আব্দুর রাজ্জাক
উজ্জয়িনীর সম্রাট ছিলেন বিক্রমাদিত্য। সম্রাট বিক্রমাদিত্যের নবরত্ন সভা ছিল। সেই সময়কার বিখ্যাত ৯ জন পণ্ডিত এই সভাকে অলংকৃত করতেন। সম্রাট বিক্রমাদিত্য এই নবরত্নদের আদেশ-উপদেশ মেনে রাজ্য পরিচালনা করতেন। নবরত্নদের মধ্যে ছিলেন অমর সিংহ, কালিদাস, ক্ষপণক, আর্যভট্ট, ধন্বন্তরি, বরাহমিহির, বররুচি, বেতাল ভট্ট ও শঙ্কু। সম্রাট বিক্রমাদিত্য এই নবরত্নদের খুবই সম্মান করতেন, বলতে গেলে রাজ্য চালনার যা কিছু দরকার, সেসবের বুদ্ধি নিতেন নবরত্নদের কাছ থেকে।
এই নবরত্নদের মধ্যে সবচেয়ে চৌকস ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন পণ্ডিত ছিলেন কালিদাস। সম্রাট বিক্রমাদিত্য সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতেন তাঁকে। কালিদাসের গ্রহণযোগ্যতা যখন তুঙ্গে, কালিদাসের কথা শুনেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সম্রাট বিক্রমাদিত্য রাজ্য চালানোর সিদ্ধান্ত নিতেন, তখন অন্য আট পণ্ডিত বেশ ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়লেন। আট পণ্ডিত নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করলেন—সম্রাট কালিদাসকে এত গুরুত্ব দেন, কালিদাস এতসব প্রত্যুৎপন্নমতি বুদ্ধি কেমন করে সম্রাটকে দেন, সে সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া আরম্ভ করলেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে খুঁজে বের করলেন কালিদাসের ঘরে শুধু মা আছেন, সংসারের কোনো ঝামেলা নেই, কালিদাসের কোনো পিছুটান নেই, শুধু রাজসভায় অংশগ্রহণ করেন এবং বাড়িতে গিয়ে একমনে জ্ঞান সাধনা করতে পারেন। সংসারে মা রান্নাবান্না করে দেন আর কালিদাস জ্ঞান অর্জন করে করে সম্রাটকে বুদ্ধি দেন।
তখন আট পণ্ডিত মনে করলেন, কালিদাসের মনে একটু দুশ্চিন্তা ঢুকিয়ে দিতে হবে। যে কথা সেই কাজ। আট পণ্ডিত কালিদাসের বাড়িতে গিয়ে তাঁর অনুপস্থিতিতে তাঁর মায়ের কাছে অনুরোধ করলেন—আগামী দিন যখন কালিদাস পূজা-অর্চনা শেষ করে রাজসভার দিকে রওনা দেবেন, তখন যেন মা বলেন, ‘কালি চাউল বাড়ন্ত’। কালিদাসের নিরীহ মা তাঁর ছেলের সহকর্মীদের এই অনুরোধ পরদিন সকালে পালন করলেন। কালিদাস রাজসভায় যাওয়ার সময় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়লেন—দুপুরবেলা এসে কী খাবেন, মা কী খাবেন, তাহলে মা আগে কেন বলেননি চাউল বাড়ন্ত! একটা কথা বলে রাখি, এখনো চাল শেষ হয়ে গেলে ব্রাহ্মণ বা সনাতনী পরিবারে বলে, ‘চাউল বাড়ন্ত’। এর অর্থ দাঁড়ায়, চাল নেই। সেদিন কালিদাস রাজসভায় রাজার বিভিন্ন সমস্যার ভালো কোনো উত্তর দিতে পারলেন না। অন্য আট পণ্ডিত অনেক প্রশ্নের উত্তর দিলেন। সভা শেষে আট পণ্ডিত নিজেদের মধ্যে বলাবলি করলেন, ঘরে চাউল বাড়ন্ত থাকলে আসলেই মাথায় অনেক ভালো বুদ্ধি আসে না, সবার আগে দরকার নিজের সংসারের অভাব-অনটন থেকে মুক্ত থাকা।
এই গল্প বলার অর্থ এই যে, আমরা যদি আমাদের বাস্তব জীবনে ভালো কিছু করতে চাই, সেটা হোক নিজের পরিবারের জন্য, হোক সমাজের জন্য অথবা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য, দরকার মোটামুটি সচ্ছল একটি অবস্থা। উল্লিখিত গল্পে চালের কথা বলা হয়েছে এ কারণে যে, আমাদের দেশের প্রধান খাদ্য চাল। তবে আরও অনেক কিছুই দরকার সংসার পরিচালনা বা সাধারণ জীবন ধারণের জন্য। চাল যেমন দরকার, আটা তেমনি দরকার, ভোজ্যতেল, চিনিসহ যাবতীয় তরিতরকারি—বেঁচে থাকার জন্য যা যা দরকার, সবকিছুই যেন হাতের কাছে পাওয়া যায়, সেই রকম ব্যবস্থা থাকা দরকার। এসবের যদি কোনো রকম ঘাটতি থাকে, তাহলে মানুষের জীবনে ছন্দপতন ঘটে, সুস্থ চিন্তা করা যায় না, ভালো কিছু মস্তিষ্ক থেকে প্রসূত হয় না।
আধুনিক যুগে শুধু খাবারের ব্যবস্থা করলেই সংসারের সব চাহিদা পূরণ হয় না। ভোগ্যপণ্যের চাহিদা পূরণের পরে দরকার স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করা। অর্থাৎ, সামাজিক নিরাপত্তা, যেটা আমাদের সমাজে বর্তমানে অনেকটাই ঘাটতির মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে দেশে মোটামুটি আরম্ভ হয়ে গেছে বিদ্যুতের সমস্যা। এখন বিদ্যুতের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম। যখন মার্চ-এপ্রিলের দিকে গরম শুরু হবে, তখন বিদ্যুতের চাহিদা বেশ বেড়ে যাবে। তখন কিন্তু দরকার হবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। এক দিনে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় না, বেশ আগে থেকেই এই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হয়। সেই রকম কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।
মার্চ মাস থেকে শুরু হবে রোজা। বিশেষ করে আমাদের সমাজে রোজার সময় চাই ভোগ্যপণ্য অর্থাৎ, খাদ্যপণ্যের সহজ সরবরাহ ও সুলভ মূল্যে প্রাপ্তি। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেই সময় দরকার হবে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে চার মাস হয়ে গেল। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসের দিকে সময়টা হবে ৯ মাস। সেই সময় যদি পূর্ববর্তী সরকারকে দোষ দেওয়া হয় সবকিছুর অপ্রতুলতার জন্য, তাহলে হয়তো জনগণ সেটা মেনে নেবে না।
একেবারেই সাধারণ মানুষ যারা সাধারণ জীবনযাপন করে সীমিত আয়ে, অর্থাৎ দিন আনে দিন খায়, যেসব মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬০ ভাগ, তারা কিন্তু দ্রব্যমূল্যের কশাঘাতে খুবই বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে। যদি অদূর ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতির
উন্নতি না ঘটে, তাহলে কিন্তু জনরোষ বাড়বে। যত কিছুই বলুন না কেন, ওই যে প্রথমেই বললাম ‘চাউল বাড়ন্ত’ অর্থাৎ, যদি কোনো কিছুর ঘাটতি থাকে বা না থাকে, তাহলে কিন্তু সৎ-ভালো চিন্তা করার ক্ষমতা মানুষ হারিয়ে ফেলে। তাই দেশ গঠনের জন্য প্রথমেই দরকার হবে নিত্যপণ্যের সহজলভ্যতা ও সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহের ব্যবস্থা।
কয়েক দিন যাবৎ বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট দেখা দিয়েছে। আলুর কেজি ৮০ টাকা এই ভরা শীতের মৌসুমেও, তরিতরকারির দাম গত বছরের চেয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৫০ ভাগ বেশি। মানুষ কিন্তু আর পেরে উঠছে না। মানুষের আয় একেবারেই বাড়েনি, অনেক ক্ষেত্রে কমেছে, অনেক শ্রমিক বেকার হয়েছেন।
এসব সমস্যা নিয়ে আলোচনার অর্থ হলো, যাঁরা দেশ পরিচালনা করছেন, তাঁরা যেন মানুষের মনের ভাষা পড়তে পারেন। মানুষের মনের ভাষা, চাহিদার ভাষা পড়ে বাস্তব চিত্র অনুধাবন করে অগ্রসর হোন। সবারই মনে রাখতে হবে জনরোষের কথা, যা মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে সৃষ্টি হয়। অতএব সরকারের উচিত আগে থেকেই সতর্ক হওয়া। সময় থাকতে সবকিছু গুছিয়ে রাখাই ভালো। আশা করি, সবাই সবার দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করবেন। সাধারণ মানুষকে যেন তার দৈনন্দিন কাজের বাইরে কোনো কিছু চিন্তা করতে না হয়, সেদিকে লক্ষ রেখেই সমাজব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।
উজ্জয়িনীর সম্রাট ছিলেন বিক্রমাদিত্য। সম্রাট বিক্রমাদিত্যের নবরত্ন সভা ছিল। সেই সময়কার বিখ্যাত ৯ জন পণ্ডিত এই সভাকে অলংকৃত করতেন। সম্রাট বিক্রমাদিত্য এই নবরত্নদের আদেশ-উপদেশ মেনে রাজ্য পরিচালনা করতেন। নবরত্নদের মধ্যে ছিলেন অমর সিংহ, কালিদাস, ক্ষপণক, আর্যভট্ট, ধন্বন্তরি, বরাহমিহির, বররুচি, বেতাল ভট্ট ও শঙ্কু। সম্রাট বিক্রমাদিত্য এই নবরত্নদের খুবই সম্মান করতেন, বলতে গেলে রাজ্য চালনার যা কিছু দরকার, সেসবের বুদ্ধি নিতেন নবরত্নদের কাছ থেকে।
এই নবরত্নদের মধ্যে সবচেয়ে চৌকস ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন পণ্ডিত ছিলেন কালিদাস। সম্রাট বিক্রমাদিত্য সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতেন তাঁকে। কালিদাসের গ্রহণযোগ্যতা যখন তুঙ্গে, কালিদাসের কথা শুনেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সম্রাট বিক্রমাদিত্য রাজ্য চালানোর সিদ্ধান্ত নিতেন, তখন অন্য আট পণ্ডিত বেশ ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়লেন। আট পণ্ডিত নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করলেন—সম্রাট কালিদাসকে এত গুরুত্ব দেন, কালিদাস এতসব প্রত্যুৎপন্নমতি বুদ্ধি কেমন করে সম্রাটকে দেন, সে সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া আরম্ভ করলেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে খুঁজে বের করলেন কালিদাসের ঘরে শুধু মা আছেন, সংসারের কোনো ঝামেলা নেই, কালিদাসের কোনো পিছুটান নেই, শুধু রাজসভায় অংশগ্রহণ করেন এবং বাড়িতে গিয়ে একমনে জ্ঞান সাধনা করতে পারেন। সংসারে মা রান্নাবান্না করে দেন আর কালিদাস জ্ঞান অর্জন করে করে সম্রাটকে বুদ্ধি দেন।
তখন আট পণ্ডিত মনে করলেন, কালিদাসের মনে একটু দুশ্চিন্তা ঢুকিয়ে দিতে হবে। যে কথা সেই কাজ। আট পণ্ডিত কালিদাসের বাড়িতে গিয়ে তাঁর অনুপস্থিতিতে তাঁর মায়ের কাছে অনুরোধ করলেন—আগামী দিন যখন কালিদাস পূজা-অর্চনা শেষ করে রাজসভার দিকে রওনা দেবেন, তখন যেন মা বলেন, ‘কালি চাউল বাড়ন্ত’। কালিদাসের নিরীহ মা তাঁর ছেলের সহকর্মীদের এই অনুরোধ পরদিন সকালে পালন করলেন। কালিদাস রাজসভায় যাওয়ার সময় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়লেন—দুপুরবেলা এসে কী খাবেন, মা কী খাবেন, তাহলে মা আগে কেন বলেননি চাউল বাড়ন্ত! একটা কথা বলে রাখি, এখনো চাল শেষ হয়ে গেলে ব্রাহ্মণ বা সনাতনী পরিবারে বলে, ‘চাউল বাড়ন্ত’। এর অর্থ দাঁড়ায়, চাল নেই। সেদিন কালিদাস রাজসভায় রাজার বিভিন্ন সমস্যার ভালো কোনো উত্তর দিতে পারলেন না। অন্য আট পণ্ডিত অনেক প্রশ্নের উত্তর দিলেন। সভা শেষে আট পণ্ডিত নিজেদের মধ্যে বলাবলি করলেন, ঘরে চাউল বাড়ন্ত থাকলে আসলেই মাথায় অনেক ভালো বুদ্ধি আসে না, সবার আগে দরকার নিজের সংসারের অভাব-অনটন থেকে মুক্ত থাকা।
এই গল্প বলার অর্থ এই যে, আমরা যদি আমাদের বাস্তব জীবনে ভালো কিছু করতে চাই, সেটা হোক নিজের পরিবারের জন্য, হোক সমাজের জন্য অথবা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য, দরকার মোটামুটি সচ্ছল একটি অবস্থা। উল্লিখিত গল্পে চালের কথা বলা হয়েছে এ কারণে যে, আমাদের দেশের প্রধান খাদ্য চাল। তবে আরও অনেক কিছুই দরকার সংসার পরিচালনা বা সাধারণ জীবন ধারণের জন্য। চাল যেমন দরকার, আটা তেমনি দরকার, ভোজ্যতেল, চিনিসহ যাবতীয় তরিতরকারি—বেঁচে থাকার জন্য যা যা দরকার, সবকিছুই যেন হাতের কাছে পাওয়া যায়, সেই রকম ব্যবস্থা থাকা দরকার। এসবের যদি কোনো রকম ঘাটতি থাকে, তাহলে মানুষের জীবনে ছন্দপতন ঘটে, সুস্থ চিন্তা করা যায় না, ভালো কিছু মস্তিষ্ক থেকে প্রসূত হয় না।
আধুনিক যুগে শুধু খাবারের ব্যবস্থা করলেই সংসারের সব চাহিদা পূরণ হয় না। ভোগ্যপণ্যের চাহিদা পূরণের পরে দরকার স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করা। অর্থাৎ, সামাজিক নিরাপত্তা, যেটা আমাদের সমাজে বর্তমানে অনেকটাই ঘাটতির মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে দেশে মোটামুটি আরম্ভ হয়ে গেছে বিদ্যুতের সমস্যা। এখন বিদ্যুতের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম। যখন মার্চ-এপ্রিলের দিকে গরম শুরু হবে, তখন বিদ্যুতের চাহিদা বেশ বেড়ে যাবে। তখন কিন্তু দরকার হবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। এক দিনে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় না, বেশ আগে থেকেই এই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হয়। সেই রকম কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।
মার্চ মাস থেকে শুরু হবে রোজা। বিশেষ করে আমাদের সমাজে রোজার সময় চাই ভোগ্যপণ্য অর্থাৎ, খাদ্যপণ্যের সহজ সরবরাহ ও সুলভ মূল্যে প্রাপ্তি। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেই সময় দরকার হবে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে চার মাস হয়ে গেল। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসের দিকে সময়টা হবে ৯ মাস। সেই সময় যদি পূর্ববর্তী সরকারকে দোষ দেওয়া হয় সবকিছুর অপ্রতুলতার জন্য, তাহলে হয়তো জনগণ সেটা মেনে নেবে না।
একেবারেই সাধারণ মানুষ যারা সাধারণ জীবনযাপন করে সীমিত আয়ে, অর্থাৎ দিন আনে দিন খায়, যেসব মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬০ ভাগ, তারা কিন্তু দ্রব্যমূল্যের কশাঘাতে খুবই বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে। যদি অদূর ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতির
উন্নতি না ঘটে, তাহলে কিন্তু জনরোষ বাড়বে। যত কিছুই বলুন না কেন, ওই যে প্রথমেই বললাম ‘চাউল বাড়ন্ত’ অর্থাৎ, যদি কোনো কিছুর ঘাটতি থাকে বা না থাকে, তাহলে কিন্তু সৎ-ভালো চিন্তা করার ক্ষমতা মানুষ হারিয়ে ফেলে। তাই দেশ গঠনের জন্য প্রথমেই দরকার হবে নিত্যপণ্যের সহজলভ্যতা ও সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহের ব্যবস্থা।
কয়েক দিন যাবৎ বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট দেখা দিয়েছে। আলুর কেজি ৮০ টাকা এই ভরা শীতের মৌসুমেও, তরিতরকারির দাম গত বছরের চেয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৫০ ভাগ বেশি। মানুষ কিন্তু আর পেরে উঠছে না। মানুষের আয় একেবারেই বাড়েনি, অনেক ক্ষেত্রে কমেছে, অনেক শ্রমিক বেকার হয়েছেন।
এসব সমস্যা নিয়ে আলোচনার অর্থ হলো, যাঁরা দেশ পরিচালনা করছেন, তাঁরা যেন মানুষের মনের ভাষা পড়তে পারেন। মানুষের মনের ভাষা, চাহিদার ভাষা পড়ে বাস্তব চিত্র অনুধাবন করে অগ্রসর হোন। সবারই মনে রাখতে হবে জনরোষের কথা, যা মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে সৃষ্টি হয়। অতএব সরকারের উচিত আগে থেকেই সতর্ক হওয়া। সময় থাকতে সবকিছু গুছিয়ে রাখাই ভালো। আশা করি, সবাই সবার দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করবেন। সাধারণ মানুষকে যেন তার দৈনন্দিন কাজের বাইরে কোনো কিছু চিন্তা করতে না হয়, সেদিকে লক্ষ রেখেই সমাজব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।
বড়দিনের সপ্তাহ চলছে। গতকাল সারা বিশ্বেই পালিত হয়েছে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব। আমাদের দেশেও শহর ছাড়িয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে আনন্দের বার্তা নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল বড়দিন। আমারও বেশ কয়েকবার সৌভাগ্য হয়েছে একবারে গ্রামে হাজার হাজার খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীর মাঝে বড়দিনের উৎসবে অংশ নেওয়ার। এর মধ্যে রয়েছে বরি
১৭ ঘণ্টা আগেমারপ্যাঁচ বাংলা ভাষার একটি অতিপরিচিত শব্দ। এ শব্দটির কবলে পড়েনি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যে ভারি মুশকিল এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। যাপিত জীবনে কখনো কখনো আমরা অন্যের কথার মারপ্যাঁচে পড়েছি, আবার কখনো নিজের কথার মারপ্যাঁচ দিয়ে উদ্দেশ্যও হাসিল করেছি।
১৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের রাজনীতিতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা দীর্ঘদিন ধরে চললেও ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর এই আলোচনা ভিন্নমাত্রা পেয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিগুলো কাজ করছে।
১৮ ঘণ্টা আগেবীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা গলায় দিয়ে লাঞ্ছিত করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এই দুর্বৃত্তরা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করেন বলে খবরে প্রকাশ। তাঁরা এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এলাকাছাড়া করেছেন। বর্ষীয়ান এই মুক্তিযোদ্ধা একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। তাঁর কথা শুনতে শুনতে মনে হলো, অপমান কি তাঁকে করা হলো, ন
২ দিন আগে