জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
একসময় তাঁদের মধ্যে ছিল দা-কুমড়া সম্পর্ক। দুই নেতার অনুসারীদের সংঘাতে একাধিকবার রক্ত ঝরেছে নগরীতে। এখন দুজনের গলায়-গলায় ভাব, যেন এক বৃন্তে দুটি ফুল। তাঁরা হলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন ও নগর যুবলীগের সাবেক নেতা মহিউদ্দিন বাচ্চু।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহিউদ্দিন বাচ্চু নির্বাচিত হয়ে আ জ ম নাছিরকে কোলে নিয়ে আনন্দ-উল্লাস করেছেন। এই জয়ের পেছনে নাছিরের অবদানের কথা প্রকাশ্যে স্বীকারও করেছেন বাচ্চু। এই ঘটনা চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন অনেকেই।
চট্টগ্রাম নগরীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে দুটি ধারায় বিভক্ত। এর একটি অংশের নেতৃত্বে আছেন আ জ ম নাছির। অন্য অংশটির নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর অনুসারীরা তাঁর ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সঙ্গে আছেন। এত দিন মহিউদ্দিন বাচ্চুও মহিবুল হাসানের বাইরে যাননি। তাঁর ৪০ বছরের রাজনীতির জীবনের পুরোটাই ছিল মহিউদ্দিন চৌধুরীর গ্রুপের বলয়ে। বলা যায়, চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর হাত ধরেই মহিউদ্দিন বাচ্চুর রাজনীতি শুরু। সেই তিনি এখন নাছিরের ছায়ায়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেটি প্রকাশ্যে আসে।
দূরত্ব শুরু যেভাবে
এবার চট্টগ্রাম-১০ আসনে নৌকার প্রার্থী ছিলেন মহিউদ্দিন বাচ্চু। তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সিটি মেয়র এম মনজুর আলম, যিনি ২০১০ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সমর্থিত সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা ছিলেন। আওয়ামী লীগের একটি অংশ নির্বাচনে মনজুর আলমকে সমর্থন জানায়। বিশেষ করে প্রকাশ্যে মনজুরের পক্ষে কাজ করেন ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ওয়াসীম উদ্দিন চৌধুরী ও রামপুর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও চসিক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন। দুজনই মহিবুল হাসান গ্রুপের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
মহিউদ্দিন বাচ্চুর সঙ্গে মহিবুল হাসান গ্রুপের একাংশের দ্বন্দ্বের শুরু উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে। গত বছরের ২ জুন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের এই আসন শূন্য হয়। তারপর এই আসনের উপনির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পান মহিউদ্দিন বাচ্চু। আধিপত্য বিস্তারের জন্য নির্বাচনের আগে পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সব ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট নিয়োগের দায়িত্ব পেতে চেয়েছিলেন ওয়াসীম। কিন্তু মহিউদ্দিন বাচ্চু এতে রাজি না হয়ে দায়িত্ব দেন ওয়াসীমের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হিরণকে। এতে ক্ষেপে যান ওয়াসীম। ওই উপনির্বাচনে ওয়াসীম মহিউদ্দিন বাচ্চুর হয়ে কোনো কাজই করেননি।
এর পরপরই দূরত্ব সৃষ্টি হয় আরেক কাউন্সিলর চসিক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটনের সঙ্গে। ওয়াসীম ও লিটনের বিষয়ে মহিবুল হাসান কোনো কথা না বলায় তাঁর প্রতি রাগ-ক্ষোভ আছে মহিউদ্দিন বাচ্চুর। তারপর এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র দাঁড়িয়ে যান মহিবুল হাসান গ্রুপেরই আরেক প্রভাবশালী নেতা ফরিদ মাহমুদ। ফরিদ মাহমুদ, ওয়াসীম ও লিটন তিনজনই চেয়েছিলেন এই আসনে মঞ্জুই জিতুক। নির্বাচনের দিন পাহাড়তলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্র দখলে নিতে ওয়াসীমের অনুসারী শামীম আজাদ পিস্তল নিয়ে গুলি ছোড়েন। এতে নেতৃত্ব দেন স্বয়ং ওয়াসীমের স্ত্রীও। এতে দুজন গুলিবিদ্ধও হন।
মহিউদ্দিন বাচ্চু এসব কর্মকাণ্ডের জন্য মহিবুল হাসানকে দায়ী মনে করে আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। নাছিরও তাঁকে টেনে নেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মহিউদ্দিন বাচ্চু কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জন্য প্রকৃত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কাজ করেছে।’
একসময় তাঁদের মধ্যে ছিল দা-কুমড়া সম্পর্ক। দুই নেতার অনুসারীদের সংঘাতে একাধিকবার রক্ত ঝরেছে নগরীতে। এখন দুজনের গলায়-গলায় ভাব, যেন এক বৃন্তে দুটি ফুল। তাঁরা হলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন ও নগর যুবলীগের সাবেক নেতা মহিউদ্দিন বাচ্চু।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহিউদ্দিন বাচ্চু নির্বাচিত হয়ে আ জ ম নাছিরকে কোলে নিয়ে আনন্দ-উল্লাস করেছেন। এই জয়ের পেছনে নাছিরের অবদানের কথা প্রকাশ্যে স্বীকারও করেছেন বাচ্চু। এই ঘটনা চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন অনেকেই।
চট্টগ্রাম নগরীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে দুটি ধারায় বিভক্ত। এর একটি অংশের নেতৃত্বে আছেন আ জ ম নাছির। অন্য অংশটির নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর অনুসারীরা তাঁর ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সঙ্গে আছেন। এত দিন মহিউদ্দিন বাচ্চুও মহিবুল হাসানের বাইরে যাননি। তাঁর ৪০ বছরের রাজনীতির জীবনের পুরোটাই ছিল মহিউদ্দিন চৌধুরীর গ্রুপের বলয়ে। বলা যায়, চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর হাত ধরেই মহিউদ্দিন বাচ্চুর রাজনীতি শুরু। সেই তিনি এখন নাছিরের ছায়ায়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেটি প্রকাশ্যে আসে।
দূরত্ব শুরু যেভাবে
এবার চট্টগ্রাম-১০ আসনে নৌকার প্রার্থী ছিলেন মহিউদ্দিন বাচ্চু। তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সিটি মেয়র এম মনজুর আলম, যিনি ২০১০ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সমর্থিত সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা ছিলেন। আওয়ামী লীগের একটি অংশ নির্বাচনে মনজুর আলমকে সমর্থন জানায়। বিশেষ করে প্রকাশ্যে মনজুরের পক্ষে কাজ করেন ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ওয়াসীম উদ্দিন চৌধুরী ও রামপুর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও চসিক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন। দুজনই মহিবুল হাসান গ্রুপের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
মহিউদ্দিন বাচ্চুর সঙ্গে মহিবুল হাসান গ্রুপের একাংশের দ্বন্দ্বের শুরু উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে। গত বছরের ২ জুন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের এই আসন শূন্য হয়। তারপর এই আসনের উপনির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পান মহিউদ্দিন বাচ্চু। আধিপত্য বিস্তারের জন্য নির্বাচনের আগে পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সব ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট নিয়োগের দায়িত্ব পেতে চেয়েছিলেন ওয়াসীম। কিন্তু মহিউদ্দিন বাচ্চু এতে রাজি না হয়ে দায়িত্ব দেন ওয়াসীমের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হিরণকে। এতে ক্ষেপে যান ওয়াসীম। ওই উপনির্বাচনে ওয়াসীম মহিউদ্দিন বাচ্চুর হয়ে কোনো কাজই করেননি।
এর পরপরই দূরত্ব সৃষ্টি হয় আরেক কাউন্সিলর চসিক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটনের সঙ্গে। ওয়াসীম ও লিটনের বিষয়ে মহিবুল হাসান কোনো কথা না বলায় তাঁর প্রতি রাগ-ক্ষোভ আছে মহিউদ্দিন বাচ্চুর। তারপর এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র দাঁড়িয়ে যান মহিবুল হাসান গ্রুপেরই আরেক প্রভাবশালী নেতা ফরিদ মাহমুদ। ফরিদ মাহমুদ, ওয়াসীম ও লিটন তিনজনই চেয়েছিলেন এই আসনে মঞ্জুই জিতুক। নির্বাচনের দিন পাহাড়তলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্র দখলে নিতে ওয়াসীমের অনুসারী শামীম আজাদ পিস্তল নিয়ে গুলি ছোড়েন। এতে নেতৃত্ব দেন স্বয়ং ওয়াসীমের স্ত্রীও। এতে দুজন গুলিবিদ্ধও হন।
মহিউদ্দিন বাচ্চু এসব কর্মকাণ্ডের জন্য মহিবুল হাসানকে দায়ী মনে করে আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। নাছিরও তাঁকে টেনে নেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মহিউদ্দিন বাচ্চু কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জন্য প্রকৃত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কাজ করেছে।’
সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়— নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
৩ মিনিট আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতাকর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, বীর সিপাহসালার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব...
৪ ঘণ্টা আগেসেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা তিন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, আসিফ ভূঁইয়া সজীব ও নাহিদ ইসলাম। একই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্
১ দিন আগে