রাশেদ খান মেনন
১০ নভেম্বর ১৯৮৭। এরশাদের সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বুকে-পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান লিখে মিছিলে শরিক হয়েছিলেন এক মেহনতি যুবক নূর হোসেন। বাবা অটোরিকশাচালক। নিজেও বাবাকে সাহায্য করতেন। কিন্তু বাবা ও বড় ভাইয়ের আপত্তি অগ্রাহ্য করে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সাড়া দিতে পিছপা হননি। খালি গায়ে বুকে-পিঠে মিছিলের রণ-হুংকার গণতন্ত্রকে মুক্তি দিতে স্বৈরাচারকে পথ ছেড়ে দিতে হবে। নিপাত ঘটাতে হবে স্বৈরাচারের।আর তাই স্বৈরাচারের পুলিশবাহিনী তাঁর বুক লক্ষ্য করে সরাসরি বুলেট
ছুড়েছিল। শহীদ হয়েছিলেন নূর হোসেন। নূর হোসেনের পর আরও বহু শহীদের রক্তের বিনিময়ে নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী এরশাদের পতন ঘটে। কিন্তু গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছিল কি? প্রথমে তা-ই মনে হয়েছিল।
কিন্তু ছন্দপতন ঘটল ১৯৯১-এর নির্বাচন-পরবর্তী সরকার গঠনের ঘটনায়। তিন জোটের ঘোষণায় বলা হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনা করা হবে। কিন্তু যাত্রার শুরুতেই স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের সমর্থন নিয়ে বিএনপি সরকার গঠন নিশ্চিত করল। বিনিময়ে এক বছরের মাথায় গোলাম আযম জামায়াতের আমির।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি সাহাবুদ্দীন ১৯৭৪-এর প্রিন্টিং অ্যাক্ট পাবলিকেশনসের অ্যাক্ট বাতিল করে গণতন্ত্রের অবিসংবাদিত উপাদান সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে তার ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ তুলে নিয়েছিলেন। সামরিক স্বৈরাচারের ধারক-বাহকদের সম্পর্কে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে তদন্তও শুরু হয়েছিল। কিন্তু গণতন্ত্রের ঢাকনা খুলতেই দুই বড় জোটের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল—কার আগে কে কোন স্বৈরাচারকে দলে ভেড়াতে পারে। সামরিক স্বৈরাচারের জারি করা সব আইন ও বিধি বহাল রয়ে গেল। উল্টো সন্ত্রাস দমন আইনের নামে যে আইন জারি করা হলো, তাতে বিরোধীদের দমনই মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়াল। আর গণতন্ত্রের প্রধান অনুষঙ্গ নির্বাচনের যে পরিণতি নিল, তার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ দেখা গেল মাগুরা উপনির্বাচনে। সরকারি দলের তাণ্ডবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মাগুরা থেকে পালিয়ে বেঁচেছিলেন।
বহু টালবাহানা-টানাহেঁচড়ার পর সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীতে সংসদীয় ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া হলেও প্রধানমন্ত্রীর একক কর্তৃত্ব এবং ৭০ বিধির কোনো সংশোধন করা হলো না। ফলে সংসদীয় ব্যবস্থা পরিণত হলো প্রধানমন্ত্রী-শাসিত ব্যবস্থায়। সংসদ সদস্যদের সিদ্ধান্ত, মতপ্রকাশ বা সেই অনুসারে ভোট প্রদানের ক্ষমতা রইল না। সংসদ সদস্যরা পরিণত হলেন দল-অনুগত সদস্যে।
তার পরের তিন সংসদের ইতিহাসে নূর হোসেনের আকাঙ্ক্ষিত মুক্ত গণতন্ত্র আবার বন্দী হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের পালের গোদা গোলাম আযমের প্রতীকী বিচার করতে গিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে অভিযুক্ত হতে হয়েছে শহীদ জননী জাহানারা ইমামসহ প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবীদের।
এরপর ১৯৯৬-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ে আশার আলো জাগ্রত হয়েছিল। কিন্তু বেশি দিন ধরে রাখা যায়নি। এরপর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রিত্ব দান, সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় সংখ্যালঘুদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ, অপারেশন ক্লিন হার্টে মৃত্যুবরণকারী ও ক্ষতিগ্রস্তদের বিচার পাওয়ার অধিকার বন্ধ করতে ইনডেমনিটি প্রদান, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, নির্বাচনী ব্যবস্থার ধ্বংসসাধন, এক-এগারোর সেনাশাসন, মাইনাস টু থিওরিতে দুই নেত্রীকে গ্রেপ্তার, রাজনীতিবিদদের দুর্নীতির দায়ে বেধড়ক গ্রেপ্তার—গণতন্ত্রকে কার্যত মৃত্যুশয্যায় শায়িত করেছিল। স্বৈরাচার নতুন রূপে আবির্ভূত হয়েছিল।
২০০৮-এর নির্বাচনে গণতন্ত্রের প্রশ্নে নতুন করে আশা জেগে উঠেছিল। কিন্তু যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে জামায়াতের সহিংস বিরোধিতায় নির্বাচনের প্রশ্ন নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের আগুন-সন্ত্রাস, দেশব্যাপী তাণ্ডব এবং সবশেষে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংসদের অধিকাংশ সদস্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন একপেশে ব্যাপারে পরিণত হয় এবং নির্বাচনী ব্যবস্থায় ধস নামে। এই সময়কালে গুমের ঘটনা ঘটেছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।নূর হোসেনের স্মৃতিস্মারকও বিবর্ণ হয়েছে।
১০ নভেম্বর নূর হোসেন দিবস ও জিরো পয়েন্টকে নূর হোসেন স্কয়ারে রূপান্তরিত করা হলেও পোস্টারে পোস্টারে বিবর্ণ সেটা। ১০ নভেম্বর রাজনৈতিক দলগুলো সেখানে মালা দেয় ঠিকই; কিন্তু স্বৈরাচারী ব্যবস্থার অবসান ও গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য নূর হোসেনের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবে অধরাই থেকে গেছে। তারপরও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে শহীদ নূর হোসেন আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন গণতন্ত্রের পথদিশা হিসেবে।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।
১০ নভেম্বর ১৯৮৭। এরশাদের সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বুকে-পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান লিখে মিছিলে শরিক হয়েছিলেন এক মেহনতি যুবক নূর হোসেন। বাবা অটোরিকশাচালক। নিজেও বাবাকে সাহায্য করতেন। কিন্তু বাবা ও বড় ভাইয়ের আপত্তি অগ্রাহ্য করে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সাড়া দিতে পিছপা হননি। খালি গায়ে বুকে-পিঠে মিছিলের রণ-হুংকার গণতন্ত্রকে মুক্তি দিতে স্বৈরাচারকে পথ ছেড়ে দিতে হবে। নিপাত ঘটাতে হবে স্বৈরাচারের।আর তাই স্বৈরাচারের পুলিশবাহিনী তাঁর বুক লক্ষ্য করে সরাসরি বুলেট
ছুড়েছিল। শহীদ হয়েছিলেন নূর হোসেন। নূর হোসেনের পর আরও বহু শহীদের রক্তের বিনিময়ে নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী এরশাদের পতন ঘটে। কিন্তু গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছিল কি? প্রথমে তা-ই মনে হয়েছিল।
কিন্তু ছন্দপতন ঘটল ১৯৯১-এর নির্বাচন-পরবর্তী সরকার গঠনের ঘটনায়। তিন জোটের ঘোষণায় বলা হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনা করা হবে। কিন্তু যাত্রার শুরুতেই স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের সমর্থন নিয়ে বিএনপি সরকার গঠন নিশ্চিত করল। বিনিময়ে এক বছরের মাথায় গোলাম আযম জামায়াতের আমির।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি সাহাবুদ্দীন ১৯৭৪-এর প্রিন্টিং অ্যাক্ট পাবলিকেশনসের অ্যাক্ট বাতিল করে গণতন্ত্রের অবিসংবাদিত উপাদান সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে তার ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ তুলে নিয়েছিলেন। সামরিক স্বৈরাচারের ধারক-বাহকদের সম্পর্কে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে তদন্তও শুরু হয়েছিল। কিন্তু গণতন্ত্রের ঢাকনা খুলতেই দুই বড় জোটের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল—কার আগে কে কোন স্বৈরাচারকে দলে ভেড়াতে পারে। সামরিক স্বৈরাচারের জারি করা সব আইন ও বিধি বহাল রয়ে গেল। উল্টো সন্ত্রাস দমন আইনের নামে যে আইন জারি করা হলো, তাতে বিরোধীদের দমনই মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়াল। আর গণতন্ত্রের প্রধান অনুষঙ্গ নির্বাচনের যে পরিণতি নিল, তার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ দেখা গেল মাগুরা উপনির্বাচনে। সরকারি দলের তাণ্ডবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মাগুরা থেকে পালিয়ে বেঁচেছিলেন।
বহু টালবাহানা-টানাহেঁচড়ার পর সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীতে সংসদীয় ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া হলেও প্রধানমন্ত্রীর একক কর্তৃত্ব এবং ৭০ বিধির কোনো সংশোধন করা হলো না। ফলে সংসদীয় ব্যবস্থা পরিণত হলো প্রধানমন্ত্রী-শাসিত ব্যবস্থায়। সংসদ সদস্যদের সিদ্ধান্ত, মতপ্রকাশ বা সেই অনুসারে ভোট প্রদানের ক্ষমতা রইল না। সংসদ সদস্যরা পরিণত হলেন দল-অনুগত সদস্যে।
তার পরের তিন সংসদের ইতিহাসে নূর হোসেনের আকাঙ্ক্ষিত মুক্ত গণতন্ত্র আবার বন্দী হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের পালের গোদা গোলাম আযমের প্রতীকী বিচার করতে গিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে অভিযুক্ত হতে হয়েছে শহীদ জননী জাহানারা ইমামসহ প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবীদের।
এরপর ১৯৯৬-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ে আশার আলো জাগ্রত হয়েছিল। কিন্তু বেশি দিন ধরে রাখা যায়নি। এরপর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রিত্ব দান, সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় সংখ্যালঘুদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ, অপারেশন ক্লিন হার্টে মৃত্যুবরণকারী ও ক্ষতিগ্রস্তদের বিচার পাওয়ার অধিকার বন্ধ করতে ইনডেমনিটি প্রদান, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, নির্বাচনী ব্যবস্থার ধ্বংসসাধন, এক-এগারোর সেনাশাসন, মাইনাস টু থিওরিতে দুই নেত্রীকে গ্রেপ্তার, রাজনীতিবিদদের দুর্নীতির দায়ে বেধড়ক গ্রেপ্তার—গণতন্ত্রকে কার্যত মৃত্যুশয্যায় শায়িত করেছিল। স্বৈরাচার নতুন রূপে আবির্ভূত হয়েছিল।
২০০৮-এর নির্বাচনে গণতন্ত্রের প্রশ্নে নতুন করে আশা জেগে উঠেছিল। কিন্তু যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে জামায়াতের সহিংস বিরোধিতায় নির্বাচনের প্রশ্ন নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের আগুন-সন্ত্রাস, দেশব্যাপী তাণ্ডব এবং সবশেষে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংসদের অধিকাংশ সদস্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন একপেশে ব্যাপারে পরিণত হয় এবং নির্বাচনী ব্যবস্থায় ধস নামে। এই সময়কালে গুমের ঘটনা ঘটেছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।নূর হোসেনের স্মৃতিস্মারকও বিবর্ণ হয়েছে।
১০ নভেম্বর নূর হোসেন দিবস ও জিরো পয়েন্টকে নূর হোসেন স্কয়ারে রূপান্তরিত করা হলেও পোস্টারে পোস্টারে বিবর্ণ সেটা। ১০ নভেম্বর রাজনৈতিক দলগুলো সেখানে মালা দেয় ঠিকই; কিন্তু স্বৈরাচারী ব্যবস্থার অবসান ও গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য নূর হোসেনের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবে অধরাই থেকে গেছে। তারপরও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে শহীদ নূর হোসেন আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন গণতন্ত্রের পথদিশা হিসেবে।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।
আমার শিক্ষক, শিক্ষাগুরু ও পথপ্রদর্শক প্রফেসর মো. আনিসুর রহমান ৫ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ১৯৭২ সালে আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র, তখন বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য প্রফেসর আনিসুর রহমান তাঁর কমিশনের কর্মপরিধি কিছুটা...
১ দিন আগেগাজীপুরের কোনাবাড়ীতে প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী ৪০ বছরের পুরোনো একটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার সকালে কারখানার মূল ফটকে বন্ধ ঘোষণার নোটিশ সাঁটিয়ে দেওয়া হয়। কারখানাটির নাম পলিকন লিমিটেড।
১ দিন আগেবাংলাদেশে সংবিধানের কী দরকার? কার জন্য দরকার? নাগরিকের জন্য, নাকি রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য? যে সংবিধানে দেশের একজন মানুষের জনগণ থেকে নাগরিক হওয়ার সুযোগ নেই, সেই সংবিধান দিয়ে আমরা কী করব? আমরা যখন জনগণ থেকে নাগরিক হতে যাই, তখন নাগরিক অধিকার সামনে আসে। সংবিধানে আমাদের নাগরিক অধিকার আদৌ আছে? উত্তর জানতে..
১ দিন আগেব্রিটিশ লেবার পার্টির সংসদ সদস্য রূপা হক একটি ব্রিটিশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে এসেছেন। বিটিএমএর এক আয়োজনে অন্য অনেক বিষয়ের সঙ্গে তিনি পরিবারতন্ত্রের ব্যাপারে কিছু কথা বলেছেন। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, তিনি বলেছেন, একজন নেতার কন্যা, আরেকজন নেতার বেগম এবং তাঁদের...
১ দিন আগে