নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে বর্তমান যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এবং সংবিধানে উল্লেখিত ব্যবস্থার উল্টো বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধসহ নানা দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কথা সংবিধানে আছে সেখানে প্রথমে বলা আছে—রাষ্ট্রীয় খাত, তারপর সমবায় খাত তারপর আইনের দ্বারা সীমাবদ্ধ কিছু ব্যক্তিগত খাত। কিন্তু এখানে উল্টো চলছে। আজকে সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান কিছু লোকের সম্পদ ভাগ-বাঁটোয়ারার উন্মুক্ত ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থনীতির ধারার দেশ চালাতে হবে। বামপন্থীরা ক্ষমতায় গেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থনৈতিক ধারায় দেশ চালাবে, যা সংবিধানে এখনো লিপিবদ্ধ আছে।’
আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার নতুন বুদ্ধি বের করেছে। যা খরচ হবে পুরোটার খরচ জনগণকে দিতে হবে। এখন খরচ কত সেটা সে নির্ধারণ করবে। কাউকে কিছু বলবে না, দেখবেন প্রতি মাসের বিলের সঙ্গে দাম বেড়ে যাচ্ছে। এটাকে ভদ্র ভাষায় নাম দিয়েছে দামের সমন্বয়।
ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের মধ্যে চরম বৈষম্য তৈরি হয়েছে জানিয়ে সিপিবির এই নেতা বলেন, আজকের লুটেরা ব্যবসায়ীদের হাতে আলাদিনের চেরাগ আর যাঁরা উৎপাদন করেন কৃষক, মেহনতি মানুষ তাঁদের হাতে রংচটা থালা। রংচটা থালার অবস্থা যা হয় তাই আর আলাদিনের চেরাগ যা চায় তাই।
এ সময় তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ওঠা অর্থ পাচারসহ অন্যান্য অভিযোগের অনুসন্ধান ও দ্রুত রিপোর্ট প্রকাশের দাবি জানান। একই সঙ্গে সারা দেশে উৎপাদক ও ক্রেতা সমবায় চালু, সহজ ও চাঁদাবাজমুক্ত পরিবহন ব্যবস্থা চালু, প্রকৃত উৎপাদক, কৃষকের পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে ও উৎপাদন ব্যয় কমাতে কম মূল্যে কৃষি উপকরণ সরবরাহের দাবি জানান অন্যান্য নেতারা।
সমাবেশে বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, দেশের ৩৭ ভাগ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই অবস্থায় সকল জিনিসের দাম দফায় দফায় বাড়ছে। যারা বাড়াচ্ছে সেই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে, তাঁরা সম্পদের পাহাড় গড়তে পারে।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) খালেকুজ্জামান লিপন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব থেকে পল্টন, দৈনিক বাংলা, বক্স কালভার্ট রোড, বিজয়নগর হয়ে পুরানা পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
দেশে বর্তমান যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এবং সংবিধানে উল্লেখিত ব্যবস্থার উল্টো বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধসহ নানা দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কথা সংবিধানে আছে সেখানে প্রথমে বলা আছে—রাষ্ট্রীয় খাত, তারপর সমবায় খাত তারপর আইনের দ্বারা সীমাবদ্ধ কিছু ব্যক্তিগত খাত। কিন্তু এখানে উল্টো চলছে। আজকে সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান কিছু লোকের সম্পদ ভাগ-বাঁটোয়ারার উন্মুক্ত ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থনীতির ধারার দেশ চালাতে হবে। বামপন্থীরা ক্ষমতায় গেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থনৈতিক ধারায় দেশ চালাবে, যা সংবিধানে এখনো লিপিবদ্ধ আছে।’
আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার নতুন বুদ্ধি বের করেছে। যা খরচ হবে পুরোটার খরচ জনগণকে দিতে হবে। এখন খরচ কত সেটা সে নির্ধারণ করবে। কাউকে কিছু বলবে না, দেখবেন প্রতি মাসের বিলের সঙ্গে দাম বেড়ে যাচ্ছে। এটাকে ভদ্র ভাষায় নাম দিয়েছে দামের সমন্বয়।
ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের মধ্যে চরম বৈষম্য তৈরি হয়েছে জানিয়ে সিপিবির এই নেতা বলেন, আজকের লুটেরা ব্যবসায়ীদের হাতে আলাদিনের চেরাগ আর যাঁরা উৎপাদন করেন কৃষক, মেহনতি মানুষ তাঁদের হাতে রংচটা থালা। রংচটা থালার অবস্থা যা হয় তাই আর আলাদিনের চেরাগ যা চায় তাই।
এ সময় তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ওঠা অর্থ পাচারসহ অন্যান্য অভিযোগের অনুসন্ধান ও দ্রুত রিপোর্ট প্রকাশের দাবি জানান। একই সঙ্গে সারা দেশে উৎপাদক ও ক্রেতা সমবায় চালু, সহজ ও চাঁদাবাজমুক্ত পরিবহন ব্যবস্থা চালু, প্রকৃত উৎপাদক, কৃষকের পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে ও উৎপাদন ব্যয় কমাতে কম মূল্যে কৃষি উপকরণ সরবরাহের দাবি জানান অন্যান্য নেতারা।
সমাবেশে বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, দেশের ৩৭ ভাগ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই অবস্থায় সকল জিনিসের দাম দফায় দফায় বাড়ছে। যারা বাড়াচ্ছে সেই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে, তাঁরা সম্পদের পাহাড় গড়তে পারে।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) খালেকুজ্জামান লিপন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব থেকে পল্টন, দৈনিক বাংলা, বক্স কালভার্ট রোড, বিজয়নগর হয়ে পুরানা পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা তিন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, আসিফ ভূঁইয়া সজীব ও নাহিদ ইসলাম। একই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্
১৯ ঘণ্টা আগেনাছিম বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষেই আমরা যদি ভুল করে থাকি, অথবা অন্যায় করে থাকি, সেই অন্যায়ের জন্য জাতির কাছে ক্ষমতা চাইতে আমাদের কোনো আপত্তি অথবা আমরা ক্ষমা চাইব না—এ ধরনের গোঁড়ামি আমাদের ভেতরে কাজ করে না। এ ধরনের দল, এই মানসিকতার দল আওয়ামী লীগ নয়...
২০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলে চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র বাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর...
১ দিন আগেসশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা করেন তিনি। পরে বিকেল ৪টার আগেই সেখানে পৌঁছান তিনি...
১ দিন আগে