ওমর শেহাব
মার্চ মাস চলছে। এখনো লাখ লাখ শিক্ষার্থী তাদের সম্পূর্ণ পাঠ্যপুস্তক পায়নি। এটিকে যদি আমরা জাতীয় জরুরি অবস্থা না বলি, তাহলে আর কোনটাকে বলব? শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। প্রথম দিকে আমরা দেখলাম বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সমন্বয়কদের নামে হেনস্তা করা হচ্ছে। সরকার সেটি ঠেকাতে পারেনি, কেবল কিছু দাপ্তরিক চিঠি দিয়ে দায় সেরেছে। এরপর এখন আবার শুরু হয়েছে শিক্ষাঙ্গনে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের মধ্যে মারামারি। যথারীতি সরকার সেটিও ঠেকাতে পারছে না। ঢাকার কিছু কলেজে কয়েক দিন ধরে ঘোষণা দিয়ে মারপিট হলো, কিন্তু সরকার কিছু করল না। এত রক্তারক্তির মধ্যে তাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা যে বই না পেয়ে বসে আছে, সেটি নিয়ে মানুষের খুব বেশি বিচলিত হওয়ার কথাও নয়। পাঠ্যবই বিতরণের এই ভয়াবহ ব্যর্থতা কেবল শিক্ষা উপদেষ্টা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার অযোগ্যতা নয়, বরং সরকারের অভ্যন্তরের দুর্নীতিও প্রকাশ করছে। পাঠ্যপুস্তক সমন্বয় কমিটি, যারা সময়মতো সরবরাহ নিশ্চিত করার দায়িত্বে ছিল, তারা তাদের সম্পূর্ণ অক্ষমতা প্রমাণ করেছে। আমরা কেউই জানি না, কারা এই পাঠ্যবই সংস্কারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের কার্যতালিকা ও কর্মপরিধি কী ছিল, কত দিন ধরে কাজ করেছেন, কী কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেনই-বা তাঁরা বইগুলো সঠিক সময়ে বিতরণ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারলেন না।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রশাসনের ব্যর্থতা কেবল পাঠ্যপুস্তক বিতরণেই সীমাবদ্ধ নয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিও প্রমাণ করে যে সরকার সুশাসন বজায় রাখতে পুরোপুরি ব্যর্থ। অপরাধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা দেশটিকে আরও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। মূল্যস্ফীতির হার কমাতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে, যার ফলে সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন জীবনে চরম কষ্ট ভোগ করছে।
পাঠ্যপুস্তক বিতরণের এই ব্যর্থতা শেখ হাসিনা সরকারের নতুন পাঠ্যক্রম বাস্তবায়নের সময়কার অব্যবস্থাপনাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। এটি এখন স্থগিত। একসময় এটিতে বিষয় বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমি জড়িত থাকায় ভেতর থেকে এসব কাজের পদ্ধতি দেখার কিছুটা সুযোগ হয়েছিল। সেই শিক্ষাক্রম ছিল প্রযুক্তিগত ও সাংস্কৃতিকভাবে ভিন্ন। কাজেই এটি বাস্তবায়নের কাজ শুধু মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওপর ন্যস্ত থাকার কথা না। যেহেতু এটি আমাদের শিক্ষক ও অভিভাবকদের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতায় পরিবর্তন এনেছিল, শেখ হাসিনা সরকারের উচিত ছিল একদম সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সরকারের সব অংশকে সুসংহতভাবে কাজে লাগানো। সেটি করা হয়নি, যে কারণে আমরা বিভিন্ন মন্ত্রীর মধ্যে এ নিয়ে যোগাযোগহীনতা দেখেছি। স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদেরও কোনো রকম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়নি, অথচ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি তারাই চালান। এখন ড. ইউনূস সরকার একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করছেন—তাঁর অগ্রহণযোগ্য নিষ্ক্রিয়তা ও জরুরি পদক্ষেপের অভাব শেখ হাসিনার শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার কার্যকর করতে ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি ছাড়া আর কী বলব!
পত্রিকায় যেসব খবর দেখছি, তা লজ্জাজনক। কালোবাজারিরা শিক্ষার্থীদের আগেই বই পেয়েছে—এটি শুধু কষ্টের নয়, এটি একটি জাতীয় কেলেঙ্কারি। আমাদের সন্তানেরা কী দেখল? যাদের টাকা আছে, তারা পাঠ্যবই আগে পাবে। এতে তাদের মন কি ছোট হয়ে যায়নি? এভাবে যদি আমরা জীবনের শুরুতেই তাদের স্বপ্নগুলো ভেঙে দিই, তারা কীভাবে দেশ পাল্টানোর স্বপ্ন দেখবে? প্রশাসনের ভেতরে কারা এই ‘ডেভিল’, যারা এটি হতে দিল? ড. ইউনূস, আপনি কি এই দুর্নীতির তদন্ত করবেন, নাকি এটিও অন্য অনেক ব্যর্থতার মতো ধামাচাপা পড়ে যাবে?
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখন চরম সংকটে, যেখানে শিক্ষার্থীদের শাস্তি পেতে হচ্ছে নেতাদের ব্যর্থতার কারণে। সরকারের অযোগ্যতা ও দুর্নীতি শুধু একটি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে না—এটি দেশের ভবিষ্যৎকেই ধ্বংস করছে।
ড. ইউনূস, আমরা জানতে চাই, আপনি কতবার শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন? উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কতবার এই প্রসঙ্গটি তুলেছেন? কতবার প্রতিবেদন চেয়েছেন? আপনি কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? যদি না নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনিও এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী।
আমি চাই, সরকার এই সংকটের বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করুক, যার মধ্যে থাকবে:
ক. শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বচ্ছ দিনলিপি।
খ. কীভাবে এবং কেন পাঠ্যপুস্তক উৎপাদনে দেরি হলো, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা।
গ. কালোবাজারি কার্যক্রমে জড়িত সমস্ত ব্যক্তির তালিকা।
ঘ. যাতে ভবিষ্যতে এ সমস্যা না হয়, সে বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা।
আমাদের সন্তানেরা যে এখনো পাঠ্যবই পেল না, এটি একটি জাতীয় জরুরি অবস্থা। সরকার দেশের শিশুদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। যদি এই সমস্যা অবিলম্বে সমাধান করা না হয়, তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ড. ইউনূস, আপনার এখনই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করুন, দায়ীদের বরখাস্ত করুন এবং একটি জরুরি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করুন, যাতে প্রত্যেক শিক্ষার্থী দ্রুত তাদের পাঠ্যপুস্তক পেতে পারে। শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টারা সুযোগ পেয়েছেন এবং তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন। এখন আপনার দায়িত্ব এই বিশৃঙ্খলা দূর করা।
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা আর অপেক্ষা করতে পারে না। পাঠ্যপুস্তক এখনই বিতরণ করুন।
লেখক: ওমর শেহাব,তত্ত্বীয় কোয়ান্টাম কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও গবেষক
মার্চ মাস চলছে। এখনো লাখ লাখ শিক্ষার্থী তাদের সম্পূর্ণ পাঠ্যপুস্তক পায়নি। এটিকে যদি আমরা জাতীয় জরুরি অবস্থা না বলি, তাহলে আর কোনটাকে বলব? শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। প্রথম দিকে আমরা দেখলাম বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সমন্বয়কদের নামে হেনস্তা করা হচ্ছে। সরকার সেটি ঠেকাতে পারেনি, কেবল কিছু দাপ্তরিক চিঠি দিয়ে দায় সেরেছে। এরপর এখন আবার শুরু হয়েছে শিক্ষাঙ্গনে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের মধ্যে মারামারি। যথারীতি সরকার সেটিও ঠেকাতে পারছে না। ঢাকার কিছু কলেজে কয়েক দিন ধরে ঘোষণা দিয়ে মারপিট হলো, কিন্তু সরকার কিছু করল না। এত রক্তারক্তির মধ্যে তাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা যে বই না পেয়ে বসে আছে, সেটি নিয়ে মানুষের খুব বেশি বিচলিত হওয়ার কথাও নয়। পাঠ্যবই বিতরণের এই ভয়াবহ ব্যর্থতা কেবল শিক্ষা উপদেষ্টা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার অযোগ্যতা নয়, বরং সরকারের অভ্যন্তরের দুর্নীতিও প্রকাশ করছে। পাঠ্যপুস্তক সমন্বয় কমিটি, যারা সময়মতো সরবরাহ নিশ্চিত করার দায়িত্বে ছিল, তারা তাদের সম্পূর্ণ অক্ষমতা প্রমাণ করেছে। আমরা কেউই জানি না, কারা এই পাঠ্যবই সংস্কারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের কার্যতালিকা ও কর্মপরিধি কী ছিল, কত দিন ধরে কাজ করেছেন, কী কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেনই-বা তাঁরা বইগুলো সঠিক সময়ে বিতরণ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারলেন না।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রশাসনের ব্যর্থতা কেবল পাঠ্যপুস্তক বিতরণেই সীমাবদ্ধ নয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিও প্রমাণ করে যে সরকার সুশাসন বজায় রাখতে পুরোপুরি ব্যর্থ। অপরাধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা দেশটিকে আরও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। মূল্যস্ফীতির হার কমাতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে, যার ফলে সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন জীবনে চরম কষ্ট ভোগ করছে।
পাঠ্যপুস্তক বিতরণের এই ব্যর্থতা শেখ হাসিনা সরকারের নতুন পাঠ্যক্রম বাস্তবায়নের সময়কার অব্যবস্থাপনাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। এটি এখন স্থগিত। একসময় এটিতে বিষয় বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমি জড়িত থাকায় ভেতর থেকে এসব কাজের পদ্ধতি দেখার কিছুটা সুযোগ হয়েছিল। সেই শিক্ষাক্রম ছিল প্রযুক্তিগত ও সাংস্কৃতিকভাবে ভিন্ন। কাজেই এটি বাস্তবায়নের কাজ শুধু মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওপর ন্যস্ত থাকার কথা না। যেহেতু এটি আমাদের শিক্ষক ও অভিভাবকদের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতায় পরিবর্তন এনেছিল, শেখ হাসিনা সরকারের উচিত ছিল একদম সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সরকারের সব অংশকে সুসংহতভাবে কাজে লাগানো। সেটি করা হয়নি, যে কারণে আমরা বিভিন্ন মন্ত্রীর মধ্যে এ নিয়ে যোগাযোগহীনতা দেখেছি। স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদেরও কোনো রকম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়নি, অথচ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি তারাই চালান। এখন ড. ইউনূস সরকার একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করছেন—তাঁর অগ্রহণযোগ্য নিষ্ক্রিয়তা ও জরুরি পদক্ষেপের অভাব শেখ হাসিনার শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার কার্যকর করতে ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি ছাড়া আর কী বলব!
পত্রিকায় যেসব খবর দেখছি, তা লজ্জাজনক। কালোবাজারিরা শিক্ষার্থীদের আগেই বই পেয়েছে—এটি শুধু কষ্টের নয়, এটি একটি জাতীয় কেলেঙ্কারি। আমাদের সন্তানেরা কী দেখল? যাদের টাকা আছে, তারা পাঠ্যবই আগে পাবে। এতে তাদের মন কি ছোট হয়ে যায়নি? এভাবে যদি আমরা জীবনের শুরুতেই তাদের স্বপ্নগুলো ভেঙে দিই, তারা কীভাবে দেশ পাল্টানোর স্বপ্ন দেখবে? প্রশাসনের ভেতরে কারা এই ‘ডেভিল’, যারা এটি হতে দিল? ড. ইউনূস, আপনি কি এই দুর্নীতির তদন্ত করবেন, নাকি এটিও অন্য অনেক ব্যর্থতার মতো ধামাচাপা পড়ে যাবে?
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখন চরম সংকটে, যেখানে শিক্ষার্থীদের শাস্তি পেতে হচ্ছে নেতাদের ব্যর্থতার কারণে। সরকারের অযোগ্যতা ও দুর্নীতি শুধু একটি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে না—এটি দেশের ভবিষ্যৎকেই ধ্বংস করছে।
ড. ইউনূস, আমরা জানতে চাই, আপনি কতবার শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন? উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কতবার এই প্রসঙ্গটি তুলেছেন? কতবার প্রতিবেদন চেয়েছেন? আপনি কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? যদি না নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনিও এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী।
আমি চাই, সরকার এই সংকটের বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করুক, যার মধ্যে থাকবে:
ক. শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বচ্ছ দিনলিপি।
খ. কীভাবে এবং কেন পাঠ্যপুস্তক উৎপাদনে দেরি হলো, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা।
গ. কালোবাজারি কার্যক্রমে জড়িত সমস্ত ব্যক্তির তালিকা।
ঘ. যাতে ভবিষ্যতে এ সমস্যা না হয়, সে বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা।
আমাদের সন্তানেরা যে এখনো পাঠ্যবই পেল না, এটি একটি জাতীয় জরুরি অবস্থা। সরকার দেশের শিশুদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। যদি এই সমস্যা অবিলম্বে সমাধান করা না হয়, তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ড. ইউনূস, আপনার এখনই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করুন, দায়ীদের বরখাস্ত করুন এবং একটি জরুরি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করুন, যাতে প্রত্যেক শিক্ষার্থী দ্রুত তাদের পাঠ্যপুস্তক পেতে পারে। শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টারা সুযোগ পেয়েছেন এবং তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন। এখন আপনার দায়িত্ব এই বিশৃঙ্খলা দূর করা।
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা আর অপেক্ষা করতে পারে না। পাঠ্যপুস্তক এখনই বিতরণ করুন।
লেখক: ওমর শেহাব,তত্ত্বীয় কোয়ান্টাম কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও গবেষক
দেশের সংবিধান, পুলিশ, স্থানীয় সরকার, নির্বাচন, বিচারব্যবস্থাসহ বিভিন্ন খাতে সংস্কারের নানা আলাপ হয়েছে, হচ্ছে। কিন্তু এই সময়ে অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে খুব বেশি কিছু করা হয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারেরই গঠন করা শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৯ ঘণ্টা আগেঈশ্বরকে এখনো বুঝে উঠতে পারিনি আমরা। এ কারণে মানবদেহ থাকলেও মনুষ্যত্ব, মানবিকতা নেই কিংবা মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি। ঈশ্বরকে বোঝার জন্য আমরা দায়বদ্ধ নই, যদিও আমাদের দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গটি এখানে আসার কথা ছিল না। শব্দটি প্রযোজ্য নয় এখানে। কিন্তু জন্ম, মৃত্যু ও ধর্মকে পুঁজি করে এক অদৃশ্য নাগপাশে বাঁধা পড়ে
১৯ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ও কার্যপরিধি নিয়ে রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজে আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। এক অংশ মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার শুধু নির্বাচন পরিচালনার জন্য যথেষ্ট নয়; বিচার বিভাগে সংস্কার, হাসিনা সরকারের হত্যা-নির্যাতন, গুম-খুন ও দুর্নীতির বিচার, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষকরণসহ নানা
১৯ ঘণ্টা আগেঢাকা শহরে পরিবহনের অব্যবস্থাপনার কারণে নগরবাসী কাহিল অনেক আগে থেকেই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যানজটের অসহনীয় যন্ত্রণা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বর্তমান সরকারের কিছু উদ্যোগ গ্রহণের কারণে মানুষ আশার আলো দেখতে পেলেও সময়ের সঙ্গে সেই আশাও নিরাশায় পরিণত হয়েছে। মূলত পরিবহনমালিক ও নেতাদের অসহযোগিতার কারণে
১৯ ঘণ্টা আগে