বিএনপির সমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘট ডাকার কারণ জানালেন তথ্যমন্ত্রী 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২২, ১৬: ৫২
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২২, ১৭: ৩০

আগামীকাল শনিবার রংপুরে এবং ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির সমাবেশের আগেও পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছেন পরিবহন নেতারা। ধর্মঘটের বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপিকে তো পরিবহন মালিক-শ্রমিক সবাই চেনে। কারণ ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি পরিবহনের ওপর অগ্নিবোমা নিক্ষেপ করে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল। এজন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা ধর্মঘট ডেকেছে।’

আজ দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি শত শত গাড়ি-ঘোড়া পুড়িয়ে দিয়েছে, শত শত মানুষ হত্যা করেছে। এজন্য এখন পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা শঙ্কিত। ফলে তারা যেখানেই সমাবেশ ডাকে, সেখানেই তারা ধর্মঘট ডাকছে।’

ধর্মঘট ডাকা মালিকদের মধ্যে যে বিএনপির সদস্যরাও আছেন, তা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘পরিবহন মালিক নেতা এবং সমিতির সদস্যদের মধ্যে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদসহ বিভিন্ন দলেরই মানুষ আছে। শিমুল বিশ্বাস বাবু তো পরিবহন নেতা, তিনি তো বিএনপি করেন। ওনারাই তো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ধর্মঘট ডাকার।’

‘সুতরাং বিএনপি ঘরানার পরিবহন মালিকেরাও শঙ্কিত এবং তাঁরা কেউই যাতে বিএনপির অপরাজনীতির শিকার না হন, সে জন্য সবাই মিলেই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন’ বলে জানান হাছান মাহমুদ।

বিএনপি মহাসচিবের বৃহস্পতিবারের বক্তব্য ‘সরকার রিজার্ভ গিলে খেয়েছে’—এই প্রশ্নের কড়া জবাব দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খাওয়া ভবন করে জনগণের টাকা গিলে খাওয়া দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বচোর উপাধি পাওয়া বিএনপির এখন বড় গলা।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চোরের মায়ের বড় গলা প্রবাদের মতো এখন বিশ্বচোরদের গলা বড়। বিএনপি দেশকে চারবার একক ও একবার যৌথভাবে দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বানিয়ে বিশ্বচোর উপাধি পেয়েছিল। শুনতে খারাপ লাগলেও বাস্তবতা, এখন বিশ্বচোরদের মুখপাত্র হচ্ছেন তাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব।’

‘তারা হাওয়া ভবন বানিয়েছিলেন। হাওয়া ভবন তো আসলে একটা ‘খাওয়া ভবন’ ছিল। কারণ জনগণের টাকা ওখানে খাওয়া হতো। হাওয়া ভবনে বসে জনগণের সমস্ত ব্যবসা, সমস্ত প্রজেক্টের ওপর টোল বসিয়েছিল এবং জনগণের টাকাটাই গিলে খেতো তারা।’ বলেন সম্প্রচারমন্ত্রী।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা জনগণের টাকা আগে গিলে খেয়েছে, তারা শুধু খাওয়ার কথাই চিন্তা করে বলেই মির্জা ফখরুল সাহেব গতকাল এমন বক্তব্য দিয়েছেন।

বাস্তব দৃষ্টান্ত দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির শেষ সময় ২০০৬ সালে রিজার্ভ ছিল ৩.৪৬ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ সাড়ে তিন বিলিয়নেরও কম। আমাদের নেত্রী, আমাদের সরকার সেটি ৪৪ বিলিয়নে উন্নীত করেছেন এবং এখন বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে দেশে নানা ধরনের ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগের কারণে এবং রিজার্ভ থেকে টাকা নিয়ে বিশেষ তহবিল গঠনের কারণে সেটি ৩৭ বিলিয়নে গেছে। এর পরও বিএনপির সময়ের তুলনায় ১২ গুণ বেশি।’

‘মির্জা ফখরুল সাহেবরা সব সময় খাওয়ার কথা চিন্তা করেন তো, সে জন্যই এ সমস্ত কথা বলছেন।’ বলেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

ভারতের পাল্টা আক্রমণে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা কলেজে সংঘর্ষকালে বোমা বিস্ফোরণের ছিটকে পড়েন সেনাসদস্য—ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা

ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের খবরে মুখ খুললেন অমিতাভ

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত