে তালগোল পাকানোর প্রতিশব্দ হিসেবে পরিণত হয়েছে। সচরাচর বৃষ্টির দিন ভুনাখিচুড়ি খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলার কথা অনেক শুনেছি, কিন্তু আবহাওয়ার তারতম্যভেদে জগাখিচুড়ি খেয়ে কেউ কোনো দিন অফিস-আদালত-স্কুল-কলেজে গিয়েছেন এমনটা শুনিনি। জগাখিচুড়ি কীভাবে তার খাদ্যগুণ হারিয়ে তালগোল পাকিয়ে ঝামেলায় জড়িয়েছে, আজ জানব তার আদ্যোপান্ত।
জগা এবং খিচুড়ি শব্দসহযোগে গঠিত হয়েছে জগাখিচুড়ি শব্দটি। এটি বাংলা শব্দ এবং বিশেষ্য পদ। আক্ষরিকভাবে জগাখিচুড়ি শব্দের অর্থ হলো বিবিধ তরিতরকারি মিশিয়ে রাঁধা খিচুড়ি। এর আলংকারিক অর্থ হলো বিবিধ বিসদৃশ বস্তুর সংমিশ্রণ বা একত্র সমাবেশ। জগাখিচুড়ি একসময় আহার্যই ছিল কিন্তু কালের পরিক্রমায় জগাখিচুড়ি তার আহার্যগুণ হারিয়ে নেতিবাচক একটি শব্দালংকারে পরিণত হয়েছে। তবে জগাখিচুড়ির ব্যুৎপত্তি বিষয়ে দুটি মত পরিলক্ষিত হয়, একটি হলো ভারতের উড়িষ্যার পুরী শহরে জগন্নাথদেবের মন্দিরে প্রতিদিন ভক্তদের মধ্যে যে খিচুড়ি বিতরণ করা হয়, সেটিই জগাখিচুড়ি। আরেকটি মত হলো, জনৈক জগাই ব্রাহ্মণের রান্না করা অপেক্ষাকৃত স্বল্প মূল্যে কেনা চাল-ডালে মেশানো খাদ্যবস্তুটিই হলো জগাখিচুড়ি।
খিচুড়ি একটি ভাতজাতীয় খাদ্যবস্তু; যা চাল, ডাল, সবজি প্রভৃতি সহযোগে রাঁধা হয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে অন্যতম জনপ্রিয় খাবার হলো খিচুড়ি। অঞ্চলভেদে খিচুড়ির বিভিন্ন আঞ্চলিক রূপ পরিলক্ষিত হয়। যেমন: নরম বা ল্যাটকা খিচুড়ি, ভুনাখিচুড়ি, মাংস খিচুড়ি, নিরামিষ খিচুড়ি প্রভৃতি। খিচুড়ি একটি সহজপাচ্য খাবার। সচরাচর দক্ষিণ এশিয়ায় শিশুকে প্রথম কঠিন খাবার হিসেবে খিচুড়ি খাওয়ানো হয়। মধ্যযুগের মঙ্গলকাব্য ‘মনসামঙ্গল’-এ শিব পার্বতীকে ডাবের পানি দিয়ে মুগ ডালের খিচুড়ি রান্নার ফরমায়েশ দিচ্ছেন। অন্যত্র বলা হয়েছে, ‘আদা কাসন্দা দিয়া করিবা খিচুড়ি’। আনুমানিক ৩০৫ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডার ও তাঁর সেনাপতি সেলুকাস উল্লেখ করেছেন, ভারতীয় উপমহাদেশে চালের সঙ্গে ডাল মেশানো খাবার অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। মরক্কোর বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা ‘কিশরি’র কথা উল্লেখ করেছেন, যা চাল এবং মুগ ডাল সহযোগে প্রস্তুত করা হতো। পনেরো শতকে ভারতীয় উপমহাদেশে ঘুরতে আসা রাশিয়ান পর্যটক নিকতিন খিচুড়ির কথা তাঁর লেখায় বর্ণনা করেছেন। চাণক্যের লেখায় মৌর্যযুগের চন্দ্রগুপ্তের শাসনামলে চাল, ডালের মিশ্রণে তৈরি খিচুড়ির উল্লেখ পাওয়া যায়। গ্রিক পরিব্রাজক মেগাস্থিনিসের লেখায়ও চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজসভার রান্নাঘরে খিচুড়ির কথা পাওয়া যায়। ‘আইন-ই-আকবরি’তে বিভিন্ন প্রকার খিচুড়ির প্রস্তুতপ্রণালি পাওয়া যায়। সেখানে সম্রাট আকবর এবং বীরবলের খিচুড়ি রান্নার গল্পেরও পাঠ মেলে। রাজকীয় খাবার হিসেবে হায়দরাবাদের নিজামের রান্নাঘরেও খিচুড়ি জনপ্রিয় হয়েছিল। সেই খিচুড়ির ভাঁজে ভাঁজে থাকত সুস্বাদু মাংসের কিমা। উনিশ শতকের ভিক্টোরিয়ান যুগে দেশে ফেরত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারীদের হাত ধরে খিচুড়ি ইংল্যান্ডে প্রবেশ করে। এই খিচুড়ি জনপ্রিয় ইংরেজি ব্রেকফাস্ট ‘কেদেগিরি’ হয়ে ওঠে। কিন্তু এই খিচুড়ির গল্পে আমাদের জগাখিচুড়ির সন্ধান মেলে না। কারণ, এই জগাখিচুড়ি আমাদের তৈরি করা অভিধা।
জগ শব্দের অর্থ হচ্ছে জগৎ, ভুবন, বিশ্ব। এর সঙ্গে জগন্নাথদেবের অবশ্যই সুসম্পর্ক রয়েছে বলেই জগন্নাথ মানে পৃথিবীর প্রভু, পরমেশ্বর, বিষ্ণু, শ্রীকৃষ্ণ। ভারতের উড়িষ্যার পুরীতে অবস্থিত জগন্নাথদেবের মন্দিরে প্রসাদ হিসেবে ভক্তদের নিত্যদিন খিচুড়ি বিতরণ করা হয়। বিবিধ তরিতরকারি সহযোগে ঢিমে আঁচে এ খিচুড়ি রান্না করা হয়। এ মন্দিরে জাতপাতের কোনো বালাই নেই। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সেখানে গিয়ে সাদরে প্রসাদ গ্রহণ করে। ‘জগন্নাথদেবের খিচুড়ি’ লোকমুখে সংক্ষেপে হয়েছে ‘জগাখিচুড়ি’। শব্দটির আলংকারিক অর্থের বিস্তার ঘটাতে যে বিষয়টি ক্রিয়াশীল, সেটি হলো এর রন্ধনপ্রক্রিয়া। এ খিচুড়ি নানা রকম উপাদেয় উপকরণ মিশিয়ে ইচ্ছেমতো তৈরি করা হয়। মূলত খিচুড়ি রান্নার এই এলোমেলো প্রক্রিয়া থেকেই ব্যঙ্গার্থে ‘জগাখিচুড়ি’ শব্দটি প্রযুক্ত হয়ে চলেছে। এর পাশাপাশি জগাখিচুড়ির আরেকটি প্রচলিত গল্প হলো, জগন্নাথ নামে একজন বৈষ্ণব সাধক ছিলেন। তিনি সারা দিন হরিনামে মগ্ন থাকতেন। তিনি দিনের বেলা একবার মাত্র সাধন কুটির থেকে বের হয়ে কয়েকটি গৃহস্থের বাড়িতে মাধুকরী (ভিক্ষাবৃত্তি) করে চাল, ডাল, আলু, শাকসবজি যা পেতেন, সব একসঙ্গে সেদ্ধ করে সারা দিনে একবার আহার করতেন। তিনি স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের কাছে জগন্নাথের অপভ্রংশ ‘জগা’ নামে পরিচিত ছিলেন। ধরে নেওয়া হয়, এর থেকেই জগাখিচুড়ি শব্দের উদ্ভব।
কোনো শব্দকে নতুন অর্থদ্যোতনায় প্রকাশে সাহিত্যের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্যিকবর্গের হাত ধরেই কোনো শব্দের অর্থের প্রসারণ, সংকোচন, উন্নতি ও অবনতি ঘটে। জগাখিচুড়ি শব্দটি অপেক্ষাকৃত তুচ্ছার্থে বা নিন্দার্থে ব্যবহারের প্রবণতা আমরা লক্ষ করি। বর্তমান সময়ে শব্দটি যেন তার আক্ষরিক অর্থ সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে বাংলা ভাষাভাষীর কথ্যরীতিতে তালগোল পাকানো বা জটপাকানো অবস্থার প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছে।
বাংলা ভাষায় অতিপরিচিত একটি শব্দবন্ধ হলো ‘জগাখিচুড়ি’। পরিস্থিতির প্রসঙ্গভেদে আমরা জগাখিচুড়ি শব্দটি ব্যবহার করি। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, আমাদের দৈনন্দিন কথ্যভাষায় জগাখিচুড়ি শব্দটি আহার্য হিসেবে ব্যবহৃত না হয়ে তালগোল পাকানোর প্রতিশব্দ হিসেবে পরিণত হয়েছে। সচরাচর বৃষ্টির দিন ভুনাখিচুড়ি খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলার কথা অনেক শুনেছি, কিন্তু আবহাওয়ার তারতম্যভেদে জগাখিচুড়ি খেয়ে কেউ কোনো দিন অফিস-আদালত-স্কুল-কলেজে গিয়েছেন এমনটা শুনিনি। জগাখিচুড়ি কীভাবে তার খাদ্যগুণ হারিয়ে তালগোল পাকিয়ে ঝামেলায় জড়িয়েছে, আজ জানব তার আদ্যোপান্ত।
জগা এবং খিচুড়ি শব্দসহযোগে গঠিত হয়েছে জগাখিচুড়ি শব্দটি। এটি বাংলা শব্দ এবং বিশেষ্য পদ। আক্ষরিকভাবে জগাখিচুড়ি শব্দের অর্থ হলো বিবিধ তরিতরকারি মিশিয়ে রাঁধা খিচুড়ি। এর আলংকারিক অর্থ হলো বিবিধ বিসদৃশ বস্তুর সংমিশ্রণ বা একত্র সমাবেশ। জগাখিচুড়ি একসময় আহার্যই ছিল কিন্তু কালের পরিক্রমায় জগাখিচুড়ি তার আহার্যগুণ হারিয়ে নেতিবাচক একটি শব্দালংকারে পরিণত হয়েছে। তবে জগাখিচুড়ির ব্যুৎপত্তি বিষয়ে দুটি মত পরিলক্ষিত হয়, একটি হলো ভারতের উড়িষ্যার পুরী শহরে জগন্নাথদেবের মন্দিরে প্রতিদিন ভক্তদের মধ্যে যে খিচুড়ি বিতরণ করা হয়, সেটিই জগাখিচুড়ি। আরেকটি মত হলো, জনৈক জগাই ব্রাহ্মণের রান্না করা অপেক্ষাকৃত স্বল্প মূল্যে কেনা চাল-ডালে মেশানো খাদ্যবস্তুটিই হলো জগাখিচুড়ি।
খিচুড়ি একটি ভাতজাতীয় খাদ্যবস্তু; যা চাল, ডাল, সবজি প্রভৃতি সহযোগে রাঁধা হয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে অন্যতম জনপ্রিয় খাবার হলো খিচুড়ি। অঞ্চলভেদে খিচুড়ির বিভিন্ন আঞ্চলিক রূপ পরিলক্ষিত হয়। যেমন: নরম বা ল্যাটকা খিচুড়ি, ভুনাখিচুড়ি, মাংস খিচুড়ি, নিরামিষ খিচুড়ি প্রভৃতি। খিচুড়ি একটি সহজপাচ্য খাবার। সচরাচর দক্ষিণ এশিয়ায় শিশুকে প্রথম কঠিন খাবার হিসেবে খিচুড়ি খাওয়ানো হয়। মধ্যযুগের মঙ্গলকাব্য ‘মনসামঙ্গল’-এ শিব পার্বতীকে ডাবের পানি দিয়ে মুগ ডালের খিচুড়ি রান্নার ফরমায়েশ দিচ্ছেন। অন্যত্র বলা হয়েছে, ‘আদা কাসন্দা দিয়া করিবা খিচুড়ি’। আনুমানিক ৩০৫ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডার ও তাঁর সেনাপতি সেলুকাস উল্লেখ করেছেন, ভারতীয় উপমহাদেশে চালের সঙ্গে ডাল মেশানো খাবার অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। মরক্কোর বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা ‘কিশরি’র কথা উল্লেখ করেছেন, যা চাল এবং মুগ ডাল সহযোগে প্রস্তুত করা হতো। পনেরো শতকে ভারতীয় উপমহাদেশে ঘুরতে আসা রাশিয়ান পর্যটক নিকতিন খিচুড়ির কথা তাঁর লেখায় বর্ণনা করেছেন। চাণক্যের লেখায় মৌর্যযুগের চন্দ্রগুপ্তের শাসনামলে চাল, ডালের মিশ্রণে তৈরি খিচুড়ির উল্লেখ পাওয়া যায়। গ্রিক পরিব্রাজক মেগাস্থিনিসের লেখায়ও চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজসভার রান্নাঘরে খিচুড়ির কথা পাওয়া যায়। ‘আইন-ই-আকবরি’তে বিভিন্ন প্রকার খিচুড়ির প্রস্তুতপ্রণালি পাওয়া যায়। সেখানে সম্রাট আকবর এবং বীরবলের খিচুড়ি রান্নার গল্পেরও পাঠ মেলে। রাজকীয় খাবার হিসেবে হায়দরাবাদের নিজামের রান্নাঘরেও খিচুড়ি জনপ্রিয় হয়েছিল। সেই খিচুড়ির ভাঁজে ভাঁজে থাকত সুস্বাদু মাংসের কিমা। উনিশ শতকের ভিক্টোরিয়ান যুগে দেশে ফেরত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারীদের হাত ধরে খিচুড়ি ইংল্যান্ডে প্রবেশ করে। এই খিচুড়ি জনপ্রিয় ইংরেজি ব্রেকফাস্ট ‘কেদেগিরি’ হয়ে ওঠে। কিন্তু এই খিচুড়ির গল্পে আমাদের জগাখিচুড়ির সন্ধান মেলে না। কারণ, এই জগাখিচুড়ি আমাদের তৈরি করা অভিধা।
জগ শব্দের অর্থ হচ্ছে জগৎ, ভুবন, বিশ্ব। এর সঙ্গে জগন্নাথদেবের অবশ্যই সুসম্পর্ক রয়েছে বলেই জগন্নাথ মানে পৃথিবীর প্রভু, পরমেশ্বর, বিষ্ণু, শ্রীকৃষ্ণ। ভারতের উড়িষ্যার পুরীতে অবস্থিত জগন্নাথদেবের মন্দিরে প্রসাদ হিসেবে ভক্তদের নিত্যদিন খিচুড়ি বিতরণ করা হয়। বিবিধ তরিতরকারি সহযোগে ঢিমে আঁচে এ খিচুড়ি রান্না করা হয়। এ মন্দিরে জাতপাতের কোনো বালাই নেই। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সেখানে গিয়ে সাদরে প্রসাদ গ্রহণ করে। ‘জগন্নাথদেবের খিচুড়ি’ লোকমুখে সংক্ষেপে হয়েছে ‘জগাখিচুড়ি’। শব্দটির আলংকারিক অর্থের বিস্তার ঘটাতে যে বিষয়টি ক্রিয়াশীল, সেটি হলো এর রন্ধনপ্রক্রিয়া। এ খিচুড়ি নানা রকম উপাদেয় উপকরণ মিশিয়ে ইচ্ছেমতো তৈরি করা হয়। মূলত খিচুড়ি রান্নার এই এলোমেলো প্রক্রিয়া থেকেই ব্যঙ্গার্থে ‘জগাখিচুড়ি’ শব্দটি প্রযুক্ত হয়ে চলেছে। এর পাশাপাশি জগাখিচুড়ির আরেকটি প্রচলিত গল্প হলো, জগন্নাথ নামে একজন বৈষ্ণব সাধক ছিলেন। তিনি সারা দিন হরিনামে মগ্ন থাকতেন। তিনি দিনের বেলা একবার মাত্র সাধন কুটির থেকে বের হয়ে কয়েকটি গৃহস্থের বাড়িতে মাধুকরী (ভিক্ষাবৃত্তি) করে চাল, ডাল, আলু, শাকসবজি যা পেতেন, সব একসঙ্গে সেদ্ধ করে সারা দিনে একবার আহার করতেন। তিনি স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের কাছে জগন্নাথের অপভ্রংশ ‘জগা’ নামে পরিচিত ছিলেন। ধরে নেওয়া হয়, এর থেকেই জগাখিচুড়ি শব্দের উদ্ভব।
কোনো শব্দকে নতুন অর্থদ্যোতনায় প্রকাশে সাহিত্যের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্যিকবর্গের হাত ধরেই কোনো শব্দের অর্থের প্রসারণ, সংকোচন, উন্নতি ও অবনতি ঘটে। জগাখিচুড়ি শব্দটি অপেক্ষাকৃত তুচ্ছার্থে বা নিন্দার্থে ব্যবহারের প্রবণতা আমরা লক্ষ করি। বর্তমান সময়ে শব্দটি যেন তার আক্ষরিক অর্থ সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে বাংলা ভাষাভাষীর কথ্যরীতিতে তালগোল পাকানো বা জটপাকানো অবস্থার প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছে।
আজ, ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বিশ্বব্যাপী এই দিনটি নারীদের অধিকার, সম্মান ও সমতার দাবিতে উদ্যাপিত হয়। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে এ দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় নারী দিবস পালনের গুরুত্ব শুধু প্রতীকী উদ্যাপনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। বরং এটি হওয়া উচিত নারীর অধিকার...
৬ মিনিট আগেগ্রিক পুরাণের পাঠকমাত্রই প্যান্ডোরাকে চেনেন। তাঁরা জানেন, এই প্যান্ডোরা হলো দুনিয়ার প্রথম নারী, যাকে দেবরাজ জিয়ুসের তত্ত্বাবধানে খুব যত্ন করে সৃষ্টি করেছিলেন অন্য দেবতারা। সৃষ্টির পর দেবতারা প্যান্ডোরাকে অতুলনীয় সব উপহার দিয়েছিলেন—সৌন্দর্য, মাধুর্য, সংগীত, কৌতূহল, ইতি ও আদি। তাকে একটি বয়ামও উপহার দে
১ দিন আগেসম্প্রতি ঘটা করে অনুষ্ঠিত হলো বিএনপির বর্ধিত সভা। সভাটির সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, প্রায় সাত বছর পরে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বক্তব্য রেখেছেন। লন্ডনে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সভাটিতে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রেখেছেন। চিরাচরিত স্বভাব অনুযায়ী কাউকে আক্রমণ না করে অত্যন্ত
১ দিন আগেকিছু লিখতে বসলে এখন সাতপাঁচ অনেক কিছু ভাবতে হয়। কোনো লাইন বা শব্দের কারণে না জানি ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারী শাসকের পক্ষের ট্যাগ লাগিয়ে জীবন অতিষ্ঠ করে তোলা হয়! দেশে এখন নাকি মতপ্রকাশের অবাধ স্বাধীনতার বাতাস বইছে। কিন্তু পত্রিকা পড়ে কি মনে হয়, যা ঘটছে তার চিত্র ফুটে উঠছে? ভয়ের সংস্কৃতি কি সত্যি দূর হয়েছ
১ দিন আগে