সম্পাদকীয়
করোনাভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার রয়েছে চালকের আসনে। করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ থেকে এখনো এই কারাগার রয়েছে দূরে। আর একটু হলেই মুখ ফসকে বেরিয়ে যেত, লকডাউনে কাজ না হলে জনগণকে কারাগারে জায়গা দেওয়া হোক। তাতে অন্তত সংক্রমণ কমবে। কিন্তু বিনা অপরাধে কারাগারে রাখা তো যায় না, তাই কারাগার হয়ে উঠতে পারে না করোনার চিকিৎসালয়। অথচ দেখুন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার কত সহজে রোগটিকে তাদের চৌহদ্দির বাইরে রেখেছে!
ইতিমধ্যে এই এক বছরে বাঙালি প্রমাণ করেছে, তারা লড়াকু জাতি। কিছু কিছু ধর্মব্যবসায়ী করোনার বিষয়ে তাদের নিজস্ব থিসিস দিয়ে করোনার বিস্তার ঘটানোর সহায়ক শক্তি হয়ে উঠেছেন। ব্যবসায়ীদের প্রভাবের কারণে সরকার সময়োচিত পদক্ষেপ না নেওয়ায় আগেপিছে অনেক সময় শিল্পকারখানার শ্রমিকেরা বিপদে পড়েছেন। বিপদে পড়েছেন সাধারণ চাকরিজীবী মানুষ। কৃষকের কথা তো বলার অপেক্ষাই রাখে না।
এ বছর ফেব্রুয়ারি থেকে ধীরে ধীরে করোনা হয়ে উঠেছে আরও ভয়ংকর। তারপরও অল্প যেকটি নির্দেশনা মেনে চলতে হয়, তা মানার ব্যাপারে এই লড়াকু জাতির অনেক সদস্যের মধ্যে ছিল অনীহা, যার ফল দেখা যাচ্ছে এখন।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার অভিনব কিছু করেনি। ধারণক্ষমতার তিন গুণ বন্দী থাকার পরও শুধু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সমস্ত শর্ত পূরণ করেছে বলেই আজ পর্যন্ত কোনো কয়েদি করোনার শিকার হননি। দুয়েকজন জেল কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বটে, কিন্তু সেটা জেল চৌহদ্দির মধ্যে থেকে নয়।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার বুঝিয়ে দিল, সুব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা যেকোনো কঠিন সংক্রমণকেই দূরে রাখতে পারে। কিন্তু যারা কারাগারের বাইরে জীবনযাপন করছেন, তাদের অনেকের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কিংবা সুযোগ বুঝে মুনাফা লাভের জন্য অন্যের স্বাস্থ্যকে বিপদের মুখে ফেলার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
একটা ধাঁধা বিপর্যস্ত করে তুলছে আমাদের। তাহলে কি মুক্তজীবনের চেয়ে বন্দিজীবন ভালো? শুধু সেখানেই কি মেলে শৃঙ্খলা? আর মুক্ত জীবন শুধু বিশৃঙ্খলাকেই মহান করে তোলে?
করোনাভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার রয়েছে চালকের আসনে। করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ থেকে এখনো এই কারাগার রয়েছে দূরে। আর একটু হলেই মুখ ফসকে বেরিয়ে যেত, লকডাউনে কাজ না হলে জনগণকে কারাগারে জায়গা দেওয়া হোক। তাতে অন্তত সংক্রমণ কমবে। কিন্তু বিনা অপরাধে কারাগারে রাখা তো যায় না, তাই কারাগার হয়ে উঠতে পারে না করোনার চিকিৎসালয়। অথচ দেখুন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার কত সহজে রোগটিকে তাদের চৌহদ্দির বাইরে রেখেছে!
ইতিমধ্যে এই এক বছরে বাঙালি প্রমাণ করেছে, তারা লড়াকু জাতি। কিছু কিছু ধর্মব্যবসায়ী করোনার বিষয়ে তাদের নিজস্ব থিসিস দিয়ে করোনার বিস্তার ঘটানোর সহায়ক শক্তি হয়ে উঠেছেন। ব্যবসায়ীদের প্রভাবের কারণে সরকার সময়োচিত পদক্ষেপ না নেওয়ায় আগেপিছে অনেক সময় শিল্পকারখানার শ্রমিকেরা বিপদে পড়েছেন। বিপদে পড়েছেন সাধারণ চাকরিজীবী মানুষ। কৃষকের কথা তো বলার অপেক্ষাই রাখে না।
এ বছর ফেব্রুয়ারি থেকে ধীরে ধীরে করোনা হয়ে উঠেছে আরও ভয়ংকর। তারপরও অল্প যেকটি নির্দেশনা মেনে চলতে হয়, তা মানার ব্যাপারে এই লড়াকু জাতির অনেক সদস্যের মধ্যে ছিল অনীহা, যার ফল দেখা যাচ্ছে এখন।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার অভিনব কিছু করেনি। ধারণক্ষমতার তিন গুণ বন্দী থাকার পরও শুধু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সমস্ত শর্ত পূরণ করেছে বলেই আজ পর্যন্ত কোনো কয়েদি করোনার শিকার হননি। দুয়েকজন জেল কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বটে, কিন্তু সেটা জেল চৌহদ্দির মধ্যে থেকে নয়।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার বুঝিয়ে দিল, সুব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা যেকোনো কঠিন সংক্রমণকেই দূরে রাখতে পারে। কিন্তু যারা কারাগারের বাইরে জীবনযাপন করছেন, তাদের অনেকের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কিংবা সুযোগ বুঝে মুনাফা লাভের জন্য অন্যের স্বাস্থ্যকে বিপদের মুখে ফেলার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
একটা ধাঁধা বিপর্যস্ত করে তুলছে আমাদের। তাহলে কি মুক্তজীবনের চেয়ে বন্দিজীবন ভালো? শুধু সেখানেই কি মেলে শৃঙ্খলা? আর মুক্ত জীবন শুধু বিশৃঙ্খলাকেই মহান করে তোলে?
কয়েক দিন আগে অর্থ আত্মসাতের একটি খবর পাঠ করলাম। অবশ্য তা আমাদের দেশের নয়। দেশের অর্থ আত্মসাতের খবর প্রতিদিন কাগজে ছাপা হয়, পড়ি আর বিস্মিত হই। ক্ষুব্ধ হই। অসহায়ত্ব প্রকাশ করি। এই প্রেক্ষাপটে যখন ভিন্ন দেশের খবর পড়ি, তখনো কিছুটা অবাকই হই।
৫ ঘণ্টা আগেসাবেক জ্যেষ্ঠ নির্বাহী, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা আমেরিকার প্রভাবশালী দ্বিদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি আস্থার বিশাল ঘাটতি সত্ত্বেও অনেকেই ভেবেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম দফার জয় একটি বিচ্যুতি। তারপর অবশ্য ট্রাম্পের দ্বিতীয় বিজয় বা যাকে ট্রাম্প-২.০ বলা হচ্ছে, সেই নির্বাচন একটি বিষয় নিশ
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে বাম আন্দোলনের বিকাশ ও ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল সম্ভাবনা ছিল কিন্তু তাকে কাজে লাগানো যায়নি। এই সংকট নিয়ে অনেক আলোচনা-বিশ্লেষণ হয়েছে কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। সংকট না কমে বরং বেড়েছে। বাম দলগুলোও আরও বিভক্ত হয়ে পড়েছে। প্রভাব ও আকৃতির দিক থেকে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপরও যা আছে তা নিয়ে এভাবে নিজেদে
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা আন্তক্যাডার বৈষম্য নিয়ে দ্বন্দ্ব ৫ আগস্টের পর ব্যাপকভাবে প্রকাশ্যে আসা শুরু করে। বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ করা সরকারের ২৬টি ক্যাডারে সবাই একই পদমর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রবেশ করলেও ধীরে ধীরে ক্যাডারভেদে বৈষম্য প্রকট হয়ে ওঠে।
৬ ঘণ্টা আগে