সম্পাদকীয়
শুধু যেন রাজনৈতিক পটপরিবর্তন না, রাজনীতিটাই পরিবর্তিত রূপে জেল্লা দেখাচ্ছে। আমরা এমন একটি অন্তর্বর্তী সরকার পেয়েছি, যেখানে উপদেষ্টাদের অধিকাংশ সরাসরি আগে রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না বরং রাজনীতির অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। সেই তাঁদের কাছেই দেশের মানুষের যত আশা, যত দাবি। এই দাবি পূরণ বা আদায় করতে রাজপথে যে অস্থিরতা তৈরি করছে কেউ কেউ বা বেনামে কোনো কোনো দল, সেটা সত্যিই কাম্য নয়। এ কথাও সত্য যে অভ্যুত্থানের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মনোবল এতটা দুর্বল হয়ে পড়েছে যে কাজকর্মেও তাদের সেই দুর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে। ফলাফল—অস্থির সময় শেষ হচ্ছে না।
কী না হচ্ছে—চুরি, ডাকাতি, খুন, ছিনতাই—নানা কারণে নানা অপরাধ। মানুষ জানের নিরাপত্তার পাশাপাশি পাচ্ছে না আর্থিক নিরাপত্তাও। বাজার সিন্ডিকেট ভাঙা যাচ্ছে না। দিনকে দিন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। নিরাপত্তা ও বাজারমূল্য—এই দুটো দিক শিগগির ঠিক হচ্ছে না এবং জনগণ এখনো সরকারের প্রতি আস্থা রেখে অপেক্ষায় আছে—নিশ্চয়ই সুদিন আসবে।
ঠিক এমন দুশ্চিন্তার সময় কেউ কেউ সরকারকে আরও বেশি বিপাকে ফেলার জোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ক্রমেই তিক্ত হয়ে উঠছে। তর্ক-বিতর্কে দুই দেশের কেউ কেউ অতি আবেগের বশবর্তী হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপমান-অসম্মান করছে একে অপরকে। যেকোনো দেশের যেকোনো সুনাগরিকের কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করা যায় না।
দুই নিকট প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার সম্পর্ক ‘রাজনীতি’মুক্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ হওয়ার বিকল্প নেই।
এর মধ্যে দুই বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী কবীর সুমনের ভাইরাল ফেসবুক পোস্ট ‘তোরা ধর্ম আর রাজনীতি নিয়ে ঝগড়া কাজিয়া ক’রে মর/আমি প্রেম করছি, প্রেম করে যাব’ বাক্য দুটো কি জনগণের মনের অস্থিরতা হ্রাস করতে পারবে? নাকি ফেলানীকে নিয়ে লেখা তাঁর কবিতায় অন্তত বাংলাদেশের মানুষ শান্ত হবে? এই মুহূর্তে এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া মুশকিল।
আজকের পত্রিকার একটি খবর—সম্প্রতি পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেছে প্রেমের আকুতির চিঠি। সৃষ্টিকর্তার কাছে একজন নারী তাঁর কাঙ্ক্ষিত পুরুষকে চেয়েছেন বিয়ে করতে। আরেক তরুণ না-পাওয়া প্রেয়সীর জন্য মানত পূরণ করে চিঠি লিখেছেন। এখন সব ক্ষেত্রেই অস্থির হয়ে থাকা দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সেই মানত করে চিঠি ফেলতে হয় কি না কে জানে!
দুই ধরনের মানুষ আছে—যারা অস্থিরতা তৈরি করতে ভালোবাসে আর যারা শান্তিপ্রিয়। উভয় পক্ষকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী চায়—সব ব্যাপারে অস্থিরতা তৈরি করবে নাকি সরকারকে সহযোগিতা করবে; মসজিদের দানবাক্সে রাজনীতির রণাঙ্গনের অস্থিরতা থেকে মুক্তি ও মানসিক শান্তি লাভের চিঠি ফেলবে নাকি প্রেমের চিঠি ফেলবে!
শুধু যেন রাজনৈতিক পটপরিবর্তন না, রাজনীতিটাই পরিবর্তিত রূপে জেল্লা দেখাচ্ছে। আমরা এমন একটি অন্তর্বর্তী সরকার পেয়েছি, যেখানে উপদেষ্টাদের অধিকাংশ সরাসরি আগে রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না বরং রাজনীতির অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। সেই তাঁদের কাছেই দেশের মানুষের যত আশা, যত দাবি। এই দাবি পূরণ বা আদায় করতে রাজপথে যে অস্থিরতা তৈরি করছে কেউ কেউ বা বেনামে কোনো কোনো দল, সেটা সত্যিই কাম্য নয়। এ কথাও সত্য যে অভ্যুত্থানের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মনোবল এতটা দুর্বল হয়ে পড়েছে যে কাজকর্মেও তাদের সেই দুর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে। ফলাফল—অস্থির সময় শেষ হচ্ছে না।
কী না হচ্ছে—চুরি, ডাকাতি, খুন, ছিনতাই—নানা কারণে নানা অপরাধ। মানুষ জানের নিরাপত্তার পাশাপাশি পাচ্ছে না আর্থিক নিরাপত্তাও। বাজার সিন্ডিকেট ভাঙা যাচ্ছে না। দিনকে দিন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। নিরাপত্তা ও বাজারমূল্য—এই দুটো দিক শিগগির ঠিক হচ্ছে না এবং জনগণ এখনো সরকারের প্রতি আস্থা রেখে অপেক্ষায় আছে—নিশ্চয়ই সুদিন আসবে।
ঠিক এমন দুশ্চিন্তার সময় কেউ কেউ সরকারকে আরও বেশি বিপাকে ফেলার জোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ক্রমেই তিক্ত হয়ে উঠছে। তর্ক-বিতর্কে দুই দেশের কেউ কেউ অতি আবেগের বশবর্তী হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপমান-অসম্মান করছে একে অপরকে। যেকোনো দেশের যেকোনো সুনাগরিকের কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করা যায় না।
দুই নিকট প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার সম্পর্ক ‘রাজনীতি’মুক্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ হওয়ার বিকল্প নেই।
এর মধ্যে দুই বাংলার জনপ্রিয় শিল্পী কবীর সুমনের ভাইরাল ফেসবুক পোস্ট ‘তোরা ধর্ম আর রাজনীতি নিয়ে ঝগড়া কাজিয়া ক’রে মর/আমি প্রেম করছি, প্রেম করে যাব’ বাক্য দুটো কি জনগণের মনের অস্থিরতা হ্রাস করতে পারবে? নাকি ফেলানীকে নিয়ে লেখা তাঁর কবিতায় অন্তত বাংলাদেশের মানুষ শান্ত হবে? এই মুহূর্তে এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া মুশকিল।
আজকের পত্রিকার একটি খবর—সম্প্রতি পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেছে প্রেমের আকুতির চিঠি। সৃষ্টিকর্তার কাছে একজন নারী তাঁর কাঙ্ক্ষিত পুরুষকে চেয়েছেন বিয়ে করতে। আরেক তরুণ না-পাওয়া প্রেয়সীর জন্য মানত পূরণ করে চিঠি লিখেছেন। এখন সব ক্ষেত্রেই অস্থির হয়ে থাকা দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সেই মানত করে চিঠি ফেলতে হয় কি না কে জানে!
দুই ধরনের মানুষ আছে—যারা অস্থিরতা তৈরি করতে ভালোবাসে আর যারা শান্তিপ্রিয়। উভয় পক্ষকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী চায়—সব ব্যাপারে অস্থিরতা তৈরি করবে নাকি সরকারকে সহযোগিতা করবে; মসজিদের দানবাক্সে রাজনীতির রণাঙ্গনের অস্থিরতা থেকে মুক্তি ও মানসিক শান্তি লাভের চিঠি ফেলবে নাকি প্রেমের চিঠি ফেলবে!
বিজয় দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক্স হ্যান্ডেলে দেওয়া একটি পোস্ট নিয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সব গণমাধ্যমেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে পাকিস্তানি
১৫ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময়সূচি ঘোষণার পর বিষয়টি নিয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে পারস্পরিক সন্দেহের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ নিয়ে দলের বক্তব্য স্পষ্ট ক
১৫ ঘণ্টা আগেডিসেম্বর মাসে এসে বোঝা যাচ্ছিল, পাকিস্তানিদের চাপিয়ে দেওয়া সেন্সরশিপ সেভাবে কাজ করছে না। বহু খবরই তখন প্রকাশিত হচ্ছিল অবরুদ্ধ নগরীর সংবাদপত্রে। ইন্দিরা গান্ধীর বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন কিংবা আওয়ামী লীগ নেতাদের বিবৃতি একই দিনে প্রকাশিত হলো। সেদিন ইত্তেফাক ‘পিটুনি কর’ বিষয়ক রিপোর্টটির যে শিরোনাম করেছিল,
১৫ ঘণ্টা আগেপৃথিবীতে গণহত্যা কিংবা জেনোসাইড কম হয়নি। যত যুদ্ধের যত গণকবর রয়েছে, সেগুলো বর্বরতার সাক্ষ্য দেয়, ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হলোকাস্টে নিহত মানুষের গণকবর যেমন সাক্ষ্য দেয়, রুয়ান্ডার নিয়াবারোঙ্গো নদীও সাক্ষ্য দেয়, তার বুক দিয়ে ভেসে গেছে রক্তস্নাত মানুষের লাশ। তবে বর্বরতার চরম মাত্রা মনে
১৫ ঘণ্টা আগে