জাহীদ রেজা নূর
যুদ্ধ চলাকালে সংবাদপত্রে সেন্সরশিপ আরোপ ও তার মধ্যে কাজ করা নিয়ে একটু কথা বলে নেওয়া যাক।
অবরুদ্ধ বাংলার জীবন ছিল বিচিত্র। দুই ধরনের মনোভঙ্গি গড়ে উঠেছিল সে সময়ের নাগরিকদের মধ্যে। একটি হলো, প্রতি মুহূর্তে ছিল অনিশ্চয়তা। কখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হতে হবে কিংবা নিহত হতে হবে, তা ছিল অজানা। অন্যটি হলো, মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও গোপন প্রতিরোধের খবর পেয়ে মনে আশার প্রদীপ জ্বেলে আলোকিত ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করা।
সংবাদপত্রগুলোর ওপর যে সেন্সরশিপ আরোপ করা হয়েছিল, তা পাঠকের জন্য প্রকৃত সংবাদ খুঁজে নেওয়াকে কঠিন করে তুলেছিল। আগেই বলেছি, ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশন্স বা আইএসপিআরের দায়িত্বে ছিলেন মেজর সিদ্দিক সালিক। তবে এর সর্বোচ্চ কর্তা ছিলেন জেনারেল রাও ফরমান আলী। যিনি অপারেশন সার্চলাইটের সময় ঢাকার হত্যাযজ্ঞে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।
১৯৭১ সালের ১ সেপ্টেম্বর টিক্কা খানের বদলে ডা. আবদুল মোত্তালিব মালিক যখন দায়িত্বভার গ্রহণ করেন, তার আগপর্যন্ত ৭৭ নম্বর সামরিক বিধির মাধ্যমে সংবাদপত্র প্রকাশ করা হতো। ১ সেপ্টেম্বর ৮৯ নম্বর সামরিক বিধি জারি হয়। স্বাধীনতার আগপর্যন্ত এই বিধিমতেই সংবাদপত্র প্রকাশিত হতো।
সরকারি গণমাধ্যম এপিপি পরিবেশিত সংবাদ ও প্রতিবেদন ছাড়া বাকি সবকিছুই ছিল সেন্সরশিপের আওতায়। সংবাদপত্রে কোন বিষয়টি প্রকাশিত হচ্ছে, তার প্রতিটি আইটেম লকবুকে এন্ট্রি করতে হতো। কোনটি অনুমোদিত এবং কোনটি বাতিল তা উল্লেখ করা হতো। অনুমোদিত হলে ‘পাস্ড’ বা ‘ইয়েস’ সিল দেওয়া হতো। বাতিল হলে সে সংবাদে সিল দেওয়া হতো ‘নো’।
২৬ মার্চ যখন সামরিক বিধি জারি হয়, তখন পত্রিকাগুলো প্রকাশের অনুমতি দেওয়া হয়। শুরুতে যে পত্রিকাগুলো প্রকাশের অনুমতি পায়, সেগুলো ছিল পাকিস্তানপন্থী। যেমন হামিদুল হক চৌধুরীর মালিকানায় প্রকাশিত অবজারভার ও পূর্বদেশ পত্রিকা প্রকাশিত হতে থাকে ২৯ মার্চ থেকে। ট্রাস্টের পত্রিকা দৈনিক পাকিস্তান প্রকাশিত হয় ৩০ মার্চ থেকে। আরও কিছু পত্রিকা এপ্রিলে প্রকাশ পেতে শুরু করলেও দ্য পিপল ও দৈনিক সংবাদ এ সময় আর প্রকাশিত হয়নি। জামায়াতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম ছিল পাকিস্তান সরকারের খুবই আস্থাভাজন। সেন্সরশিপের কারণে অন্যান্য পত্রিকায় বহু সংবাদ ‘নো’ তকমা পেলেও দৈনিক সংগ্রামের জন্য ‘ইয়েস’ই ছিল বেশি।
সে সময় সংবাদপত্রে কর্তৃপক্ষের তৈরি করা সংবাদও ছাপতে হতো। এগুলোর সূত্র ছিল সরকারি গণমাধ্যম এপিপি। রয়টার্সের সংবাদও কিছু কিছু ছাপা হতো।
সরকার সংবাদপত্রকে যে পরামর্শ দিত, সেটাও এখানে উল্লেখ করা যায়। সাংবাদিক হেদায়েত হোসেন মোরশেদ তাঁর ‘অবরুদ্ধ সংবাদপত্র ৭১ এবং স্বাধীনতাযুদ্ধে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর রণনীতি ও রণকৌশল’ নামের বইয়ে লিখেছেন,
১৩ জুলাই ১৯৭১
১. কাউকে চাবকানো হচ্ছে অথবা ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে এ ধরনের ভীতি উদ্রেককারী কোনো ছবি তা দেশি হোক কিংবা বিদেশি হোক, পত্রিকায় ছাপা যাবে না।
২. বিস্ফোরণের খবর ছাপা যাবে না। কোনো ছবি যাবে না। সরকার প্রদত্ত খবর ও ছবি ছাড়া (যদি প্রদান করা হয়) এ সম্পর্কে অন্য কোনো খবর বা ছবি ছাপা যাবে না। এ ব্যাপারে পরবর্তী পর্যায়ে আরও বিস্তৃত ব্যাখ্যামূলক বক্তব্য জানানো হবে।
৩. আগে তথাকথিত লিখলেও এখন থেকে নিম্নলিখিত শব্দগুলো লেখা যাবে না—মুক্তিফৌজ, মুক্তিবাহিনী, গণবাহিনী, বাংলাদেশ, জয় বাংলা।
৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
১. শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর বাবা-মা, তাঁর পরিবার সম্পর্কে কোনো খবর ছাপা যাবে না।
২. ‘বাংলাদেশ’ হেডিং-এ ব্যবহার করা যাবে না।
৩. ‘মুক্তিফৌজ’ বা ‘মুক্তিবাহিনী’ শব্দগুলো ব্যবহার করা যাবে না। এগুলোর বদলে ‘বিদ্রোহী’ অথবা ‘ভারতীয় এজেন্ট’ ব্যবহার
করতে হবে।
৪ নভেম্বর ১৯৭১
বিস্ফোরণের খবর প্লেডাউন করতে হবে অর্থাৎ প্রমিনেন্ট করে দেওয়া যাবে না।
আমরা পর্যায়ক্রমে এই নিষেধাজ্ঞাগুলো এড়িয়ে কীভাবে সংবাদ প্রকাশ করা হতো অবরুদ্ধ বাংলায়, সে কথাগুলো বলব।
দৈনিক ইত্তেফাক থেকে ১২ আগস্ট প্রকাশিত দুটি ছোট সংবাদ এখানে তুলে দিলে বোঝা যাবে, কেন খবরগুলো এভাবে ছাপা হয়েছিল।
সেদিন ইত্তেফাকের প্রথম পৃষ্ঠায় মাঝামাঝি ছাপা হয়েছিল এই খবরটি:
ভারতীয় এজেন্টদের গুলীতে মওলানা মুস্তফা আল মাদানী নিহত
গতকাল (বুধবার) এপিপি পরিবেশিত এক খবরে প্রকাশ, বিশিষ্ট ধর্মীয় নেতা ও পূর্ব পাকিস্তান নেজামে ইসলাম পার্টির সহ-সভাপতি মওলানা সৈয়দ মাহমুদ মোস্তফা আল মাদানী গত ১০ই আগস্ট রাত্রি ৮টায় ঢাকা জেলার মীর কাদিমের নিকটবর্তী আবদুল্লাপুরে এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে ভারতীয় এজেন্টদের গুলীতে নিহত হন (ইন্না...রাজেউন)।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় বায়তুল মোকাররমে মরহুমের নামাজে জানাজায় শরীক হওয়ার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান হইয়াছে।
(দৈনিক ইত্তেফাক, ১২ আগস্ট, ১৯৭১)
‘ভারতীয় এজেন্ট’ বলতে যে মুক্তিবাহিনীর কথা বলা হচ্ছে, সেটা সংবাদপত্রের প্রতি সামরিক সরকারের পরামর্শগুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায়।
সেদিনই ইত্তেফাকের প্রথম পাতার প্রথম কলামের শেষ সংবাদটি ছিল মাত্র কয়েক লাইনের।
ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিস্ফোরণ, তিনজন বিদেশী আহত
এপিপি পরিবেশিত খবরে প্রকাশ, গতকাল (বুধবার) বিকালে ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের ল্যাভেটরিতে তিনটি বিস্ফোরণের ফলে তিনজন বিদেশী আহত হয় বলিয়া জানা গিয়াছে।
(দৈনিক ইত্তেফাক, ১২ আগস্ট, ১৯৭১)
এই সংবাদটি দেশের বাইরের সংবাদপত্রগুলোয় কীভাবে প্রকাশিত হয়েছিল, সে আলোচনা হবে এবার।
লেখক: উপসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
যুদ্ধ চলাকালে সংবাদপত্রে সেন্সরশিপ আরোপ ও তার মধ্যে কাজ করা নিয়ে একটু কথা বলে নেওয়া যাক।
অবরুদ্ধ বাংলার জীবন ছিল বিচিত্র। দুই ধরনের মনোভঙ্গি গড়ে উঠেছিল সে সময়ের নাগরিকদের মধ্যে। একটি হলো, প্রতি মুহূর্তে ছিল অনিশ্চয়তা। কখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হতে হবে কিংবা নিহত হতে হবে, তা ছিল অজানা। অন্যটি হলো, মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও গোপন প্রতিরোধের খবর পেয়ে মনে আশার প্রদীপ জ্বেলে আলোকিত ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করা।
সংবাদপত্রগুলোর ওপর যে সেন্সরশিপ আরোপ করা হয়েছিল, তা পাঠকের জন্য প্রকৃত সংবাদ খুঁজে নেওয়াকে কঠিন করে তুলেছিল। আগেই বলেছি, ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশন্স বা আইএসপিআরের দায়িত্বে ছিলেন মেজর সিদ্দিক সালিক। তবে এর সর্বোচ্চ কর্তা ছিলেন জেনারেল রাও ফরমান আলী। যিনি অপারেশন সার্চলাইটের সময় ঢাকার হত্যাযজ্ঞে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।
১৯৭১ সালের ১ সেপ্টেম্বর টিক্কা খানের বদলে ডা. আবদুল মোত্তালিব মালিক যখন দায়িত্বভার গ্রহণ করেন, তার আগপর্যন্ত ৭৭ নম্বর সামরিক বিধির মাধ্যমে সংবাদপত্র প্রকাশ করা হতো। ১ সেপ্টেম্বর ৮৯ নম্বর সামরিক বিধি জারি হয়। স্বাধীনতার আগপর্যন্ত এই বিধিমতেই সংবাদপত্র প্রকাশিত হতো।
সরকারি গণমাধ্যম এপিপি পরিবেশিত সংবাদ ও প্রতিবেদন ছাড়া বাকি সবকিছুই ছিল সেন্সরশিপের আওতায়। সংবাদপত্রে কোন বিষয়টি প্রকাশিত হচ্ছে, তার প্রতিটি আইটেম লকবুকে এন্ট্রি করতে হতো। কোনটি অনুমোদিত এবং কোনটি বাতিল তা উল্লেখ করা হতো। অনুমোদিত হলে ‘পাস্ড’ বা ‘ইয়েস’ সিল দেওয়া হতো। বাতিল হলে সে সংবাদে সিল দেওয়া হতো ‘নো’।
২৬ মার্চ যখন সামরিক বিধি জারি হয়, তখন পত্রিকাগুলো প্রকাশের অনুমতি দেওয়া হয়। শুরুতে যে পত্রিকাগুলো প্রকাশের অনুমতি পায়, সেগুলো ছিল পাকিস্তানপন্থী। যেমন হামিদুল হক চৌধুরীর মালিকানায় প্রকাশিত অবজারভার ও পূর্বদেশ পত্রিকা প্রকাশিত হতে থাকে ২৯ মার্চ থেকে। ট্রাস্টের পত্রিকা দৈনিক পাকিস্তান প্রকাশিত হয় ৩০ মার্চ থেকে। আরও কিছু পত্রিকা এপ্রিলে প্রকাশ পেতে শুরু করলেও দ্য পিপল ও দৈনিক সংবাদ এ সময় আর প্রকাশিত হয়নি। জামায়াতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম ছিল পাকিস্তান সরকারের খুবই আস্থাভাজন। সেন্সরশিপের কারণে অন্যান্য পত্রিকায় বহু সংবাদ ‘নো’ তকমা পেলেও দৈনিক সংগ্রামের জন্য ‘ইয়েস’ই ছিল বেশি।
সে সময় সংবাদপত্রে কর্তৃপক্ষের তৈরি করা সংবাদও ছাপতে হতো। এগুলোর সূত্র ছিল সরকারি গণমাধ্যম এপিপি। রয়টার্সের সংবাদও কিছু কিছু ছাপা হতো।
সরকার সংবাদপত্রকে যে পরামর্শ দিত, সেটাও এখানে উল্লেখ করা যায়। সাংবাদিক হেদায়েত হোসেন মোরশেদ তাঁর ‘অবরুদ্ধ সংবাদপত্র ৭১ এবং স্বাধীনতাযুদ্ধে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর রণনীতি ও রণকৌশল’ নামের বইয়ে লিখেছেন,
১৩ জুলাই ১৯৭১
১. কাউকে চাবকানো হচ্ছে অথবা ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে এ ধরনের ভীতি উদ্রেককারী কোনো ছবি তা দেশি হোক কিংবা বিদেশি হোক, পত্রিকায় ছাপা যাবে না।
২. বিস্ফোরণের খবর ছাপা যাবে না। কোনো ছবি যাবে না। সরকার প্রদত্ত খবর ও ছবি ছাড়া (যদি প্রদান করা হয়) এ সম্পর্কে অন্য কোনো খবর বা ছবি ছাপা যাবে না। এ ব্যাপারে পরবর্তী পর্যায়ে আরও বিস্তৃত ব্যাখ্যামূলক বক্তব্য জানানো হবে।
৩. আগে তথাকথিত লিখলেও এখন থেকে নিম্নলিখিত শব্দগুলো লেখা যাবে না—মুক্তিফৌজ, মুক্তিবাহিনী, গণবাহিনী, বাংলাদেশ, জয় বাংলা।
৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
১. শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর বাবা-মা, তাঁর পরিবার সম্পর্কে কোনো খবর ছাপা যাবে না।
২. ‘বাংলাদেশ’ হেডিং-এ ব্যবহার করা যাবে না।
৩. ‘মুক্তিফৌজ’ বা ‘মুক্তিবাহিনী’ শব্দগুলো ব্যবহার করা যাবে না। এগুলোর বদলে ‘বিদ্রোহী’ অথবা ‘ভারতীয় এজেন্ট’ ব্যবহার
করতে হবে।
৪ নভেম্বর ১৯৭১
বিস্ফোরণের খবর প্লেডাউন করতে হবে অর্থাৎ প্রমিনেন্ট করে দেওয়া যাবে না।
আমরা পর্যায়ক্রমে এই নিষেধাজ্ঞাগুলো এড়িয়ে কীভাবে সংবাদ প্রকাশ করা হতো অবরুদ্ধ বাংলায়, সে কথাগুলো বলব।
দৈনিক ইত্তেফাক থেকে ১২ আগস্ট প্রকাশিত দুটি ছোট সংবাদ এখানে তুলে দিলে বোঝা যাবে, কেন খবরগুলো এভাবে ছাপা হয়েছিল।
সেদিন ইত্তেফাকের প্রথম পৃষ্ঠায় মাঝামাঝি ছাপা হয়েছিল এই খবরটি:
ভারতীয় এজেন্টদের গুলীতে মওলানা মুস্তফা আল মাদানী নিহত
গতকাল (বুধবার) এপিপি পরিবেশিত এক খবরে প্রকাশ, বিশিষ্ট ধর্মীয় নেতা ও পূর্ব পাকিস্তান নেজামে ইসলাম পার্টির সহ-সভাপতি মওলানা সৈয়দ মাহমুদ মোস্তফা আল মাদানী গত ১০ই আগস্ট রাত্রি ৮টায় ঢাকা জেলার মীর কাদিমের নিকটবর্তী আবদুল্লাপুরে এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে ভারতীয় এজেন্টদের গুলীতে নিহত হন (ইন্না...রাজেউন)।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় বায়তুল মোকাররমে মরহুমের নামাজে জানাজায় শরীক হওয়ার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান হইয়াছে।
(দৈনিক ইত্তেফাক, ১২ আগস্ট, ১৯৭১)
‘ভারতীয় এজেন্ট’ বলতে যে মুক্তিবাহিনীর কথা বলা হচ্ছে, সেটা সংবাদপত্রের প্রতি সামরিক সরকারের পরামর্শগুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায়।
সেদিনই ইত্তেফাকের প্রথম পাতার প্রথম কলামের শেষ সংবাদটি ছিল মাত্র কয়েক লাইনের।
ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিস্ফোরণ, তিনজন বিদেশী আহত
এপিপি পরিবেশিত খবরে প্রকাশ, গতকাল (বুধবার) বিকালে ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের ল্যাভেটরিতে তিনটি বিস্ফোরণের ফলে তিনজন বিদেশী আহত হয় বলিয়া জানা গিয়াছে।
(দৈনিক ইত্তেফাক, ১২ আগস্ট, ১৯৭১)
এই সংবাদটি দেশের বাইরের সংবাদপত্রগুলোয় কীভাবে প্রকাশিত হয়েছিল, সে আলোচনা হবে এবার।
লেখক: উপসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
আমার এক বন্ধুর স্ত্রী অকস্মাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। স্ত্রীটি জাপানের, তাঁর নাম কাজুকো। আমার বন্ধু জাপানে লেখাপড়া করতে যান এবং সেখানেই তাঁদের পরিচয়, বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক তৈরি হয়। পরিচয়ের কারণ, আমাদের দেশে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ত্রাণ কার্যক্রমে তরুণী কাজুকো অংশ নিয়েছিলেন এবং পরবর্তীকালে মুক্তি
৩৩ মিনিট আগেবাংলা ভাষায় অতিপরিচিত একটি শব্দবন্ধ হলো ‘জগাখিচুড়ি’। পরিস্থিতির প্রসঙ্গভেদে আমরা জগাখিচুড়ি শব্দটি ব্যবহার করি। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, আমাদের দৈনন্দিন কথ্যভাষায় জগাখিচুড়ি শব্দটি আহার্য হিসেবে ব্যবহৃত না হয়ে তালগোল পাকানোর প্রতিশব্দ হিসেবে পরিণত হয়েছে। সচরাচর বৃষ্টির দিন ভুনাখিচুড়ি খেয়ে তৃপ্তির
৩৬ মিনিট আগেআমরা আগেই দেখেছি, বিস্ফোরণের সংবাদগুলো যেন পত্রিকায় অগুরুত্বপূর্ণভাবে প্রকাশ করা হয়, তার নির্দেশ দিয়েছিল পাকিস্তানের সামরিক সরকার। কিন্তু পত্রিকায় প্রকাশিত খবরগুলো থেকেই জানা যাচ্ছিল, ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় বোমা বিস্ফোরিত হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এসেছে। ১৩ বছর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী এনে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়েছিল। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার যদিও বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরলে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা সম্ভব হবে না, কিন
১ ঘণ্টা আগে