নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয় জানিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ-অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর।
আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রবাসীদের বিমানবন্দরে হয়রানি ও বিমানের টিকিটের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান।
রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ছাড়া আর কোনো পরিত্রাণ নেই জানিয়ে নুরুল হক বলেন, ‘এরা সমস্ত পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এরা জোর করে ক্ষমতায় আছে। কাজেই আমরা যদি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তাহলে রাজপথে রক্ত দেওয়ার জন্য নামতে হবে। সুশাসন ছাড়া এই নৈরাজ্য বন্ধ হবে না। আর গণতন্ত্র না থাকলে সুশাসন আসবে না। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের বিধিবদ্ধ যে ব্যবস্থা ছিল, সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়। এরা যত দিন থাকবে, কেউ রেহাই পাবে না।’
সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে জানিয়ে নুরুল হক বলেন, ‘দেশটা একটা নৈরাজ্যের মধ্য দিয়ে চলছে। কক্সবাজারে স্বামীর সামনে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হচ্ছে, ঠাকুরগাঁওয়ে দশম শ্রেণির একজন ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার প্রতিবাদ করতে আবার পুলিশ বাধা দিচ্ছে। জয়পুরহাটে ছাত্রদের এক নেতাকে ছাত্রলীগের এক নেতা কুপিয়ে মেরে ফেলেছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণ চাই।’
নুরুল হক বলেন, ‘বিদেশি মিশনগুলো গত পাঁচ থেকে সাত বছরে বাংলাদেশের ইমেজ বৃদ্ধি পায় কিংবা আমাদের দেশের জনগণের জন্য সম্মান বয়ে আনে, দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারিত হয়, শ্রমবাজারের দ্বার উন্মুক্ত হয়—এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বিনা ভোটের এমপি-মন্ত্রীদের প্রটোকলেই তারা বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে ব্যস্ত ছিল।’
করোনাকালীন প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতি সচল রেখেছে এবং দেশের রেমিট্যান্সের প্রবাহ এগিয়ে নিচ্ছে জানিয়ে নুরুল হক বলেন, ‘কিন্তু কাতার থেকে ফোন পাই, “ভাই, আমি তিন মাস ধরে পাসপোর্টের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের হাইকমিশনে ঘুরে বেড়াচ্ছি,” “ভাই, দেশে ছুটিতে এসেছি, ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে, এখনো টিকিট পাচ্ছি না।” “আমি টিকা না পেলে যেতে পারব না, পরিবার রাস্তায় না খেয়ে মরবে।” এগুলো হচ্ছে আজ প্রবাসীদের আর্তনাদ।’
সরকারের সমালোচনা করে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘দেশের এতগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠান, সংস্থার কানে প্রবাসীদের আর্তনাদ প্রবেশ করে না। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিবদের যে দাপট। সেখানে যে স্থায়ী কমিটি, মূল কাজগুলো তো তারা করবে। কিন্তু জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। দায় থাকলে বিমান ভাড়ায় ভর্তুকি দিয়ে হলেও শ্রমিকদের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করত, টিকিটের দাম বাড়াত না।’
বাংলাদেশের এজেন্সিগুলো বাইরে লোক পাঠাতে ১ লক্ষ টাকার জায়গায় ৫ লক্ষ টাকা নেয় জানিয়ে বলেন, ‘তার পরেও অনেকের চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে প্রবাসজীবন কাটিয়ে আবার ফিরে আসতে হচ্ছে। কনস্যুলেটে যাচ্ছে, এম্বাসিতে যাচ্ছে, বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করছে। কিন্তু কেউ এর প্রতিকার করছে না।’
নুরুল হক আরও বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় রায়হান নির্যাতনের কথা জানাল। তখন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেছেন, ‘এর দায় আমরা নেব না। অথচ তার দায় নিয়েছে কারা? ওই দেশেরই অভিবাসন সংস্থা। আন্তর্জাতিক মিডিয়া, মানবাধিকার সংগঠনগুলো তার ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছে, তাই তিনি দেশে আসতে পেরেছেন।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণ-অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, রাশেদ খান, যুব অধিকারের সাধারণ সম্পাদক নাদির হাসান প্রমুখ।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয় জানিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ-অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর।
আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রবাসীদের বিমানবন্দরে হয়রানি ও বিমানের টিকিটের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান।
রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ছাড়া আর কোনো পরিত্রাণ নেই জানিয়ে নুরুল হক বলেন, ‘এরা সমস্ত পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এরা জোর করে ক্ষমতায় আছে। কাজেই আমরা যদি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তাহলে রাজপথে রক্ত দেওয়ার জন্য নামতে হবে। সুশাসন ছাড়া এই নৈরাজ্য বন্ধ হবে না। আর গণতন্ত্র না থাকলে সুশাসন আসবে না। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের বিধিবদ্ধ যে ব্যবস্থা ছিল, সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়। এরা যত দিন থাকবে, কেউ রেহাই পাবে না।’
সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে জানিয়ে নুরুল হক বলেন, ‘দেশটা একটা নৈরাজ্যের মধ্য দিয়ে চলছে। কক্সবাজারে স্বামীর সামনে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হচ্ছে, ঠাকুরগাঁওয়ে দশম শ্রেণির একজন ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার প্রতিবাদ করতে আবার পুলিশ বাধা দিচ্ছে। জয়পুরহাটে ছাত্রদের এক নেতাকে ছাত্রলীগের এক নেতা কুপিয়ে মেরে ফেলেছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণ চাই।’
নুরুল হক বলেন, ‘বিদেশি মিশনগুলো গত পাঁচ থেকে সাত বছরে বাংলাদেশের ইমেজ বৃদ্ধি পায় কিংবা আমাদের দেশের জনগণের জন্য সম্মান বয়ে আনে, দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারিত হয়, শ্রমবাজারের দ্বার উন্মুক্ত হয়—এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বিনা ভোটের এমপি-মন্ত্রীদের প্রটোকলেই তারা বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে ব্যস্ত ছিল।’
করোনাকালীন প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতি সচল রেখেছে এবং দেশের রেমিট্যান্সের প্রবাহ এগিয়ে নিচ্ছে জানিয়ে নুরুল হক বলেন, ‘কিন্তু কাতার থেকে ফোন পাই, “ভাই, আমি তিন মাস ধরে পাসপোর্টের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের হাইকমিশনে ঘুরে বেড়াচ্ছি,” “ভাই, দেশে ছুটিতে এসেছি, ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে, এখনো টিকিট পাচ্ছি না।” “আমি টিকা না পেলে যেতে পারব না, পরিবার রাস্তায় না খেয়ে মরবে।” এগুলো হচ্ছে আজ প্রবাসীদের আর্তনাদ।’
সরকারের সমালোচনা করে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘দেশের এতগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠান, সংস্থার কানে প্রবাসীদের আর্তনাদ প্রবেশ করে না। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিবদের যে দাপট। সেখানে যে স্থায়ী কমিটি, মূল কাজগুলো তো তারা করবে। কিন্তু জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। দায় থাকলে বিমান ভাড়ায় ভর্তুকি দিয়ে হলেও শ্রমিকদের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করত, টিকিটের দাম বাড়াত না।’
বাংলাদেশের এজেন্সিগুলো বাইরে লোক পাঠাতে ১ লক্ষ টাকার জায়গায় ৫ লক্ষ টাকা নেয় জানিয়ে বলেন, ‘তার পরেও অনেকের চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে প্রবাসজীবন কাটিয়ে আবার ফিরে আসতে হচ্ছে। কনস্যুলেটে যাচ্ছে, এম্বাসিতে যাচ্ছে, বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করছে। কিন্তু কেউ এর প্রতিকার করছে না।’
নুরুল হক আরও বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় রায়হান নির্যাতনের কথা জানাল। তখন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেছেন, ‘এর দায় আমরা নেব না। অথচ তার দায় নিয়েছে কারা? ওই দেশেরই অভিবাসন সংস্থা। আন্তর্জাতিক মিডিয়া, মানবাধিকার সংগঠনগুলো তার ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছে, তাই তিনি দেশে আসতে পেরেছেন।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণ-অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, রাশেদ খান, যুব অধিকারের সাধারণ সম্পাদক নাদির হাসান প্রমুখ।
সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, বীর সিপাহসালার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব...
৫ ঘণ্টা আগেসেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা তিন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, আসিফ ভূঁইয়া সজীব ও নাহিদ ইসলাম। একই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্
১ দিন আগে