সম্পাদকীয়
সাংবাদিকদের হয়রানি করা কোনো গণতান্ত্রিক সমাজের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থল ও বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের ইমিগ্রেশনে যেভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে, তা কেবল পেশাগত বাধার উদাহরণ নয়, এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মুক্তচিন্তার ওপর একধরনের চাপ। এই ধরনের আচরণ রাষ্ট্রের মৌলিক চেতনা ও মানবাধিকারের পরিপন্থী।
নূরুল কবীর, যিনি বাংলাদেশের অন্যতম খ্যাতনামা সম্পাদক, সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় এশিয়া মিডিয়া ফোরামে অংশ নিতে যাওয়া-আসার পথে বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হন। তাঁর অভিযোগ, বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাঁকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছে। বিষয়টি তিনি ফেসবুকে প্রকাশ করলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নজরে আসে এবং তিনি ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
আজকের পত্রিকায় সোমবার প্রকাশিত একটি খবর থেকে আরও জানা যায়, সাংবাদিকদের পেশাগত পরিচয়ের ভিত্তিতে তাঁদের প্রতি ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের সন্দেহমূলক আচরণ এবং অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর চালানো হচ্ছে। এটি শুধু অপ্রয়োজনীয় নয়, বরং এটি পেশাগত মর্যাদার লঙ্ঘন। কোনো বৈধ অভিযোগ ছাড়াই একজন নাগরিকের বিদেশ গমন বা কর্মপরিধিতে বাধা দেওয়া তাঁর মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। সাংবাদিকদের এভাবে হয়রানির ঘটনা গণমাধ্যমের ভূমিকা দুর্বল করার অপচেষ্টা মনে করা অমূলক নয়। অবশ্য সাংবাদিকদের হেনস্তা কেবল বিমানবন্দরেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং দেশের বিভিন্ন স্থানে এটি একটি নিয়মিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রেসক্লাব, সচিবালয়সহ সরকারি বিভিন্ন জায়গায় সাংবাদিকেরা প্রায়ই হেনস্তার শিকার হন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এবং পুলিশের পক্ষ থেকে এই হয়রানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এই সমস্যার শিকড় অনেক গভীরে। বিগত সরকারগুলোর সময় থেকে ভিন্নমতাবলম্বী, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের জন্য যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, তা এখনো ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার এবং সাংবাদিকেরা সেই অধিকারের প্রতীক। তাঁদের হয়রানি মানে পুরো জাতির কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা।
সরকারকে এই বিষয়ে দ্রুত একটি স্বচ্ছ ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরির মাধ্যমে তা কার্যকর করা প্রয়োজন, যাতে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছাড়া তাঁকে অহেতুক হয়রানির শিকার হতে না হয়। সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও তাঁদের পেশাগত মর্যাদার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেতে হবে।
একই সঙ্গে সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তাদের দায়িত্ব পালনকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে পেশাদারত্ব বজায় রাখবে। সাংবাদিকদের হয়রানি করার অর্থ শুধু তাঁদের পেশাগত জীবন ব্যাহত করা নয়, এটি সমাজের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকারের ওপর আঘাত।
মনে রাখতে হবে, স্বাধীন গণমাধ্যমই একটি শক্তিশালী ও গণতান্ত্রিক সমাজের ভিত্তি। যত দিন না সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়, তত দিন পর্যন্ত গণতন্ত্রের পথে চলা সত্যিকার অর্থে সম্ভব হবে না। নূরুল কবীরের এই ঘটনার পর আর সাংবাদিক হেনস্তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না—সেটা সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
সাংবাদিকদের হয়রানি করা কোনো গণতান্ত্রিক সমাজের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থল ও বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের ইমিগ্রেশনে যেভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে, তা কেবল পেশাগত বাধার উদাহরণ নয়, এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মুক্তচিন্তার ওপর একধরনের চাপ। এই ধরনের আচরণ রাষ্ট্রের মৌলিক চেতনা ও মানবাধিকারের পরিপন্থী।
নূরুল কবীর, যিনি বাংলাদেশের অন্যতম খ্যাতনামা সম্পাদক, সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় এশিয়া মিডিয়া ফোরামে অংশ নিতে যাওয়া-আসার পথে বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হন। তাঁর অভিযোগ, বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাঁকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছে। বিষয়টি তিনি ফেসবুকে প্রকাশ করলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নজরে আসে এবং তিনি ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
আজকের পত্রিকায় সোমবার প্রকাশিত একটি খবর থেকে আরও জানা যায়, সাংবাদিকদের পেশাগত পরিচয়ের ভিত্তিতে তাঁদের প্রতি ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের সন্দেহমূলক আচরণ এবং অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর চালানো হচ্ছে। এটি শুধু অপ্রয়োজনীয় নয়, বরং এটি পেশাগত মর্যাদার লঙ্ঘন। কোনো বৈধ অভিযোগ ছাড়াই একজন নাগরিকের বিদেশ গমন বা কর্মপরিধিতে বাধা দেওয়া তাঁর মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। সাংবাদিকদের এভাবে হয়রানির ঘটনা গণমাধ্যমের ভূমিকা দুর্বল করার অপচেষ্টা মনে করা অমূলক নয়। অবশ্য সাংবাদিকদের হেনস্তা কেবল বিমানবন্দরেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং দেশের বিভিন্ন স্থানে এটি একটি নিয়মিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রেসক্লাব, সচিবালয়সহ সরকারি বিভিন্ন জায়গায় সাংবাদিকেরা প্রায়ই হেনস্তার শিকার হন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এবং পুলিশের পক্ষ থেকে এই হয়রানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এই সমস্যার শিকড় অনেক গভীরে। বিগত সরকারগুলোর সময় থেকে ভিন্নমতাবলম্বী, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের জন্য যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, তা এখনো ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার এবং সাংবাদিকেরা সেই অধিকারের প্রতীক। তাঁদের হয়রানি মানে পুরো জাতির কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা।
সরকারকে এই বিষয়ে দ্রুত একটি স্বচ্ছ ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরির মাধ্যমে তা কার্যকর করা প্রয়োজন, যাতে কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছাড়া তাঁকে অহেতুক হয়রানির শিকার হতে না হয়। সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও তাঁদের পেশাগত মর্যাদার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেতে হবে।
একই সঙ্গে সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তাদের দায়িত্ব পালনকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে পেশাদারত্ব বজায় রাখবে। সাংবাদিকদের হয়রানি করার অর্থ শুধু তাঁদের পেশাগত জীবন ব্যাহত করা নয়, এটি সমাজের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকারের ওপর আঘাত।
মনে রাখতে হবে, স্বাধীন গণমাধ্যমই একটি শক্তিশালী ও গণতান্ত্রিক সমাজের ভিত্তি। যত দিন না সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়, তত দিন পর্যন্ত গণতন্ত্রের পথে চলা সত্যিকার অর্থে সম্ভব হবে না। নূরুল কবীরের এই ঘটনার পর আর সাংবাদিক হেনস্তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না—সেটা সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) নাম জুড়ে দিয়ে ওই তিন দলসহ মোট ১১টি দলকে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর অনুমতি না দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চেয়ে রিট করার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। ১১টি দলের তালিকায় এলডিপির নামও
৩ ঘণ্টা আগেঅত্যন্ত ভারাক্রান্ত মন নিয়ে এই লেখাটা লিখছি। রাষ্ট্র ও সমাজ নিয়ে অন্য একটি প্রবন্ধ লিখব বলে ভেবেছিলাম। গত রোববার থেকেই বুকের মধ্যে কেমন যেন পাথরচাপা একটা কষ্ট অনুভব করছি। প্রথমে টেলিভিশনে খবরে দেখলাম, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির তিন ছাত্র মারা গেছেন। যে তিন ছাত্র মারা গেছেন, তাঁদের সমবয়সী হবে
৩ ঘণ্টা আগেবাংলা ভাষায় বহুল পরিচিত একটি শব্দ হলো কালাজ্বর। শব্দটি কমবেশি আমরা সবাই শুনেছি। এমনকি কেউ কেউ কালাজ্বরে আক্রান্তও হয়েছি। কিন্তু এই জ্বরকে কালাজ্বর কেন বলা হয়? কালো রঙের সঙ্গে এর কি কোনো সম্পর্ক রয়েছে? জ্বরের প্রকারভেদে রঙের কি আদৌ কোনো ভূমিকা রয়েছে? যদি না থাকে তাহলে প্রশ্ন হলো, কেন এ জ্বরকে কালাজ্ব
৩ ঘণ্টা আগেবর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে নীতিনির্ধারণী একটি বিষয় অগ্রাধিকার বিবেচনার জন্য অপেক্ষমাণ আছে, আর তা হলো, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তন করা, নাকি যথাশিগগির নির্বাচন আয়োজন করা? অনেক ধরনের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তনের জন্য জাতীয় সংসদের বিকল্প কিছু আছে বলে মনে হয় না।
১ দিন আগে