নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় পার্টির (জাপা) কমিটি পরিবর্তন করে রওশনপন্থীদের কমিটিকে আমলে নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে চিঠি দিয়েছে দলটির একাংশ।
আজ সোমবার রওশন এরশাদের ঘোষিত কমিটির মহাসচিব কাজী মো. মামুনূর রশিদ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত চিঠি সিইসির একান্ত সচিবের কাছে হস্তান্তর করেন জাপার এই অংশের নেতারা।
চিঠিতে বলা হয়, ২৮ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং একাদশ সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের গুলশানের বাসভবনে জাতীয় পার্টির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের এক জরুরি বর্ধিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে তাঁদের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। উপস্থিত সব নেতৃবৃন্দের ঐকান্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বেগম রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির গঠনতান্ত্রিক ক্ষমতাবলে পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এবং পার্টি চেয়ারম্যান তাঁর ক্ষমতাবলে কাজী মো. মামুনূর রশিদকে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য (পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া অবধি) জাতীয় পার্টির মহাসচিব নিয়োগ করেছেন।
বর্তমানে নিবন্ধন নম্বর-১২ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ এবং মহাসচিব কাজী মো. মামুনূর রশিদ জাতীয় পার্টির দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয় ওই চিঠিতে।
পরে এই অংশের মুখপাত্র সুনীল শুভ রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘জি এম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির অবক্ষয়, ব্যর্থতার কারণে গঠনতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী তিনি (রওশন এরশাদ) দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন এবং চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে অব্যাহতি দিয়েছেন। আপনারা হয়তো এখন প্রশ্ন করবেন যে তাঁরা তো পার্লামেন্টে আছেন। হ্যাঁ, পার্লামেন্টে আছেন তাঁরা। তাঁদের মতো পার্লামেন্টে থাকবেন। পার্টিকে আমরা সুসংগঠিত করব।’
সুনীল শুভ বলেন, ‘আমরা সম্মেলন করতে যাচ্ছি। আশা করি, মার্চের প্রথম দিকে তারিখটি জানতে পারবেন। সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা পূর্ণাঙ্গ একটি শক্তিশালী ঐক্যবদ্ধ কমিটি উপহার দেব।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সুনীল শুভ বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে শুধু পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, দল থেকে নয়। এতে দল বিভক্ত হবে না। এ ব্যাপারে আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি।’
সুনীল শুভ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি জাতীয় পার্টির মতো চলছে, সাংগঠনিকভাবে চলছে। দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে করা হয়েছে। যখন দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা দাবি জানায়, তখন সেটা গঠনতন্ত্রের চাইতেও বড় বিষয়। কারণ, গঠনতন্ত্র জাতীয় পার্টির জন্য, গঠনতন্ত্রের জন্য জাতীয় পার্টি নয়।’
উনারা (জি এম কাদেরপন্থীরা) বলেছেন কে কী করল তা আমাদের ধর্তব্যের বিষয় নয়, কেউ আমাদের পদ থেকে সরাতে পারবে না। বিষয়টি নজরে আনলে সুনীল শুভ বলেন, ‘উনারা সংসদে আছেন, অনেক কথাই বলতে পারেন। তবে এই কথা আমরা ধর্তব্যে নিচ্ছি না। এই কথাটাকে আমরা কোনো আমলেই নিচ্ছি না।’
জাতীয় পার্টির একাংশের চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘এই বিষয়ে কমিশনে নথি উপস্থাপন করা হবে। শুধু চিঠি দিলে তো হবে না। কমিশন গঠনতন্ত্র দেখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে।’
অশোক কুমার বলেন, ‘আমাদের কাছে যে কমিটি আছে, সেখানে চেয়ারম্যান ও মহাসচিব পদে যাকে রাখা হয়েছে, তাকেই আমরা আমলে নেব। অন্য কোনো কমিটি হলে তা কাউন্সিলের মাধ্যমে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে দুপক্ষ থেকে দুটো কমিটি হলে তখন আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করব। আইনগত দিকগুলো তখন খতিয়ে দেখা হবে।’
গতকাল গুলশানের নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে রওশন এরশাদ জি এম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুকে তাঁদের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ওই ঘোষণা দেন।
জাতীয় পার্টির (জাপা) কমিটি পরিবর্তন করে রওশনপন্থীদের কমিটিকে আমলে নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে চিঠি দিয়েছে দলটির একাংশ।
আজ সোমবার রওশন এরশাদের ঘোষিত কমিটির মহাসচিব কাজী মো. মামুনূর রশিদ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত চিঠি সিইসির একান্ত সচিবের কাছে হস্তান্তর করেন জাপার এই অংশের নেতারা।
চিঠিতে বলা হয়, ২৮ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং একাদশ সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের গুলশানের বাসভবনে জাতীয় পার্টির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের এক জরুরি বর্ধিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে তাঁদের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। উপস্থিত সব নেতৃবৃন্দের ঐকান্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বেগম রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির গঠনতান্ত্রিক ক্ষমতাবলে পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এবং পার্টি চেয়ারম্যান তাঁর ক্ষমতাবলে কাজী মো. মামুনূর রশিদকে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য (পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া অবধি) জাতীয় পার্টির মহাসচিব নিয়োগ করেছেন।
বর্তমানে নিবন্ধন নম্বর-১২ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ এবং মহাসচিব কাজী মো. মামুনূর রশিদ জাতীয় পার্টির দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয় ওই চিঠিতে।
পরে এই অংশের মুখপাত্র সুনীল শুভ রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘জি এম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির অবক্ষয়, ব্যর্থতার কারণে গঠনতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী তিনি (রওশন এরশাদ) দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন এবং চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে অব্যাহতি দিয়েছেন। আপনারা হয়তো এখন প্রশ্ন করবেন যে তাঁরা তো পার্লামেন্টে আছেন। হ্যাঁ, পার্লামেন্টে আছেন তাঁরা। তাঁদের মতো পার্লামেন্টে থাকবেন। পার্টিকে আমরা সুসংগঠিত করব।’
সুনীল শুভ বলেন, ‘আমরা সম্মেলন করতে যাচ্ছি। আশা করি, মার্চের প্রথম দিকে তারিখটি জানতে পারবেন। সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা পূর্ণাঙ্গ একটি শক্তিশালী ঐক্যবদ্ধ কমিটি উপহার দেব।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সুনীল শুভ বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে শুধু পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, দল থেকে নয়। এতে দল বিভক্ত হবে না। এ ব্যাপারে আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি।’
সুনীল শুভ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি জাতীয় পার্টির মতো চলছে, সাংগঠনিকভাবে চলছে। দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে করা হয়েছে। যখন দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা দাবি জানায়, তখন সেটা গঠনতন্ত্রের চাইতেও বড় বিষয়। কারণ, গঠনতন্ত্র জাতীয় পার্টির জন্য, গঠনতন্ত্রের জন্য জাতীয় পার্টি নয়।’
উনারা (জি এম কাদেরপন্থীরা) বলেছেন কে কী করল তা আমাদের ধর্তব্যের বিষয় নয়, কেউ আমাদের পদ থেকে সরাতে পারবে না। বিষয়টি নজরে আনলে সুনীল শুভ বলেন, ‘উনারা সংসদে আছেন, অনেক কথাই বলতে পারেন। তবে এই কথা আমরা ধর্তব্যে নিচ্ছি না। এই কথাটাকে আমরা কোনো আমলেই নিচ্ছি না।’
জাতীয় পার্টির একাংশের চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘এই বিষয়ে কমিশনে নথি উপস্থাপন করা হবে। শুধু চিঠি দিলে তো হবে না। কমিশন গঠনতন্ত্র দেখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে।’
অশোক কুমার বলেন, ‘আমাদের কাছে যে কমিটি আছে, সেখানে চেয়ারম্যান ও মহাসচিব পদে যাকে রাখা হয়েছে, তাকেই আমরা আমলে নেব। অন্য কোনো কমিটি হলে তা কাউন্সিলের মাধ্যমে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে দুপক্ষ থেকে দুটো কমিটি হলে তখন আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করব। আইনগত দিকগুলো তখন খতিয়ে দেখা হবে।’
গতকাল গুলশানের নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে রওশন এরশাদ জি এম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুকে তাঁদের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ওই ঘোষণা দেন।
সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা তিন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, আসিফ ভূঁইয়া সজীব ও নাহিদ ইসলাম। একই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্
১৯ ঘণ্টা আগেনাছিম বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষেই আমরা যদি ভুল করে থাকি, অথবা অন্যায় করে থাকি, সেই অন্যায়ের জন্য জাতির কাছে ক্ষমতা চাইতে আমাদের কোনো আপত্তি অথবা আমরা ক্ষমা চাইব না—এ ধরনের গোঁড়ামি আমাদের ভেতরে কাজ করে না। এ ধরনের দল, এই মানসিকতার দল আওয়ামী লীগ নয়...
১৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলে চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র বাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর...
১ দিন আগেসশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা করেন তিনি। পরে বিকেল ৪টার আগেই সেখানে পৌঁছান তিনি...
১ দিন আগে