নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা থেকে
কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নির্বাচন নিয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করে আগের কথাই আবার মনে করিয়ে দিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার কুমিল্লার টাউন হল মাঠে গণসমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পরিষ্কার কথা—তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এই দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সেই কমিশনের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এই দেশে আর কোন নির্বাচন হবে না।’
এসব দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জোরছে বলেন—ফয়সালা হবে রাজপথে। এই স্লোগান নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, আরও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
গণসমাবেশ সফল করার জন্য কুমিল্লবাসীকে ধন্যবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব। নেতা কর্মী, যারা অনেক কষ্ট করে এই সমাবেশ সফলে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে গুলিতে নিহত ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়ার জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
গণসমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খানসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
সমাবেশে ফখরুল নেতা কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে যেভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে রেখেছে, তারেক রহমানকে যেভাবে নির্বাসিত করে রেখেছে, সেই একই কায়দায় আমরা যারা এখন লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি, তাদেরও কারাগারে নিক্ষেপ করে সহজেই নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে চায় সরকার।’
‘এমন নির্বাচন হতে দেবেন?’ নেতা কর্মীদের মাঝে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘জোরে বলতে হবে—এই দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না হাসিনা পদত্যাগ করছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না সংসদ বিলুপ্ত করা হচ্ছে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে।’
সরকারকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কথা তো বেশি নাই। কথা খুব সামান্য। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা জোর করে দুইবার নির্বাচন করেছেন। উনি নাকি আবার নির্বাচন করবেন। যশোরের সভায় তিনি বলেছেন, আবার নৌকায় ভোট দেন। একটা গান আছে—‘আগে জানলে তোর ভাঙ্গা নৌকায় উঠতাম না’—জনগণ এখন এই গান গাইতে শুরু করেছে। এখন বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের বিদায় দেখতে চায়। দয়া করে সময় থাকতেই মানে মানে কেটে পড়ুন। তা না হলে দেশের মানুষ আপনাদের বিদায় করবে। কীভাবে করবে, সেটা আপনারা জানেন।’
সারা দেশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপির নেতা কর্মীদের নামে মামলা দেওয়ার সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মিথ্যাচার করা এদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। লজ্জাও নাই, শরমও নাই এদের। এদের চামড়া গন্ডারের মতো মোটা হয়ে গেছে, তারা বেশরম, বেহায়া!’
ঢাকায় সমাবেশ পণ্ড করতেও নানা তৎপরতা চালানো হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘কোনো সমস্যা সৃষ্টি করেই ঢাকার সমাবেশ বন্ধ করা যাবে না।’
গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে গণসমাবেশের কর্মসূচি পালন শুরু করে বিএনপি। এরপর ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর এবং সিলেটে গণসমাবেশ করেছে দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার কুমিল্লায় অষ্টমবারের মত এই কর্মসূচি পালন করল বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী এবং সবশেষ ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশ করবেন তাঁরা।
কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নির্বাচন নিয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করে আগের কথাই আবার মনে করিয়ে দিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার কুমিল্লার টাউন হল মাঠে গণসমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পরিষ্কার কথা—তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এই দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সেই কমিশনের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এই দেশে আর কোন নির্বাচন হবে না।’
এসব দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জোরছে বলেন—ফয়সালা হবে রাজপথে। এই স্লোগান নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, আরও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
গণসমাবেশ সফল করার জন্য কুমিল্লবাসীকে ধন্যবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব। নেতা কর্মী, যারা অনেক কষ্ট করে এই সমাবেশ সফলে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে গুলিতে নিহত ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়ার জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
গণসমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খানসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
সমাবেশে ফখরুল নেতা কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে যেভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে রেখেছে, তারেক রহমানকে যেভাবে নির্বাসিত করে রেখেছে, সেই একই কায়দায় আমরা যারা এখন লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি, তাদেরও কারাগারে নিক্ষেপ করে সহজেই নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে চায় সরকার।’
‘এমন নির্বাচন হতে দেবেন?’ নেতা কর্মীদের মাঝে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘জোরে বলতে হবে—এই দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না হাসিনা পদত্যাগ করছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না সংসদ বিলুপ্ত করা হচ্ছে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে।’
সরকারকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কথা তো বেশি নাই। কথা খুব সামান্য। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা জোর করে দুইবার নির্বাচন করেছেন। উনি নাকি আবার নির্বাচন করবেন। যশোরের সভায় তিনি বলেছেন, আবার নৌকায় ভোট দেন। একটা গান আছে—‘আগে জানলে তোর ভাঙ্গা নৌকায় উঠতাম না’—জনগণ এখন এই গান গাইতে শুরু করেছে। এখন বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের বিদায় দেখতে চায়। দয়া করে সময় থাকতেই মানে মানে কেটে পড়ুন। তা না হলে দেশের মানুষ আপনাদের বিদায় করবে। কীভাবে করবে, সেটা আপনারা জানেন।’
সারা দেশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপির নেতা কর্মীদের নামে মামলা দেওয়ার সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মিথ্যাচার করা এদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। লজ্জাও নাই, শরমও নাই এদের। এদের চামড়া গন্ডারের মতো মোটা হয়ে গেছে, তারা বেশরম, বেহায়া!’
ঢাকায় সমাবেশ পণ্ড করতেও নানা তৎপরতা চালানো হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘কোনো সমস্যা সৃষ্টি করেই ঢাকার সমাবেশ বন্ধ করা যাবে না।’
গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে গণসমাবেশের কর্মসূচি পালন শুরু করে বিএনপি। এরপর ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর এবং সিলেটে গণসমাবেশ করেছে দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার কুমিল্লায় অষ্টমবারের মত এই কর্মসূচি পালন করল বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী এবং সবশেষ ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশ করবেন তাঁরা।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে সংস্কার কমিশনের কার্যালয়ে কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে এটি তুলে দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ।
৩৯ মিনিট আগেসংবিধান সংস্কার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে বিএনপি। এ জন্য আজ মঙ্গলবার সকালে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল আলী রিয়াজের নেতৃত্বে গঠিত সংবিধান সংস্কার বিষয়ক কমিটির সঙ্গে দেখা করবে।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে দলটির তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল ডেলিগেশন অব ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মি. সেবাস্টিয়ান রিগার ব্রাউনের আমন্ত্রণে রাজধানী ঢাকার গুলশানে তাঁর বাসায় ইইউ অন্তর্ভুক্ত আটটি দেশের প্রতিনিধির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন
১৩ ঘণ্টা আগেবিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে তাঁকে পবিত্র ওমরাহ পালনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন
১৫ ঘণ্টা আগে